ভোটকেন্দ্রে পুলিশকে মারধর, ছবি তোলায় সাংবাদিকের ওপর হামলা
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় উপজেলা নির্বাচন চলাকালীন একটি ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ছবি তুলতে যাওয়ায় এক সাংবাদিকের মারধর করা হয়। বুধবার (৮ মে) সকাল সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়নের ১নং ভবানিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার সাংবাদিক গোলজার হোসেন মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি ও মানবজমিনের মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি। জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি কেন্দ্রের বাইরে এক পুলিশ সদস্যকে মারধর করছিলেন আনারস প্রতীকের সমর্থক ও ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু এবং তার লোকজন। এ ঘটনার ছবি তুলছিলেন সাংবাদিক গোলজার হোসেন। এতে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের ভেতরে থাকা অন্তত সাতজন সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। মনিরুল হক মিঠু হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান। ঘটনার সঙ্গে জড়িত চেয়ারম্যানের ভাতিজা তানভীর হক তুরিন। হামলার শিকার গোলজার হোসেন বলেন, ভোটকেন্দ্রের পাশে পুলিশকে মারধর করছিল চেয়ারম্যান মিঠু ও তার লোকজন। সেই ঘটনার ছবি তুলতে গেলে তারা আমার ওপর চড়াও হয়। তারা আমাকে মারধর করে ফোন ছিনিয়ে নিয়ে সব ছবি, ভিডিও মুছে দিয়েছে। ফোনটিও ভেঙে ফেলেছে। হামলার কথা স্বীকার করে পুলিশ সদস্য মো. সোহেল রানা বলেন, কেন্দ্রের পাশে একটি দোকানে আনারস প্রতীকের সর্মথকরা জড়ো হচ্ছিল। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমি তাদের সরে যেতে বলি। সে সময় আনারস প্রতীকের সমর্থকরা অযথাই আমার ওপর হামলা চালায়। সাংবাদিক ছবি তোলায় তাকেও মারধর করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমিরুল ইসলাম সমর্থক মনিরুল হক মিঠু বলেন, এক কেন্দ্রে সাংবাদিকদের এত কী কাজ? তারা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। সংবাদকর্মীদের সেন্টারে বেশিক্ষণ থাকার দরকার নেই দাবি করে তিনি সবাইকে চলে যেতেও বলেন তিনি। কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা এসআই রতন বৈরাগীকে এ বিষয়ে  জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে কিছুই হয়নি। সব ঠিক আছে। এ ব্যাপারে আর কিছু বলতে পারব না। বিষয়টি নিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে

আবারও ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের রকেট হামলা
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে তিন সেনা নিহতের দুই দিনের ব্যবধানে আবারও একই ধরনের রকেট হামলা হয়েছে। তবে এবার কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর (আইডিএফ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (৭ মে) গভীর রাতে রাফা এলাকা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলের কারাম সালেম ক্রসিং ও রেইমের বসতি লক্ষ্য করে প্রায় ১৮টি রকেট ছোঁড়া হয়। এ সময় সাইরেন বেজে উঠলে ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে উঠে। আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দ্বিতীয়বারের মতো হামলা হলো। হামলাকারীরা সেনা ফাঁড়ি ও ত্রাণবাহী যানের অবস্থান লক্ষ্য করে রকেট ছুড়ছে। এতে ক্রসিংয়ের কার্যক্রম বন্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এ ধরনের রকেট নিক্ষেপ গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। (আইডিএফ) বলছে, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য কারাম সালেম ক্রসিং পুনরায় চালু করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ চলছে। এর আগে রোববার (৫ মে) হঠাৎ গাজার সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের কারাম আবু সালেমে একটি ফাঁড়িতে মুহুর্মুহু রকেট হামলা হয়। এতে ইসরায়েলি তিন সেনা নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। হামাস এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ নিয়ে চলমান গাজা যুদ্ধে ২৬৬ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হলেন। আনাদুলু এজেন্সি জানায়, এসব হামলার সঙ্গে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড জড়িত। তারা দক্ষিণ ইসরায়েলের জনবসতির দিকে অন্তত ৩০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেছে। এতে অনেক স্থানে আগুন লেগে যায়। ইসরায়েল দাবি করে আসছে, রাফায় শরনার্থীদের আড়ালে হামাস ঘাঁটি গেড়েছে। এ অভিযোগে সেখানে প্রাথমিক স্থল অভিযান শুরু করে তারা। মঙ্গলবার (৭ মে) গাজার ‘লাইফলাইন’ খ্যাত রাফা সীমান্ত ক্রসিং দখলের পর সেখানে আর্টিলারিসহ বিপুল ইসরায়েলি সেনা অবস্থান নিয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের অভিযানের উদ্দেশ্যে সেনাবহরটি জনবসতির দিকে এগোনোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের ফাঁড়িতে হামাস হঠাৎ হামলা শুরু করেছে। এতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর রাফায় হামলার যুক্তি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠছে।
১৮ ঘণ্টা আগে

রাফায় মসজিদে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
অবরুদ্ধ গাজার রাফায় একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। রাফা শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ওই মসজিদে একটি ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। মঙ্গলবার (৭ মে) মসজিদটিতে ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, মসজিদটি একটি বাজারের পাশে অবস্থিত। ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার ভয়ে স্থানীয়রা তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য সেখানে ছিলেন। ফলে সে সময় বাজারটিতে অনেক মানুষের ভিড় ছিল।  তবে মসজিদে চালানো হামলাটি ‘সতর্কতামূলক হামলা’ ছিল বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আলজাজিরা। মূলত বড় ধরনের হামলার পূর্ব-সতর্কতা হিসেবে এ ধরনের হামলা চালানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের এ হামলার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  এর আগে, মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে রাফার মিশর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থান নেয় ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে তারা ট্যাংকসহ অন্যান্য ভারী অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে। এদিকে, রাফাহ ক্রসিংয়ে এক রাতেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের ২০ যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী।  বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার (৬ মে) রাতে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) পূর্ব রাফায় হামলা চালায়। তাদের দাবি, রাফায় হামাসের ঘাঁটি আছে বলে গোয়েন্দা বার্তা পাওয়ার পরই সেখানে অভিযান চালায় আইডিএফ।  
০৭ মে, ২০২৪

যে কারণে পুলিৎজার জিতল রয়টার্স
সাংবাদিকতার নোবেল খ্যাত পুলিৎজার পুরস্কার এ বছর জিতেছে রয়টার্স। ‘ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফি’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে বার্তাসংস্থাটি। গাজা সংঘাত নিয়ে রয়টার্সের প্রকাশিত বেশ কয়েকটি ছবি তাদের এ সম্মান এনে দেয়। সোমবার কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একটি বোর্ড পুলিৎজার পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে। সেই ঘোষণাপত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে। জানা গেছে, গত বছর থেকেই গোটা বিশ্বের চোখ অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়। সাত মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের এ অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার বোমাবর্ষণ আর নির্মম নিপীড়ন কাঁদিয়েছে গোটা মানবতাকে। ইহুদিবাদী দেশটির সামরিক বাহিনীর এসব নিপীড়ন আর ধ্বংসযজ্ঞের ছবি প্রকাশ করে এ বছরের আলোকচিত্র বিভাগে পুলিৎজার পুরস্কার অর্জন করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।  