বন্ধুকে সহযোগিতা করতে গিয়ে ফাঁসলেন আল্লু অর্জুন
আইনি ঝামেলায় পড়লেন দক্ষিণী সুপার স্টার আল্লু অর্জুন। শনিবার (১১ মে) অভিনেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। রাজনীতি সংশ্লিষ্ট এক বন্ধুকে সাহায্য করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন পুষ্পা খ্যাত এই অভিনেতা। ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের নান্দিয়ালে বন্ধু ও ওয়াই.এস.আর.সি.পি বিধায়ক রবিচন্দ্র কিশোর রেড্ডির বাড়িতে গিয়েছিলেন আল্লু। সেখানে যেতেই প্রিয় অভিনেতাকে একনজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। তখন বন্ধুর বাড়ির ব্যালকনি থেকে হাত নেড়ে ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আল্লু। এ সময়ে ভক্তরা উচ্চস্বরে পুষ্পা পুষ্পা বলে স্লোগান দিয়েছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওই ঘটনার পর বিধায়ক রবিচন্দ্র কিশোর রেড্ডির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, শনিবার সমাবেশের জন্য পূর্বানুমতি ছাড়াই আল্লু অর্জুনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। এ কারণে  নির্বাচনী বিধি অমান্য করার জন্য রবিচন্দ্র ও আল্লুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। এ বিষয়ে আল্লুর ভাষ্য, নিজের বন্ধুকে সাহায্য করার জন্য নান্দিয়ালায় গিয়েছিলেন তিনি। কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করেন না আল্লু। অভিনেতা জানান, তার বন্ধুরা যে ক্ষেত্রেরই হোক না কেন, তাদের সাহায্যে প্রয়োজন হলে তিনি অবশ্যই এগিয়ে যাবেন।
১৩ মে, ২০২৪

নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করায় অর্থদণ্ড
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে নির্বাচনী এলাকার বাইরে সভা করায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হাসানের এক কর্মীকে ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে গেলে তিন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে প্রার্থীর নেতাকর্মীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় সাবাহ্ গার্ডেনে এ ঘটনা ঘটে। শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হাসান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর বড় ভাই এবং গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।  গাজীপুরের সহকারী কমিশনার (নেজারত শাখা) ইশতিয়াক মজনুন ইফতি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্রীপুর ও গাজীপুর সদর উপজেলায় উপজেলা নির্বাচন চলছে। শনিবার বিকেলে খবর পাই গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় সাবাহ্ গার্ডেনে বিধি ভঙ্গ ও নির্বাচন আচরণ বিধি ভঙ্গ করে জনসমাবেশ করে সভা করছেন শ্রীপুর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হাসান দূর্জয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই সভা বন্ধ করা হয়। এ সময় তার কর্মী আক্তারুজ্জামানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ধরনের কার্যক্রমকে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা তৈরি করবে। এ ধরনের কার্যক্রমকে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা তৈরি করবে। অপরদিকে, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ মো. আ. জলিল অভিযোগ করে বলেন, ওই প্রার্থী নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে বিভিন্ন ধরনের কৌশল নিচ্ছেন। এ ধারাবাহিকতায় তিনি উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন। এমন অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের নিয়ে গোপন বৈঠকের আয়োজন করেন। জানা গেছে, ওই নির্বাচনী সভায় শ্রীপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, রাজেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, বরমী উচ্চ বিদ্যালয়, তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়, ভাংনাহাটি বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, চিনাশুকানিয়া দাখিল মাদ্রাসাসহ প্রায় ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধানগণ অংশ নিয়েছিলেন। এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মাই টিভির গাজীপুর ও শ্রীপুর সদর প্রতিনিধি মাহবুবুল আলম, দৈনিক স্বাধীন বাংলা পত্রিকার প্রতিনিধি রুকনুজ্জামান ও দৈনিক তরুণ কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি মো. নজরুল ইসলাম লাঞ্ছিত হন। মাহাবুবুল আলম অভিযোগ করে বলেন, তথ্য সংগ্রহ ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে ওই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা তাদের লাঞ্ছিত করে অবরুদ্ধ করে রাখে। মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে পুলিশের সহায়তায় তারা উদ্ধার হন। জয়দেবপুর থানার ওসি ইবরাহিম খলিল বলেন, সাংবাদিক অবরুদ্ধের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। সাংবাদিকদের সঙ্গে ওই প্রার্থীর নেতাকর্মীদের কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। রিটার্নিং অফিসার ও গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুনুল করিম জানান, বিধি ভঙ্গ করে সভা করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে অর্থ দণ্ড আদায় করা হয়েছে। ওই সভায় যেসব শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেছেন তাদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান জানান, নির্বাচনী আচরণ বিধি-৫ এর মোতাবেক প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে বড় শোডাউন, মিটিং, মিছিল করতে পারবে না, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও নিজে প্রচার ছাড়া। প্রতীক বরাদ্দ না পেয়ে বড় মিটিং করায় জরিমানা করা হয়েছে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

বর্ণবাদী আচরণ নিয়ে সরব ব্রাজিল কোচ
মাঠে নামলেই প্রতিপক্ষের বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার হচ্ছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এমনকি নিজ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের এক ইন্সটাগ্রাম পোস্ট নিয়ে চটেছিলেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে স্পেন যাওয়ার আগে ব্রাজিল কোচ দরিভাল বলেছেন, ভিনি বর্ণবাদী আচরণের শিকার হলে তার দলকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আগামীকাল রাতে ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। মঙ্গলবার রাতে স্পেনের বিপক্ষে খেলবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে এ প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে—এমনটাই জানানো হয়েছে মুখোমুখি হতে যাওয়া দুই দেশের তরফ থেকে। দুটি ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষ সমর্থকদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সেলেসাওদের কোচ। ‘বর্ণবাদী আচরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে আমাদের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ভিনি এখনো পড়াশোনা শেষ করেনি, তার বয়সও কম। এ ফুটবলারকে লক্ষ্য করে লাগাতার এ ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না’—সম্প্রতি ব্রিটিশ এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলছিলেন ব্রাজিল কোচ দরিভাল। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো থেকে ২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন ভিনি। প্রথম দলে নিয়মিত হওয়ার পর ধারাবাহিকভাবেই বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়ে আসছেন এ ফরোয়ার্ড। সম্প্রতি এমন আচরণের প্রতিবাদেও সোচ্চার ব্রাজিল তারকা। তাতেও নিস্তার নেই। বিভিন্ন স্প্যানিশ ক্লাবের সমর্থকরা ২৩ বছর বয়সী এ ফুটবলারকে নিয়মিত হেনস্তা করেই যাচ্ছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়ে দরিভাল বলেছেন, ‘বিভিন্ন ফুটবলারকে কেন্দ্র করে তাচ্ছিল্য করার মতো দুঃখজনক বিষয়গুলো এখনো পৃথিবীজুড়ে রয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। কারণ ভিনির প্রতি বর্ণবাদী আচরণ এরই মধ্যে সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে।’
২৩ মার্চ, ২০২৪

শিক্ষার্থীদের অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ ঢাকতেই রাবির বিজ্ঞপ্তি : ঢাবি কর্তৃপক্ষ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাঠে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর ফাইনালে সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা। এর প্রতিবাদ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা বিজ্ঞপ্তি দেয় রাবি প্রশাসন। রাবির ওই বিজ্ঞপ্তি বিষয়ে ঢাবি বলছে- শিক্ষার্থীদের অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ ঢাকতেই এমন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. শাহজাহান আলী কালবেলাকে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলোয়াড়সুলভ আচরণ করেনি। তারা পূর্ব পরিকল্পনা করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা কাউকে চ্যাম্পিয়ন হতে দিবে না- সেজন্যই তারা ন্যাক্কারজনক কাণ্ড ঘটিয়েছে। অথচ, গত বছর যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলা হয়, তখন তারা চ্যাম্পিয়ন হয়। সেখানে কোনো সমস্যা হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাপ ধরে রাখার প্রবণতা থাকলে সেটি সম্ভব হতো না। শতবর্ষী এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সেই শিক্ষা দেয় না। তিনি বলেন, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো ডিসিপ্লিনের খেলায় প্রতিযোগিতা থাকবে, কিন্তু সেটা খেলাতেই। এছাড়া যাদের মাঠে খেলা হবে তাদের উচিত হবে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে নিজেদের শিক্ষার্থী বিবেচনা করা। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অখেলোয়াডসুলভ আচরণ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেটির বিষয়ে কিছু না বলে উল্টো তাদের পক্ষেই সাফাই গেয়েছে। তাদের কাছ থেকে এমন আচরণ কাম্য নয়।  জানা গেছে, সোমবার আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় রাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। সেখানে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে রাবি যখন হারের মুখে তখনই হঠাৎ করে গ্যালারি থেকে মাঠে প্রবেশ করে ঢাবি শিক্ষার্থীদের স্ট্যাম্প তুলে পেটানো শুরু করে রাবি শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় ঢাবি ক্রিকেট দলের ছয়জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে আলো স্বল্পতার অজুহাতে ম্যাচ রেফারি দুই দলকে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে। হামলার শিকার ঢাবি খেলোয়াড়রা জানায়, ম্যাচের আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, দর্শক মাঠে আসতে পারবে না, গ্যালারিতে থাকতে পারবে। কিন্তু ম্যাচ শুরুর সাথে সাথেই ওরা তালা ভেঙে গ্যালারি থেকে পুরো মাঠ ঘিরে ফেলে। তারা খেলার মাঝেও ব্যাঘাত ঘটানোর অনেক চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে যখন হেরে যাচ্ছিল, তখন তারা স্ট্যাম্প তুলে পেটায়, কিল-ঘুষি মারতে থাকে। ম্যাচ শেষে রাবি শিক্ষার্থীরা মানবদেয়াল তৈরি করে ঢাবি শিক্ষার্থীদের স্টেডিয়াম থেকে বের করলেও মানবেদেয়ালে থাকা শিক্ষার্থীরাই আক্রমনে শামিল ছিল।  এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর জনসংযোগ দফতরের পরিচালক মাহমুদ আলম সাক্ষরিত একটি বিবৃতির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অখেলোয়াড়সূলভ আচরণের প্রতিবাদ জানানো হয় এবং তারা খেলায় হেরে যাওয়ার মুহুর্তে হামলার অভিযোগ আনা হয়। এরপরই রাতে ঢাবির ওই বিবৃতির বিপরীতে পাল্টা আরেকটি বিবৃতির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দেরকেই দোষারোপ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়টির জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে সাক্ষরিত এ বিবৃতিতে দাবি করা হয়, তাদের খেলোয়াড়দের ওপরই ঢাবি শিক্ষার্থীরা হামলা চালিয়েছে। একইসাথে, এর মাধ্যমে ঢাবি প্রশাসনের প্রদান করা বিবৃতিকে চ্যালেঞ্জ করে এর তীব্র নিন্দা জানায় তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবৃতিতে যা লেখা হয়েছে : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিম যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ঠিক তখনই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শত শিক্ষার্থী মাঠে ঢুকে ঢাবি ক্রিকেট টিমের খেলোয়াড়দের উপর অতর্কিত ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং হামলা চালায়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিমের ৫/৬জন খেলোয়াড় গুরুতর আহত হয়। এ ধরনের হামলা অখেলোয়াড়সুলভ এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। আয়োজনকারী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পূর্ব থেকেই বিশেষ সতর্কতা ও সার্বিক শৃংখলা বজায় রাখার স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল। স্বাগতিক ভেন্যু হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত ছিল প্রতিপক্ষ টিমকে সম্মান দেখানো এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ, প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। অতীতেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের প্রতিযোগিতার সুষ্ঠু আয়োজনে ব্যর্থতার পরিচয় দেয় এবং এর ফলে তখনও অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবৃতিতে যা লেখা হয়েছে: আজ বিকেলে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলায় ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তদন্তে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর মো. হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্য হলেন শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন ও সদস্য সচিব হলেন শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলী। উল্লেখ্য, আজ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এর মধ্যকার ফাইনাল খেলায় পূর্ব থেকেই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিলো। তবে, খেলার চূড়ান্ত পর্যায়ে আম্পায়ারের একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও ঢাবির খেলোয়াড়দের অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে স্টেডিয়ামের দর্শক সারি থেকে বেশ কয়েকজন মাঠে প্রবেশ করলে এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে খেলাটি সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে দুজন আম্পায়ার ও দুই দলের ম্যানেজারের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে ম্যাচ রেফারি দুই দলকে যৌথ-চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন। 
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কারাবন্দি নেতাদের সঙ্গে পৈশাচিক আচরণ করা হচ্ছে : ভিপি নুর
কারাগারে থাকা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সাথে পৈশাচিক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ কোন পথে ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ অভিযোগ করেন তিনি। নুরুল হক নুর বলেন, দেশে আইন-আদালত, বিচার ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমাদের এক ভাই যাকে জেলে ‘১০ ফিট বাই ১০ ফিট’ রুমে রেখেছে। তাকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। আদালতে এসে এ বিষয়টি বলার সময় পুলিশ তার মুখ চেপে ধরেছে, কথা বলতে দেয়নি। আজকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা যারা জেলে রয়েছেন প্রত্যেকের সঙ্গে পৈশাচিক ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আন্দোলনে যে সমস্ত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন কিংবা জেলখানায় রয়েছেন, তাদের চিকিৎসা বা আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য দলের পক্ষ থেকে একটা সেল গঠন করা প্রয়োজন। এতে করে তারা উপকৃত হবেন। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দেশে এখন নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে বলেও অভিযোগ করেন নুর। সরকার সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন তারা আবার আওয়ামী লীগে ফিরে যেতে চান। পরিস্থিতি ৭ জানুয়ারির আগে যা ছিল এখন সে রকমই আছে। বরং সরকারের জন্য পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে, আমাদের জন্য ভালো হয়েছে।  তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। ডলার নেই, আমদানি করা যাচ্ছে না। এমনকি খাদ্যপণ্যও আমদানি করা যাচ্ছে না। নতুন বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সাত দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট বন্ধ করে দেবেন। কৈ পেরেছেন? সিন্ডিকেট ভেঙেছে? বরং জিনিসপত্রের দাম আরও বেড়েছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, জনগণ রাস্তায় নামলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশ ছেড়ে পালাবে। সরকারকে বলব- সময় আছে, এখনই ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, কাদের গনি চৌধুরী, কৃষক দলের সাবেক নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন / দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট জেলার দুইটি সংসদীয় আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জেলার দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। এ নির্দেশনা পেয়ে সদর উপজেলা, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাগণ বাদি হয়ে জয়পুরহাট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন জয়পুরহাট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল। আদালত ও জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। তারা হলেন, জেলার ১নং আসনের সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছারোয়ার হোসেন স্বাধীন, একই উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের সুজাইত হোসেন এবং কামরুল ইসলাম। জেলার ২নং আসনের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান এবং ক্ষেতলালের মো. রাশেদ। ২নং আসনের আক্কেলপুর উপজেলার আকন্দপাড়ার এসআই টুটুল। অনুসন্ধান কমিটিতে অভিযোগ করে ছিলেন জেলার দুইটি আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী। জয়পুরহাট-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের জহুরুল ইসলামের কর্মীকে ইতোপূর্বে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় প্রার্থী জহুরুল ইসলাম জয়পুরহাট নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিতে ইউপি চেয়ারম্যান ছারোয়ার হোসেন স্বধীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। এ আসনের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের আব্দুল আজিজ মোল্লার নির্বাচনী ক্যাম্পের ভেতরে ঢুকে নির্বাচনী পোষ্টার ছিঁড়ে আগুন দিয়ে পুড়ে দেয়। এ ঘটনায় তিনি নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিতে সুজাইত হোসেন এবং কামরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ক্ষেতলাল উপজেলার চৌমুনী বাজার ও মিনিগাড়ি গ্রামে ২নং আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের গোলাম মাহফুজ চৌধুরীর পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। এ ঘটনায়  ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ও রাশেদ এর বিরুদ্ধে নির্বাচনী ২ আসনের অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ দেন কাঁচি প্রতীকের গোলাম মাহফুজ চৌধুরী। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা নৌকা প্রতীকের কর্মী। জেলার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি অভিযোগগুলো সরেজমিন তদন্ত করে স্বাক্ষ্য প্রমাণে সত্যতা পাওয়ায় প্রতিবেদন দাখিল করেন নির্বাচন কমিশনে। নির্বাচন কমিশনের উপসচিব (আইন) আব্দুছ সালাম ৫ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় জেলার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের মামলা করার নির্দেশ দেন। সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান, আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ এবং ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আয়েশা বেগম বাদি হয়ে ৬টি মামলা দায়ের করেন। আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ রাতে জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে তারা মামলা করেছেন। রাষ্টপক্ষের আইনজীবী (পিপি) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত শনিবার রাত আট টার দিকে ছয়টি মামলা দায়ের বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন। 
