নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মী হত্যা মামলায় বসুরহাট পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মানিককে (৫৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরের দিকে আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বসুরহাট পৌরসভা ৬নম্বর ওয়ার্ডের খাল ব্যাপারী বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মানিক একই বাড়ির আবুল কালামের ছেলে এবং বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত ছিল।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, আওয়ামী লীগ নেতা মানিক কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মী হত্যা মামলার আসামি। গত ৫ আগস্টের আওয়ামী সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের উপজেলা গেটে জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মী গুলিতে মারা যান। এই হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মী সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।
পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াতের নেতাকর্মী হত্যার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুরুজ্জামানসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজু করা হয়। এ ছাড়া কোম্পানীগঞ্জ থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক উপপরিদর্শক সুধীর রঞ্জন বড়ুয়া, আবুল কালাম আজাদ, শিশির কুমার বিশ্বাস ও উক্যসিং মারমাকে মামলায় আসামি করা হয়।
মন্তব্য করুন