দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় হঠাৎ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। একদিকে চৈত্রের গরম অন্য দিকে লোডশেডিংয়ের জাঁতাকলে বিপর্যস্ত এলাকাবাসী। দিনে রাতে ৫-৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। বিঘ্ন হচ্ছে ঈদের বেচাকেনা ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। দিনে তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন রোজাদার ও খেটে খাওয়া মানুষ। আউশ ও রোপা আমনের ক্ষেতে সেচ দিতে সংকটে পড়েছেন কৃষক।
লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা বলেন, কয়েক দিন ধরে দিনে রাতে চলছে বিদ্যুৎ এর ভেল্কিবাজি। রোজা রেখে ক্লান্ত শরীরে রাতে ঘুমতে গেলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর আসে। এরপর আধা ঘণ্টা কিংবা এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। দিনে রাতে কয়েক দিন ধরে এভাবেই চলছে বিদ্যুতের যাওয়া আসা। দিনে বিদ্যুৎ থাকে না তাই ভ্যাপসা গরমে ঘরে টিকে থাকাও যায় না।
এদিকে গরমের তীব্রতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে দুর্ভোগে হয় আরও তীব্রতর। দিনরাত মিলিয়ে একটানা দেড় ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে দুর্ভোগে বাড়ছে। ঘন ঘন লোডশেডিং এবং প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে হাটবাজারে লোকসমাগমও কমে গেছে। বিপণিবিতানগুলোয়ও থাকছে ক্রেতাশূন্য।
ঘোড়াঘাট জোনাল অফিস দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডিজিএম কামরুজ্জামান বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহে সারাদেশে লোড বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হচ্ছে। এ কারণেই ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। আমাদের উপজেলায় ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে পাচ্ছি মাত্র ৫-৬ মেগাওয়াট। এই অবস্থায় লোডশেডিং দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। আশা করি, দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে।
মন্তব্য করুন