বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে হৃদরোগে বিনামূল্যে হার্টের রিং স্থাপন
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে আলোচনা সভা ও মিলাদ  মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইসঙ্গে গরিব অসহায় রোগীদের মধ্যে বিনামূল্যে ৪টি হার্টের রিং স্থাপন ও ৩ জন রোগীকে বিনামূল্যে এনজিওগ্রাম করার পাশাপাশি ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। রোববার (১৭ মার্চ) হাসপাতালের মিলনায়তনে পরিচালক ও অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনের সভাপতিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় হাসপাতালে সর্বস্তরের চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সেবিকা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বাদ জোহর হাসপাতালের মসজিদে বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে হাসপাতালের দরিদ্র রোগীদের মধ্যে বিনামূল্যে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া হার্টের রিং থেকে অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনে তত্বাবধানে ৩ জন রোগীকে বিনামূল্যে ৩টি রিং স্থাপন ও ১ জন রোগীর ফ্রি এনজিওগ্রাম করা হয়। এছাড়া সহযোগী অধ্যাপক ডা. কাজল কুমার কর্মকারের তত্ত্বাবধানে ১ জন রোগীকে বিনামূল্যে রিং পরানো এবং ২ জন রোগীকে ফ্রি এনজিওগ্রাম করা হয়।
১৭ মার্চ, ২০২৪

জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা
জন্মগতভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিতে ১০ দিনব্যাপী হেলথ ক্যাম্প শুরু করেছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা কাতার চ্যারিটি। ক্যাম্পের মাধ্যমে ১০০র বেশি শিশুর হার্টে প্রয়োজনীয় ডিভাইস স্থাপন করে চিকিৎসা দেওয়া হবে। রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্প চলবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, ফিলিস্তিন ও কাতার থেকে আসা একটি মেডিকেল টিম এই মেডিকেল ক্যাম্পে অংশ নিয়েছে।  পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজিস্ট ও হেলথ ক্যাম্পের কো অর্ডিনেটর  অধ্যাপক ড. নুরুন নাহার ফাতিমা বলেন, আমরা বেশ কয়েকবছর ধরেই কাতার চ্যারিটির সঙ্গে কাজ করছি। জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত এসব শিশুরা খুবই দরিদ্র পরিবারের। ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা বহন করার কোনো সামর্থ্যই এদের অভিভাবকদের নেই। কাতার চ্যারিটি সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করে দরিদ্র এই পরিবারগুলোর সন্তানদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। তারা এখন একটি সম্পূর্ণ সুস্থ জীবন ফিরে পাবে।  জর্ডান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের চিকিৎসক পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজিস্ট ড. আইয়াদ আমরি বলেন, কাতার চ্যারিটির এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে জন্মগতভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত ১০০র বেশি শিশুকে প্রয়োজনীয় ডিভাইস দিয়া চিকিৎসা দেওয়া হবে। গত ৪ দিনে আমরা ৩৫ জনের বেশি শিশুর দেহে ডিভাইস স্থাপন করেছি। সবাই সুস্থ আছে।  কাতার চ্যারিটির কান্ট্রি ডাইরেক্টর ড. আমিন হাফিজ ওমর বলেন, কাতারের ডোনারদের সহায়তায় অসহায় ও গরীব শিশুদের সুস্থ জীবন উপহার দিতে এই হেলথ ক্যাম্প চলছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ডা. মীর জামাল ফের হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এক বছরের জন্য আবারও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে পরিচালক হয়েছেন অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন। বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গত ১৮ জানুয়ারি তার প্রথম দফার ২ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের শেষ কর্মদিবস ছিল। মীর জামাল ১৯৮৫ সালে বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৯ সালে অষ্টম বিসিএসের মাধ্যমে চাকরিতে যোগ দেন। ২০১৩ সালে অধ্যাপক (কার্ডিওলজি) হন। ২০১৯ সালে নভেম্বরে হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। তিনি দেশে ইন্টারভেশনাল কার্ডিওলজি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পথিকৃৎ। তিনি বাংলাদেশ সোসাইটি অব কার্ডিওভাস্কুলার ইন্টারভেনশনের মহাসচিব ও বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির সহসভাপতি।
০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ফের জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের পরিচালক হলেন অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এক বছরের জন্য আবারও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে পরিচালক হলেন অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি তার প্রথম দফা ২ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের শেষ কর্মদিবস ছিল। এখন তিনি আবারও এক বছরের জন্য পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন ১৯৮৫ সালে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন এবং ১৯৮৯ সালে অষ্টম বিসিএসের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৯৭ সালে এমডি কার্ডিওলজি কোর্স পাস করেন। ২০১৩ সালে অধ্যাপক (কার্ডিওলজি) পদে পদোন্নতি পান। ২০১৯ সালে নভেম্বরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। তিনি দেশে ইন্টারভেশনাল কার্ডিওলজি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পথিকৃৎ।   অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে চিকিৎসাগবেষণা ও মানবকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে সরকার বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন ২০২৩ পদক প্রদান করেছেন। পরিচালক হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ায় অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি দেশের সরকারি পর্যায়ের হৃদরোগের স্বয়ংসম্পূর্ণ একমাত্র হাসপাতাল জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের আগত রোগীদের চিকিৎসাসেবা সুনিশ্চিত করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হৃদ্রোগ চিকিৎসকদের অন্যতম সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি অব কার্ডিওভাস্কুলার ইন্টারভেনশনের মহাসচিব ও বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে বিনামূল্যে হার্টের অপারেশন
বিনামূল্যে এক নারীর হার্টের অপারেশন করেছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (এনআইসিভিডি) একদল চিকিৎসক। গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে এনআইসিভিডি কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. কাজী আবুল আজাদের নেতৃত্বে মুক্তা খাতুন নামে এক নারীর হার্টের ছিদ্রের অপারেশন করা হয়। হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন অপারেশনে সার্বিক সহায়তা করেন। আর স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলনের তত্ত্বাবধানে অপারেশনটি সম্পন্ন হয়। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানায়, মুক্তা খাতুনের বাড়ি যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলায়। অপারেশনের পর মুক্তা এখন সুস্থ রয়েছেন। তার স্বামী রাব্বুল ইসলাম বলেন, মুক্তার অবস্থা ভালো। তিনি হাত-পা নাড়ানোর পাশাপাশি কথাও বলতে পারছেন। অপারেশনে নেতৃত্বদানকারী অধ্যাপক ডা. কাজী আবুল আজাদ জানান, মুক্তা খাতুন ঝুঁকিমুক্ত। খুব দ্রুতই তিনি পরিপূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে উঠবেন। অপারেশনে আরও অংশ নেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সহযোগী সহকারী অধ্যাপক ডা. আজিজুল ইসলাম, ডা. সাজেদুল বারী, ডা. মনোজ কুমার সরকার, সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. সাজ্জাদ হোসেন এবং ডা. আশিকুল ইসলাম প্রমুখ।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রীর অনুদানে হার্টে রিং স্থাপন করা হলো তাহের ও শরিফুলের
প্রধানমন্ত্রীর অনুদানে বরিশালের হিজলা উপজেলার মাছ বিক্রেতা আবু তাহেরকে (৫৫) দুটি এবং রাজধানীর বাড্ডার বাসিন্দা গাড়িচালক শরিফুল ইসলামকে (৫৯) একটি হার্টের রিং বিনামূল্যে স্থাপন করেছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।  রোববার (২২ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের ক্যাথ ল্যাব জোন-২ এর ৭ নাম্বার ল্যাবে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দীনের নেতৃত্বে দুই ব্যক্তির হার্টে রিং স্থাপন করা হয়।  এর আগে গত জুলাই জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আগত গরিব ও অসহায় হৃদরোগীদের জন্য বিনামূল্যে হার্টের ভাল্ব, অক্সিজেনেটর, স্টেন্ট, ভাসকুলার স্টেন্ট, পেসমেকার, পিডিএ এএসডি, ডিএসডি, ডিভাইস জন্য ৭ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার কাছ থেকে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ও অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন।  প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের টাকায় ১৫০টি ভাল্ব, ২০০টি অক্সিজেনেটর, ৩০০টি স্টেন্ট, ৩০টি ভাসকুলার স্টেন্ট, ১২০টি পেসমেকার, ৫০টি পিডিএ, ৩০টি এএসডি, ১০টি ডিএসডি ডিভাইস ক্রয় করে হাসপাতালের অসহায় রোগী সেবা তহবিল মাধ্যমে বিনামূল্যে বিতরণ করার কথা জানানো হয়।
২২ অক্টোবর, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা হৃদরোগ ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২৩’ প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সেবিকা ও কর্মচারীরা। সোমবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের পক্ষে পদক গ্রহণ করেন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন। পদকপ্রাপ্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সেবিকা, কর্মচারীরা পরিচালকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দক্ষতার সঙ্গে হাসপাতাল পরিচালনা, রোগীদের সেবা নিশ্চিতকরণ এবং তার নেতৃত্বে পদক প্রাপ্তির এ গৌরব অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় পরিচালক বলেন, এ অর্জন হাসপাতালে কর্মরত সবার। তিনি হাসপাতালে আসা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান।
০৪ আগস্ট, ২০২৩

শিশুর হৃদরোগ
হার্টের সমস্যা মানেই বড়দের রোগ নয়। এটি শিশুদেরও হতে পারে। শিশুর জন্মগত রোগের মধ্যে হৃদরোগ অন্যতম, যার শুরু মায়ের গর্ভ থেকেই। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি হাজার জীবিত শিশুর মধ্যে আটটি শিশু জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। এই আটজনের মধ্যে দুই-তিনজনের লক্ষণ জন্মের প্রথম ছয় মাসেই প্রকাশ পায়। গর্ভে থাকাকালীন হৃৎপিণ্ডের ত্রুটির মধ্যে আছে ছিদ্র, ভালভ জটিলতা, সরু রক্তনালি ইত্যাদি। পরে দেখা যাওয়া রোগের মধ্যে রিউমেটিক ফিভার, ভাসকুলাইটিস, মায়োপ্যাথি ইত্যাদি দেখা যেতে পারে। কারণ l অন্যান্য জন্মগত ত্রুটি বা সমস্যার মতো শিশুর হৃদরোগ বংশগত কারণে হতে পারে। l বাবা-মায়ের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক থাকলে হতে পারে। l মায়ের বয়স অপেক্ষাকৃত বেশি হলেও অনেক সময় শিশু ডাউন সিনড্রোমজনিত ত্রুটি নিয়ে জন্মাতে পারে। l মা যদি গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাতেও শিশুর হৃদরোগ হতে পারে। l গর্ভাবস্থায় মায়ের ভাইরাল ডিজিজ হলে, ঘনবসতি এলাকায় জীবাণুর সংক্রমণজনিত কারণে, কিছু কিছু রোগের জটিলতার কারণে শিশুর হৃৎপিণ্ডের রক্তনালি সরু হলেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। শিশুর হৃদরোগের উপসর্গ হৃদরোগ আক্রান্ত শিশুরা ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়। কিছুদিন পরপর শ্বাসকষ্টে ভোগে ও বুকে ঘড়ঘড় শব্দ হয়। শিশুর পর্যাপ্ত ওজন হয় না। অক্সিজেনের অভাবে অল্প পরিশ্রমেই মুখ নীলাভ বর্ণ ধারণ করে ও অল্পতে ক্লান্ত হয়ে যায় (বিশেষত খাবারের সময় ও মলত্যাগের সময়)। হাত-পায়ের নখ ফুলে যায়। হৃদযন্ত্রে ছিদ্রের কারণ হৃদযন্ত্রের চারটি চেম্বার থাকে। দুটো এট্রিয়াম, দুটো ভিট্রিক্যাল। দুটো এট্রিয়ামের মাঝে থাকে ইন্টারেট্রিয়াল সেপট্রাম। দুটো ভেন্টিকুলারের মাঝে একে বলা হয় ইন্টারভেন্টিকুলার সেপট্রাম। এই সেপট্রামে ছিদ্র হতে পারে। কেননা এরা সম্পূর্ণ পর্দা হিসেবে তৈরি হয় না। এটা বিভিন্ন জায়গা থেকে তৈরি হয়ে পর্দাকে সম্পূর্ণ করে। এ সম্পন্ন হওয়ার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হলে বা কোনোটাতে ত্রুটি থাকলে তা জন্মের পর সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়। তিনটি পরীক্ষায় এ রোগ নির্ণয় করা হয়—ইসিজি, চেস্ট এক্স-রে, কালার ডপলার ইকো। গর্ভবতী মায়ের করণীয় l গর্ভধারণের তিন মাস আগে Rubella Vaccine দিলে শিশুর Congenital Rubella Syndrome জনিত হার্টের রোগ হয় না। l গর্ভকালীন যতটা সম্ভব ওষুধ সেবন ও এক্স-রে করা থেকে বিরত থাকতে হবে। l অতিরিক্ত পরিশ্রম করা যাবে না। মাকে বিশ্রাম ও পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। l এ ছাড়া শিশুর জন্মের পর যত দ্রুত সম্ভব একজন ডাক্তারের মাধ্যমে শিশুকে পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হতে হবে শিশুর বুকে কোনো অস্বাভাবিক শব্দ আছে কি না। শিশুর টনসিলাইটিস, নেফ্রাইটিস, ভাইরাল রোগ দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করানো উচিত। l ওষুধের মাধ্যমে কিছু হৃদরোগ ভালো হয়ে যায়। আবার কিছু ক্ষেত্রে রোগীর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। তাই আতঙ্কিত হয়ে বসে না থেকে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করাতে হবে। বিশেষ করে লক্ষণগুলো সম্পর্কে আগে থেকে জানা থাকলে অনেক সময় শিশুর হৃদরোগ দ্রুত ধরা পড়ে। লেখক : প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
১১ জুলাই, ২০২৩
X