

টালিউড অভিনেত্রী সোহিনী সরকার কি রাজনীতিতে আসছেন? ‘অভয়া কাণ্ড’-এর পর থেকে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল অনেকের মনে। সেই সময় রাজপথে নেমে তার বলিষ্ঠ প্রতিবাদ দেখে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, হয়তো অচিরেই তাকে কোনো রাজনৈতিক দলের মঞ্চে দেখা যাবে।
তবে সম্প্রতি ‘রঘু ডাকাত’ সিনেমার প্রচারের সময় এক তৃণমূল নেতার সঙ্গে সোহিনীর নাচের ঘটনা সেই গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢালে। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের তির্যক মন্তব্য বিতর্ক আরও উসকে দেয়। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন সোহিনী।
ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো রাজনৈতিক দলেই তিনি নাম লেখাতে চান না।
সোহিনী বলেন, ‘আমার কাছে যদি প্রস্তাব আসে, আমি তবুও কোনোভাবেই, কোনো অর্থেই, কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করতে চাই না। তৃণমূল হোক বা কংগ্রেস, বিজেপি হোক অথবা সিপিএম—আমি কোনো রাজনৈতিক দলের অংশ হতে চাই না।’
কেন তিনি রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চান, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অত্যন্ত স্পষ্টভাবে। সোহিনীর মতে, দলের অংশ হওয়া মানেই নিজের স্বাধীন মতপ্রকাশের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া। তিনি বলেন, ‘আমি যদি কখনো রাজনৈতিক দলের অংশ হয়ে যাই, তাহলে আমার আর কিছু বলার থাকবে না। আমাকে তখন পুরোপুরি চুপচাপ হয়ে যেতে হবে।’
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টালিউডে রাজনীতির হাওয়া বেশ জোরেশোরেই বইছে। দেব, নুসরাত জাহান থেকে শুরু করে মিঠুন চক্রবর্তীর মতো বড় তারকারা সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন। সহকর্মীদের এই স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে সোহিনী সরকার জানিয়ে দিলেন, তিনি কেবল অভিনেত্রী হয়েই থাকতে চান, কোনো দলের ‘মুখপাত্র’ হয়ে নিজের কণ্ঠরোধ করতে চান না।
মন্তব্য করুন