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

এমপি হাইসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি মো. আব্দুল হাই ও তার দুই সমর্থকের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বাদী হয়ে করা পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া অপর দুই আসামি হলেন- শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম ও সারুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন।  বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ঝিনাইদহের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাসের আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন। ঝিনাই্দহ জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান কালবেলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। জানা যায়, শুনানির নির্ধারিত দিনে এসব আসামি আদালতে হাজির না থাকায় ঝিনাইদহের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাসের আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর ইসির দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. তায়জুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। একটি মামলায় শুধু এমপি হাইকে আসামি করা হয়। অপর মামলায় এমপি হাইসহ তিনজনকে আসামি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০০৮-এর বিধি ১৮ ধারার অভিযোগ আনা হয়।  আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় আসামির অনুসারীরা দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে শৈলকুপা উপজেলাধীন ১৪ নম্বর দুধসর ইউনিয়নের ভাটাই বাজার সংলগ্ন মহাসড়কে মহড়া দেয় এবং জনগণের মনে ভীতি সঞ্চার করে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০১৮-এর বিধি ৮(ক), ১১(ক) ও ১২ বিধি লঙ্ঘন করে ওই বিধিমালার ১৮ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন। অন্য দুই আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি মো. আব্দুল হাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১-এর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। গত ১২ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় শৈলকুপা থানাধীন ৬ নম্বর সারুটিয়া ইউনিয়নের কাতলাগাড়ী বাজারে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে আসামি আব্দুল হাকিম ও আসামি মাহমুদুল হাসান মামুন তাদের অনুসারীদের নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টদের উদ্দেশে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি এবং উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। আসামিরা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০১৮-এর বিধি ৮(ক), ১১(ক) ও ১২ বিধি লঙ্ঘন করে ওই বিধিমালার ১৮ বিধির শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। জানা যায়, নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকে একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই ও তার সমর্থকেরা। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের ওপর হামলা-নির্যাতন, হুমকি-ধমকি প্রদান, পোস্টার-ব্যানার ছেঁড়াসহ এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এসব অভিযোগের তদন্ত করে ইতিমধ্যে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি একাধিক অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। অনুসন্ধান কমিটি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে এমপি হাই ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের একাধিক সুপারিশ করে। সে অনুযায়ী ইসির নির্দেশনার আলোকে গত ২৪ ডিসেম্বর নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেন শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন।  প্রথম দফায় মামলা করার পরও বেপরোয়া আচরণ করতে থাকে এমপি আব্দুল হাই ও তার সমর্থকরা। এ অবস্থায় গত ২২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে পৃথক অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাস। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত সোমবার এসব ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরসহ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন নির্বাচন কমিশন।  জানা যায়, নির্বাচনী প্রচার শুরু থেকে একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই এমপি ও তার সমর্থকরা। