সাভার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪, ০৩:৫৪ এএম
আপডেট : ০৬ মে ২০২৪, ০৭:৪১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

পুলিশ বক্সের সামনেই অটোরিকশা স্ট্যান্ড, টাকা দিলেই মেলে চালানোর অনুমতি

বাইপাইল ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের কার্যালয়ের সামনেই অটোরিকশা স্ট্যান্ড। ছবি : কালবেলা
বাইপাইল ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের কার্যালয়ের সামনেই অটোরিকশা স্ট্যান্ড। ছবি : কালবেলা

মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধে ভূমিকা রাখার কথা থাকলেও রীতিমতো পুলিশ বক্সের সামনেই বসেছে অটোরিকশার স্টপেজ। যাত্রী ওঠানামা চলছে দেদারছে। ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল পুলিশ বক্সের সামনে গিয়ে দেখা মেলে এমন দৃশ্যের।

অটোরিকশা চালকদের দাবি, পুলিশকে নিয়মিত ১ হাজার থেকে পনেরশ টাকা দিয়ে অটোরিকশা চালাচ্ছেন তারা। আর মাসিক অর্থ না দিলে রেকার করানো হয় অটোরিকশা।

পুলিশের দাবি, অটোরিকশা বন্ধে নিয়মিত রেকারিং করা হচ্ছে। তবে পুলিশ বক্সের সামনে অটোরিকশা স্টপেজের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) খসরু পারভেজ।

রোববার (৫ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবীনগর-চন্দ্রা, বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর মহাসড়কজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা। এসব অটোরিকশা যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছে বাইপাইলের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে। এছাড়া মহাসড়কের নবীনগরগামী লেনে অন্তত শতাধিক অটোরিকশা অপেক্ষমাণ থাকতে দেখা যায়। একই অবস্থা মহাসড়কের চন্দ্রাগামী লেনেও।

অটোরিকশা চালকদের দাবি, রেকার করা হলে পুলিশ প্রতিটি অটোরিকশা ছাড়ানোর জন্য ২ হাজার ৬০০ করে টাকা নেয়। তবে মাসিক ১ হাজার টাকা করে মাসিক ভিত্তিতে দিলে সেসব অটোরিকশা ধরা হয় না।

বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে অটোরিকশা নিয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুলিশ ধরে। টাকা দিলে ছেড়ে দেয়।

জাকারুল ইসলাম নামে আরেক চালক বলেন, মহাসড়কে ওঠা নিষেধ। মাসে মাসে টাকা নেয়। গত ২৪ তারিখ ১ হাজার টাকা দিয়েছি। আবার আগামী মাসে দিতে হবে। তাহলে ধরবে না।

এদিকে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে অটোরিকশা স্টপেজ নিয়ে কথা হয় বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) খসরু পারভেজ সঙ্গে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি রেকারের মামলার স্লিপ নিয়ে আসেন। মাসিক ভিত্তিতে টাকা নিয়ে অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি এসপি ও সাভার হাইওয়ে পুলিশের ওসির সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার, মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এসব বিষয়ে আমরা কাজ করছি। কীভাবে অটোরিকশা সমস্যা সমাধানে কাজ করা যায় তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। পুলিশ টাকা নিয়ে চালাতে দিচ্ছে এমন প্রশ্ন বিব্রতকর। এসবের প্রমাণ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু বাইপাইল না, অনেক জায়গায় কাজ করছি। জেলা ট্রাফিক কাজ করছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

করলা চাষে দ্বিগুণ লাভে খুশি কৃষক

আপেল বাগান দেখতে প্রতিদিন শতশত মানুষের ভীড়

জিপিএ-৫ পেয়েও অর্থাভাবে কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হালিমার

আম কুড়াতে গিয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর

কর্ণফুলীর বালুচরে সবুজের বিপ্লব

বেড়া পাউবো / ৩৭ কর্মকর্তার বদলির আবেদনে তোলপার

সুনামগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব ২০ পরিবার

জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বল ভ্যান হারিয়ে দিশেহারা পরিবার

নিউটনের ‘ভয়ংকর’ যৌন নিপীড়নের তথ্য দিল র‍্যাব

যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

১০

ট্রাক্টর চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

১১

ঢাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে শিক্ষার্থী খুন

১২

ছাত্রলীগ কর্মীকে বেধড়ক কোপাল প্রতিপক্ষরা

১৩

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম

১৪

অবশেষে লালমনিরহাটে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি

১৫

মিষ্টি বিতরণের ধুম / চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

১৬

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত

১৭

টানা কয়েকদিন বৃষ্টির আভাস

১৮

পৃথিবীর যে স্থানে কেউ যেতে পারে না

১৯

সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় মামলা

২০
X