

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মরদেহ এখন তার ছেলে তারেক রহমানের বাসায়।
প্রাথমিকভাবে কথা ছিল, তার মরদেহ প্রথমে গুলশানে তার দীর্ঘদিনের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় নেওয়া হবে।
কিন্তু পরে তার মরদেহবাহী গাড়িটি তারেক রহমানের গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাসায় নেওয়া হয়।
এখানেই দলের নেতাকর্মী ও স্বজনরা খালেদা জিয়াকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবেন।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স সেখানে প্রবেশ করে। সকাল ৯টার একটু আগে বাংলাদেশের পতাকায় মোড়ানো একটি গাড়িতে করে তার মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বের করা হয়।
খালেদা জিয়ার স্বজন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে তার মরদেহ জানাজার জন্য মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নেওয়া হবে।
জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে তার স্বামী, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে।
ভোর থেকেই এভারকেয়ার হাসপাতালের আশপাশে কড়া নিরাপত্তা ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়। খালেদা জিয়ার মরদেহ বহনকারী গাড়ি বহরের সামনে পেছনেও পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারা ছিল।
বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা পড়াবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
এদিকে, তার জানাজায় অংশ নিতে মঙ্গলবার রাত থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় দলীয় নেতাকর্মী ভিড় করছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা গতকাল মঙ্গলবার তার মৃত্যুর খবর পেয়েই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
শেষবারের মতো খালেদা জিয়াকে একনজর দেখার আশায় নেতাকর্মীরা যে যার মতো গণপরিবহন, ট্রেন, লঞ্চ ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন।
মন্তব্য করুন