শেরেবাংলা ফাউন্ডেশন পূর্ণ সমর্থন করে নতুন দলকে। আপনিও করবেন…? কেননা দেশের পরিবর্তন তখনই সম্ভব, যখন নেতৃত্বে এমন মানুষ থাকবে, যারা সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট নিজের চোখে দেখেছে, অনুভব করেছে এবং সেই অভিজ্ঞতা থেকে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সংকল্প নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা দেখেছি, রাজনীতির বড় অংশটাই ছিল ক্ষমতার উত্তরাধিকারীদের হাতে, যারা সাধারণ জনগণের প্রকৃত সমস্যাগুলো বোঝেনি বা বোঝার চেষ্টা করেনি।
আমরা যদি সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দেখি, তবে বুঝতে পারব—দেশকে বদলে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন দূরদর্শী নেতৃত্ব ও বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা। সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউ সাধারণ পরিবারের সন্তান ছিলেন, কিন্তু তার নেতৃত্বগুণ ও দূরদর্শিতার ফলে একটি ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র আজ বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পরিচিত। তিনি দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো নিশ্চিত করে একটি আদর্শ উন্নত রাষ্ট্রের ভিত্তি গড়ে তুলেছেন।
আমাদের দেশেও যদি সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে হয়; তবে সাধারণ মানুষের মধ্য থেকে উঠে আসা, জনগণের দুঃখ-দুর্দশা জানা নেতৃত্ব প্রয়োজন। নতুন রাজনৈতিক দলটি সেই আশার আলো হয়ে উঠতে পারে। তাদের মধ্যে যদি সততা, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং দেশপ্রেম থাকে, তবে তারা সত্যিই পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
এই পরিবর্তনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হলো যুব সমাজ। ইতিহাস সাক্ষী, যে দেশ বা জাতি সামনে এগিয়েছে, তার পেছনে তরুণদের অক্লান্ত পরিশ্রম ছিল। যুবকরাই পারে দুর্নীতি, বৈষম্য এবং অন্যায় ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। আমাদের উচিত, পরিবর্তনের এই যাত্রায় এগিয়ে আসা, সঠিক নেতৃত্বকে সমর্থন জানানো এবং দেশকে সত্যিকারের গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নেওয়া। এখনই সময় নতুন সম্ভাবনার পাশে দাঁড়ানোর!
এই তরুণদের জনগণের সামনে অবিনশ্বর সত্য, ন্যায়পরায়ণতা, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত ও উজ্জ্বল হোক। সবার হৃদয়ে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের আগুন জ্বালিয়ে নতুন স্বাধীন জীবনধারা পরিস্ফুটিত হোক। আগামী দিনগুলো তোমাদের চাওয়া-পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর এক অবিনশ্বর সোনার বাংলা বিনির্মাণ হোক। সত্য ও স্বাধীনতার আওয়াজ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ুক, মহান করুণাময়ের কাছে এই হোক আমাদের উচ্চকিত সবিশেষ প্রার্থনা।
লেখক: প্রাবন্ধিক ও সমাজকর্মী
মন্তব্য করুন