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের ওপর হামলা, হুমকি-ধমকি প্রদান, পোস্টার-ব্যানার ছেঁড়াসহ এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এসব অভিযোগের তদন্ত করে ইতোমধ্যে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি একাধিক অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। অনুসন্ধান কমিটি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে এমপি হাই ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের একাধিক সুপারিশ করে। সে অনুযায়ী ইসির নির্দেশনার আলোকে গত ২৪ ডিসেম্বর নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেন শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তায়জুল ইসলাম।  প্রথম দফায় মামলা করার পরও বেপরোয়া আচরণ করতে থাকে হাই ও তার সমর্থকরা। এ অবস্থায় গত ২২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে পৃথক অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাস। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত সোমবার এসব ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরসহ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে নির্বাচন কমিশন। ওই নির্দেশনার আলোকে গতকাল আব্দুল হাই ও শৈলকুপা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাকিমসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন করে তিনটি মামলা হয়। হাইয়ের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, নৌকার প্রার্থী গত ১৬ ডিসেম্বর শৈলকুপার মির্জাপুর ইউনিয়নের চড়িয়ারবিল বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী দুলাল বিশ্বাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রবেশ করে ছবি ভাঙচুর করেন এবং পোস্টার ছেঁড়েন। এতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৭৭(১)(ক)-এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করে। অভিযুক্ত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিধান লঙ্ঘনের দায়ে আমলযোগ্য অপরাধ বিবেচনায় অনুচ্ছেদের ৭৩-এর অধীনে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।  অন্য মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, শৈলকুপা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাকিম, হাকিমপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান ইকু ও শৈলকুপা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম হোসেন মোল্যা ঝিনাইদহ-১ নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুল হাইয়ের সমর্থক। গত ২৪ ডিসেম্বর তারা তাদের ইউনিয়নের কোথাও স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের কোনো পোস্টার সাঁটাতে দিচ্ছে না এবং কোনো প্রচারে মাইক ব্যবহার করতে দিচ্ছে না মর্মে অভিযোগ করা হয়। একই তারিখ শৈলকুপা পৌরসভার সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক মিলনায়তনে প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের পক্ষে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিতরণের জন্য ২৫০ প্যাকেট বিরিয়ানি ইকু শিকদারের বাড়ি থেকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি জব্দ করে। ওই সমর্থকরা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৭৭ (১) (ক) এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮-এর বিধি ১০(চ)-এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ৩৫ নম্বর অনুচ্ছেদ ৭৭(১) (ক)-এর বিধান লঙ্ঘনের দায়ে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। আদালতে করা অন্য মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, জামিনুর রহমান বিপুল গত ১৫ ডিসেম্বর ফুলহরি ইউনিয়নের কাজীপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত জনসভায় নৌকা প্রতীকের এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেবেন না বলে হুমকি দেন। তিনি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮-এর বিধি ৮ (খ) লঙ্ঘন করেছেন। এদিকে মঙ্গলবার নতুন করে দায়ের হওয়া তিনটি মামলার মধ্যে শৈলকুপা থানায় করা দুটি মামলায় এমপি হাইসহ চার আসামি বুধবার হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিন নিয়েছেন। এ সময় হাইকোর্ট তাদের প্রতি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ওপর হামলা, হুমকি-ধমকি প্রদান, নির্বাচনী বুথে অগ্নিসংযোগ করাসহ যে কোনো ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে আসামিদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।  
০৩ জানুয়ারি, ২০২৪

সরকারের আচরণ চরম অগণতান্ত্রিক : জেএসডি
