

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে সিরিয়ার ওপর চাপ কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সিরিয়াকে সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার পথে কোনো বাধা না দিতে ইসরায়েলকে সতর্ক থাকা উচিত।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প এটিকে ‘ঐতিহাসিক শান্তির সুযোগ’ বলে উল্লেখ করেন। সিরিয়া–ইসরায়েল আলোচনা বর্তমানে স্থবির হয়ে আছে। কারণ তেল আবিব দক্ষিণ সিরিয়ার দখলকৃত অঞ্চল থেকে সরে আসতে অস্বীকার করছে।
ইসরায়েলের চ্যানেল–১২ জানিয়েছে, ওয়াশিংটন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে সামরিক উত্তেজনা না বাড়ানোর অনুরোধ করেছে, যাতে সিরিয়ার নতুন অন্তর্বর্তী সরকার ইসরায়েলের শত্রুতে পরিণত না হয়।
এর আগে দামেস্কে ট্রাম্পের সিরিয়া–দূত টম ব্যারাক ও সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমদ আল–শারার বৈঠক হয় বলে সিরিয়া প্রেসিডেন্সি নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলি ব্রডকাস্টিং অথরিটির বরাতে জানা গেছে, দুই দেশের আলোচনায় এখন ‘অচলাবস্থা’ তৈরি হয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের সরকারের পতনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েল গোলান মালভূমির ইউএন–নিয়ন্ত্রিত বাফার জোনসহ সিরীয় এলাকা দখল করে। শুরুতে এটিকে সাময়িক বলা হলেও পরে ইসরায়েল জানায়, তারা এই দখল ধরে রাখবে।
ইসরায়েলি ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (কান) জানায়, ইসরায়েল এখন যেকোনো প্রত্যাহারের আগে পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তি চায়। অন্যদিকে আল–শারা জানিয়েছেন, চূড়ান্ত সমঝোতার শর্ত হিসেবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের আগের সীমারেখায় ফিরতে হবে।
মন্তব্য করুন