অটোরিকশা শ্রমিকদের অভিনন্দন শ্রমিক দলের
শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে দাবি করে এ জন্য আন্দোলনরত শ্রমিকদের অভিনন্দন জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। সোমবার (২০ মে) রাতে শ্রমিক দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিনন্দন জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার কর্তৃক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে টানা দুদিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ করে অটোরিকশা চালক শ্রমিকরা। এই বিক্ষোভে পুলিশি হামলা, মামলায় অনেকে আহত ও গ্রেপ্তার হয়। সর্বোপরি রিকশা শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার পিছু হটে এবং আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়। বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশি নির্যাতনের শিকার শ্রমিকদের প্রতি সমবেদনা এবং আন্দোলনরত অটোরিকশা শ্রমিকদের সাহসী ভূমিকার জন্য শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। এছাড়াও আন্দোলনে শ্রমিকদের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। এদিকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ঢাকার কোথায় কীভাবে চলবে সে বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আসার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন। ঢাকা সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করবে- সরকারের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমরা এখনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পাইনি। মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনার পর আমরা ব্যবস্থা নেব কোথায় চলবে আর কোথায় চলবে না। তাহলে ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে ডিএমপির উদ্যোগের কী হবে- জানতে চাইলে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। সরকার যে সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা দেবে সেটিই প্রতিপালন করা হবে।
২৫ মিনিট আগে

অটোরিকশা কোথায় কীভাবে চলবে নির্দেশনার পর ব্যবস্থা : ডিএমপি
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ঢাকার কোথায় কীভাবে চলবে সে বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আসার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন। ঢাকা সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করবে- সরকারের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমরা এখনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পাইনি। মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনার পর আমরা ব্যবস্থা নেব কোথায় চলবে আর কোথায় চলবে না। তাহলে ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে ডিএমপির উদ্যোগের কী হবে- জানতে চাইলে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। সরকার যে সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা দেবে সেটিই প্রতিপালন করা হবে। এর আগে, সোমবার (২০ মে) দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্যের বাজারে মেহনতি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা এবং বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনা করে, দ্রব্যমূল্যের কথা চিন্তা করে সিটি এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে দেশের ২২টি মহাসড়কে এসব রিকশা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার আগে, বুধবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না। এগুলো চলতে যেন না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এমন ঘোষণা আসার পরেই অভিযান শুরু করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, ওইদিন বিকেল থেকে শনিবার পর্যন্ত ২ হাজার ২৪১টি ব্যাটারিচালিত রিকশা, ২৩৯টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ১১৩টি ইজিবাইক জব্দ করার পর ডাম্পিং করা হয়। চালকদের ভাষ্য, এতে রুটি-রুজির ওপরে আঘাত এসেছে। এর প্রতিবাদে রোববার (১৯ মে) রাস্তায় নামেন অটোরিকশাচালকরা। রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন চালকরা। এ সময় মিরপুর ও পল্লবীর কালশীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। বিকেলে কালশীর ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ চালকরা। এর আগে সকালে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষাভ করে তারা। এ সময় ১০-১২টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। দীর্ঘ সময় সেখানে যান চলাচল বন্ধ থাকায় যানজটে দুর্ভোগে পড়েন অনেকে। থেমে থেমে দিনভর মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক বন্ধ করে প্রতিবাদ করে অটোরিকশাচালকরা। তাদের বিক্ষোভের কারণে রাত পর্যন্ত যানজটে দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে।
২ ঘণ্টা আগে

২৫০০ অটোরিকশাচালকদের বিরুদ্ধে মামলা
ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে ঢাকায় দিনভর সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও কালশী মোড়ে ট্র্যাফিক পুলিশের একটি বক্স পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রায় ২৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।  জানা যায়, অটোরিকশাচালকদের বিরুদ্ধে তিন থানায় ৪টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে পল্লবী থানায় দুটি, কাফরুল থানায় একটি ও মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।  পল্লবী থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার (২০ মে) মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, রোববার দিবাগত রাতে মিরপুরের পল্লবী থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। একটি মামলা পল্লবী থানা পুলিশ ও আরেকটি মামলা পল্লবী ট্র্যাফিক জোন থেকে দায়ের করা হয়।  অন্যদিকে কাফরুল থানা ও মিরপুর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।  পল্লবী থানায় দায়ের করা মামলা দুটির নথি থেকে দেখা যায় এসআই মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে যে মামলাটি করেছেন সেটিতে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে ১০০০ থেকে ১২০০ জনকে।  অন্যদিকে একই থানায় ট্র্যাফিক মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিমের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলার বাদী সার্জেন্ট মিন্টু চন্দ্র দে। এতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে।
৬ ঘণ্টা আগে

অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে লাঠিসোঁটা নিয়ে সড়কে চালকরা
রাজধানী ঢাকার দুই সিটিতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে রাজধানীর আগারগাঁও ও মিরপুর-১০ নম্বরে লাঠিসোঁটা নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন চালকরা। রোববার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তারা মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে অবস্থান নেন।  জানা গেছে, মিরপুর-১০ নম্বরে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করছেন চালকরা। এ সময় রাস্তায় কোনো গাড়ি, মোটরসাইকেল, সিএনজি দেখলেই লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করছেন তারা।  এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সী সাব্বির আহম্মেদ বলেন, রিকশাচালকরা মিরপুর-১০ মোড়ে অবস্থান নেন। তারা অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে সড়কের বিভিন্ন পাশে বিক্ষোভ করছেন। এর আগে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত ১৫ মে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭-এর অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঢাকার দুই সিটি মেয়র, বিআরটিএ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। তবে শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
১৯ মে, ২০২৪

জামালপুরে ধর্মঘট পালন করছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা
পুলিশি হয়রানি ও যত্রতত্র মামলা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে জামালপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু হয়েছে। রোববার (১৯ মে) সকাল থেকে এ ধর্মঘট পালন করছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকরা। জানা গেছে, শনিবার (১৮ মে) দিনে জেলার বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ৬৫টি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে মামলা দেয় পুলিশ। এর আগেও বেশকিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালককে মামলা দেওয়া হয়। এ নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক ও শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ তৈরি হয়। এ কারণে শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে আজ সকাল থেকে ধর্মঘট পালন করেছেন অটোরিকশার চালকরা। হঠাৎ এমন অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। সরেজমিনে জামালপুর শহরের ভোকেশনাল মোড় এবং শেখের ভিটা সিএনজি স্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, ভোকেশনাল মোড়ে কোনো সিএনজিচালিত অটোরিকশা নেই। শেখের ভিটা স্ট্যান্ডে দু-চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থাকলেও তারা কোনো যাত্রী বহন করছেন না, যাত্রী আসলে তারা ফিরিয়ে দিচ্ছেন। উপস্থিত একাধিক চালক জানান, পুলিশ বিভিন্নভাবে তাদের হয়রানি করছে, ইচ্ছেমতো মামলা দিচ্ছে। তারই প্রতিবাদে তাদের এই ধর্মঘট। জানা গেছে, জামালপুর শহরের পাঁচটি পয়েন্ট থেকে জেলার সাত উপজেলাসহ ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, শেরপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী, রাজিবপুরগামী প্রায় দুই হাজারের মতো সিএনজিচালিত অটোরিকশা যাতায়াত করে। ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন জামালপুরে যাতায়াতকারী অটোরিকশার যাত্রীরা। প্রতিদিন জামালপুরে ৪০ থেকে ৫০ হাজার যাত্রী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাতায়াত করেন। সিএনজি চালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ডগুলো ইজিবাইকের দখলে আছে সকাল থেকেই। এ বিষয়ে জানতে জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাপ আলী ও সাধারণ সম্পাদক আজাদ খানকে ফোন করা হলে তাদের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন নান্দিনা বাজার শাখার সহসভাপতি কাইয়ুম মজনু জানান, বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে মামলা দেওয়ায় জেলা শাখার নির্দেশে এ ধর্মঘট চলছে। জানতে চাইলে জেলা পুলিশের এডিশনাল এসপি সোহেল মাহমুদ কালবেলাকে জানান, সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী বিভিন্ন অনিয়মে সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে মামলা দেওয়া হয়েছে। অযথা কাউকে হয়রানি করা হয়নি। কোনো পুলিশ ব্যক্তিগতভাবে অনিয়ম করলে প্রমাণ সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৯ মে, ২০২৪