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেছেন, সরকার ক্রমাগতভাবে অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। ‘একতরফা প্রহসনের নির্বাচন’ জনগণ ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে। সে কারণে সরকার জিঘাংসার বশবর্তী হয়ে বিরোধী দলের ওপর প্রতিনিয়ত হামলা-মামলা করছে। সরকারের আচরণ চরম অগণতান্ত্রিক, এটা গ্রহণীয় হতে পারে না। এই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই হবে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে পুলিশি বাধার মুখে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। জেএসডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ‘একতরফা ভোট বর্জনের আহবানে’ জেএসডির প্রচারপত্র বিতরণ ও গণসংযোগ মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়। দলটির অভিযোগ, এ সময় পুলিশ ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। জেএসডির  নেতাকর্মীরা এরপরে পল্টন মোড় থেকে গণসংযোগ এবং মিছিল শুরু করে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে পৌঁছালে আবারও পুলিশ বাধা দেয়। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরবর্তীতে নেতাকর্মীরা আবারও সংঘটিত হয়ে দৈনিক বাংলার মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু করে মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে পৌঁছালে পুলিশ আবারও বাধা প্রদান করে এবং ব্যানার ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করে। পুলিশি বাধার মুখে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে জেএসডি। এতে স্বপন ছাড়াও দলের সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারি বক্তব্য দেন। কর্মসূচিতে জেএসডির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম জাবির, অ্যাডভোকেট সৈয়দা ফাতেমা হেনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, আবুল কালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নাসিম, কামরুল আহসান অপু, ফারজানা দিবা, মোহাম্মদ মোস্তাক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

সহিংস আচরণ ঠেকাতে সারা দেশে সতর্কতা
জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে ভোটবিরোধীদের সহিংস আচরণও বাড়তে পারে বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোট ঠেকানোর নামে জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর ও জানমালের ক্ষতির মতো অপতৎপরতা বাড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মাঠপর্যায়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নাশকতাকারীদের ন্যূনতম ছাড় দেওয়া যাবে না। নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আগাম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য মিলেছে। পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৩ ডিসেম্বর থেকে খুব প্রয়োজন না হলে পুলিশে ছুটি নিতে নিরুৎসাহী করা হয়েছে। সবাইকে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে রেলপথে দুটি বড় নাশকতায় প্রাণ গেছে নারী, শিশুসহ পাঁচজনের। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, হরতাল ও অবরোধকারীরাই এ ধরনের নাশকতায় যুক্ত। ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরে রেললাইনে কেটে নেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনই বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত। এ ছাড়া থেমে থেমে যাত্রীবাহী বাসেও দেওয়া হচ্ছে আগুন। এসব ঘটনায় সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার ব্যক্তিরাও দলটির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সাম্প্রতিক সময়ে রেলপথে বড় নাশকতার পর সাধারণ মানুষের মধ্যেও দানা বাঁধছে আতঙ্ক। এমন অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নানা কৌশলে নাশকতা ঠেকাতে কার্যক্রম চালাচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, জানমালের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময় প্রস্তুত থাকে। নানা পরিস্থিতিতে নানা কৌশল নেওয়া হয়। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশ সারা দেশে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন, জানমালের ক্ষতি করে, জ্বালাও-পোড়াও করে কেউ রক্ষা পাবে না। নাশকতাকারীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। অপরাধীকে আইনের আওতায় নেওয়া পুলিশের কাজ। পুলিশের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার জন্য সারা দেশে নির্দেশনা রয়েছে। কয়েকটি জেলা পুলিশের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচন সহিংসতা মুক্ত এবং নির্বিঘ্নে যাতে ভোটাররা ভোট দিতে পারেন, সেজন্য নিরাপত্তা ছক ধরে কাজ করছে পুলিশ। এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে প্রভাবশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মীদের সংঘাত-মারামারির বিষয়টিও মোকাবিলা করতে হচ্ছে জেলা পুলিশকে। এ ছাড়া ২৮ অক্টোবর থেকে বিরোধী পক্ষের সহিংসতা মোকাবিলায় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের সূত্রগুলো বলছে, গতকাল বিএনপি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়ার পর তা নিয়ে পুলিশের নানা স্তরে আলোচনা চলছে। মনে করা হচ্ছে, মূলত এ ধরনের আন্দোলনের নামে নাশকতা চালানো হতে পারে। জ্বালাও-পোড়াও ছাড়াও চোরাগোপ্তা হামলা বাড়তে পারে। বাস, রেলসহ নানা গণপরিবহনে নাশকতার পর এবার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নাশকতাকারীদের