মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধে ভূমিকা রাখার কথা থাকলেও রীতিমতো পুলিশ বক্সের সামনেই বসেছে অটোরিকশার স্টপেজ। যাত্রী ওঠানামা চলছে দেদারছে। ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল পুলিশ বক্সের সামনে গিয়ে দেখা মেলে এমন দৃশ্যের।
অটোরিকশা চালকদের দাবি, পুলিশকে নিয়মিত ১ হাজার থেকে পনেরশ টাকা দিয়ে অটোরিকশা চালাচ্ছেন তারা। আর মাসিক অর্থ না দিলে রেকার করানো হয় অটোরিকশা।
পুলিশের দাবি, অটোরিকশা বন্ধে নিয়মিত রেকারিং করা হচ্ছে। তবে পুলিশ বক্সের সামনে অটোরিকশা স্টপেজের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) খসরু পারভেজ।
রোববার (৫ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবীনগর-চন্দ্রা, বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর মহাসড়কজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা। এসব অটোরিকশা যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছে বাইপাইলের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে। এছাড়া মহাসড়কের নবীনগরগামী লেনে অন্তত শতাধিক অটোরিকশা অপেক্ষমাণ থাকতে দেখা যায়। একই অবস্থা মহাসড়কের চন্দ্রাগামী লেনেও।
অটোরিকশা চালকদের দাবি, রেকার করা হলে পুলিশ প্রতিটি অটোরিকশা ছাড়ানোর জন্য ২ হাজার ৬০০ করে টাকা নেয়। তবে মাসিক ১ হাজার টাকা করে মাসিক ভিত্তিতে দিলে সেসব অটোরিকশা ধরা হয় না।
বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে অটোরিকশা নিয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুলিশ ধরে। টাকা দিলে ছেড়ে দেয়।
জাকারুল ইসলাম নামে আরেক চালক বলেন, মহাসড়কে ওঠা নিষেধ। মাসে মাসে টাকা নেয়। গত ২৪ তারিখ ১ হাজার টাকা দিয়েছি। আবার আগামী মাসে দিতে হবে। তাহলে ধরবে না।
এদিকে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে অটোরিকশা স্টপেজ নিয়ে কথা হয় বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) খসরু পারভেজ সঙ্গে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি রেকারের মামলার স্লিপ নিয়ে আসেন। মাসিক ভিত্তিতে টাকা নিয়ে অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি এসপি ও সাভার হাইওয়ে পুলিশের ওসির সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার, মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এসব বিষয়ে আমরা কাজ করছি। কীভাবে অটোরিকশা সমস্যা সমাধানে কাজ করা যায় তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। পুলিশ টাকা নিয়ে চালাতে দিচ্ছে এমন প্রশ্ন বিব্রতকর। এসবের প্রমাণ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু বাইপাইল না, অনেক জায়গায় কাজ করছি। জেলা ট্রাফিক কাজ করছে।
মন্তব্য করুন