নেদারল্যান্ডসের দুই বিজ্ঞানীর উপস্থিতিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম রপ্তানির সম্ভাব্যতা যাচাই ও চাষিদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ আগস্ট) চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম রপ্তানির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনে যান নেদারল্যান্ডসের ওয়াজেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বৈজ্ঞানিক ফাতিমা পেরেরা ও রেনে উস্তেওয়েচেন।
পরিদর্শনকালে তারা আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট-সোনামসজিদ সড়কের কয়লাবাড়িতে নির্মিত আজান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিঃ-এর বিশেষায়িত হিমাগার পরিদর্শন করেন।
সাড়ে সাত একর জমির ওপর ৩৪০ ফুট লম্বা ও ১০১ ফুট প্রশস্ত এই হিমাগার নির্মাণ করেছে আজান ট্রেডিং। যার ধারণক্ষমতা ৫ হাজার ৬০০ টন। হিমাগারটি আম, পেয়ারা, খেজুরসহ হলুদ, আদা, ডিম, গাজর ও সবজি সংরক্ষণে উপযোগী।
এ সময় নেদারল্যান্ডসের ওয়াজেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বৈজ্ঞানিক ফাতিমা পেরেরা ও রেনে উস্তেওয়েচেন এবং অন্যরা হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, প্রি কুলিং চেম্বার, কুলিং চেম্বার পরিদর্শন করেন। এরপর সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে তারা স্বাক্ষর ও মন্তব্য করেন।
পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করে বিশ্বমানের আধুনিক সুবিধা সম্বলিত এ হিমাগারের প্রশংসা করেন নেদারল্যান্ডসের দুই বিজ্ঞানী।
হিমাগার আম, পেয়ারা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করে তারা বলেন, রপ্তানির প্রক্রিয়াজাতকরণে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট পরিষোধন ও সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ দরকার।
পরিদর্শনকালে সফরসঙ্গী ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বাবুল চন্দ্র সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম এবং কৃষি গবেষণা, হটিকালচার ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তা। হিমাগার পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন, আজান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিঃ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাকিবুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী, হিমাগারের ব্যবস্থাপক আবু নাইম এবং অন্যান্য কর্মকর্তা।
এর আগে উত্তম কৃষি পরিচর্যায় উৎপাদিত রপ্তানিযোগ্য আমবাগান পরিদর্শন করেন। পরে আঞ্চলিক উদ্যান গবেষণাকেন্দ্রে আম চাষিদের সাথে মতবিনিময়ও করেন ।
মন্তব্য করুন