কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিশ্বনবীর (সা.) আগমনে আলোকিত হয়েছিল মানবতা : কাদের গণি

বক্তব্য রাখছেন কাদের গণি চৌধুরী। ছবি : কালবেলা
বক্তব্য রাখছেন কাদের গণি চৌধুরী। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেছেন, আল্লাহর বিধান প্রতিপালন ও প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতের অনুসরণই দুনিয়ায় শান্তি ও পরকালে মুক্তির একমাত্র পথ। মহানবী (সা.) ঘোরতর শত্রুদের সঙ্গেও সর্বাবস্থায় কোমল এবং সর্বোত্তম আচরণের মূর্ত প্রতীক ছিলেন।

শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কাদের গণি চৌধুরী বলেন, বিশ্ব জাহানের স্রষ্টা এবং প্রতিপালক মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বিশ্ববাসী সব সৃষ্টির ইহকালীন শান্তি ও পারলৌকিক মুক্তির জন্য মহানবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই ধরাধামে পাঠিয়েছিলেন। প্রথম নবী হযরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে নবুয়তের ধারাবাহিকতায় তিনি এ পৃথিবীতে আগত সর্বশেষ নবী এবং রাসুল। তার আগমনে গোটা বিশ্বজাহান আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিল। আকাশে বাতাসে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠেছিল মুক্তির বারতা। তার আগমনে স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়া মানবজাতি নতুন করে সন্ধান পেয়েছিল মুক্তিপথের।

সাংবাদিকদের এই নেতা বলেন, তাওহিদের অমিয় বাণী কালিমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ তথা ‘এক আল্লাহ ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই’- এই মহাসত্যের বুলন্দ আওয়াজ জগতময় ছড়িয়ে পড়েছিল। জগতবাসী সত্যের পথে, শান্তির পথে, মুক্তির পথে ফিরে আসার সুযোগ লাভ করেছিল। লাত, মানাত, উযযা, হুবলদের মতো মিথ্যে এবং অসার উপাস্যদের বিদায়ের বার্তা ঘোষিত হয় বিশ্বময়। মানবসৃজিত অন্ধকার এবং পঙ্কিলতার পথ ছেড়ে বনি আদম পুনরায় মাথা নত করার শিক্ষা লাভ করে এক আল্লাহর সামনে। আজকের বিশ্ববাসীর কল্যাণ ও মুক্তিও তার রেখে যাওয়া সুমহান আদর্শ ধারণ করার মধ্যেই। সেই মহান আদর্শের ছায়াতলেই হোক আমাদের পথচলা।

কাদের গণি চৌধুরী বলেন, হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুমহান আদর্শ ও সর্বোত্তম চরিত্র অনুসরণ করার মধ্যেই সফলতা, স্বার্থকতা, মুক্তি এবং চূড়ান্ত কামিয়াবি। ইহকাল পরকালে সফলতা ও নাজাতের জন্য বিশ্ববাসী প্রত্যেকের জন্য তার অনুসরণই একমাত্র কর্তব্য।

তিনি বলেন, নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অন্য ধর্মাবলম্বীরাও তাকে মানবজাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কারক ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী বিখ্যাত পণ্ডিত মাইকেল এইচ হার্ট তার বহুল আলোচিত ‘দ্য হান্ড্রেড’ গ্রন্থে হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ’ হিসেবে স্থান দিয়েছেন। ব্রিটিশ মনীষী সাহিত্যিক জর্জ বার্নার্ড শ বলেছেন, এই অশান্ত পৃথিবীতে তার মতো একজন মানুষের প্রয়োজন। তিনি বেঁচে থাকলে পৃথিবীজুড়ে সুখের সুবাতাস বইত। তার আগমনে যে বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল, দুনিয়াজুড়ে তা বিস্তৃত হয়েছে।

ইসলাম প্রতিশোধে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে কাদের গণি চৌধুরী বলেন, পৃথিবীর তাবত আদর্শ এবং মতবাদ খুঁজেও এর দ্বিতীয় একটি নজির পাওয়া যাবে না। ইসলামের শিক্ষা, ‘প্রতিবাদের শ্রেষ্ঠ পন্থা উত্তম আচরণ’। প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সারা জীবনের আদর্শ ছিল এটাই। মন্দের প্রতিবাদ তিনি কোনো দিন মন্দ কাজ দিয়ে করেননি। প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষেত্রে তার সারা জীবনের চরিত্র ছিল উত্তম এবং শ্রেষ্ঠতম আচরণ প্রদর্শন করতেন তিনি। ঘোরতর শত্রুদের সঙ্গেও সর্বাবস্থায় তিনি ছিলেন কোমল এবং সর্বোত্তম আচরণের মূর্ত প্রতীক।

আহলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হয়রত মওলানা শাহসূফি সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ মাইনুল ইসলাম জুনায়েদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল, আলহাজ শহিদুল ইসলাম বাবুল, হাজি সেলিম আহমেদ সালেম প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিখোঁজ যুবকের মরদেহ মিলল হলুদ ক্ষেতে

অ্যাম্বুলেন্সে নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার

মুসলিম জনতার ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষায় প্রশাসনের ব্যর্থতা উদ্বেগজনক

নেপালের বিপক্ষে জিততে পারল না বাংলাদেশ

যে সিনেমাগুলো অসমাপ্ত রেখেই চলে গেলেন সালমান শাহ

পটুয়াখালীতে মা-মেয়েকে কোপানোর অভিযোগ

গণছুটিতে যাচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের শঙ্কা

ডাকসু : জরিপে এগিয়ে শিবির, কার কত শতাংশ ভোট?

‘মনোনয়ন পাবেন ক্লিন আ.লীগ নেতারা’ বক্তব্যের বিষয়ে জাতীয় পার্টির বিবৃতি

বিসিসিআই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

১০

দু-একটি দল নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে : আমিনুল হক 

১১

মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির নিন্দা

১২

ঝটিকা মিছিল : আওয়ামী লীগের ৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

১৩

মালয়েশিয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাধারীদের জন্য নতুন নীতিমালা

১৪

আঙুলে নতুন আংটি, ফের চর্চায় রাশমিকা-বিজয়

১৫

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

১৬

অজান্তেই ডায়াবেটিসে ভুগছেন কি না বুঝে নিন ৬ লক্ষণ

১৭

নিজের জন্য কবর খনন ব্যবসায়ীর

১৮

‘ওরা দেশে ফিরলে ঠিকানা হবে কেরানীগঞ্জ কারাগার’

১৯

২৬ লাখ টাকা খরচ করে করলেন আত্মহত্যার আয়োজন

২০
X