আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রতিনিধিদলের কাছে সাক্ষ্য দিতে আগ্রহীদের ডেকে আনতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন এক রোহিঙ্গা মাঝি (নেতা)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার লম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১ পশ্চিম) এ–৯ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত এবাদুল্লাহ (৩০) এ-৯ ব্লকের রোহিঙ্গা পরিচালনা কমিটির সাব-মাঝির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ওই ব্লকের বাসিন্দা লাল মোহাম্মদের ছেলে। প্রত্যাবাসনবিরোধী সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অপরাধীদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলছে।
গতকাল রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম আসাদ আহমাদ খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার লম্বাশিয়া (ক্যাম্প-১) আশ্রয়শিবিরে পৌঁছায়। এরপর সেখানকার ক্যাম্প দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কার্যালয়ে টানা দেড় ঘণ্টা কয়েকজন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা বলে দলটি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, এবাদুল্লাহ সকাল ৯টার দিকে আশ্রয়শিবিরে এ-৯ ব্লকে গিয়ে রাখাইনে নিপীড়নের শিকার—এমন তিন রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করেন। তাদের মধ্যে একজন নারীও ছিলেন, যার স্বামীকে রাখাইনে হত্যা করা হয়। তারা আইসিসির কাছে সাক্ষ্য দিতে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মিয়ানমারের সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সমর্থক কিছু রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী তাদের নিয়ে যেতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা এবাদুল্লাহকে পেট ও বুকে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয় রোহিঙ্গারা উদ্ধার করে আশ্রয়শিবিরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন