দেশের পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট ফোরাম। ঢাকায় ২৬টি পরিচালক পদের মধ্যে ২৫টিতে জয়ী হয়েছেন ফোরামের প্রার্থীরা। আর চট্টগ্রামে নয়টি পরিচালক পদের মধ্যে ফোরাম থেকে জয়ী হয়েছেন ছয় জন। অর্থাৎ জয়ী ৩৫ জনের ৩১ জনই ফোরামের। সম্মিলিত পরিষদ থেকে জিতেছেন মাত্র চারজন। এবার ফোরাম সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় বিজিএমইএর পরবর্তী সভাপতি হচ্ছেন প্যানেল লিডার রাইজিং ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান (বাবু)।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হোটেলে সংগঠনটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোট চলে বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত। পরে রাতে ফল ঘোষণা করা হয়। আগামী ২ জুন এই পরিচালকরা ভোট দিয়ে সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচন করবেন।
৩৫ পরিচালক পদে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৭৬ জন। নির্বাচনে এক হাজার ৮৬৪ জন পোশাকমালিক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এবারের নির্বাচনে ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদ ৩৫টি পরিচালক পদের বিপরীতে প্রার্থী দিয়েছে। বাকি ছয়জন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে স্বতন্ত্রভাবে ভোট করছেন। এবারের নির্বাচনে প্যানেল লিডার হিসেবে ফোরাম জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাইজিং ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান (বাবু)। পাশাপাশি সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকারের সময় ২০২৪ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়া বিজিএমইএর সর্বশেষ নির্বাচনে ৩৫ পরিচালক পদের বিপরীতে সব কটিতে জিতে যায় সম্মিলিত পরিষিদের নেতারা।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিজিএমইএ’র সভাপতি আব্দুল মান্নান কচি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। অজ্ঞাতস্থান থেকে পদত্যাগ পাঠান তিনি। এরপর বিজিএমইএ’র দায়িত্ব নেন ডিজাইনটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার রফিকুল ইসলাম। খন্দকার রফিকের নেত্বত্বে পুনর্গঠিত বোর্ড পোশাক খাতের অস্থিতিশীলতা সামাল দিতে না পারায় ২০ অক্টোবর রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন