মিয়ানমারের জান্তার একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ)। শনিবার (১৮ মে) সকালে হেলিকপ্টারটি ভূপাতিত করা হয়। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার সকালে ওয়াইংমাও টাউনশিপে জান্তার একটি হেলিকপ্টারকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে কেআইএ। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির এ হামলায় হেলিকপ্টারটি ভূপাতিত হয়। কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির তথ্যানুসারে, কেআইএ ও তার মিত্ররা ৩২১ পদাতিক ব্যাটালিয়নের হেডকোয়ার্টার ও জান্তার ১০টি আউটপোস্টে হামলায় চালিয়েছে। শনিবার ওয়াইংমাও টাউনশিপে এ হামলা চালানো হয়।
কেআইএর মুখপাত্র কর্নেল নাও বু ইরাবতিকে বলেন, আমরা যোদ্ধাদের দ্বারা জান্তার একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিতের খবর শুনেছি। তবে আমাদের সেনারা বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেনি।
গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের সময় থেকে একটি যুদ্ধবিমানসহ অন্তত তিনটি সামরিক হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে তারা। কর্নেল নাও বলেন, শনিবার সকালে কেআইএ ওয়াইংমাওয়ের জান্তার দুটি আউটপোস্ট ও পেট্রলপোস্ট দখলে নিয়েছে।
কেআইর হামলা চালানো শেউ নিয়াংবিন গ্রামের এ হেডকোয়ার্টার ও ১০ আউটপোস্ট ওয়াংমাও-মাইটকিনা সড়কের লাগোয়া। এটি কেআইএর সদর দপ্তর লাইজা শহরকে সংযুক্ত করেছে। এর আগে কেআইএ ও তার মিত্র গোষ্ঠী গত ৫ ও ৬ মে অন্যতম আউটপোস্ট গাইডন এবং কয়েকটি শক্তিশালী ঘাঁটি দখল করে।
গত কয়েক মাস ধরেই বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা বাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে। বিদ্রোহীরা বলছেন, যে কোনো মূল্যে তাদের ভূখণ্ড থেকে জান্তা বাহিনীর পতন ঘটাতে চান তারা। ফিরিয়ে আনতে চান নিজেদের শাসনব্যবস্থা।
২০১৭ সালে রাখাইনে দমন-পীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নেয় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। সাত বছর পার হলেও রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন