মাটি খুঁড়তেই মিলল কয়েকশ বছরের পুরোনো নৌকা
ঝিনাইদহের মহেশপুরে মাটি খুঁড়তে গিয়ে কয়েকশ বছরের পুরোনো নৌকার সন্ধান পাওয়া গেছে। বিরল এ দৃশ্য দেখতে আশপাশের এলাকা থেকে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খ্রিষ্টীয় ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতবর্ষে ইউরোপীয় এবং স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তিরা নৌবিহারের জন্য এ ধরনের নৌকা ব্যবহার করত। সেই তথ্য অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে, নৌকাটি কয়েকশ বছরের পুরোনো। বুধবার (৮ মে) উপজেলার এসবিকে ইউনিয়নের বজরাপুর গ্রামে এমন দৃশ্য দেখা যায়। মাটির চার ফুট নিচে খনন কাজ চালানোর সময় নৌকাটি সবার নজরে পড়ে।  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বজরাপুর গ্রামের নজের আলীর ছেলে মনছের আলী তিন দিন আগে বজরাপুর বাঁওড় থেকে ধানক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য সেচ খাল খনন করছিলেন। খাল খুড়তে খুড়তে তার কোদালের মাথায় নৌকার কিছু অংশ ওঠে আসে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী নৌকার সন্ধানে খনন করতে থাকে। তিন দিন ধরে খননের পর বধুবার পুরো নৌকার আকৃতি খুঁজে পাওয়া যায়। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য পূর্ণিমা রানী বলেন, নৌকার প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘বজরা’। এ গ্রামের নামও বজরাপুর। একটা সময় এখানে মানুষের চলাচলের একমাত্র সম্বল ছিল নৌকা। সেই নাম অনুসারে গ্রামটির নামকরণ করা হয়েছে ‘বজরাপুর’। তিনি বলেন, খবর পেয়ে তিনিও বজরাপুর বাঁওড় এলাকার হালদার পাড়ায় গিয়ে নৌকাটি দেখে এসেছেন। এটি সংরক্ষণের দাবি করেন তিনি। খননকাজে যুক্ত বজরাপুর গ্রামের ইসমাইল মল্লিক জানান, নৌকাটি লম্বায় প্রায় একশ ফুট লম্বা ও চওড়া ২০ ফুট হবে। নৌকার বেশির ভাগ অংশ বাঁওড়ের মধ্যে ঢুকে আছে। হয়তো নৌকাটি শাল কাঠ দিয়ে তৈরি করা। বজরাপুর গ্রামের আমজাদ হোসেন বলেন, গ্রামের কৃষক মনছের আলীর জমিতে পাওয়া নৌকাটি বহুকালের পুরোনো। কাঠগুলো পচে নষ্ট হয়ে গেছে। লম্বা কাঠগুলো কিছুটা ভালো আছে। মাটির চার ফুট নিচে এই নৌকাটি পাওয়া গেছে।  তিনি বলেন, নৌকাটি দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। তবে এখনো প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেননি। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, বজরা অধিক ওজন বহনকারী বড় ধরনের একটি নৌকা হিসেবে পরিচিত। খ্রিষ্টীয় ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্যবহার করা এ নৌকার দুই-তৃতীয়াংশ জায়গাজুড়ে থাকত ঘুমানো বা বিশ্রামের কক্ষ। ঘরবাড়ির মতো এসব কক্ষে থাকত জানালা। সাধারণভাবে যাত্রীর ধারণক্ষমতা ১০ থেকে ১২ জন। ভেতরে চারজন মাঝির সঙ্গে রান্না ও অন্যান্য কাজের জন্য দুজন সহযোগী থাকতেন।  স্থানীয় পূজা রানী বলেন, বজরাপুর গ্রাম একটি প্রাচীন জনপদ। এই গ্রামটি কপোতাক্ষ নদের সংযোগস্থলে গড়ে ওঠে। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ জমিদার ও আধুনিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিল। ফলে এ নৌকাটি বজরাপুর গ্রামের নামকরণ ও গ্রামের মানুষের জীবনযাপনের সাক্ষ্য বহন করে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া পূজা রানী নৌকাটি সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে গবেষণা কাজে লাগানো যায় কিনা সে সরকারের ব্যাপারে সুদৃষ্টি কামনা করেন।  বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ দাস জানান, পুরোনো নৌকা পাওয়ার বিষয়টি তিনি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে জানাবেন, যাতে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
১০ মে, ২০২৪

মনে হচ্ছিল আমি সমুদ্রের মধ্যে সামান্য ডিঙি নৌকা : আসিফ
দেশের সংগীত অঙ্গনের উজ্জ্বল নাম কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। দেশ ও দেশের বাইরে নানা সময় গান গেয়ে হয়েছেন প্রশংসিত, পেয়েছেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। গান করেছেন দেশের কিংবদন্তি শিল্পীদের পাশাপাশি বিদেশি শিল্পীদের সঙ্গে। এ সুবাধে তার সুযোগ হয়েছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্টুডিওতে কণ্ঠ দেওয়ার। বর্তমানে এই শিল্পী ভারতের মুম্বাইয়ে অবস্থান করছেন। এবারের সফরটি এই শিল্পীর জন্য বেশ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ ইতোমধ্যেই তার নতুন গানের একটির রেকর্ডিং হয়েছে ভারতের কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের কে এম স্টুডিওতে। এবার আরও একটি গানের রেকর্ড করতে এই শিল্পী গেলেন বিখ্যাত যশরাজ স্টুডিওতে।  সেখান থেকেই কালবেলাকে এই শিল্পী জানান, ‘এ আর রহমান স্যারের স্টুডিও দেখে এবং সেখানে কাজ করার সুযোগ পেয়ে মনে শান্তি পেয়েছিলাম। এরপর যশরাজ স্টুডিওতে এসে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। মনে হচ্ছিল সমুদ্রের মধ্যে আমি সামান্য ডিঙি নৌকার মতো ভেসে আছি। এই অনুভূতি নিয়ে অনেক কিছু বলতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু আমি আসলে এই ঘোর থেকে বের হতে পারছি না। কাজের পরিবেশ আর পেশাদারিত্ব দেখে ইমোশনাল হয়ে গেছি। এই ঘোর কাটতে সময় লাগবে। শুধু এটুকু বলতে পারি, আপনারা দোয়া করেছেন, আপনাদের দোয়া ব্যর্থ হয়নি, ইনশাআল্লাহ ব্যর্থ হতে দেব না যতদিন সুস্থ থাকি।’  
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

তিউনিসিয়ায় নৌকা ডুবে মৃত্যুতে মুকসুদপুরে গ্রেপ্তার দুই
নৌকায় ইতালিতে মানব পাচারের সময় তিউনিসিয়া উপকূলে আট বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রোববার র‌্যাব-১ ও ৬-এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের রাঘদী ইউনিয়ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। তারা ওই এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেপ্তাররা হলেন যুবরাজ কাজী (২৪) ও কামাল (৩৮)। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ভিসা কার্ড এবং ৭ হাজার ১৬৪ টাকা জব্দ করা হয়েছে। র‌্যাব-১-এর সহকারী পুলিশ সুপার সহকারী পরিচালক (অপস অ্যান্ড মিডিয়া অফিসার) মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ইতালিতে মানব পাচারের ঘটনায় মামলা করেন সুনিল বৈরাগী। তার ছেলে সজল বৈরাগীকে ইতালি যাওয়ার প্রস্তাব দেন পূর্বপরিচিত যুবরাজ কাজী। যুবরাজ তার বাবা মোশারফ কাজীর মাধ্যমে বৈধপথে ইতালি পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন বলে জানান; বিনিময়ে ১৪ লাখ টাকা দিতে হবে। মোশারফ বর্তমানে লিবিয়ায় আছেন। প্রস্তাবে রাজি হয়ে সজল গত বছরের ১৭ নভেম্বর গোপালগঞ্জে নিজ বাড়িতে যুবরাজের হাতে আড়াই লাখ টাকা ও পাসপোর্ট দেন। কিছুদিন পর যুবরাজ কাগজপত্র প্রস্তুত হয়েছে জানিয়ে বাকি টাকা তৈরি রাখতে বলেন। এরপর গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ইতালি যাওয়ার কথা বলে সজলকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসেন যুবরাজ। বিমানবন্দরের প্রধান গেটে ঢোকার আগে গাড়িতেই সজলের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নেন। বিমানবন্দরে রাতে অবস্থান করে পরের দিন ভোর ৬টার দিকে আকাশপথে ইতালির উদ্দেশে দুবাই রওনা করেন সজল। পরে আরও সাড়ে ৬ লাখ টাকা নেন যুবরাজ। এএসপি মাহফুজুর রহমান বলেন, পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের পরিবার ১৪ ফেব্রুয়ারি ভূমধ্যসাগরে ইতালির উদ্দেশে গমনকারী একটি ডিঙি নৌকা তিউনিসিয়া উপকূলে ডুবে প্রাণহানির কথা জানতে পারেন। ওই ঘটনায় সজল বৈরাগীসহ বাংলাদেশি আট নাগরিকের মৃত্যু হয়। পরে সজলের বাবা বিমানবন্দর থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলার পর র‌্যাব-১-এ একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেয়ে র‌্যাব আসামিদের আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

গ্রামপ্রধানের শেষকৃত্যে যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে ৫৮ জনের মৃত্যু
মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের রাজধানী বাঙ্গুইর এমপাকো নদীতে নৌকা ডুবে অন্তত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রামপ্রধানের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত প্রায় ৩০০ জন যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছে দেশটির বেসামরিক সুরক্ষা বিভাগের প্রধান।   শনিবার, (২০ এপ্রিল) রাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।   প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী ফেরি ডুবে যাওয়ার পর অন্তত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নৌযানটিতে থাকা ৩০০ জনের বেশিরভাগই একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন এবং পথিমধ্যে এটি ডুবে যায়। নাগরিক সুরক্ষা বিভাগের প্রধান টমাস ডিজিমাসে রেডিও গুইরাকে বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করতে পেরেছি। এখনো কতজন নিখোঁজ রয়েছেন তার সংখ্যা আমরা জানি না। তবে গতকাল শনিবার আর ঘটনাস্থলে বেসামরিক সুরক্ষা বিভাগের কাউকে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে এএফপি। ক্যানোর সাহায্যে নদীতে নিখোঁজ স্বজনদের লাশ খুঁজে বেড়াচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া দুর্ঘটনার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ফেরিডুবির পর লোকেরা নদীর তীরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন বা পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী ফরাসি ভাষার সম্প্রচারকারী আরএফআইকে বলেছেন, এইমাত্র যা ঘটেছে তা ছিল ভয়ংকর। আমি এমন একটি পরিবারকে চিনি যারা এই ট্র্যাজেডিতে সাতজন আত্মীয়কে হারিয়েছে।  
২১ এপ্রিল, ২০২৪

জিবুতি উপকূলে নৌকা ডুবে ৩৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু
পূর্ব আফ্রিকার দেশ জিবুতি উপকূলে নৌকা ডুবে শিশুসহ ৩৮ অভিবাসনপ্রত্যাশী মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ছয়জন নিখোঁজ এবং ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা। সমুদ্র পাড়ি দিয়ে নৌকাটি ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল।  মঙ্গলবার এক এক্স বার্তায় খবরটি জানায় আইওএম (আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা)। সেখানে আরও বলা হয়, ২০১৪ সালের পর পূর্বাঞ্চলীয় ওই পথে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন। এর আগে রোববার তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে ১৩ অভিবাসনপ্রত্যাশীর লাশ উদ্ধার করে দেশটির কোস্টগার্ড। উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে এসব লাশ উদ্ধার করা হয়। উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়া থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হতাহতের ঘটনা নতুন নয়। তিউনিশিয়ার ন্যাশনাল গার্ড জানিয়েছে, গ্রীষ্ম শুরুর এ সময়ে সাগরে অনুকূল পরিস্থিতির সুযোগে ইউরোপ মুখে যাত্রা করা নৌকার সংখ্যা বাড়ছে। 
১০ এপ্রিল, ২০২৪

মেঘনা নদীতে নৌকা ডুবে মৃত সেই নারীর পরিচয় শনাক্ত
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে পর্যটকবাহী নৌকা ডোবার ঘটনায় উদ্ধার হওয়া নারী মরদেহের পরিচয় মিলেছে। অপরদিকে নিখোঁজের তালিকা বেড়ে আটজনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, নিহত নারীর নাম সুর্বণা। তিনি ওই নৌকাতে পর্যটক হিসেবে ছিলেন। তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এদিকে নিখোঁজদেরও নাম পাওয়া গেছে। তাদের স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে আহাজারি করছেন। স্বজনদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তার জানতে ব্যাকুল হয়ে গেছেন। নিখোঁজরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের কন্সটেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে (৩০), তার ভাইয়ের মেয়ে আরাধ্য (১২) ও ভগ্নিপতি বেলন দে (৩৮)। এ ছাড়া নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার (১৮)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে আশুগঞ্জ সোনারামপুর চরে ঘুরতে ভৈরব সেতু এলাকার মেঘনা নদীর পাড় থেকে ১৬ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি ছাড়ে। সেখান থেকে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে ভৈরবে ফেরার পথে মাঝ নদীতে নৌকাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাল্কহেডে ধাক্কা দিয়ে ডুবে যায়।  এ সময় স্থানীয় লোকজন ও নৌ পুলিশ ৯-১০ জনকে উদ্ধার করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সুর্বণাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া তোফাজ্জল হক (২২) নামে এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়। দুর্ঘটনাকবলিত সুন্দরবন ভ্রমণতরীর মালিক নজরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ভৈরব থেকে আশুগঞ্জ চরে যাত্রী পারাপার করেন। সন্ধ্যায় সোনারামপুর চর থেকে ভৈরব ব্রীজের নিচে ফেরার পথে একটি বাল্কহেড তার নৌকায় পেছনে ধাক্কা দিলে মাঝ নদীতে ১৬ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি ডুবে যায়।  এ  বিষয়ে ভৈরব নৌ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে।
২৩ মার্চ, ২০২৪

পানিতে চলল বরফের নৌকা
এ যেন মাছের তেলেই মাছ ভাজা। যে পানিতে নৌকা চলবে সেই পানি দিয়েই বানিয়ে ফেললেন প্রমাণ সাইজের নৌকা। বরফঘেরা লেকে সেই নৌকা চালিয়েও দেখিয়েছেন বেলারুশের রাজধানী মিনস্কের শিল্পী আইভান কারপিটস্কি। ২০২০ সালে প্রথম খবরের কাগজে আসেন আইভান। বরফের ভায়োলিনসহ নানা জিনিস বানিয়ে সেবার নজরে আসেন। এবার যে নৌকা বানিয়ে ভাইরাল হয়েছেন, সেটা স্রেফ শিল্পকর্মই নয়, বরং আসল নৌকার মতো পানিতে চালানোও যাচ্ছে। নৌকার ভেতর আছে জাহাজের স্টিয়ারিং হুইলের মতো দেখতে একখানা হুইল। অবশ্য ওটা নৌকার কোনো কাজে লাগে না। ওটাকে জুড়েছেন স্রেফ সৌন্দর্যের খাতিরে। আবার বরফ দিয়ে দুটো প্যাডেল হুইলও বানিয়েছেন। পানি কেটে তরতর করে সেগুলোকে ঘুরতে দেখা গেল একটি ভিডিওতে। নৌকাটা এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বরফের নৌকা হলেও আপাতত তাতে বসতে পারবে কয়েকজন। নৌকাটা তৈরিতে আইভান ব্যবহার করেছেন বরফের বড় বড় ব্লক। বরফ কাটতে ব্যবহার করেছেন বৈদ্যুতিক কিছু যন্ত্রপাতি। একটি বরফের টুকরোর সঙ্গে আরেক টুকরো জুড়তে আঠা হিসেবে ব্যবহার করেছেন পানি! কেননা, আশপাশের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকায় বরফগলা পানি ঢালতেই দেখা গেল তা আবার বরফ হয়ে যায়। তখন তা দুইপাশের বরফখণ্ডকে জুড়ে দিতে পেরেছেন সহজেই। ভাইরাল এ বরফ নৌকা দেখে প্রচুর অর্ডারও পেয়েছিলেন আইভান। তবে বাণিজ্যিক কোনো উদ্দেশ্য না থাকায় অর্ডারে কান দেননি এ বরফশিল্পী। —সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি
০৭ মার্চ, ২০২৪

নওগাঁ-২ আসনের নৌকা প্রার্থীর প্রতিনিধিকে জরিমানা
নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জহুরুল হক নামের একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শহীদুজ্জামান সরকারের পক্ষে তার নির্বাচনী প্রতিনিধি হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি ) বিকেলে এ অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এর আগে ধামইরহাট উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের চকচান্দিরা এলাকায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।  জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলে জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ধামইরহাট উপজেলার  ইসবপুর  ইউনিয়নে চকচান্দিরা এলাকায় প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন নৌকার প্রার্থী প্রতিনিধি জহুরুল হক। এতে নির্বাচনী আচরণবিধির ১৮ (১) মোতাবেক তাকে জরিমানা করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেসমিন আক্তার বলেন, নির্বাচনীসভা করার আগে অনুমতি নিতে হয়। এ নিয়ম না মানায় তাকে জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ফুলের রাজ্যে হচ্ছে নৌকা জাদুঘর
একপাশে সাগর, অন্যপাশে সড়ক। এসব ঘেঁষেই শোভা পাচ্ছে ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, শিউলি, অ্যালামন্ডা, চেরিসহ নানা রঙের ফুল। কিছু সময় পরপর সাগরপাড় থেকে ছুটে আসা হাওয়া দোল দিচ্ছে সেই ফুলের রাজ্যে। মনোরম সেই দৃশ্য চোখে লেগে থাকার মতো। তবে এবার শুধু ফুল নয়, এই সাম্রাজ্যে শোভা বাড়াবে নৌকা। মাদকের রাজ্য গুঁড়িয়ে গড়ে ওঠা ডিসি পার্কে নৌকার জাদুঘর তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই নির্ধারিত স্থানে পরিপূর্ণতা পাবে জাদুঘরটি। ফৌজদারহাট ঘিরে জেলা প্রশাসনের একের পর এক উদ্যোগে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। তারা বলছেন, এক সময় চট্টগ্রামের মাদকের সাম্রাজ্য হিসেবে কুখ্যাতি ছিল এলাকাটির। সন্ধ্যার পরে জমজমাট মাদকের আসর বসত সেখানে। ফৌজদারহাটসহ আশপাশের প্রায় ১৯৪ একর জায়গাজুড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সেই আস্তানা গুঁড়িয়ে গড়ে তোলা হয় পুষ্পকানন। এবার সাম্পানসহ হারিয়ে যাওয়া নৌযান নিয়ে একটি নৌকা জাদুঘর তৈরি হচ্ছে সেখানে। এর পাশেই নির্মিত হবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ; থাকছে পৃথক জাদুঘরের স্থান। সবকিছু মিলিয়ে ফৌজদারহাট হয়ে উঠবে চট্টগ্রামের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ইকরাম কালবেলাকে বলেন, আগে এখানে খারাপ আড্ডা বসত। ভয়ে কেউ আসত না। ফুলের বাগান করার পর এখন প্রতিদিন সকাল থেকেই মানুষের ভিড় থাকে। শুনেছি সাম্পান (নৌকা) সাজিয়ে রাখা হবে। এগুলো দিয়ে এলাকাটি দেশব্যাপী পরিচিত হবে। ইতোমধ্যে ডিসি পার্কে চলছে ফুল উৎসব। চট্টগ্রামের ডিসি পার্কে এ উৎসব দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, শিউলি, অ্যালামন্ডা, চেরিসহ দেশি-বিদেশি কয়েক লাখ ফুলে সমারোহ রয়েছে। উৎসব ঘিরে ডিসি পার্কে প্রতিদিনই পর্যটক ভিড় করছেন। এ উৎসবে প্রাথমিকভাবে ঠাঁই পেয়েছে ১৫টি নৌকা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডিসি পার্কের পাশে জাদুঘরের জন্য নির্ধারিত স্থানে একশটিরও বেশি নৌকা বসানো হবে। দেশের নদনদী থেকে হারিয়ে যাওয়া এসব নৌকার পাশাপাশি থাকবে প্রতিটি নৌকার ইতিহাসও। শুধু তাই নয়, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে জেলেদের সংগ্রামের চিত্রও থ্রি-ডি প্রযুক্তির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে জাদুঘরে। জানা গেছে, তিনটি ধাপে নৌকা জাদুঘরের কাজ বাস্তবায়নে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি—এই তিন ধাপে পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর আওতায় শতাধিক নৌকা তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে জাদুঘরে স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ চলছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ডিসি পার্কের পাশে নৌকা জাদুঘরের কাজ শুরু হবে। এখানে নৌকার সঙ্গে পাল, দাঁড় ও বৈঠা থাকবে। পাশাপাশি সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা কী ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকেন; অনেক সময় ঘূর্ণিঝড়-টর্নেডো হয়ে থাকে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে থ্রি-ডি এফেক্ট দিয়ে দর্শনের জন্য সেই চিত্র ফুটিয়ে তোলার। যাতে করে দর্শনার্থীরা প্রকৃত একটি চিত্র বুঝতে পারেন। সে বিষয়গুলো তুলে নিয়ে আসার পরিকল্পনা আছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত ১
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্বতন্ত্র ও নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১২ জন।  বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের দলুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শওকত আকবর (৬৫) দলুয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রফিক তালুকদারের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ ১২ জনকে আটক করেছে। সংঘর্ষ চলাকালে দুপক্ষের ১৫টি বসত-বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও কয়েকটি বাড়ির মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটে।  আহতরা হলেন- দলুয়া গ্রামের মৃত আশিক মিয়ার ছেলে ফরহাদ (২২), জায়ফর আলীর ছেলে তাজ মিয়া (৪০), বাবুল মিয়ার ছেলে সায়েক মিয়া (১৬), মৃত কিতাব আলীর ছেলে জয়মুনুর (৩৫), কিতাব আলীর ছেলে ফিরোজ আলী (৪০), মৃত মনোহর আলীর ছেলে মতিন মিয়া (৩০), মৃত অনাই মিয়ার ছেলে সিদ্দিক মিয়া (৭০), মৃত সঞ্জব আলীর ছেলে আলী হোসেন (৩৫), আবু তাহেরের ছেলে মিজানুর রহমান (২৪), জাহির উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (৩৩), সামছুল আলমের ছেলে ফয়েজ (৩০)। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দলুয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোষ্ঠীভিত্তিক পূর্ব বিরোধ চলে আসছে। এর একপক্ষে তৈয়বুর রহমান ও অপরপক্ষে নেতৃত্ব দেন ইছুব আলী। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রায়ই দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ২০২২ ইং সনের ১০ জুলাই দুপক্ষের সংঘর্ষে ১জন নিহত হন। সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আল আমিন চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়া সেনগুপ্তার পক্ষে অবস্থান নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ চাঙা হয়ে ওঠে। নির্বাচনে তৈয়ব আলীর লোকজন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আল আমিন চৌধুরী ও নিহত শওকত আকবরের লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তার পক্ষ নেয়। ১৩ জানুয়ারি নির্বাচনের পর দুইপক্ষের সংঘর্ষে সাতজন আহত হন। এরপর থেকে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। গত একসপ্তাহে দুইপক্ষ কয়েকবার সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিলেও স্থানীয় সালিশি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে দুপক্ষের মধ্যে ফের উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে একে অপরের বসত বাড়ি ভাঙচুর করে। সংঘর্ষে ইছুব আলীর পক্ষের একজন নিহতের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে অপরপক্ষ ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। এ সুযোগে ইছুব আলীর পক্ষের লোকজন তৈয়বুর রহমানের পক্ষের লোকদের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা কয়েক বাড়ি থেকে মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক পিন্টু কুমার দাস শওকত আকবরের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন। তারা এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং তাজ মিয়া (৪০) নামে একজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। গ্রামের পরিবেশ শান্ত আছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪
X