

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ বিচার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে নগরীর নথুল্লাবদ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গোলচত্বরে এ কর্মসূচি শুরু করে তারা।
মহাসড়ক অবরোধের কারণে দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কের দুই প্রান্তে যাত্রীবাহী এবং পণ্যবাহী যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়েছে।
এর আগে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত নথুল্লাবাদের একই স্থানে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। পরে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির ভগ্নিপতি আমির হোসেনের আহ্বানে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
আলটিমেটামের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় সোমবার বিকেল ৪টা থেকে পুনরায় ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আতিক আব্দুল্লাহ।
এর আগে শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ বিচার দাবিতে বিকেল ৩টার দিকে খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের নথুল্লাবাদ গোলচত্বরে জড়ো হন ছাত্র-জনতা। তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
অবরোধ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক আতিক আব্দুল্লাহ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বিএম কলেজ শাখার সভাপতি জিয়াউর রহমান নাঈম, বিএম কলেজ ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ মুহসীন উদ্দিন প্রমুখ।
তারা বলেন, শরিফ ওসমান হাদিকে খুন করা হয়েছে। তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে খুনিরা পালিয়ে গেলেও দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আশার পাশাপাশি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। অন্যথায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এদিকে অবরোধের খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নথুল্লাবাদ এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। তারা ছাত্র-জনতাকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রেখে আন্দোলন করার জন্য আহ্বান জানান। কিন্তু তারা মহাসড়ক না ছেড়ে আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মহাসড়কেই আসরের নামাজ আদায় করেন তারা।
মন্তব্য করুন