ব্রিটিশ বার্তা সংস্থার তোলা ছবিগুলোতে ওঠে এসেছে গাজার নির্মম ধ্বংসযজ্ঞ আর বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটে চলার গল্প। এবারে পুলিৎজারের জন্য যে ছবিটি নির্বাচিত হয়েছে তার মধ্যে গেল বছরের অক্টোবরে রয়টার্সের ফটোগ্রাফার মোহাম্মদ সালেমের তোলা একটি ছবি রয়েছে, যেখানে গাজায় একজন ফিলিস্তিনি মহিলা তার ৫ বছর বয়সী ভাতিজির মৃতদেহকে জড়িয়ে ধরেছেন৷ এই ছবিটি আগে চলতি বছরের জন্য বিশ্ব প্রেস ফটো অফ দ্য ইয়ারের পুরস্কার জিতেছিল। এ ছাড়া টুইটার ও স্পেস এক্সের সিইও ইলন মাস্কের উৎপাদন সাম্রাজ্যের একাধিক তদন্তের জন্য জাতীয় রিপোর্টিং বিভাগে পুলিৎজার জিতেছে রয়টার্স। পুলিৎজার পুরস্কার মূলত যুক্তরাষ্ট্রের। জাতীয় পর্যায়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার এটি। ১৯১৭ সাল থেকে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকতা, সাহিত্য, সংগীত ও নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়। রয়টার্স ছাড়াও সাংবাদিকতার বিভিন্ন বিভাগে ওয়াশিংটন পোস্ট ও দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, প্রোপাবলিকা, লুকআউট সান্তা ক্লজ নামের একটি নিউজ পোর্টাল, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), দ্য নিউইয়র্কার ও দ্য লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছে।
০৭ মে, ২০২৪

রাফা ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েল
রাতভর হামলার পর রাফা সীমান্ত ক্রসিংয়ের গাজা অংশের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (৭ মে) গাজার ‘লাইফলাইন’ খ্যাত এলাকাটি দখলের পর সেখানে আর্টিলারিসহ বিপুল ইসরায়েলি সেনা অবস্থান নিয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের অভিযানের উদ্দেশ্যে সেনাবহরটি জনবসতির দিকে এগোনোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আরব নিউজ ও আল জাজিরা জানায়, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পরও রাফায় অভিযানের অনুমোদন দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরপরই রাতের অন্ধকারে রাফায় ঢুকে পড়ে ইসরায়েলি ট্যাংক। এ সময়কার ভিডিও ফুটেজ সম্প্রচার করে মিসরের আল কাহেরা টেলিভিশন। ওই ফুটেজে বন্দুকযুদ্ধ ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ ছাড়া ট্যাংক এবং হেলিকপ্টারের শব্দও শুনতে পাওয়া যায়।  মিসরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেখে মনে হচ্ছে স্বল্প পরিসরে অভিযান চালানো হবে। অভিযান শেষে সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়েও মিসরকে জানিয়েছে ইসরায়েল। যদিও এ বিষয়ে মুখ খোলেনি তেল আবিব। সকালে রাফা ক্রসিংয়ের কয়েকটি অসমর্থিত ফুটেজ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, সড়কের পাশে ‘আই লাভ গাজা' লেখা ভাস্কর্য ইসরায়েলি ট্যাংক গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। এ ছাড়া ক্রসিংয়ে থাকা ফিলিস্তিনি পতাকাও সরিয়ে ফেলে দখলদাররা। দ্য টাইমস অব ইসরায়েল একটি ফুটেজ সম্প্রচার করে। তাকে দেখা যায়, বিশাল ইসরায়েলি পতাকা উড়িয়ে একটি ট্যাংক সীমান্ত সড়কে টহল দিচ্ছে। এ ভিডিওয়ের বর্ণনায় বলা হয়েছে, মিসর অভিমুখে রাফা ক্রসিংয়ের গাজা অংশের নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলিদের হাতে। গাজার দক্ষিণে রাফা। গাজার সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগে অন্যতম রাফা সীমান্ত ক্রসিং। মিসরের সিনাই মরুভূমি সংলগ্ন একটি সীমান্ত পথ এ ক্রসিং। অন্য দুটি সীমান্ত পথ অনেক আগে থেকে ইসরায়েলের দখলে থাকায় মিসরের এই সীমান্ত পথটিই গাজার উদ্বাস্তুদের একমাত্র ভরসা ছিল।  এ কারণে রাফা সীমান্তটিই বেসামরিক নাগরিকদের গাজা ত্যাগ করার একমাত্র স্থলপথ হিসেবে বিবেচিত। গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রেও রাফা গুরুত্বপূর্ণ। এবার এ পথটিও ইসরায়েলের দখলে চলে যাওয়ায় ত্রাণসহায়তা অনেকটা স্থবির হয়ে পড়বে। আরও দুর্ভোগে পড়বেন যুদ্ধে বিধ্বস্ত গাজাবাসী।
০৭ মে, ২০২৪

ইসরায়েলের ২ সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরাকি যোদ্ধারা
ইহুদিবাদী ইসরায়েলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এ হামলায় ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। এর আগে, গত বুধবারও গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলা চালিয়েছিল তারা। খবর প্রেস টিভির। ইরাকের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জোট পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিট (পিএমইউ) জানিয়েছে, আজ সোমবার, (৬ এপ্রিল) সকালে ইসলামী প্রতিরোধ যোদ্ধারা দখলদার ইসরায়েলের ভেতরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে ড্রোন দিয়ে হামলা চালায়।  প্রথম হামলাটিতে অধিকৃত ভূমিতে দখলদার ইসরায়েলের একটি সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। আর দ্বিতীয় হামলাটি চালানো হয়েছে এইলাত বা উম্মুল রাশরাশ শহরের একটি সামরিক বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে।  বিবৃতিতে ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধারা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণ বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ওপর ইহুদিবাদী ইসরায়েলি সেনাদের বর্বরতার প্রতিবাদে এবং গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে। পিএমইউ তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বর্ণবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলা চলতেই থাকবে।  সর্বশেষ এই হামলার দু-দিন আগে ইসরায়েল অধিকৃত হাইফা বন্দরে ইরাকি যোদ্ধারা উন্নতমানের আরকাব ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল। 
০৬ মে, ২০২৪

বিশ্বকাপে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে এক মাসও বাকি নেই। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এর মধ্যেই দেখা দিয়েছে নতুন সমস্যা। বিশ্বকাপ চলাকালীন জঙ্গি হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জানা গেছে বিশ্বকাপ চলাকালে হামলার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। এনিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্রিকেটবিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। তাদের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এই হুমকি দিয়েছে উত্তর পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন প্রো-ইসলামিক স্টেট (দাইশ)। পাকিস্তানের একটি গণমাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনটি দাবি করেছে, বিশ্বকাপ চলাকালীন নাশকতা করা হবে। যে গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে মূলত সেটি ইসলামিক স্টেট সংগঠন মালিকানাধীন। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, প্রো-ইসলামিক স্টেট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও প্রকাশ করছে। বিভিন্ন সময়ে খেলার মাঠে ঘটে যাওয়া সব নাশকতার ভিডিও সেগুলো। এ ধরনের ভিডিও প্রকাশের পাশাপাশি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিকদের তাদের লড়াইয়ে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে জঙ্গি সংগঠনটি। এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া প্রতিটি দেশের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ এবং দর্শকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। ক্যারিবিয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘এ বিষয়ে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যে মাঠগুলোতে বিশ্বকাপের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সেখানে ও টিম হোটেলে, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সব দেশকে জানানো হচ্ছে যে, ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও দর্শকদের নিরাপত্তা তাদের প্রধান লক্ষ্য।’ চলতি বছর জুনের শুরুতে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে আয়োজন করছে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের নবম আসর। প্রথমবারের মতো আইসিসির বৈশ্বিক আসরে অংশ নেবে ২০টি দল।
০৬ মে, ২০২৪

আলজাজিরা বন্ধে কতটা সফল ইসরায়েল?
ইসরায়েলে আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধে অভিযান চালিয়েছে নেতানিয়াহুর প্রশাসন। দেশটির মন্ত্রিসভায় এ সংক্রান্ত একটি আইন পাসের পরপরই অভিযান হয়। এ পদক্ষেপের পর সংবাদমাধ্যমটি বন্ধে কতটা সফলতা এসেছে তা জানিয়েছে বিবিসি ও দ্য টাইমস অব ইসরায়েল। বিবিসি জানায়, রোববার জেরুজালেমের অ্যাম্বাসেডর হোটেলে অবস্থিত আলজাজিরার অস্থায়ী অফিসে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে আল-জাজিরার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এরপর থেকে ইসরায়েলের স্যাটেলাইট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াইইএস ও এইচওটি আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। তারা চ্যানেলটির নির্দিষ্ট পাতায় একটি বার্তা সাঁটিয়ে রেখেছে। সেখানে লেখা, ‘সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইসরায়েলে আলজাজিরা স্টেশনের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে।’ তবে এটি এক তরফাভাবে করা হয়েছে। ইসরায়েল থেকে ফেসবুকে আল জাজিরার সম্প্রচার দেখা যাচ্ছে। অপরদিকে রোববার সন্ধ্যা থেকে ইসরায়েলে আল জাজিরার ইংরেজি ও আরবি ভাষার ওয়েবসাইট ব্লক দেখাচ্ছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে আবার সেটি ভিজিট করতে পারছেন কেউ কেউ। তবে তা খুবই নগণ্য। এটিও খুব দ্রুত বন্ধের চেষ্টা চলছে। রোববার চ্যানেলটিকে হামাসের মুখপত্র আখ্যা দিয়ে এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে একই দিন কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যমটি বন্ধে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দেয় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা। পরে সংবাদমাধ্যমটির ব্যুরো অফিসে অভিযান হয়। এ সময় বিবিসির সাংবাদিককে ভিডিও করতে বাধা দেয় ইসরায়েলি পুলিশ। পরে অবশ্য অভিযানের ভিডিও প্রকাশ করে পুলিশ। ইসরাইলের যোগাযোগমন্ত্রী শ্লোমো কার্হি বলেন, আমাদের পুলিশ আলজাজিরার অফিসে গেছে। সেখান থেকে যন্ত্রপাতি জব্দ করেছে। অফিসটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সংবাদমাধ্যমটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে ইসরায়েলে বন্ধে মন্ত্রিসভায় ভোট হয়। ভোটের প্রস্তাবে বলা হয়, বিদেশি সম্প্রচারমাধ্যম ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় হুমকির সৃষ্টি করেছে। এদিকে আলজাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক ইসরায়েলের এ পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে। সংবাদমাধ্যমটি এ কার্যক্রমকে ‘অপরাধমূলক কাজ’ হিসেবে উল্লেখ করে। সে সঙ্গে ইসরায়েল দেশটিতে মুক্ত গণমাধ্যমের দমনের চেষ্টা করে আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইনের লঙ্ঘন করছে বলেও মন্তব্য করা হয়।
০৬ মে, ২০২৪

আলজাজিরা বন্ধ করতে ইসরায়েল কেন মরিয়া?
গাজায় নির্বিচার হত্যাযজ্ঞসহ মানবতাবিরোধী অপকর্ম লুকাতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না নেতানিয়াহু প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলে আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে সেখানকার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। ইতিমধ্যে তা বন্ধে অভিযানও হয়েছে।  কিন্তু এই একটি সংবাদমাধ্যমকে কেন এত ভয় পায় ইহুদিবাদী দেশটি, যেখানে গোটা পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো রয়েছে তার পকেটে?  চলমান যুদ্ধে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্মম ধ্বংসযজ্ঞের অনেক খবরই চেপে গেছে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো। এর বিপরীতে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রতিটি অপকর্ম আর ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরছে কাতারি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। এ কারণেই আন্তর্জাতিক এ সংবাদমাধ্যমের ওপর বেশ চটে আছে তেলআবিব। এরই প্রতিক্রিয়ায় রোববার মন্ত্রিসভায় আলজাজিরা বন্ধ করে দেয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়, যা সর্বসম্মতক্রমে পাস হয়। এর আগে জাতীয় স্বার্থের জন্য হুমকি, এমন বিদেশি গণমাধ্যমের সম্প্রচার বন্ধে আইন পাস করে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের সদস্যরা।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ হিব্রু ভাষায় দেয়া এক পোস্টে নেতানিয়াহু জানান, তার নেতৃত্বে ইসরায়েল সরকার সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে- উসকানিদাতা চ্যানেল আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হবে। আরেক পোস্টে ইসরায়েলি যোগাযোগমন্ত্রী শালোম কারহি জানান, তিনি আলজাজিরার বিরুদ্ধে একটি নির্দেশে স্বাক্ষর করেছেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হবে। পাশাপাশি আলজাজিরার সম্প্রচারসামগ্রী জব্দেরও নির্দেশ দেয়া হয়।  