ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সাংবাদিক মফিজুল ইসলামের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। হামলায় তিনি শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। দুর্বৃত্তরা তাকে লাঠিসোটা দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এ সময় তার মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে।
শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বন্দেখালি গ্রামের রাস্তার ওপরে ঘটনাটি ঘটেছে।
সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম দৈনিক লোকসমাজ ও নয়াদিগন্ত পত্রিকার শৈলকুপা উপজেলা প্রতিনিধি। তিনি শৈলকুপা প্রেস ক্লাবের সিনিয়র নির্বাহী সদস্য, সাবেক সহ-সভাপতি।
সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম জানান, জরুরি কাজে তিনি লাঙ্গলবাঁধ বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বন্দেখালী পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত সামনে পড়ে। তারা তার গতিরোধ করে এবং বেধড়ক মারধর করে। ভাংচুর করে মোটরসাইকেল। পরে তিনি লাঙ্গলবাঁধ বাজারে পৌঁছে ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন এবং লাঙ্গলবাঁধ পুলিশ ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে মফিজুল অভিযোগ করেন।
এ অবস্থায় আহত মফিজুল দীর্ঘ সময় ক্যাম্পে অবস্থান করতে বাধ্য হন। পরে লাঙ্গলবাঁধ ক্যাম্পের এসআই তৌকির সাংবাদিক মফিজুল ইসলামকে বাড়ি পৌঁছে দেন।
হামলার ঘটনার রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই সাংবাদিক থানায় লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
শৈলকুপা থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে সাংবাদিক মফিজুলের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শৈলকুপা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করছেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহিন আক্তার পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মিল্টনসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহ-১ শৈলকুপা আসনে উপনির্বাচনে শনিবার সন্ধ্যা রাতে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দলের একাধিক গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান, ধাওয়া, ভাংচুর ও হামলার ঘটনা ঘটতে শুরু হয়। যা ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্কসহ আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির শঙ্কা তৈরি করেছে।
মন্তব্য করুন