পুলিশ বক্সের সামনেই অটোরিকশা স্ট্যান্ড, টাকা দিলেই মেলে চালানোর অনুমতি
মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধে ভূমিকা রাখার কথা থাকলেও রীতিমতো পুলিশ বক্সের সামনেই বসেছে অটোরিকশার স্টপেজ। যাত্রী ওঠানামা চলছে দেদারছে। ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল পুলিশ বক্সের সামনে গিয়ে দেখা মেলে এমন দৃশ্যের। অটোরিকশা চালকদের দাবি, পুলিশকে নিয়মিত ১ হাজার থেকে পনেরশ টাকা দিয়ে অটোরিকশা চালাচ্ছেন তারা। আর মাসিক অর্থ না দিলে রেকার করানো হয় অটোরিকশা।  পুলিশের দাবি, অটোরিকশা বন্ধে নিয়মিত রেকারিং করা হচ্ছে। তবে পুলিশ বক্সের সামনে অটোরিকশা স্টপেজের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) খসরু পারভেজ। রোববার (৫ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবীনগর-চন্দ্রা, বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর মহাসড়কজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা। এসব অটোরিকশা যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছে বাইপাইলের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে। এছাড়া মহাসড়কের নবীনগরগামী লেনে অন্তত শতাধিক অটোরিকশা অপেক্ষমাণ থাকতে দেখা যায়। একই অবস্থা মহাসড়কের চন্দ্রাগামী লেনেও। অটোরিকশা চালকদের দাবি, রেকার করা হলে পুলিশ প্রতিটি অটোরিকশা ছাড়ানোর জন্য ২ হাজার ৬০০ করে টাকা নেয়। তবে মাসিক ১ হাজার টাকা করে মাসিক ভিত্তিতে দিলে সেসব অটোরিকশা ধরা হয় না। বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে অটোরিকশা নিয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুলিশ ধরে। টাকা দিলে ছেড়ে দেয়। জাকারুল ইসলাম নামে আরেক চালক বলেন, মহাসড়কে ওঠা নিষেধ। মাসে মাসে টাকা নেয়। গত ২৪ তারিখ ১ হাজার টাকা দিয়েছি। আবার আগামী মাসে দিতে হবে। তাহলে ধরবে না। এদিকে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে অটোরিকশা স্টপেজ নিয়ে কথা হয় বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) খসরু পারভেজ সঙ্গে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি রেকারের মামলার স্লিপ নিয়ে আসেন। মাসিক ভিত্তিতে টাকা নিয়ে অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি এসপি ও সাভার হাইওয়ে পুলিশের ওসির সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এ বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার, মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এসব বিষয়ে আমরা কাজ করছি। কীভাবে অটোরিকশা সমস্যা সমাধানে কাজ করা যায় তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। পুলিশ টাকা নিয়ে চালাতে দিচ্ছে এমন প্রশ্ন বিব্রতকর। এসবের প্রমাণ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু বাইপাইল না, অনেক জায়গায় কাজ করছি। জেলা ট্রাফিক কাজ করছে।
০৬ মে, ২০২৪

কাভার্ডভ্যান চালকের নেতৃত্বে ৯ মাসে শতাধিক অটোরিকশা ছিনতাই
রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে চালককে অজ্ঞান করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই ও চালক নিহতের ঘটনায় চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গত শনিবার রাজধানীর মুগদা মানিক নগর ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি চোরাই অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলো ছিনতাই চক্রের মূলহোতা মো. শরীফুল ইসলাম (৩২), তার অন্যতম সহযোগী চান্দু (৪০), চোরাই রিকশা কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ফুল মিয়া (৫৯) ও মো. আল আমিন (৩৮)। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম। তিনি জানান, গত ৮ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে আপডাউনের কথা বলে চালক শাহ আলম মিয়ার অটোরিকশা ঠিক করে আসামিরা। এরপর মাঝপথে কৌশলে চালককে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় ছিনতাই চক্রের মূলহোতা শরীফুল ইসলাম। সে পেশায় কাভার্ডভ্যান চালক। ৯ মাস আগে শরীফুল যে কাভার্ডভ্যান চালাত, সেটি মালিক বিক্রি করে দেওয়ায় বেকার হয়ে যায় সে। এরপর একজনের মাধ্যমে অটোরিকশা চুরির কৌশল শেখে শরীফুল। শরীফুলের চক্র তিনজনের। তারা প্রতি সপ্তাহে অন্তত চারটি অটোরিকশা ছিনতাই করত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে রামপুরা থানার বনশ্রী এলাকা থেকে শাহ আলমের অটোরিকশায় উঠে চক্রের দুজন। কৌশলে ছিনতাই করে তার রিকশা। শাহ আলমকে অজ্ঞান অবস্থায় স্বজনরা উদ্ধার করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ এপ্রিল তিনি মারা যান। ডিসি হায়াতুল বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে বনশ্রী ও খিলগাঁও এলাকার শতাধিক সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে শরীফুল ইসলাম, তার সহযোগী চান্দু ও শাহাবুদ্দিনকে শনাক্ত করা হয়। শনিবার রাতে মুগদা থানার মানিক নগর এলাকা থেকে শরীফুল ও চান্দুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩২টি চেতনানাশক ট্যাবলেট ও একটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চোরাই অটোরিকশা কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ফুল মিয়া ও আল আমিনকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে সাতটি চোরাই অটোরিকশা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার শরীফুল প্রাথমিকভাবে শতাধিক অটোরিকশা চুরির কথা স্বীকার করেছে। তারা শাহ আলমের অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরও অন্তত ৯টি অটোরিকশা ছিনতাই করেছে। এই চক্রের অন্য সদস্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
০৬ মে, ২০২৪

