র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে সৌদি রিয়াল বিক্রির নামে প্রতারণা চক্রের মূল হোতা কুকুয়া ইউপি সদস্য জালাল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ মে) রাতে বরিশাল মহানগর থেকে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরগুনা ডিবি পুলিশের ওসি বশিরুল আলম।
পরে শনিবার (১১ মে) দুপুরে জালাল হাওলাদারকে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক মো. আরিফুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ডিবি পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের হরিমৃত্যুঞ্জয় গ্রামের আজাহার হাওলাদারের ছেলে জালাল হাওলাদার, তার দুই ভাই দুলাল হাওলাদার ও চুন্নু হাওলাদার গত ৪০ বছর ধরে ডলার ও সৌদি রিয়াল বিক্রির নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। ওই এলাকায় চক্রটির সাথে ৪৫-৫০ জন সদস্যের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডলার ও সৌদি রিয়াল বিক্রির নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
গত রোববার (৫ মে) রাতে ওই চক্রের হোতা ইউপি সদস্য জালাল হাওলাদারসহ ৬-৭ সদস্য উপজেলার গাজীপুর গ্রামের তৌকির খানের কাছে ৩ লাখ টাকার সৌদি রিয়াল বিক্রির নামে দেন দরবার করছিল।
গোপনে বিষয়টি জানতে পেরে কৌশল অবলম্বন করে বরগুনার গোয়েন্দা পুলিশের ওসি বশিরুল আলমের নেতৃত্বে ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও মূল হোতা জালাল হাওলাদার পালিয়ে গিয়ে গা ঢাকা দেয়। এ ঘটনায় গত সোমবার (৬ মে) আমতলী থানায় প্রতারণা অভিযোগে জালালসহ তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় এ চক্রের পাঁচ সদস্য কারাগারে রয়েছে।
শুক্রবার (১০ মে) রাতে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাবের-৮ এর যৌথ অভিযানে বরিশাল মহানগর থেকে পালিয়ে থাকা প্রতারক চক্রের মূল হোতা জালাল হাওলাদার ওরফে ডলার জালালকে গ্রেপ্তার করে শনিবার দুপুরে আমতলী থানার সোপর্দ করে।
বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি বশিরুল আলম জানান, সৌদি রিয়াল প্রতারণা চক্রের মূল হোতা ইউপি সদস্য জালাল হাওলাদারকে বরিশাল মহানগরের একটি সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার সকল অপকর্মের কথা স্বীকার করেছেন। চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন