ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ দিনাজপুরের জনজীবন
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় হঠাৎ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। একদিকে বৈশাখের তীব্র তাপপ্রবাহ, অন্যদিকে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের জাঁতাকলে অতিষ্ঠ জনসাধারণ। দিনে রাতে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না। বিঘ্ন হচ্ছে হাটবাজার ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। দিনে তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। ইরি বোরো আমনের ক্ষেতে সেচ দিতে সংকটে পড়েছেন কৃষকরা। লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা বলেন, কয়েক দিন ধরে দিনে রাতে চলছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। ক্লান্ত শরীরে রাতে ঘুমাতে গেলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর আসে। এরপর আধা ঘণ্টা কিংবা এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। দিনরাতে কয়েক দিন ধরে এভাবেই চলছে বিদ্যুতের যাওয়া আসা। দিনে বিদ্যুৎ থাকে না তাই ভ্যাপসা গরমে ঘরে টিকে থাকাও যায় না। এদিকে গরমের তীব্রতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে দুর্ভোগে হয় আরও তীব্রতর। দিনরাত মিলিয়ে এক টানা দেড় ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে দুর্ভোগে বাড়ছে। ঘন ঘন লোডশেডিং এবং প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে হাটবাজারে লোকসমাগমও কমে গেছে। বিপণিবিতানগুলোও থাকছে ক্রেতাশূন্য। দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম বিপুল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহে সারাদেশে লোড বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হচ্ছে। এ কারণেই ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। আমাদের উপজেলায় ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে পাচ্ছি মাত্র ৫-৬ মেগাওয়াট। এই অবস্থায় লোডশেডিং দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। আশা করি, দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে।  বিপুল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্রিড থেকে দুটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়, এখন একটি চালু আছে আর একটি বন্ধ আছে। এ অঞ্চলে ৮৭ শতাংশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলে কোনো লোডশেডিং হতো না। সেখানে আমরা ৬১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি, ফলে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। আমরা পল্লী বিদ্যুৎ নিজে উৎপাদন করতে পারি না, পিডিপির কাছ থেকে ৬.৫৬ টাকা প্রতি ইউনিট কিনে নিয়ে ৫.২৫ টাকায় বিক্রি করি। 
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ গুচ্ছের পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা
গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা চলবে। তীব্র গরমে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের এক প্রকার নাভিশ্বাস অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা অবিভাবকেরা হাত পাখা নেড়ে তাদের প্রিয় সন্তানদের একটু স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে আসা পরীক্ষার্থীদের ঠিক এ চিত্রই দেখা গেছে।  উত্তরা থেকে আসা লামিয়া খাতুন নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, প্রচন্ড গরমে মাথা ব্যাথা করছে। সঙ্গে এত মানুষের চাপে শরীর প্রচন্ড ঘামছে। আমার সঙ্গে আসা আমার বড় বোন হাত পাখা দিয়ে বাতাস করেই যাচ্ছে। তারপরও তেমন কোনো স্বস্তি পাচ্ছি না।  পরীক্ষার্থীর সঙ্গে আসা রোকসানা বেগম নামে এক অবিভাবক বলেন, প্রচন্ড গরমে আমা মেয়ে ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে গেছে। এমনিতেই একপ্রকার ভয় কাজ করছে অন্যদিকে তীব্র গড়ম। তারপরও কি আর করার পরীক্ষা তো দিতেই হবে। শুধু আমার মেয়ে নয় সকল পরীক্ষার্থীদের একই অবস্থা। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের বসার ব্যবস্থা ও খাবার পানির ব্যবস্থা করায় কিছুটা হলেও স্বস্তি অনুভব করছি। গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ), চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর), সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুনামগঞ্জ) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
পাবনার আটঘরিয়ায় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। বসন্তের দিন ফুরিয়ে রুক্ষ প্রকৃতিতে এখন কেবলই সূর্যের সীমাহীন উত্তাপ। বৈশাখের পূর্ব থেকেই খরতাপে পুড়ছে দেশ। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। তীব্র অসহনীয় গরমে সবচেয়ে কষ্টে আছেন দিনমজুর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। রৌদ্র ও গরমের তীব্রতা এতটাই বেশি যে, বাইরে কাজে বের হয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। জীবিকার তাগিদে উপায়ান্ত না পেয়ে তীব্র রোদেই কাজে বের হতে হয় খেটে খাওয়া মানুষদের। দিনমজুর থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে অন্য সবার চেয়ে বেশি। পারখিদিরপুর এলাকার ভ্যানচালক কালাম বলেন, আমাদের মতো গরিবদের আর গরম, মরলে কি? বাঁচলেইবা কি? জীবিকার তাগিদে সড়কে বের হতেই হয়।  উপজেলার রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষদের মন্তব্য প্রায় একই। বৈশাখের ২য় ও ৩য় দিনে সোমবার-মঙ্গলবার তীব্র গরমে নাজেহাল এলাকাবাসী। গত কয়েক দিন ধরেই পুড়ছে জনজীবন। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। দিনে তীব্র গরমের পর রাতেও নেই স্বস্তি। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে। আগের মতো বড় বড় গাছ নেই, পুকুর নেই, খাল নেই। এসব কারণে বাতাসের সঙ্গে ময়েশ্চার বহন করে না, সবকিছু শুষ্ক হয়ে যাওয়ায় গরমের তীব্রতা বাড়ছে। গরমে পানিশূন্যতাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হঠাৎ গরম বেড়ে যাওয়ায় পেশাজীবী, শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে রিকশা-ভ্যানচালকদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তীব্র গরমে পানিশূন্যতা কিংবা হিটস্ট্রোক এড়াতে একটানা কাজ না করে বিশ্রাম নিয়ে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

তীব্র তাপদাহেও লোডশেডিং, অতিষ্ঠ জনজীবন
বগুড়ায় তীব্র তাপদাহে পুড়ছে জনজীবন। টানা কয়েক দিনের তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চপর্যবেক্ষক আব্দুর রশিদ জানান, বগুড়ায় মঙ্গলবার সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব কম।  এদিকে, তীব্র গরম ও লোডশেডিয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ছায়া পেলেই সেই স্থানে দাঁড়িয়ে শরীরকে ঠান্ডা করার চেষ্টা করছেন অনেকেই। এ ছাড়া শহরে ভ্রাম্যমাণ শরবতের দোকানেও ভিড় জমিয়ে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন অনেকে।  কাহালু থেকে শহরে রিকশা চালাতে আসা ফজলু মিয়া বলেন, ‘বৈশাখের এই তীব্র রোদের কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। এত গরম যে রাস্তায় দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। গরমের কারণে মানুষ কম বের হচ্ছে। ফলে ভাড়াও কমে গেছে। বগুড়া সদরের শাখারিয়া এলাকার কৃষক রফিকুল হোসেন বলেন, তীব্র রোদে মাঠে কাজ করতে পারিনি। এজন্য ভোরে বাড়ি থেকে বের হই। রোদের তাপ বাড়ার আগেই বাড়ি ফিরে আসি। এতে ফসলের যত্ন নিতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে।  আহম্মদ উল্লাহ নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, একে তো তীব্র গরম আর এই গরমে বাসায় বিদ্যুৎ থাকে না। বাসায় ছোট বাচ্চা আছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। শহরের সাতমাথায় শরবত বিক্রেতা এনামুল মিয়া বলেন, রোদের যে তাপ এতে শরবত বিক্রি বেড়েছে। মানুষ ঠান্ডা পানীয় খেয়ে তাদের শরীর ও মনকে ঠান্ডা করছে। বিক্রি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।  চাহিদা অনুযায়ী মেগাওয়াট না পাওয়ার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে বলে জানান বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ১ জেনারেল ম্যানেজার মোনয়ারুল ইসলাম ফিরোজী। তিনি বলেন, আমার এরিয়াতে ৮০-৮৬ মেগাওয়াটের চাহিদা রয়েছে। চাহিদামতো না পাওয়ায় ১৪ থেকে ২০ শতাংশ সময় লোডশেডিং হচ্ছে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সিরাজগঞ্জে মৃদু তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ
বৈশাখের শুরুতেই মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে চলায় যমুনাপাড়ের শহর সিরাজগঞ্জের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকেই ভ্যাপসা গরম পড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের প্রখরতা। এতে পুরো শহরে তীব্র উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছে চরম বিপাকে। নির্মাণ শ্রমিক, মাটিকাটা শ্রমিক, তাঁত শ্রমিক, রিকশা শ্রমিকদের গরমে হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে। একটু কাজ করার পরই হাঁপিয়ে পড়ছেন তারা। কথা হয় সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের ফুটপাতের ক্ষুদ্র ফল, সবজি ও কাপড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। তারা বলেন, প্রচণ্ড গরমে মানুষ অতিষ্ঠ। দোকানে আসছে না ক্রেতারা। ঠিকমতো বেচাকেনাও হচ্ছে না। তার ওপর প্রচণ্ড সূর্যের উত্তাপে ফুটপাতে বসে থাকাও যাচ্ছে না। বৈশাখের শুরু থেকেই যে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য করাই দায়। একদিন বেচাকেনা না করতে পারলে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। রিকশাচালক আমিনুল, ফরিদুল ও আবু তালেব বলেন, গরমে শহরে মানুষের সংখ্যা কমে গেছে। তাই ভাড়াও ঠিকমতো হচ্ছে না। নির্মাণ শ্রমিক নজরুল ও দুলাল বলেন, এই গরমে বালু বা ইটের বোঝা মাথায় নিয়ে কাজ করা অনেক কষ্টকর। তাই শ্রমিকরা বিশ্রাম নিয়ে কাজ করছে। এর ফলে কাজের অগ্রগতিও হচ্ছে না। তাড়াশ আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিরাজগঞ্জের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। এ অবস্থা আরও সপ্তাহখানেক চলতে পারে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

ফেনীতে ১৫-১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং, অতিষ্ঠ জনজীবন
ফেনীর সোনাগাজীতে নজিরবিহীন লোডশেডিং চলছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। গত এক সপ্তাহ সোনাগাজীর অধিকাংশ এলাকায় দৈনিক ৬ ঘণ্টাও ঠিকমত বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়নি। সর্বত্র যখন দাবদাহে মানুষ হাঁপিয়ে উঠছে ঠিক তখনই এই লোডশেডিং। বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। সকাল, দুপুর কিংবা রাতে দীর্ঘ সময়ের লোডশেডিংয়ে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। রোদ ও ভ্যাপসা গরমে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে অনেকে বিরক্তি প্রকাশ করে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট। বিদ্যুৎ সেবা প্রদানের জন্য অভিযোগ নম্বরে ফোন করা হলেও কোনো সাড়া মিলছে না বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষের। এক সময় শুধু সন্ধ্যার সময় লোডশেডিং হলেও সম্প্রতি দিনে ও রাতে চলছে লোডশেডিং। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। তা ছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেও মিনিমাম চার্জ দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের। বিদ্যুতের অভাবে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বিঘ্ন ঘটছে। লম্বা সময় লোডশেডিং থাকায় ফ্রিজে থাকা দ্রব্যসামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সোনাগাজী বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুল আলম বলেন, সোনাগাজী উপজেলায় ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। গত এক সপ্তাহ ধরে একটানা লোডশেডিং চলছেই, বিদ্যুৎ গেলে আসার খবর নেই। সাহেবের হাটস্থ ড্রীম এগ্রো ফিডস-এর চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন আহমেদ জানান, সকাল, দুপুর কিংবা রাতে দীর্ঘ সময়ের লোডশেডিংয়ে উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। মতিগঞ্জ ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন হেলাল জানান, গত বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং ছিল আমাদের এলাকায়।  সোনাগাজী বাজারের মুসল্লিরা জানান, বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় মসজিদের নামাজ আদায়ের সময় প্রচণ্ড গরমে সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে তারাবিহ নামাজের সময় অবস্থা বেশি খারাপ। ইফতার-সেহরিতে বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকেনা। এ বিষয়ে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সোনাগাজী জোনাল অফিসের ডিজিএম বলায় মিত্র বলেন, গরম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ এর চাহিদা বেড়ে গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব আমাদের, কিন্তু আমরা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পেলে গ্রাহকদের সরবরাহ করব কিভাবে। আমাদের চাহিদা বেশি কিন্তু বরাদ্দ কম। এ জন্য এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিদিন সোনাগাজী উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা পিক আওয়ারে ১৬-১৭মেগাওয়াট, অফ-পিক আওয়ারে ১১-১২মেগাওয়াট। জাতীয় গ্রিড থেকে আমরা পাচ্ছি ৩-৫ মেগাওয়াট, তাই বাধ্য হয়েই লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে লোডশেডিং নিয়ে কথা বলেছি। বিদ্যূৎ বিভাগ জানিয়েছে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিং নিয়ে আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। এটা শুধু সোনাগাজী না সারাদেশেই এ রকম হচ্ছে। এ সমস্যা বেশি দিন থাকবে না।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ঠ জনজীবন
