বগুড়ায় তীব্র তাপদাহে পুড়ছে জনজীবন। টানা কয়েক দিনের তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চপর্যবেক্ষক আব্দুর রশিদ জানান, বগুড়ায় মঙ্গলবার সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব কম।
এদিকে, তীব্র গরম ও লোডশেডিয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ছায়া পেলেই সেই স্থানে দাঁড়িয়ে শরীরকে ঠান্ডা করার চেষ্টা করছেন অনেকেই। এ ছাড়া শহরে ভ্রাম্যমাণ শরবতের দোকানেও ভিড় জমিয়ে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন অনেকে।
কাহালু থেকে শহরে রিকশা চালাতে আসা ফজলু মিয়া বলেন, ‘বৈশাখের এই তীব্র রোদের কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। এত গরম যে রাস্তায় দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। গরমের কারণে মানুষ কম বের হচ্ছে। ফলে ভাড়াও কমে গেছে।
বগুড়া সদরের শাখারিয়া এলাকার কৃষক রফিকুল হোসেন বলেন, তীব্র রোদে মাঠে কাজ করতে পারিনি। এজন্য ভোরে বাড়ি থেকে বের হই। রোদের তাপ বাড়ার আগেই বাড়ি ফিরে আসি। এতে ফসলের যত্ন নিতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে।
আহম্মদ উল্লাহ নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, একে তো তীব্র গরম আর এই গরমে বাসায় বিদ্যুৎ থাকে না। বাসায় ছোট বাচ্চা আছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
শহরের সাতমাথায় শরবত বিক্রেতা এনামুল মিয়া বলেন, রোদের যে তাপ এতে শরবত বিক্রি বেড়েছে। মানুষ ঠান্ডা পানীয় খেয়ে তাদের শরীর ও মনকে ঠান্ডা করছে। বিক্রি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
চাহিদা অনুযায়ী মেগাওয়াট না পাওয়ার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে বলে জানান বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ১ জেনারেল ম্যানেজার মোনয়ারুল ইসলাম ফিরোজী। তিনি বলেন, আমার এরিয়াতে ৮০-৮৬ মেগাওয়াটের চাহিদা রয়েছে। চাহিদামতো না পাওয়ায় ১৪ থেকে ২০ শতাংশ সময় লোডশেডিং হচ্ছে।
মন্তব্য করুন