কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে পর্যটকবাহী নৌকা ডোবার ঘটনায় উদ্ধার হওয়া নারী মরদেহের পরিচয় মিলেছে। অপরদিকে নিখোঁজের তালিকা বেড়ে আটজনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, নিহত নারীর নাম সুর্বণা। তিনি ওই নৌকাতে পর্যটক হিসেবে ছিলেন। তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এদিকে নিখোঁজদেরও নাম পাওয়া গেছে। তাদের স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে আহাজারি করছেন। স্বজনদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তার জানতে ব্যাকুল হয়ে গেছেন।
নিখোঁজরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের কন্সটেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে (৩০), তার ভাইয়ের মেয়ে আরাধ্য (১২) ও ভগ্নিপতি বেলন দে (৩৮)। এ ছাড়া নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার (১৮)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে আশুগঞ্জ সোনারামপুর চরে ঘুরতে ভৈরব সেতু এলাকার মেঘনা নদীর পাড় থেকে ১৬ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি ছাড়ে। সেখান থেকে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে ভৈরবে ফেরার পথে মাঝ নদীতে নৌকাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাল্কহেডে ধাক্কা দিয়ে ডুবে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ও নৌ পুলিশ ৯-১০ জনকে উদ্ধার করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সুর্বণাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া তোফাজ্জল হক (২২) নামে এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
দুর্ঘটনাকবলিত সুন্দরবন ভ্রমণতরীর মালিক নজরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ভৈরব থেকে আশুগঞ্জ চরে যাত্রী পারাপার করেন। সন্ধ্যায় সোনারামপুর চর থেকে ভৈরব ব্রীজের নিচে ফেরার পথে একটি বাল্কহেড তার নৌকায় পেছনে ধাক্কা দিলে মাঝ নদীতে ১৬ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি ডুবে যায়।
এ বিষয়ে ভৈরব নৌ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে।
মন্তব্য করুন