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় হঠাৎ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। একদিকে চৈত্রের গরম অন্য দিকে লোডশেডিংয়ের জাঁতাকলে বিপর্যস্ত এলাকাবাসী। দিনে রাতে ৫-৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। বিঘ্ন হচ্ছে ঈদের বেচাকেনা ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। দিনে তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন রোজাদার ও খেটে খাওয়া মানুষ। আউশ ও রোপা আমনের ক্ষেতে সেচ দিতে সংকটে পড়েছেন কৃষক। লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা বলেন, কয়েক দিন ধরে দিনে রাতে চলছে বিদ্যুৎ এর ভেল্কিবাজি। রোজা রেখে ক্লান্ত শরীরে রাতে ঘুমতে গেলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর আসে। এরপর আধা ঘণ্টা কিংবা এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। দিনে রাতে কয়েক দিন ধরে এভাবেই চলছে বিদ্যুতের যাওয়া আসা। দিনে বিদ্যুৎ থাকে না তাই ভ্যাপসা গরমে ঘরে টিকে থাকাও যায় না। এদিকে গরমের তীব্রতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে দুর্ভোগে হয় আরও তীব্রতর। দিনরাত মিলিয়ে একটানা দেড় ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে দুর্ভোগে বাড়ছে। ঘন ঘন লোডশেডিং এবং প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে হাটবাজারে লোকসমাগমও কমে গেছে।  বিপণিবিতানগুলোয়ও থাকছে ক্রেতাশূন্য।   ঘোড়াঘাট জোনাল অফিস দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডিজিএম কামরুজ্জামান বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহে সারাদেশে লোড বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হচ্ছে। এ কারণেই ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। আমাদের উপজেলায় ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে পাচ্ছি মাত্র ৫-৬ মেগাওয়াট। এই অবস্থায় লোডশেডিং দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। আশা করি, দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। গত কয়েকদিন ধরেই চলছে এমন। রোজার মাসে এমন গরম থেকে রেহাই পেতে বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছে অনেকে। এ পরিস্থিতিতে দেশের ৩ বিভাগে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এরপর পরেরদিন শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। 
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

কলেজের সামনে গলানো হচ্ছে বিটুমিন, ধোঁয়া-দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় কলেজের পাশে বিটুমিন গলিয়ে সড়ক নির্মাণসামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে। এতে ধোঁয়া, শব্দ ও দুর্গন্ধে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করা দায় হয়ে পড়েছে।  পৌরসভার সাজিউড়া সড়কের পাশের পারভিন সিরাজ মহিলা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ ভোগান্তিতে রয়েছেন। কলেজটির সামনের সড়কের পাশের খালি জায়গায় এ কর্মযজ্ঞ চলছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সরেজমিনে দেখা যায়, কলেজ ফটকের সামনে বিটুমিন ও পাথর মিক্সিং করতে রাবার প্লাস্টিকের পুরোনো জিনিসপত্র, ছেঁড়া কাঁথা পোড়ানো হচ্ছে। এতে কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন চারপাশ। সে সঙ্গে চারদিকে দুর্গন্ধ, কালো ছাই উড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভেতরে প্রবেশ করছে। এর সঙ্গে আছে মেশিনের বিকট শব্দ।  শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ ধরনের কাজ চলায় কলেজে যেমন কষ্ট হচ্ছে তেমনি বাইরেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সুষ্ঠু পরিবেশে পাঠদান নিশ্চিতে তারা সচেতন মহল ও উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন। তবে কলেজটির অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলামের অভিমত ভিন্ন। তিনি জানান, পরিবেশ দূষণের বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছেন। এতে কোনো সমস্যা দেখছেন না তিনি। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বলেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে রাস্তার নির্মাণসামগ্রী রেখে এবং পরিবেশ দূষণকারী বিভিন্ন পদার্থ পুড়িয়ে শব্দ ও পরিবেশ দূষণ করছে এ রকম কোনো অভিযোগ পাইনি। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
১৯ মার্চ, ২০২৪
X