২০২৩ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ প্রবেশের চেষ্টাকালে আড়াই হাজার অভিবাসী নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে চলতি বছরের অভিবাসন রিপোর্ট প্রকাশ করে সংস্থাটি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর এ নিখোঁজের সংখ্যা ছিল ১৬৮০ জন। ফলে চলতি বছরে এ সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে।
ইউএনএইচসিআরের নিউইয়র্ক অফিসের পরিচালক রুভেন মেনিকদিওয়েলা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, অভিবাসী ও শরণার্থীরা প্রতিটি পদক্ষেপে মৃত্যুর ঝুঁকি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেন।
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের শরণার্থী ব্যবস্থাপণার বিষয়টি সংস্কারের জন্য বছরের পর বছর ধরে আলোচনা চালিয়ে আসছে কিন্তু কোনো ফলাফল আসেনি।
যা বলছে জাতিসংঘ
ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখ পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে গেছেন এক লাখ ৮৬ হাজার অভিবাসী। এ সময়ে ইতালি গেছেন এক লাখ ৩০ হাজার অভিবাসী। যা গত বছরের তুলনায় ৮৪ শতাংশ বেশি। এছাড়া বাকিরা গ্রিস স্পেন সাইপ্রাস ও মাল্টায় পাড়ি জমিয়েছেন।
প্রতিবেদন অনুসারে, এসব অভিবাসীদের মধ্যে এক লাখ ২ হাজার তিউনেশিয়া দিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছেন। আর বাকি ৪৫ হাজার লিবিয়া দিয়ে সাগর পাড়ি দিয়েছেন।
মেনিকদিওয়েলা জানান, এসব অভিবাসীদের মধ্যে প্রায় ৩১ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে তিউনিসিয়া এবং ১০ হাজার ৬০০ জনকে লিবিয়া আটক অথবা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা কাউন্সিলে সাব-সাহারিয়ার আফ্রিকান দেশগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী আসছেন। তারা মূলত লিবিয়া ও তিউনেশিয়ার উপকূল দিয়ে এ সাগরপথ পাড়ি দেন। ফলে এটি বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক পথ হয়ে উঠছে। এ অঞ্চলে জনগনের নজর থেকে দূরে এমনকি মরুভূমিতেও অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে
মন্তব্য করুন