আটলান্টিক থেকে ২৬২ অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার
আটলান্টিক মহাসাগর থেকে ২৬২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে স্পেনের কোস্টগার্ড বাহিনী। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) স্থানীয় সময় ভোরের দিকে ৩টি নৌকা থেকে এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করা হয়। শনিবার (৭ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন বলা হয়, উদ্ধার করা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাগুলো বিকল হয়ে সাগরে ভাসছিল। তারা সবাই আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের। উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোর উপকূল থেকে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন তারা। এতে আরও বলা হয়, উদ্ধারের পর ১০৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের এল হিয়েরো দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকিদের গ্রান কানারিয়া দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্পেনের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২২ সালে যত সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে এসেছিলেন তার তুলনায় ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসেছেন অন্তত ৫ গুণ বেশি মানুষ। গত মাসে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে এসেছেন ৩ হাজার ৫ শ’ জনেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী। সাতটি দ্বীপের সমষ্টি ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ স্পেনের অন্যতম প্রবেশদ্বার। তাই যেসব অভিবাসনপ্রত্যাশী স্পেন হয়ে ইউরোপে যেতে চান, তাদের বেশিরভাগই ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে নামার লক্ষ্য নিয়ে মরক্কোর উপকূল থেকে নৌকায় চাপেন।
০৭ অক্টোবর, ২০২৩

চলতি বছরে ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ ২৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী : জাতিসংঘ
২০২৩ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ প্রবেশের চেষ্টাকালে আড়াই হাজার অভিবাসী নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে চলতি বছরের অভিবাসন রিপোর্ট প্রকাশ করে সংস্থাটি।  রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর এ নিখোঁজের সংখ্যা ছিল ১৬৮০ জন। ফলে চলতি বছরে এ সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে।  ইউএনএইচসিআরের নিউইয়র্ক অফিসের পরিচালক রুভেন মেনিকদিওয়েলা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, অভিবাসী ও শরণার্থীরা প্রতিটি পদক্ষেপে মৃত্যুর ঝুঁকি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেন। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের শরণার্থী ব্যবস্থাপণার বিষয়টি সংস্কারের জন্য বছরের পর বছর ধরে আলোচনা চালিয়ে আসছে কিন্তু কোনো ফলাফল আসেনি। যা বলছে জাতিসংঘ ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখ পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে গেছেন এক লাখ ৮৬ হাজার অভিবাসী। এ সময়ে ইতালি গেছেন এক লাখ ৩০ হাজার অভিবাসী। যা গত বছরের তুলনায় ৮৪ শতাংশ বেশি। এছাড়া বাকিরা গ্রিস স্পেন সাইপ্রাস ও মাল্টায় পাড়ি জমিয়েছেন।  প্রতিবেদন অনুসারে, এসব অভিবাসীদের মধ্যে এক লাখ ২ হাজার তিউনেশিয়া দিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছেন। আর বাকি ৪৫ হাজার লিবিয়া দিয়ে সাগর পাড়ি দিয়েছেন।  মেনিকদিওয়েলা জানান, এসব অভিবাসীদের মধ্যে প্রায় ৩১ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে তিউনিসিয়া এবং ১০ হাজার ৬০০ জনকে লিবিয়া আটক অথবা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা কাউন্সিলে সাব-সাহারিয়ার আফ্রিকান দেশগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী আসছেন। তারা মূলত লিবিয়া ও তিউনেশিয়ার উপকূল দিয়ে এ সাগরপথ পাড়ি দেন। ফলে এটি বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক পথ হয়ে উঠছে। এ অঞ্চলে জনগনের নজর থেকে দূরে এমনকি মরুভূমিতেও অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন।  সূত্র : ডয়েচে ভেলে  
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

রিপোর্ট / সৌদির সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে শত শত অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত
ইয়েমেন সীমান্তে শত শত অভিবাসনপ্রত্যাশীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সৌদি আরবের সীমান্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) নতুন এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। খবর বিবিসির।  প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন পাড়ি দিয়ে সৌদি আরবে যাওয়ার চেষ্টাকালে শত শত মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অনেকেই ইথিওপিয়ান। অভিবাসীরা বিবিসিকে জানান, গুলির আঘাতে অনেকের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন। এইচআরডব্লিউকে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা জানায়, সৌদি আরবের সঙ্গে ইয়েমেনের উত্তর সীমান্তে সৌদি পুলিশ ও সৈন্যরা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ওপর বৃষ্টির মতো গুলি চালিয়েছে। এ ছাড়া বিস্ফোরক অস্ত্র দিয়েও তাদের আঘাত করেছে।  সৌদি সরকার বলছে, অভিযোগগুলো তারা গুরুত্ব সহকারে দেখছে। তবে এসব হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত বা বড় আকারের ছিল- জাতিসংঘের এমন বক্তব্যকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব। এর আগেও সৌদি আরব পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিল। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থার মতে, বছরে ২ লাখের বেশি মানুষ হর্ন অফ আফ্রিকা থেকে সমুদ্রপথে ইয়েমেনে যায়। তারপর সেখান থেকে সৌদি আরবে প্রবেশ করে।   
২১ আগস্ট, ২০২৩
X