

মধ্যরাতে সরগরম সামাজিক যোগাযোগামাধ্যম ফেসবুক। গণভোটের পক্ষে বিপক্ষে নতুন প্রচারণা শুরু হয়েছে। নিউজফিডজুড়ে ভেসে বেড়াচ্ছে হ্যাঁ না পোস্টের প্রতিযোগিতা।
জানা গেছে, গণভোটের বিপক্ষে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ফেসবুক পোস্টে নতুন প্রচারণা শুরু করেছেন। এর বিপরীতে অংশ নিয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের জন্য প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা গণভোটের পক্ষে প্রচারণা শুরু করেছেন।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরও এ ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়েছেন। তিনি নিজের প্রফাইলে না পোস্ট দিয়েছেন। অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও এমন প্রচারণা দেখা গেছে। তারা ‘হ্যাঁ’ লিখে একটি পোস্ট করেছেন।
এদিকে জাতীয় নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন গণভোটের সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা হস্তান্তর শেষে এ কথা বলেন কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ।
এর আগে, এদিন সকালে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত সুপারিশমালা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সদস্য আলী রীয়াজ বলেন, আজই সব রাজনৈতিক দলকে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সুপারিশমালা হস্তান্তর করা হবে। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়- এমন বিষয়গুলো সরকারি অধ্যাদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে ৪৮টি নির্দিষ্ট বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে জনগণের মতামত জানতে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
আলী রীয়াজ বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ তার প্রথম ৯ মাসের মধ্যেই সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন করবে। এই সংসদই জুলাই সনদের বাস্তবায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। যদি সংস্কার পরিষদ ২৭০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে জুলাই সনদের প্রস্তাবনাগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে।
জুলাই সনদে স্বাক্ষর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেসব দল এখনো স্বাক্ষর করেনি, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। এনসিপির সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে এবং তা অব্যাহত আছে। আমরা আশাবাদী, এনসিপিও শেষ পর্যন্ত সনদে স্বাক্ষর করবে।
মন্তব্য করুন