চাল বিতরণে অনিয়ম, ইউপি সদস্য বরখাস্ত 
হতদরিদ্র নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ভালনারেবল উইমেন বেনিফিটের (ভিডব্লিউবি) কার্ডের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হারিছ উদ্দিন। মঙ্গলবার (১৪ মে) পাওয়া তথ্য অনুসারে জানা যায়, চলতি বছরের ১ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের (ইউপি-১ শাখা) সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার স্বাক্ষরিত এক আদেশে ইউপি সদস্য হারিছ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০২৩-২৪ চক্রের ভিডব্লিউবি কার্ডের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে। জানা যায়, সাগরনাল ইউনিয়নে ভিডব্লিউবির আওতায় প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চালের তালিকায় থাকা ওই ওয়ার্ডের হাছনা বেগমের চাল সাজনা বেগম নামে এক প্রতিবেশীকে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে হাছনা বেগম জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সত্যতা পাওয়া গেলে মন্ত্রণালয় থেকে এ সিদ্ধান্তের চিঠি দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে সাগরনাল ইউনিয়ন সদস্য হারিছ উদ্দিন জানান, একটি পরিকল্পিতভাবে সাজানো ঘটনায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে এবং বরখাস্ত করা হয়েছে। এর থেকে প্রতিকারের জন্য আইনের আশ্রয় নেবেন তিনি। জুড়ী ইউএনও লুসিকান্ত হাজং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বরখাস্তের চিঠি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়েছে।
২৩ ঘণ্টা আগে

একসঙ্গে পরীক্ষায় বসে মেয়ের চেয়ে এগিয়ে ইউপি সদস্য মা
প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলে ঘর-সংসার সামলে, জনপ্রতিনিধিত্ব করে, বয়সের বাধা ডিঙিয়েও অসাধ্য সাধন করা যায়। তারই প্রমাণ দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের নুরূন্নাহার বেগম নামের এক সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য। মেয়ের সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে জিপিএ ৪ দশমিক ৫৪ পেয়েছেন তিনি। মেয়ে নাসরিন আক্তার মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ২ দশমিক ৬৭ পেয়েছেন। তাদের এ ফলাফলে মা, মেয়ে ও পরিবারের সবাই খুশি। মা ও মেয়ের এমন সাফল্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে নুরূন্নাহার বেগম কালবেলাকে বলেন, আমি অনেক খুশি। আসলে এমন ভালো রেজাল্ট আসবে ভাবিনি, আল্লাহ পথ দেখিয়েছেন। আমি মনে করি নারীদের পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই, নারীদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও একজন নারী। তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই এই বয়সে আবার পড়ালেখা শুরু করেছি। আমি দুবার নির্বাচিত ৯ হাজার ভোটারের মহিলা মেম্বার। সংসারের কাজ আমি নিজে করি, কখনো কোনো কাজের মহিলা নেয়নি। সব কাজ শেষ করে মধ্যরাতে মাঝে মাঝে অল্প সময় পড়াশোনা করেছি। সব দিক সামলে পরীক্ষার হলের চতুর্থ তলায় উঠে পরীক্ষা দিতে অনেক কষ্ট হয়েছে। তবে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ায় এখন বেশ আনন্দ লাগছে।   বিয়ের আগে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন নুরূন্নাহার বেগম। শ্বশুর-শাশুড়ি আগ্রহী না থাকায় বিয়ের পর পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায় তার। পরবর্তীতে জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। উনার মেয়ে নাসরিন আক্তার পড়াশোনা করতেন একই বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগে। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় নুরূন্নাহার বেগম চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ৪ দশমিক ৫৪ পান। মেয়ে নাসরিন আক্তার চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ২ দশমিক ৬৭ পেয়ে পাস করেন। এ বিষয়ে মেয়ে নাসরিন বলেন, আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় মন কিছুটা খারাপ হলেও মা ও মেয়ে একসঙ্গে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় অনেক ভালো লাগছে। আমি মানুষের সেবা করতে চাই। সেই মানসিকতা থেকে আমি ভবিষ্যতে নার্সিংয়ে যুক্ত হতে চাই। নুরূন্নাহার বেগম বলেন, চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হব। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই। স্কুল ও কলেজে ক্লাস করার সময় সহপাঠীরা যথেষ্ট সম্মান দেখিয়েছে। শিক্ষকেরাও আমাদের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক ছিলেন। উনারা পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দিতেন। এ ছাড়া পড়াশোনার পেছনে আমার বাবা ও পরিবারের সদস্যদের সাহায্য ও অনুপ্রেরণা না পেলে আমার পক্ষে পড়াশোনা করা সম্ভব হতো না।
১৩ মে, ২০২৪

ছেলের সঙ্গে এসএসসি পাস করলেন দুই ইউপি সদস্য মা ও খালা
নাটোরের নলডাঙ্গায় ছেলের একসঙ্গে এসএসসি পাস করলেন মা, ছেলে ও খালা। রোববার (১২ মে) এসএসসি ফল প্রকাশের পর মা, ছেলে ও খালা এ ফল অর্জন করেন। জানা গেছে, ছেলে সোহান ও মা নাসিমা বেগম উপজেলার বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর দিয়ারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। খালা হালিমা বেগম একই ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দিঘা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী।  মা নাসিমা বেগম বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড ও খালা হালিমা বেগম একই ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য। মা নাসিমা বেগম ও খালা হালিমা বেগম কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ওমরগাড়ি ফাজিল মাদ্রাসার ভোকেশনাল শাখা থেকে এবং একই শিক্ষাবর্ষে ছেলে সোহান নাটোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে এসএসসি (সমমান) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষায় মা নাসিমা বেগম জিপিএ-৩.৬৪, ছেলে সোহান ৩.৯৬ ও খালা হালিমা ৩.৮৯ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। মা ও খালার সঙ্গে এসএসসি (সমমান) পরীক্ষায় পাস করে উচ্ছ্বসিত ছেলে সোহান। তিনি বলেন, আমি আমার মা ও খালা একসঙ্গে এসএসসি পাস করায় আমি আনন্দিত। আমার মাকে কেউ অশিক্ষিত বলতে পারবে না। এতে আমি অত্যন্ত খুশি। মা নাসিমা বেগম বলেন, আমার খুব ইচ্ছা ছিল এসএসসি পাস করার। কিন্তু মা-বাবার সংসারে সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। পরে আমি আমার ছেলের পরামর্শে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর রাজশাহীর পুঠিয়া ওমরগাড়ি ভোকেশনাল মাদ্রাসায় ভর্তি হই। এসএসসি (সমমান) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আজ আমি পাস করেছি, তাই আমি আনন্দিত। খালা হালিমা বেগম বলেন, আমি আমার স্বামীর পরামর্শে বোন নাসিমার সঙ্গে ওমরগাড়ি মাদ্রাসার ভোকেশনাল শাখায় ভর্তি হই। দুই বোন একসঙ্গে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করে আমরা অনেক খুশি। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে উপজেলার বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দুই বোন নাসিমা বেগম ও হালিমা বেগম ও নাটোরের ছাতনি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এক বোনসহ তিনবোন একসঙ্গে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়ে সারা দেশে আলোচিত ছিলেন।
১২ মে, ২০২৪

রিয়াল বিক্রির নামে প্রতারণা, মূলহোতা ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে সৌদি রিয়াল বিক্রির নামে প্রতারণা চক্রের মূল হোতা কুকুয়া ইউপি সদস্য জালাল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) রাতে বরিশাল মহানগর থেকে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরগুনা ডিবি পুলিশের ওসি বশিরুল আলম। পরে শনিবার (১১ মে) দুপুরে জালাল হাওলাদারকে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক মো. আরিফুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ডিবি পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের হরিমৃত্যুঞ্জয় গ্রামের আজাহার হাওলাদারের ছেলে জালাল হাওলাদার, তার দুই ভাই দুলাল হাওলাদার ও চুন্নু হাওলাদার গত ৪০ বছর ধরে ডলার ও সৌদি রিয়াল বিক্রির নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। ওই এলাকায় চক্রটির সাথে ৪৫-৫০ জন সদস্যের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডলার ও সৌদি রিয়াল বিক্রির নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। গত রোববার (৫ মে) রাতে ওই চক্রের হোতা ইউপি সদস্য জালাল হাওলাদারসহ ৬-৭ সদস্য উপজেলার গাজীপুর গ্রামের তৌকির খানের কাছে ৩ লাখ টাকার সৌদি রিয়াল বিক্রির নামে দেন দরবার করছিল। গোপনে বিষয়টি জানতে পেরে কৌশল অবলম্বন করে বরগুনার গোয়েন্দা পুলিশের ওসি বশিরুল আলমের নেতৃত্বে ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও মূল হোতা জালাল হাওলাদার পালিয়ে গিয়ে গা ঢাকা দেয়। এ ঘটনায় গত সোমবার (৬ মে) আমতলী থানায় প্রতারণা অভিযোগে জালালসহ তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় এ চক্রের পাঁচ সদস্য কারাগারে রয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) রাতে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ ও র‌্যাবের-৮ এর যৌথ অভিযানে বরিশাল মহানগর থেকে পালিয়ে থাকা প্রতারক চক্রের মূল হোতা জালাল হাওলাদার ওরফে ডলার জালালকে গ্রেপ্তার করে শনিবার দুপুরে আমতলী থানার সোপর্দ করে।   বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি বশিরুল আলম জানান, সৌদি রিয়াল প্রতারণা চক্রের মূল হোতা ইউপি সদস্য জালাল হাওলাদারকে বরিশাল মহানগরের একটি সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার সকল অপকর্মের কথা স্বীকার করেছেন। চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
১১ মে, ২০২৪

রংপুরে ইয়াবাসহ ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
রংপুরের মিঠাপুকুরে ৭শ পিচ ইয়াবাসহ ইউপি সদস্য মহসিন হাফিজ বাহাদুরকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ সময় ইয়াবা বিক্রির ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে হামিদপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মহসিন হাফিজ বাহাদুর বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার পাইকারি কারবারের সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মিঠাপুকুর সার্কেল সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রংপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপসহকারী পরিচালক বিপ্লব কুমার মদকের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। এসময় মহসিন হাফিজ বাহাদুরের বাড়িতে ৭শ পিচ ইয়াবা উদ্ধার এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মিঠাপুকুর সার্কেলের এএসআই নুরুল ইসলাম বলেন, অভিযানে ৭শ পিচ ইয়াবা ও ইয়াবা বিক্রির ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় মহসিন হাফিজ বাহাদুর ছাড়াও তার সহযোগী ওই গ্রামের মাহমুদুল হাসান ছক্কুকে আসামি করা হয়েছে। এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার কারবার করে আসছে বাহাদুর। তিনি সরাসরি টেকনাফ থেকে তার নিজস্ব ট্রাকে করে ইয়াবা বহন করে। প্রায় ৪ মাস আগে তার মালিকানাধীন একটি ট্রাকে প্রায় ৬৪ হাজার পিচ ইয়াবাসহ আটক করে বগুড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধির আড়ালে ইয়াবা কারবারি করে আসছে মহসিন হাফিজ বাহাদুর। তিনি মুলত ইয়াবার চালান এনে গ্রামের আশপাশের বাড়িতে সংরক্ষণ করে। তার বেশ কয়েকজন সহযোগী রয়েছে। তারা ইয়াবা কারবারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন।
০৯ মে, ২০২৪

ক্ষমা চাইলেন ভোটকেন্দ্রে অস্ত্র নিয়ে যেতে বলা সেই ইউপি সদস্য
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ব্যাগে করে অস্ত্র নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার কথা বলে ভাইরাল হওয়া ইউপি সদস্য মো. কবির হোসেন নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন।  মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের মজলিশপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এলাকাবাসী ও ভোটারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।  ইউপি সদস্য কবির হোসেন বলেন, প্রচারণা সভায় ভোটারদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে অস্ত্র বলতে ভোটারদের ভোটার আইডি কার্ডকে ব্যাগে করে কেন্দ্রে নিয়ে যেতে বলেছি। দেশীয় অস্ত্র বা আগ্নেয়াস্ত্র বুঝাইনি। তারপরও আমি ভাষাগত কারণে শব্দটি নির্বাচন আচরণবিধি বহির্ভূত বলে স্বীকার করেছি। তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থী ও ভোটারদের কাছে বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি। ভবিষ্যতে নির্বাচন আচরণবিধি মেনে চলব এবং উগ্র বা উসকানিমূলক বাক্য উচ্চারণে আরও সতর্ক থাকব। এর আগে শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় বিনাউটি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রামে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাইদুর রহমান স্বপনের কাপ-পিরিচ মার্কার প্রচারণা সভায় ইউপি সদস্য কবির হোসেন তার বক্তৃতায় নির্বাচনের দিন প্রত্যেকে ব্যাগে করে যার যার অস্ত্র নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার ঘোষণা দেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বক্তব্যটি ভাইরাল হলে প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা প্রশাসনের নজরে আনেন।  পরে উপজেলা প্রশাসন ডেকে এনে তার এ সহিংস ঘোষণার কারণ জানতে চাইলে তিনি ভুলে বলে ফেলেছেন বলে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং এমন আচরণ আর কখনও করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
০৮ মে, ২০২৪

অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ ইউপি সদস্য আটক
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় অসামাজিক কাজের সঙ্গে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তরিকুল ইসলাম নামে এক ইউপি সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে ওই নারীর ছেলে আজাহার আলী বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে সোমবার (৬ মে) গভির রাতে একই ইউনিয়নের উৎকুরা পশ্চিমপাড়া এলাকায় ওই নারীর সঙ্গে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে গেলে স্থানীয়রা হাতে নাতে তাকে আটক করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ওই নারীকে জমি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে আসছিল। একই সঙ্গে এলাকার অন্য নারীদেরও উত্যক্ত করতো বলে জানা গেছে। পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে স্থানীয়রা ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম তার ওয়ার্ডের হাজেরা খাতুন নামে এক নারীর সঙ্গে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকায় হাতেনাতে আটক করে স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রা জরুরী সেবা ৯৯৯ এ জানালে খবর পেয়ে তরিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়। বোদা থানার ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে ওই নারীর জবানবন্দি রেকর্ডসহ আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ইউপি সদস্য আটক
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় অসামাজিক কাজের সঙ্গে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তরিকুল ইসলাম নামে এক ইউপি সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে ওই নারীর ছেলে আজাহার আলী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে সোমবার (৬ মে) গভির রাতে একই ইউনিয়নের উৎকুরা পশ্চিমপাড়া এলাকায় ওই নারীর সঙ্গে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে গেলে স্থানীয়রা হাতে নাতে তাকে আটক করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ওই নারীকে জমি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে আসছিল। একই সঙ্গে এলাকার অন্য নারীদেরও উত্যক্ত করত বলে জানা গেছে। পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে স্থানীয়রা ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম তার ওয়ার্ডের হাজেরা খাতুন নামে এক নারীর সঙ্গে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকায় হাতেনাতে আটক করে স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রা জরুরি সেবা ৯৯৯ এ জানালে খবর পেয়ে তরিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়। বোদা থানার ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে ওই নারীর জবানবন্দি রেকর্ডসহ আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
০৭ মে, ২০২৪

দাওয়াত না পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার 
শরীয়তপুরের জাজিরায় দাওয়াত না পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাসির বেপারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারি কান্দি থেকে মামলার প্রধান আসামি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাসির বেপারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয় ও জাজিরা থানা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত ১১টায় উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারি কান্দি গ্রামের বুধাইরহাট বাজার এলাকার সৈয়দ তাজুল ইসলামের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পেয়ে ককটেল বিস্ফোরণসহ ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ ওঠে নাসির ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।  এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছোটভাই সৈয়দ সাব্বির বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে জাজিরা থানায় মামলা করেন। এর আগে ঘটনার দিন রাতেই আব্দুর রহমান খাঁ (২২) নামে একজনকে আটক করে জাজিরা থানা পুলিশ। জাজিরা থানার ওসি হাফিজুর রহমান কালবেলাকে বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান আছে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

জনপ্রিয় ইউপি সদস্য ও টেলিফিল্ম নির্মাতা অজ্ঞান পার্টির মূল হোতা আটক
সবুজ সরদার এলাকায় বেশ জনপ্রিয় একজন ইউপি সদস্য এবং একইসঙ্গে টেলিফিল্ম নির্মাতা। টেলিফিল্ম নির্মাতা হিসেবে ঢাকা যাতায়াতের একপর্যায়ে জড়িয়ে পড়েন অজ্ঞান পার্টির সঙ্গে। নাম লেখান অপরাধ জগতে।  যাত্রীদের অজ্ঞান করে টাকা চুরির নেশায় ডুবে যান ইউপি সদস্য মো. সবুজ সরদার (৪১)। নিজ উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন বাসে যাত্রীবেশে উঠে পাশে বসা যাত্রীকে বিস্কুটের মধ্যে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে অজ্ঞান সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়। এবার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা চুরির সময় ধরা পড়েছেন সবুজ। পাইকগাছা থানা সূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে অজ্ঞান করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৪টিসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে।  শনিবার (৬ এপ্রিল) ঈদ উপলক্ষে নতুন মোটরসাইকেল নিতে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার শ্রীপুর গ্রামের মো. ইসরাফিল হোসেন (৩৪), চাচাতো ভাই ও ভাতিজাকে নিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনাগরে যাচ্ছিলেন।   পথিমধ্যে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে বাসের সিটে পাশাপাশি বসে ছিলেন ছদ্মবেশী একই জেলার পাটকেলঘাটা থানার গণেশপুর গ্রামের মো. সবুজ সরদার (৪১)। সুযোগ বুঝে বিস্কুটের মধ্যে চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে অচেতন করে তার প্যান্টের পকেটে থাকা এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা চুরি করে নেয়। এ সময় সঙ্গে থাকা চাচাতো ভাই ঘটনাটি বুঝতে পেরে পকেটমার বলে চিৎকার দিলে যাত্রীরা বাসের মধ্যে তাকে আটক করে।  পরে কপিলমুনি ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞান অবস্থায় মো. ইসরাফিল হোসেনকে কপিলমুনি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।  পাইকগাছা থানার (ওসি তদন্ত) তুষার কান্তি দাস বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে কপিলমুনি ফাঁড়ির পুলিশ সবুজ সরদারকে আটক করে।  পাইকগাছা থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, অধিকতর তদন্তের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য সদস্যদের আটক করতে এবং পরিপূর্ণ তদন্ত স্বার্থে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।
০৭ এপ্রিল, ২০২৪
X