টার্গেটে পরিণত হতে পারে। এদিকে সিভিল এভিয়েশন সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত ১০০ সদস্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এপিবিএনের অতিরিক্ত ৬০ সদস্য এবং চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অতিরিক্ত ৫৪ আনসার সদস্য নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিভিল এভিয়েশন সূত্র জানায়, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিভিল এভিয়েশনের নিজস্ব পাঁচ শতাধিক নিরাপত্তাকর্মী দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর পাশাপাশি এপিবিএনের ১ হাজার ৮৫ জন ও আনসারের ৯০২ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। এর বাইরে ‘ইন্সট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ আওতায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাধ্যমে বিমানবাহিনী ও জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সংযুক্ত পুলিশ ও আনসারের আরও কয়েকশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পোশাক ছাড়াও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা কার্যক্রম চলছে। থানা পুলিশ ছাড়াও বিজিবি ও র্যাব সদস্যরাও সারা দেশে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসবে নিরাপত্তা বলয় ততই বাড়তে থাকবে। পুলিশের সূত্রগুলো বলছে, নাশকতার পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতাদের অনেকেই নানা মামলায় কারাগারে রয়েছে। এরপরও অনেকেই পালিয়ে থেকে নাশকতার নানা ছক কষছে। সে ছক বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের কর্মীদের। পুরো নির্দেশনা আসছে অনলাইনের নানা সিক্রেট অ্যাপস ব্যবহার করে। রাজনৈতিক নির্দেশনা পালনের অংশ হিসেবে কর্মীদের অনেকেই নাশকতায় যুক্ত হচ্ছে। অনেকে মাদকাসক্ত ও ভবঘুরে ব্যক্তিদের ভাড়া করে গাড়িতে আগুন দিচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, অসহযোগ বা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে পুলিশের কিছু বলার নেই। তবে কেউ যদি রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে মানুষের ক্ষতি করে, সম্পদের ক্ষতি করে, তাহলে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না। নাশকতাকারীরা যত বড়ই হোক, পদ যত বড় হোক, অপরাধ বিবেচনায় কাউকেই ছাড় দেবে না পুলিশ। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা ঠেকানোর মতো প্রস্তুতি-কৌশল সবকিছুই রয়েছে পুলিশের। তিনি বলেন, রেলপথ বা যে কোনো নাশকতার ঘটনায় নির্দেশদাতা, পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।  
২১ ডিসেম্বর, ২০২৩

শ্রমজীবী মানুষদের প্রতি নির্দয় আচরণ করছে সরকার : এবি পার্টি
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির নেতারা বলেছেন, দেশের অর্থনীতির ভিত্তি তৈরীতে যে শ্রমিকরা রক্ত ঘাম ঝরিয়ে তিল তিল করে নিজের জীবনকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে সে সকল শ্রমজীবী মানুষদের প্রতি নির্দয় আচরণ করছে সরকার। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করে একশ্রেণীর মালিক শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। সরকারের দালালী করে তারা এমপি মন্ত্রী হতে মরিয়া।  বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিজয়নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্বরে সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচন বাতিলের দাবিতে রাজধানীতে ‘শ্রমিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ’ থেকে এ অভিযোগ করেন এবি পার্টির নেতারা।  তারা বলেন, শ্রমিক শোষণকারী এমপি মন্ত্রীদের দিন ফুরিয়ে আসছে এবং শোষিত বঞ্চিত শ্রমিকদের অভিশাপে সরকারের পতন হবে। এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওহাব মিনার বলেন- মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে যে শ্রমিকরা আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে গেছে আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। বর্তমান সরকার জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ন্যায্য মজুরির কথা চিন্তা না করে চোর ও টাকা পাচারকারীদের ক্ষমতায়নে কাজ করছে।  এসময় তিনি অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী না দিলে রাস্তায় নেমে তারা নিজের অধিকার আদায় করে নিবে। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান, মেহেদী হাসান চৌধুরী পলাশসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ। আরও উপস্থিতি ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও বিএম নাজমুল হক, সিনিয়র সহকাররী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবি যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, শ্রমিক নেতা শাহ্ আব্দুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ জমাদ্দার রানা, শাহীনুর আক্তার শিলা ও সাবেক ছাত্রনেতা আমান উল্লাহ সরকার রাসেল প্রমুখ।   
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
X