সিএনজি ও অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে দুই সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক সিএনজিচালক নিহত ও পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার শাকপুরা ইউনিয়নের মিলিটারীপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সিএনজিচালকের নাম মো. ওসমান (৪২)। নিহত ওসমান পটিয়া উপজেলার চরকানাই হাবিলাসদ্বীপ ৫ নম্বর ওয়ার্ড আদম পাড়ার মাওলানা হারুনুর রশিদের বাড়ির মো. আইয়ুব আলী ছেলে। তার ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। আহতরা হলেন- মো. তুষার, লায়লা বেগম, পেয়ার মোহাম্মদ, মোজাম্মিল ও নুর বেগম। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সন্ধ্যায় মিলিটারীপুল এলাকায় দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন আহত হয়। স্থানীয়রা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। নিহত ওসমানের এলাকাবাসী মো. আজাদ বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওসমানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতরা গুরুতর অবস্থায় মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
০৩ মে, ২০২৪

অটোরিকশা ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
যশোরের অভয়নগরে চালককে আহত করে অটোরকিশা ছিনতাই করার সময় গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (১ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার উপজেলার ভুলোপাতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম পিয়ারুল ইসলাম। তিনি সাতক্ষীরা সদর এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানান, রাত ১০টার দিকে নিহত পিয়ারুল ও তার সহযোগী নওয়াপাড়া থেকে জামিরা যাওয়ার কথা বলে অটোরিকশা ঠিক করে। চালক তাদের নিয়ে ভুলোবাতা বিলের মাঝামাঝি পৌঁছলে পূর্ব থেকে অবস্থান করা দুই ব্যক্তি অটোরিকশাটি আটকায়। যাত্রী বেশে থাকা দুজনসহ তারা চালক রাজুর কাছে চাবি চাইলে তিনি দিয়ে দেন। তখন নিহত পিয়ারুল রাজুকে বলে, তোর কাছ থেকে এভাবে ইজিবাইক নেব না বলেই ইট দিয়ে চালক রাজুর মাথায় আঘাত করে। রাজু ছিনতাইকারী পিয়ারুলকে ধরে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অন্য তিনজন পালিয়ে যায়। তখন পিয়ারুলকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  অভয়নগর থানার ওসি এস এম আকিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, রাতে খবর পেয়ে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। ভুলোপাতা এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বিষয়টি তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে মামলা করা হয়েছে।
০২ মে, ২০২৪

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল অটোরিকশা চালকের
ফেনী-সোনাগাজী আঞ্চলিক সড়কে অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আবু সাঈদ সুমন (২৮) নামে এক চালকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১ মে) ভোরে আবুল মামার দরবার নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত আবু সাঈদ সুমন সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরখোয়াজ গ্রামের হামিদ আলী মাঝি বাড়ির নুরুল আবছারের বড় ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১ মে) ভোরে আবু সাঈদ সুমন বাড়ি থেকে বের হয়ে সিএনজি অটোরিকশায় গ্যাস ভরার জন্য ফেনীর দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ফেনী-সোনাগাজী আঞ্চলিক সড়কের মতিগঞ্জ ইউনিয়নের আবুল মামার দরবার নামক স্থানে সিএনজি অটোরিকশার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় উল্টে যায়। এতে চালক সুমন মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে সুমন শ্বশুর বাড়িতে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে বমি শুরু হলে তার পরিবারের সদস্যরা ফেনী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় বলেন, যতটুকু জেনেছি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি রাস্তায় উল্টে যায় এবং চালকের মাথায় আঘাত পায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেনী সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
০১ মে, ২০২৪
X