বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) মহাসচিব মো. আব্দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে আরেকটি একতরফা, পাতানো, ডামি নির্বাচন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এই নির্বাচন এখন তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজেরা নিজেরাই এখন মারামারি করছে, বেফাঁস মন্তব্য করছে। এর মধ্য দিয়ে আস্তে আস্তে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে।
‘একতরফা’ ভোট বর্জন এবং সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব পর্যন্ত গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। গণফোরাম (মন্টু) ও বিপিপির যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।
বিপিপির মহাসচিব আব্দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা বলেছেন, তিনি নিজে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে ভোট ডাকাতি করে বর্তমান এমপিকে জিতিয়েছেন। এভাবেই সত্য বেরিয়ে আসছে। টিআইবি বলেছে, সরকারের এক মন্ত্রীর ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার ব্যবসা আছে বিদেশে। এটা তো এক মন্ত্রীর কাহিনি, এ রকম আরও বহু এমপি-মন্ত্রীর বিদেশে অবৈধ টাকার পাহাড় রয়েছে। সিপিডি বলেছে, ব্যাংক খাত থেকে গত ১৫ বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। এভাবেই তারা একে একে এ দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আবার তারাই বলে জনগণের উন্নয়ন হয়েছে। আসলে প্রকৃত উন্নয়ন হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রী ও নেতাকর্মীদের।
তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচন করছে তাদের প্রায় সকলেই কোটিপতি। কারও ২০০-৫০০ কোটি টাকাও আছে। জনগণকে নিঃশেষ করে দিয়ে এরা লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে এবং আগামীতে লুটপাট অব্যাহত রাখার জন্য আরেকটা ভুয়া নির্বাচন করার চেষ্টা করছে। তবে জনগণ এরইমধ্যে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ৭ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না।
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন- গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বিপিপির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী, গণফোরামের তথ্য ও গণমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু।
লিফলেট বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, কেন্দ্রীয় সদস্য কামাল উদ্দিন সুমন, ইমাম হোসেন, সোলায়মান অয়ন, প্রদীপ ঘোষ, শাকিল হোসেন, বিপিপির প্রেসিডিয়াম মেম্বার নাজমা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম জোয়ার্দার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. লিটন জোয়ার্দার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন