শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক, গাজীপুর
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় স্মরণ হ‍ুমায়ূন আহমেদকে

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় স্মরণ হ‍ুমায়ূন আহমেদকে

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পালিত হলো কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হ‍ুমায়ূন আহমেদের একাদশতম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার নন্দনকানন নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজনে তাকে স্মরণ করেন স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা।

সকাল থেকে হুমায়ূন পরিবার, তার ভক্ত, কবি, লেখক, নাট্যজনরা ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন নুহাশপল্লীর লিচুতলায়। নন্দিত লেখকের প্রিয় চরিত্র হলুদ পাঞ্জাবিতে হিমু এবং নীল শাড়িতে রুপা সেজে আসেন ভক্ত ও পাঠকরা। তারা লেখকের প্রতি অতল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা জানান।

সকাল ১১টার দিকে কবর জিয়ারত করেন হ‍ুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। পরে তিনি গণমাধ্যমকে হ‍ুমায়ূনের স্বপ্ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন। দুই ছোট সন্তান অকালে পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছে—এ ব্যাপারটি ভীষণ কষ্টতাড়িত করে বলে স্মৃতিকাতর হয়ে যান তিনি। এ সময় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে হ‍ুমায়ূন পরিবারের অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন নাটক ও সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শাওন। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক যে, দেশের সামনের সারির ওটিটি প্ল্যাটফর্মে তার নাটক চালানো হচ্ছে অনুমতি ছাড়া। এ ব্যাপারে আমি অভিযোগ করেছি; কিন্তু অভিযোগের জবাব এখনো পাইনি।’

শ্রদ্ধা জানাতে নুহাশপল্লীতে আসেন গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রীনা পারভিন। তিনি বলেন, হ‍ুমায়ূন আহমেদের বই, উপন্যাস আর চলচ্চিত্র দেখে বড় হয়েছি। তার সাহিত্যকর্ম দিয়ে তিনি মানুষের হৃদয় স্পর্শ করতে পেরেছিলেন। তিনি আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।’

ময়মনসিংহ থেকে এসেছেন কমলরঞ্জন। তিনি বলেন, ‘সিনেমা দেখার ক্ষেত্রে আমাদের বিধিনিষেধ ছিল; কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্র চললে অভিভাবকরা সেটি দেখার অনুমতি দিতেন। বাকের ভাইয়ের যেদিন ফাঁসি হয়, সেদিন অঝোরে কেঁদেছি। তার লেখা গান, ছবির মাধ্যমে তিনি আমাদের মধ্যে চিরন্তন।’

লেখক ও সাংবাদিক ইজাজ আহমেদ মিলন বলেন, বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে, ততদিন হুমায়ূন আহমেদ পঠিত হবে। তিনি লেখার মাধ্যমে পাঠককে একটি অন্য জগতে নিয়ে যেতেন।

হিমুদের কার্যক্রম: লেখককে স্মরণ করতে এবারও একদল হিমু ও রুপা এসেছিলেন নুহাশপল্লীতে। তারা সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মাঠে হুমায়ূন আহমেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন তারা।

কোরআন খতম ও এতিমদের খাওয়ানো: কোরআন খতম, দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দুপুরে দুই শতাধিক এতিম খাওয়ানো হয়। লেখকের মৃত্যুবার্ষিকীতে নুহাশপল্লীতে প্রবেশ করতে কোনো টিকিট লাগেনি।

১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। তার বাবা ফয়েজুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালে ১৯ জুলাই মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান। সৃষ্টিশীল কর্মের মাধ্যমে এদেশের সব ভক্ত ও অনুরাগীর হৃদয়ে কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ চিরকাল বেঁচে থাকবেন বলে জানান ভক্ত ও অনুরাগীরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইলিয়াস কাঞ্চনের মৃত্যুর গুজব, যা বললেন ছেলে জয়

শান্তিতে নোবেলজয়ী মারিয়াকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

দলে দলে ঘরে ফিরছে হাজারো গাজাবাসী

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

রাজধানী থেকে বগুড়া শহর আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

হেফাজতে ইসলাম সবার জন্য পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছে :  এ্যানি

দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ

ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া

দেশের ৪০ শতাংশ নারী থাইরয়েডে আক্রান্ত!

১০

‘এই পচা চালের ভাত কীভাবে খাব’

১১

‘পুলিশ এখন বানরের মতো’ বললেন ওসি হাবিবুল্লাহ

১২

ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে নামতে পারে আর্জেন্টিনা

১৩

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে একমাত্র পথ সুষ্ঠু নির্বাচন : নীরব

১৪

যশোরের ৪ মহাসড়কে মহাদুর্ভোগ

১৫

সুদের টাকা না পেয়ে ঘরের টিন কাঠ খুঁটি খুলে নিলেন ইমাম

১৬

সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের মৃত্যুতে ঢাবি সাদা দলের শোক

১৭

কিউইদের কাছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শোচনীয় পরাজয়

১৮

বিএনপি আইনের শাসনে বিশ্বাসী : ব্যারিস্টার অসীম

১৯

প্রত্যেক উপদেষ্টা বিদেশি নাগরিক : রুমিন ফারহানা

২০
X