কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

আওয়ামী লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল কী ছিল, জানালেন হাছান মাহমুদ

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পুরোনো ছবি
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পুরোনো ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সম্প্রতি একটি সাক্ষাতকার দিয়েছেন তিনি। যেখানে আওয়ামী লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল কী ছিল সে বিষয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে না পারা আওয়ামী লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল ছিল।

তিনি বলেন, বিএনপি অবশ্যই সব সময় নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু যেহেতু আমরা দায়িত্বে ছিলাম আমাদের এ জায়গায় ব্যর্থতা ছিল যে বিএনপিকে আমরা একোমডেট করে নির্বাচনে আনতে ব্যর্থ হয়েছি।

রোববার লন্ডনভিত্তিক ‘চ্যানেল এস’ টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার পথে হেঁটেছে। তারপরও আমি মনে করি আমরা যেহেতু সরকারে ছিলাম তাদেরকে আনতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা। যদিও-বা তারা সব সময় আমাদের এভাবে ব্যর্থ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেটি আমাদেরও ব্যর্থতা। এটি আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। এটা আমার দলীয় বক্তব্য নয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ প্রয়োজন হলে বিএনপির সঙ্গে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। বিএনপি যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলছে, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, সেটির সাথে আমরা একমত এবং প্রয়োজনে বিএনপির সাথে একযোগে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা কাজ করব।

তিনি বলেন, বিএনপির অনেক বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত। আমরা এক-এগারোর সরকারের সঙ্গে একযোগেই কিন্তু গণতন্ত্রে ফিরিয়ে আনার জন্য, গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আমরা আন্দোলন করেছিলাম এবং গণতন্ত্র ফিরে এসেছে।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যে বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার আমরা কারা?’- এই যে প্রশ্ন তুলেছেন, আমি এটির সাথে একমত। এমনকি ছাত্রলীগকে কাগজে নিষিদ্ধ করার পর সেটির বিরুদ্ধেও তারা বক্তব্য দিয়েছেন। আমি তাদের এই বক্তব্যের সাথে একমত।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবসহ তাদের শীর্ষ নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা- এই বক্তব্যের সাথে আমি পুরোপুরি একমত। এছাড়াও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ প্রশ্ন থেকে শুরু করে দেশে যাতে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি না হয়, এ ব্যাপারে বিএনপির অবস্থানকেও সাধুবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, কোনো সরকারই কিন্তু শেষ সরকার নয়, মনে রাখতে হবে; আমাদের ক্ষেত্রে আমরাও শেষ সরকার ছিলাম না।

এ সময় সংসদের উচ্চ কক্ষ নিয়ে তারেক রহমানের প্রস্তাবেও সমর্থন জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি উচ্চ কক্ষ দরকার। যেভাবে ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে আছে। তার মাধ্যমে বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজকে রাষ্ট্রীয় কাজে যুক্ত করা যাবে।

রাষ্ট্রের সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের আগে যেটি বেশি দরকার, সেটি হচ্ছে এবং রাষ্ট্র সংস্কারের মূল দায়িত্বটা হচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেছেন, আমি তার সাথে শতভাগ একমত। আমি মনে করি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই রাষ্ট্র সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। এবং রাষ্ট্র সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়া তিন মাস, ছয় মাস, তিন বছরে শেষ হয়ে যায়, তা নয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে মাহফুজ আলমের স্ট্যাটাস

তাপমাত্রা বাড়বে না কমবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

দালাল না ধরলে পাসপোর্ট পেতে চরম ভোগান্তি!

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টা পর প্রত্যাহার

চালককে হত্যা করে ব্যাটারিচালিত ভ্যান ছিনতাই

গৌরনদীতে প্রতিবন্ধীরা পেল হুইল চেয়ার

চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি, নেপথ্যে কী?

তিতাসে নির্মাণাধীন বিদ্যালয়ের মালপত্র চুরি, নির্মাণকাজ বন্ধ

অনেকের ধারণা জামায়াতে ইসলামী ৩০টির মতো আসন পাবে : শাহজাহান চৌধুরী

১০

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬ ফিলিস্তিনি নিহত

১১

কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১২

আজকের নামাজের সময়সূচি

১৩

হত্যা মামলায় জেলা আ. লীগ সভাপতির ছেলে গ্রেপ্তার

১৪

বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৫

‘রংপুর বিভাগে বৈষম্য নিরসনে সমষ্টিগতভাবে কাজ করতে হবে’ 

১৬

আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলা, পর্তুগাল প্রবাসীদের প্রতিবাদ

১৭

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ঢাবি উপাচার্যের সাক্ষাৎ

১৮

পর্তুগালে ৫০ হাজার বাংলাদেশি বিজয় দিবস উদযাপন করবেন

১৯

১৫ বছর পর উইন্ডিজে টেস্ট জয় ও ইতিহাস বাংলাদেশের

২০
X