জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন দেশের ৫০ হাজারেরও বেশি অবৈধ নদী দখলকারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি আজ বুধবার (২১ জুন) সংসদে সরকারি দলের সদস্য মমতাজ বেগমের টেবিলে উপস্থাপিত তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে দেশের নদ-নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রস্তুতের পদক্ষেপ নেয়। এরই মধ্যে সারা দেশে অবৈধ দখলদারের সমন্বিত খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং জেলাভিত্তিক দখলদারের তালিকা কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে ৫০ হাজারের অধিক অবৈধ দখলদারের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সারা দেশের নদ-নদীর নাব্য বৃদ্ধি এবং নদী ও খাল দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন থেকে সব জেলা প্রশাসককে অবৈধ দখলদারের এই তালিকা অনুসারে ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার জন্য কয়েক দফায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা নদীসহ বিভিন্ন নদীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে নদীগুলো অনেকটা মুক্ত করা হয়েছে। অবশিষ্ট অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের কাজ চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের তথ্য জেলা প্রশাসকরা কমিশনে পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া দেশের নদীগুলোর নদীভিত্তিক অবৈধ দখলদার তালিকা ও উচ্ছেদসংক্রান্ত অগ্রগতির তালিকা প্রণয়নের কার্যক্রম প্রায় শেষপর্যায়ে। ৪৭টি জেলা থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। এতে অবৈধ দখল ও উচ্ছেদের হালনাগাদ তথ্য রয়েছে।
খালিদ বলেন, দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহমান নদ-নদী, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়, জলাশয় ও জলাধারের অবৈধ দখল ও দূষণ রোধ, নাব্য পুনরুদ্ধার, পরিবেশ-প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থা/অধিদপ্তর, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনারের (ভূমি) মাধ্যমে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং এর অগ্রগতি নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে উপজেলাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহপূর্বক সারা দেশের নদ-নদীর একটি সমন্বিত তালিকা করা হয়েছে। এটি নদ-নদী সংরক্ষণের ভিত্তি হিসেবে কাজ।
মন্তব্য করুন