পরে তিনি আরও একটি পোস্টে আলজাজিরার ব্যুরো অফিসে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযান এবং সম্প্রচারসামগ্রী জব্দের খবর দেন।  এবারই প্রথম নয় বরং এর আগেও যতবার ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত হয়েছিল, ততবারই আলজাজিরার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তেলআবিব প্রশাসন। ইসরায়েলি প্রশাসন মনে করে, আলজাজিরার মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে তেলআবিবের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। একই সঙ্গে তারা চ্যানেলটিকে হামাস, হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সহযোগী হিসেবে দেখে থাকে। এ ছাড়া গাজা, জেরুজালেম বা পশ্চিম তীর, যেখানেই ইসরায়েলি বাহিনী সামান্যতম আচড় দিক না কেন, তা ফলাও করে প্রকাশ করে থাকে সংবাদমাধ্যমটি।  বর্তমানে গাজায় যে অল্প কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কাজ করছে, তার মধ্যে আলজাজিরা অন্যতম। সম্প্রচারমাধ্যমটি গাজায় প্রতিটি বিমান হামলা, স্থল অভিযান ও ধ্বংসপ্রাপ্ত হাসপাতালের খবর নিয়মিত সরবরাহ করছে। একই সঙ্গে গণহত্যার জন্য নেতানিয়াহু প্রশাসনকে অভিযুক্ত করে যাচ্ছে। আলজাজিরার রামাল্লাভিত্তিক সংবাদদাতা জেইন বাসরাভি জানান, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের খবরই আলজাজিরাকে টিকিয়ে রেখেছে। এমন অবস্থায় ইসরায়েল তার কূটনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিশ্বজুড়ে কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমকে পঙ্গু করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
০৬ মে, ২০২৪

সাংবাদিকের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার নিন্দা
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সাংবাদিক মফিজুল ইসলামের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। হামলায় তিনি শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। দুর্বৃত্তরা তাকে লাঠিসোটা দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এ সময় তার মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে।  শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বন্দেখালি গ্রামের রাস্তার ওপরে ঘটনাটি ঘটেছে। সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম দৈনিক লোকসমাজ ও নয়াদিগন্ত পত্রিকার শৈলকুপা উপজেলা প্রতিনিধি। তিনি শৈলকুপা প্রেস ক্লাবের সিনিয়র নির্বাহী সদস্য, সাবেক সহ-সভাপতি। সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম জানান, জরুরি কাজে তিনি লাঙ্গলবাঁধ বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বন্দেখালী পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত সামনে পড়ে। তারা তার গতিরোধ করে এবং বেধড়ক মারধর করে। ভাংচুর করে মোটরসাইকেল। পরে তিনি লাঙ্গলবাঁধ বাজারে পৌঁছে ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন এবং লাঙ্গলবাঁধ পুলিশ ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে মফিজুল অভিযোগ করেন। এ অবস্থায় আহত মফিজুল দীর্ঘ সময় ক্যাম্পে অবস্থান করতে বাধ্য হন। পরে লাঙ্গলবাঁধ ক্যাম্পের এসআই তৌকির সাংবাদিক মফিজুল ইসলামকে বাড়ি পৌঁছে দেন। হামলার ঘটনার রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই সাংবাদিক থানায় লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।  শৈলকুপা থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে সাংবাদিক মফিজুলের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শৈলকুপা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করছেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহিন আক্তার পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মিল্টনসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।  প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহ-১ শৈলকুপা আসনে উপনির্বাচনে শনিবার সন্ধ্যা রাতে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দলের একাধিক গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান, ধাওয়া, ভাংচুর ও হামলার ঘটনা ঘটতে শুরু হয়। যা ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্কসহ আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির শঙ্কা তৈরি করেছে।
০৫ মে, ২০২৪
X