দুই রাশিয়ান নাগরিককে মুক্তি দেওয়ায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনকারী সংগঠন হামাসকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রাশিয়া। টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টাইমস অফ ইসরাইল জানায়, যুদ্ধ শুরুর পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে অবস্থান নেন তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে হামাস দুই রাশিয়ানকে ছেড়ে দেয়।
রাশিয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আমরা হামাস নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, কারণ তারা আমাদের আহ্বান শুনেছেন। আমরা বাকি রুশ নাগরিকদের মুক্তির ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ হামাসকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ মনে করলেও রাশিয়া এমনটা করে না। ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে সর্বপ্রথম যে দেশগুলো স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নেয় তাদের ভেতর রাশিয়া অন্যতম ছিল।
এর আগে হামাস জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি সহমর্মিতার অংশ হিসেবে এ দুই জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ১০ ইসরায়েলি এবং ২ থাই নাগরিককে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস।
চলমান পরিস্থিতিতে গাজায় অবস্থানরত ফিলিস্তিনিরা আশা করছেন ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরোধী আরও বাড়বে। কারণ, ইসরায়েলি বোমা হামলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে ত্রাণ প্রয়োজন।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনো ৬০ জন ফিলিস্তিনি নারীকে কারাগারে আটকে রেখেছে। মঙ্গলবার একটি স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা জানিয়েছে, তাদের অধিকাংশকেই ৭ অক্টোবরের পর আটক করা হয়েছে।
এর আগে আনাদোলুকে প্যালেস্টাইন প্রিজনার্স সোসাইটির (পিপিএস) মিডিয়া অফিসার আমাল সারাহনেহ বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ৭ অক্টোবরের পরে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে বড় ধরনের গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়েছে। এ সময় ৫৬ ফিলিস্তিনি নারী ও কিশোরীকে আটক করা হয়। এখনো ৩২৬০ জনকে আটক রাখা হয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজা উপত্যকায় আরও দুদিনের জন্য যুদ্ধবিরতি বাড়ানো হয়েছে। একই শর্ত অনুসারে অস্থায়ী মানবিক এ যুদ্ধবিরতি বাড়ানো হয়েছে। ইসরায়েল এবং হামাসের সাথে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে কাতার এবং মিসর।
মন্তব্য করুন