ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারের কোনো আরোহী বেঁচে নেই। সোমবার (২০ মে) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে এমন তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। ইরানি রেড ক্রিসেন্ট বলেছে, দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে হেলিকপ্টারটির যাত্রীদের জীবিত থাকার কোনো চিহ্ন খুঁজে পাননি তারা। ফলে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও সফরসঙ্গীরা মারা গেছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ইরানের পক্ষ থেকে এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। ইরানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। এর আগে গতকাল রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। বলা হচ্ছে, আজারবাইজানে একটি জলাধার প্রকল্প উদ্বোধনের পর পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে যাচ্ছিলেন তারা। ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের খবরে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর জানা গেছে সেটি থেকে আসা একটি জরুরি ফোনকলে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের কেউ ওই ফোন করেছিলেন। দুর্ঘটনার পরপরই প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের উদ্ধারে অংশ নিয়েছে ৪০টি দল। উদ্ধাকারী দল এসেছে তুরস্ক ও রাশিয়া থেকেও। তবে দুর্ঘটনাস্থলে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া এ অঞ্চলটি পাহাড়-পর্বতে ঘেরা।
২৫ মিনিট আগে

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : কোনো আরোহী বেঁচে নেই
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারের কোনো আরোহী বেঁচে নেই। সোমবার (২০ মে) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে এমন তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। এর কিছুক্ষণ আগে আনাদোলু জানিয়েছিল, রাইসিকে নিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির খোঁজ পাওয়া গেছে। তুরস্কের আকিনসি ড্রোন (ইউএভি) দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির অবস্থান শনাক্ত করেছে। উদ্ধারকারী দল ওই স্থান থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে ছিলেন। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা সেখানে পৌঁছবেন। এর আগে গতকাল রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। এ ঘটনার পর থেকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। উদ্ধারকাজে ইরানের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। এ ছাড়া বিশ্বনেতারা ইরানের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
৪৫ মিনিট আগে

হেলিকপ্টার পাওয়ার বিষয়ে যা জানাল রেড ক্রিসেন্ট
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে ঘিরে দুশ্চিন্তার ডালপালা বাড়ছে। এখনো পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে কিছু কিছু মিডিয়া হেলিকপ্টারটিকে খুঁজে পাওয়ার দাবি জানালেও ইরানের রেড ক্রিসেন্ট দাবিটিকে ভুয়া বলছে। খবর আল জাজিরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে বলছে, অনুসন্ধান দল বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি খুঁজে পেয়েছে। তবে, রাইসি ও হেলিকপ্টারে থাকা অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিষয়ে প্রতিবেদনে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। অনুসন্ধান দলে থাকা ইরানি রেড ক্রিসেন্টের একজন কর্মকর্তা বলেন, হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে বলে স্থানীয় মিডিয়া যে খবর ছড়াচ্ছে সেটি ভুয়া। এখনো হেলিকপ্টারটি কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে তিনি বলেন, যেখানে অনুসন্ধান করা হচ্ছে এর দুই কিলো মিটারের মধ্যে হেলিকপ্টারটি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এদিকে সন্ধান অভিযানের জন্য অন্তত ৪০টি অনুসন্ধান দল মোতায়েন করা হয়েছে। এতে ৮টি অ্যাম্বুলেন্স ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া এবং এলাকার দুর্গমতা অনুসন্ধান অভিযানকে কঠিন করে তুলেছে। এর আগে রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় হেলিকপ্টারটি জরুরিভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ওই অঞ্চলে একটি বাঁধের উদ্বোধন শেষে রাইসি ফিরছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেম এবং আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি রাইসির সঙ্গে হেলিকপ্টারে ছিলেন।
৮ ঘণ্টা আগে

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। রোববার (১৯ মে) ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা এ তথ্য জানায়।  প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় হেলিকপ্টারটি জরুরিভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ওই অঞ্চলে একটি বাঁধের উদ্বোধন শেষে রাইসি ফিরছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেম এবং আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি রাইসির সঙ্গে হেলিকপ্টারে ছিলেন। দুর্ঘটনার পর হেলিকপ্টারটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে যোগাযোগ স্থাপন নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলোতে ভিন্নধর্মী তথ্য প্রচার হয়েছে। তবে ওই এলাকায় অনুসন্ধান অভিযান শুরু এবং উদ্ধারকারী দল পাঠানোর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে ইরনা। এদিকে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া এবং এলাকার দুর্গমতা অনুসন্ধান অভিযানকে কঠিন করে তুলেছে।  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ওয়াহিদি ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দলটি শিগগিরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আরও তথ্য জানাবে।
১৩ ঘণ্টা আগে

জান্তার হেলিকপ্টার ভূপাতিতের দাবি মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের
মিয়ানমারের জান্তার একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ)। শনিবার (১৮ মে) সকালে হেলিকপ্টারটি ভূপাতিত করা হয়। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার সকালে ওয়াইংমাও টাউনশিপে জান্তার একটি হেলিকপ্টারকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে কেআইএ। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির এ হামলায় হেলিকপ্টারটি ভূপাতিত হয়।    কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির তথ্যানুসারে, কেআইএ ও তার মিত্ররা ৩২১ পদাতিক ব্যাটালিয়নের হেডকোয়ার্টার ও জান্তার ১০টি আউটপোস্টে হামলায় চালিয়েছে। শনিবার ওয়াইংমাও টাউনশিপে এ হামলা চালানো হয়।  কেআইএর মুখপাত্র কর্নেল নাও বু ইরাবতিকে বলেন, আমরা যোদ্ধাদের দ্বারা জান্তার একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিতের খবর শুনেছি। তবে আমাদের সেনারা বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেনি।  গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের সময় থেকে একটি যুদ্ধবিমানসহ অন্তত তিনটি সামরিক হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে তারা। কর্নেল নাও বলেন, শনিবার সকালে কেআইএ ওয়াইংমাওয়ের জান্তার দুটি আউটপোস্ট ও পেট্রলপোস্ট দখলে নিয়েছে।  কেআইর হামলা চালানো শেউ নিয়াংবিন গ্রামের এ হেডকোয়ার্টার ও ১০ আউটপোস্ট ওয়াংমাও-মাইটকিনা সড়কের লাগোয়া। এটি কেআইএর সদর দপ্তর লাইজা শহরকে সংযুক্ত করেছে। এর আগে কেআইএ ও তার মিত্র গোষ্ঠী গত ৫ ও ৬ মে অন্যতম আউটপোস্ট গাইডন এবং কয়েকটি শক্তিশালী ঘাঁটি দখল করে।  গত কয়েক মাস ধরেই বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা বাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে। বিদ্রোহীরা বলছেন, যে কোনো মূল্যে তাদের ভূখণ্ড থেকে জান্তা বাহিনীর পতন ঘটাতে চান তারা। ফিরিয়ে আনতে চান নিজেদের শাসনব্যবস্থা। ২০১৭ সালে রাখাইনে দমন-পীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নেয় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। সাত বছর পার হলেও রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।
১৮ মে, ২০২৪

হেলিকপ্টার প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারে হেলিকপ্টারে এলেন প্রার্থীর ভাই
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে হেলিকপ্টার প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মহসিন আলী রুবেলের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে হেলিকপ্টারে এলেন ছোট ভাই মোজাফফর হোসেন টিপু। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাপানি ব্যবসায়ী মিস্টার ইতো। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর ১২টায় সৈয়দপুর শহরের রেলওয়ে মাঠে হেলিকপ্টারে আসেন তিনি। এ সময় রেলওয়ে মাঠে চেয়ারম্যান প্রার্থী মহসিন আলী রুবেল, কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিকো আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।  এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাই হেলিকপ্টারে আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক দর্শনার্থীরা ভিড় জমায় রেলওয়ে মাঠে। এ সময় প্রার্থীর প্রতীক নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন কর্মী ও সমর্থকরা। সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। ফলে নির্বাচনকে ঘিরে চলছে জমজমাট প্রচার। নির্বাচনী মাঠে প্রচার-প্রচারণায় দিনরাত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রার্থী, সমর্থক ও কর্মীরা। 
১৬ মে, ২০২৪

হেলিকপ্টার থেকে পানি দিয়েও থামানো যাচ্ছে না সুন্দরবনের আগুন 
সুন্দরবনে লাগা সামান্য আগুন ছড়িয়ে পড়েছে ৫ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে। আগুন লাগার ২৫ ঘণ্টা পেরোলেও এখনো নিয়ন্ত্রণ আসেনি আগুন। সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে বিমানবাহিনীর একটি দল। তারা হেলিকপ্টারে করে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বনভূমি এলাকায় আগুন নেভাতে পানি ছিটানো শুরু করেছে। এর আগে শনিবার (৪ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়িসংলগ্ন গহিন বনে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এদিকে রোববার (৫ মে) সকালে ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও বন বিভাগের সহযোগী সংগঠনের কর্মীদের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা। শুরুতে নৌবাহিনীর মোংলা ঘাটির কমান্ডার লেফটেন্যান্ট আরাফাতুল আরেফিনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি ফায়ার ফাইটিং টিম আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়ে। এ ছাড়া সকালে একটি হেলিকপ্টার নিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যদের বনে আগুন জ্বলতে থাকা এলাকার ওপর দিয়ে টহল দিতে দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাগেরহাটের উপপরিচালক মামসুন আহম্মেদ জানান, জেলার ফায়ার সাভিসের ৫টি ইউনিট সুন্দরবনে আগুন জ্বলতে থাকা এলাকায় নেওয়া হয়েছে। তবে ৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে। ২টি ইউনিট স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। তবে ভোলা নদী অনেক দূরে হওয়ায় পানি সংকটে আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে। তিনি জানান, কতটুকু এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে তা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। বনের মধ্যে শুকনো গাছ আর পাতা পড়ে থাকার কারণে আস্তে আস্তে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল কবির জানান, শনিবার (৪ মে) নানা প্রতিকূল অবস্থার কারণে আগুন নেভানোর কাজ পুরোপুরি শুরু করা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বন বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ফায়ার ফাইটার ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগ দিয়েছে। তবে কতটুকু এলাকাজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে এ বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। এদিকে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি অনুসন্ধানে বন বিভাগের পক্ষ থেকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জেরে রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেবকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন জিউধরা স্টেশন অফিসার ওবাদুর রহমান ও ধান সাগর স্টেশন অফিসার রবিউল ইসলাম।
০৫ মে, ২০২৪

মার্কিন সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, হতাহত সবাই
যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে আরোহীদের সবাই হতাহত হয়েছেন। শুক্রবার (০৮ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  মার্কিন সামরিক কর্মকতারা জানান, ন্যাশনাল গার্ডের হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকোর সীমান্তে মোতায়েন ছিল। এ সময় এটি টেক্সাসে বিধ্বস্ত হয়। এতে দুই সেনা ও এক বর্ডার এজেন্ট নিহত হয়েছেন। এ সময় ভেতরে থাকা আরেক সেনাও আহত হয়েছেন।  মার্কিন সেনাবাহিনীর মেজর রায়ান ওয়ারজবিকি জানান, ইউএইচ-৭২ লোকটা হেলিকপ্টারটি স্থানীয় সময় ২টা ৫০ মিনিটে টেক্সাসের রিও গার্ডেন সিটিতে বিধ্বস্ত হয়। এ সময় এটি সীমান্ত এলাকায় আকাশে পর্যবেক্ষণ এবং শনাক্তকরণ মহড়া চালাচ্ছিল।  তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। দুর্ঘটনার সময়ে আবহাওয়া কেমন ছিল তাও তিনি জানাতে পারেননি।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হতাহত সবার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।  কাউন্টির স্থানীয় শীর্ষ কর্মকর্তা স্টার কাউন্টি বিচারক এলয় ভেরা জানান, তিন ন্যাশনাল গার্ড সদস্য  এবং একজন বর্ডার পেট্রোল এজেন্টকে নিয়ে গেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।  এ ছাড়া হেলিকপ্টারে থাকা অপর এক সেনার অবস্থা গুরুতর। বোর্ডে থাকা চারজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী।   
০৯ মার্চ, ২০২৪

সেনাবাহিনীর আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট কঙ্গোতে মোতায়েন
সেনাবাহিনীর আরও একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিটের’ প্রথম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে মোতায়েন হচ্ছে। শনিবার দলটি কঙ্গোর উদ্দেশে দেশ ছেড়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জাতিসংঘ সদর দপ্তরের আহ্বানে সেনাবাহিনী এই কন্টিনজেন্টকে প্রস্তুতিমূলক প্রশিক্ষণ শেষে অপারেশনাল এলাকায় নিয়োগের কার্যক্রম শেষ করেছে। এই কন্টিনজেন্ট তিনটি অত্যাধুনিক এমআই ১৭১ শাহ হেলিকপ্টার নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। তিন দশকের বেশি সময় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়টি কন্টিনজেন্ট বর্তমানে কঙ্গোতে মোতায়েন রয়েছে। আইএসপিআর জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি ও প্রচেষ্টায় মিশন কন্টিনজেন্টগুলোকে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদিতে সাজানো সম্ভব হয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে সম্প্রতি তিনি শান্তিরক্ষী মিশনে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও আত্মত্যাগ প্রদর্শনে গুরুত্ব দেন। পাশাপাশি সেনাপ্রধানের দিকনির্দেশনা ও সামরিক কূটনীতির ফলে এ ধরনের চ্যালেঞ্জিং মোতায়েন সম্ভব হচ্ছে।
০৪ মার্চ, ২০২৪

মিয়ানমার সীমান্তে আবারও গুলি-বোমার শব্দ, হেলিকপ্টার ঘিরে আতঙ্ক
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও সংঘাত তীব্র হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কয়েক দিন শান্ত থাকার পর নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এবং টেকনাফের হোয়াইক্যং ঝিমংখালী সীমান্তের ওপার হঠাৎ গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে গুলির শব্দ ভেসে এলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর পর্যন্ত টানা গোলাগুলি চলে। এরপর থেমে থেমে মর্টাল শেলের বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসে। স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে হেলিকাপ্টার থেকে গুলি-বোমা ছোঁড়া হচ্ছে। গুলির শব্দে ক্ষেতে কাজ করা কৃষক ও দিনমজুররা দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। তবে উখিয়া সীমান্ত এখনো শান্ত রয়েছে। সীমান্তে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এদিকে মিয়ানমারের আরকান রাজ্য শিগগিরই জান্তা বাহিনী থেকে মুক্ত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। গত ২০ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাখাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে। তথ্য মতে, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের চৌকিগুলো বিদ্রোহীদের দখলে যাওয়ায় জান্তা বাহিনীর সদস্যরা মংডুর দিকে পালিয়েছে। বিদ্রোহীরা এসব এলাকা দখলে নিয়ে মংডু শহর দখলে নিতে সেদিকে ছুটছে। এতে সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষ অনেকাংশ কমে আশায় গুলির শব্দ কমছে। ফলে কয়েক দিন ধরে সীমান্তে স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাটে। তারা সীমান্তঘেঁষা ক্ষেতে কাজ শুরু করেন। তুমব্রু নদীর ধারে শীতকালীন সবজি ক্ষেতে কাজ করা কৃষক আবদুল জব্বার বলেন, গুলির শব্দ ভেসে আসার পর আমরা মাঠ ছেড়ে দ্রুত বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। তবে বিকেলের পর আর গুলির শব্দ পাইনি। তারপরও আমাদের মনে আতঙ্ক রয়ে গেছে। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, টানা কয়েক সপ্তাহ ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের মংডুতে থেমে থেমে গোলাগুলি ও গোলাবর্ষণের আওয়াজ শোনা গেলেও কয়েক দিন ধরে সীমান্তে কোনো অস্থিরতা বা গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়নি। আজ (শুক্রবার) আবারও গুলির শব্দ পেয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। টেকনাফ হোয়াইক্যং ঝিমংখালী এলাকার নুর হোসেন বলেন, দুপুর ১২টার দিকে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিকট শব্দ ভেসে আসে। কী কারণে আবারও গোলাগুলি হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। তবে ধারণা করছি, বেদখল হওয়া চৌকি উদ্ধারে এ হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X