দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেছেন, আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে বাংলাদেশে রাষ্ট্র ব্যবস্থা রাষ্ট্র কাঠামোর পরিবর্তন করে একটা নির্বাচন দ্রুত চাই। কারণ গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। আর গণতন্ত্রের প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন নেই বলে আজকে দেশে এই ঘটনাগুলো ঘটছে। শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীতে ছাত্রদলের এক অনুষ্ঠানে এ দাবি জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটছে, মৃত্যু বাড়ছে। দুর্বৃত্তরা সুযোগ নিচ্ছে কারণ তাদের পেছনের জনগণের সমর্থন নেই। কিন্তু একটা নির্বাচিত সরকার আসলে নিঃসন্দেহে সেটা শক্তিশালী সরকার হবে। আমি আবারও এই আশার কথা বলতে চাই যে, আমরা নিশ্চয়ই সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ থেকে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন আর কিছুদিন ধৈর্যের সঙ্গে অপেক্ষা করুণ গণতন্ত্রের জন্য এবং সবাইকে বিরত রাখুন কেউ যেন অন্যায় কাজ করতে না পারে। বিএনপি কোনো দিন কোনো অন্যায়কে সমর্থন করেনি, কখনো করবে না। বিএনপি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা অতীতেও করেছে এবারও করবে।
গুলশানে হোটেল লেকশোরে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গণঅভ্যুত্থানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের অমর শহীদদের স্মরণে ছাত্রদল এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এ সময় ছাত্রদলের আত্মত্যাগকারীর শহীদদের নিয়ে একটি পুস্তক তৈরি করার পরামর্শ দেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে শহীদদের যথাযথ সম্মান দেবে। জুলাই-আগস্টের শহীদ এবং আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আবারও দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন