গাজায় ৫০০ মসজিদ ধ্বংস ও শত শত ইমাম হত্যা করেছে ইসরায়েল
গাজায় সাত মাসের বেশি সময় ধরে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের এ হামলায় গাজার হাসপাতাল থেকে শুরু করে ধর্মীয় স্থাপনাও রেহায় পায়নি। এ অভিযানে শত শত মসজিদও গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১০ মে) মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেতনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ফিলিস্তিনের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েল অন্তত ৩০০ ইমাম ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের হত্যা করেছে। এছাড়া তারা ৫০০ এর অধিক মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে অসংখ্য মসজিদ। এ তালিকায় ঐতিহাসিক আল ওমারি মসজিদও রয়েছে।   ইসরায়েলের এ বর্বরতা থেকে রেহায় পায়নি গির্জাও। দেশটির সেনাবাহিনীর হামলায় ঐতিহাসিক সেন্ট প্রোফাইরিস গির্জাসহ আরও তিনটি গির্জা ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোরআন পডকাস্ট ইনস্টিটিউটও হামলার শিকার হয়েছে।   ধ্বংসপ্রায় মসজিদেই তারা নামাজ আদায় করছেন। এছাড়া সেখানেই নতুন উদ্যোমে কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমও চালু করেছেন তারা।  ফিলিস্তিনের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ফিলিস্তিনিদের বিশ্বাসকে ভেঙে দিতে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে ধর্মীয় স্থাপনা ও ব্যক্তিত্বরা আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে ‍সুরক্ষিত। তাদের ওপর হামলা যুদ্ধাপরাধ।  তিনি আরও বলেন, বিশ্বের প্রতি আমাদের বার্তা হলো আমরা সাধারণ ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধ করার জন্য পাশে চায়। বিশেষ করে আরব বিশ্বের ইসলামী ব্যক্তিত্বদের প্রতি আমাদের আহ্বান হলো আমাদের জনগণের ওপর চলমান ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে কাজ করুন। 
১০ মে, ২০২৪

ইমাম হওয়ার জন্য বয়স নির্ধারণ করে দিল দুবাই
ইমাম মানে হলো নেতা। ইসলামের পরিভাষায় মসজিদে যিনি নামাজ পড়ান তাকে ইমাম বলা হয়। আর এ ইমামই ইসলামে সমাজের নেতা হবেন। প্রত্যেক বাবা-মা এমন স্বপ্ন লালন করেন যে তার সন্তান ইমাম হবেন। তার পেছনে নামাজ পড়বে এলাকাবাসী। বাবা মায়ের এমন স্বপ্নপূরণে ইমাম হওয়ার জন্য বয়স নির্ধারণ করেছে দিয়েছে দুবাই। শনিবার (০৪ মে) খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে এখন মাত্র ১৬ বছর বয়সে ইমাম হওয়া যাবে। দুবাইয়ের ছেলেরা এ সুবিধা পাবেন। বাবা মায়ের স্বপ্নপূরণের জন্য দুবাই এ উদ্যোগ নিয়েছে। ইমাম গড়ে তোলার এ উদ্যোগকে ইমাম আল ফারিজ নামে নামকরণ করা হয়েছে। যা বাস্তবায়ন করছে ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস ডিপার্টমেন্ট (আইএসিএডি)।  দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স এবং আইএসিএডির নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের নির্দেশে এ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এর আগে মুয়াজ্জিন আল ফারিজ চালু করা হয়। সেটির সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে এ প্রকল্প চালু করা হয়েছে।  আইএসিএডির মহাপরিচালক আহমেদ দারউইশ আল মুহাইরি বলেন, তরুণরা যাতে দুবাইয়ের মসজিদে নামাজের ইমামতি করতে পারেন এবং সমাজ সচেতনতা ও শিক্ষা কার্যক্রমে অবদান রাখতে পারে এজন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  ইমাম আল ফারিজের আওতায় আসা কিশোরদের বয়সের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে দুবাই। ১৬ থেকে ২১ বছরের কিশোররা এ প্রকল্পের আওতায় আসবেন। শহরের ৭০টি মসজিদে এ প্রকল্পের আওতায় শিশু ও কিশোরদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এসব শিশু-কিশোরদের চার মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ১ মে থেকে এ কোর্সে ভর্তি শুরু করেছে দুবাই।  
০৪ মে, ২০২৪

যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে সম্পৃক্ত ছিলেন জাহানারা ইমাম : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী 
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের লেখা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। বিশেষ করে যখন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলন হয়। স্বৈরাচারী সরকার, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধীদের যে আস্ফালন চলছিল সেই সময়ে যারা এ দেশের সাহসী সন্তান, বলতে গেলে আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ শুরু করেছিলেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম তাদের মধ্যে একজন। শনিবার (৪ মে) রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরেবঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মিলনায়তনে জাহানারা ইমাম স্মৃতি স্মারক হস্তান্তর প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে নির্মূল কমিটির মাধ্যমে প্রতি জেলায় আন্দোলন হয়েছে। সে সময়ে আমার মফস্বল এলাকায়ও এই নির্মূল কমিটির মাধ্যমে আমরা গণআন্দোলনের মতো জনমত গড়ে তুলেছিলাম। সেই যুদ্ধাপরাধীদের জন্য যে জনমত তৈরি হয়েছিল আমরা সবাই এতে সম্পৃক্ত ছিলাম। মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, সরকার ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে এর দায়িত্বভার গ্রহণ করে আরেকবার দায়মুক্ত হলাম। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ছিলেন ৭ কোটি মানুষের একজন পুরোধা নারী। যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করেছিল, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধ করেছিল। সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’ হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন আমাদের শহীদ জননী। তিনি ও তার পরিবারের যেই আত্মত্যাগ, সেই ইতিহাস ও আদর্শ আমাদের স্মরণে রাখতে হবে। তুলে ধরতে হবে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে মহাপরিচালক কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, জাতীয় জাদুঘরের নবম শাখা জাদুঘর হিসেবে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরকে আমাদের আওতায় নিতে যাচ্ছি। এখানে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ব্যবহৃত আসবাবপত্র, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি প্রদর্শিত ৫ হাজার নিদর্শন রয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম একাত্তরে জাতিকে উৎসর্গ করেছিলেন তার জ্যেষ্ঠ সন্তানকে। তার ‘একাত্তরের দিনগুলি’ ৬টি খণ্ডে ব্রেইল পদ্ধতিতে তৈরি করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রদর্শন করা হয়েছে। এই প্রতিবন্ধকতা পার করতে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম পেরেছেন। এই অর্জন সকল মানুষের জীবনে ঘটে না। তার জীবনে ঘটার কারণ তিনি আজীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করেছেন। যে চেতনা মানব মুক্তির। তিনি রাজনীতির কথা ভেবেছিলেন। বাংলাদেশের স্বপ্নকল্প তৈরি করেছিলেন। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামী।
০৪ মে, ২০২৪

জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর এখন জাতীয় জাদুঘরের
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর পরিচালনা করবে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর। জাহানারা ইমাম ও তার ছেলে শহীদ রুমির স্মৃতি সংরক্ষণে এলিফ্যান্ট রোডে নিজ বাড়িতে গড়ে তোলা হয়েছে এই জাদুঘর। তরুণ প্রজন্মকে জাহানারা ইমামের বিভিন্ন সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কথা জানানোর উদ্দেশ্যে জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামি ২০০৭ সালে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে জাদুঘরটি গড়ে তুলেছিলেন। এরই মধ্যে শহীদ জননীর পরিবারের তরফে জাদুঘরটিকে ‘দানমূল্যে’ লিখে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় জাদুঘরের কিপার মোহাম্মদ মনিরুল হক। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় জাদুঘর পরিচালনা পর্ষদ একটি কমিটি করে দেয়। সেই কমিটি সরেজমিন একটি রিপোর্ট তৈরি করে। পরে পরিচালনা পর্ষদের সভায় ‘শাখা জাদুঘর’ করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় এবং মন্ত্রণালয় থেকেও অনুমোদন হয়। এটি এখন জাতীয় জাদুঘরের নবম ‘শাখা জাদুঘর’। আজ শনিবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হস্তান্তর প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে বলে জানান মনিরুল হক। এর আগেও জাতীয় জাদুঘরের ‘শাখা জাদুঘর’ হিসেবে যুক্ত হয়েছে আটটি প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে আছে স্বাধীনতা জাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, ওসমানী জাদুঘর, জিয়া স্মৃতি জাদুঘর, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, পল্লীকবি জসীমউদ্দীন জাদুঘর, কাঙাল হরিনাথ জাদুঘর ও নবাব ফয়জুন্নেছা জমিদার বাড়ি জাদুঘর।
০৪ মে, ২০২৪

জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর পরিচালনা করবে জাতীয় জাদুঘর
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর পরিচালনা করবে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক, শিক্ষাবিদ, লেখক, কথাসাহিত্যিক। একাত্তরের স্মৃতি কথা নিয়ে তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘একাত্তরের দিনগুলি’ দেশজুড়ে পাঠক নন্দিত। জাহানারা ইমাম ও তার ছেলে শহীদ রুমির স্মৃতি সংরক্ষণে এলিফ্যান্ট রোডে নিজ বাড়িতে গড়ে তোলা হয় শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর। তরুণ প্রজন্মকে জাহানারা ইমামের বিভিন্ন সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কথা জানানোর উদ্দেশে জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামি ২০০৭ সালে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে জাদুঘরটি গড়ে তুলেছিলেন। ইতোমধ্যে শহীদ জননীর পরিবারের তরফে জাদুঘরটিকে ‘দানমূল্যে’ লিখে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় জাদুঘরের কিপার মোহাম্মদ মনিরুল হক। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘শহীদ  জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় জাদুঘর পরিচালনা পর্ষদ একটি কমিটি করে দেয়। সেই কমিটি সরেজমিনে গিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করে। পরবর্তীতে পরিচালনা পর্ষদের সভায় ‘শাখা জাদুঘর’ করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় এবং মন্ত্রণালয় থেকেও অনুমোদন হয়। এটি এখন জাতীয় জাদুঘরের নবম ‘শাখা জাদুঘর’। আগামী শনিবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হস্তান্তর প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা সারা হবে বলে জানান জাতীয় জাদুঘরের ইতিহাস ও ধ্রুপদী শিল্পকলা বিভাগের কিপার (চলতি দায়িত্ব) মনিরুল। এ বিষয়ে শুক্রবার (৩ মে) সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এর আগেও জাতীয় জাদুঘরের ‘শাখা জাদুঘর’ হিসেবে যুক্ত হয়েছে আটটি প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে আছে-স্বাধীনতা জাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, ওসমানী জাদুঘর, জিয়া স্মৃতি জাদুঘর, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, পল্লী কবি জসীমউদ্‌দীন জাদুঘর, কাঙাল হরিনাথ জাদুঘর, নবাব ফয়জুন্নেছা জমিদার বাড়ি জাদুঘর। মুক্তিযুদ্ধে জাহানারা ইমামের গৌরবময় অবদান জাতির সামনে তুলে ধরার জন্য তার বাড়িটি জাদুঘর হিসেবে রূপান্তর করা হয়। এতদিন সপ্তাহের প্রতি শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও এখন নতুন নিয়ম পরিচালিত হবে জাদুঘরটি। লেখক জাহানারা ইমামের জন্ম ১৯২৯ সালের ৩ মে। ১৯৭১ সালে নিজের বড় ছেলে শাফী ইমাম রুমীকে মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন তিনি। ঢাকায় গেরিলা হামলা পরিচালনাকারী ‘ক্র্যাক প্লাটুনের’ সদস্য রুমীকে পাকিস্তানি বাহিনী ধরে নিয়ে যাওয়ার পর আর তার সন্ধান মেলেনি। পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনের শিকার রুমীর বাবাও একাত্তরে মারা যান। জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরটি স্থাপন করেন জাহানারা ইমামের ছেলে ও শহীদ রুমীর ছোট ভাই সাইফ ইমাম জামী। কনিকা নামের বাড়িটির দোতলায় একটি বড় হল রুম ও অফিস রুম আছে। ইমাম পরিবারের নানা স্মৃতিচিহ্ন ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র প্রদর্শনীর জন্য রাখা আছে সেখানে। শহীদ রুমী ও জাহানারা ইমামের আলোকচিত্রের পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন সম্মাননা, রুমীর জন্মদিনের উপহার, এয়ারগান, ব্যবহৃত তবলা, স্কুলজীবনের ছবি, নিজের মাকে নিয়ে করা নানা উক্তিও সাজানো আছে ঘরের বিভিন্ন স্থানে। জাতীয় জাদুঘরের কর্মকর্তারা জানান, শনিবার বেলা ১১টায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জাদুঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন। এছাড়া জাহানারা ইমামের ছেলে সাইফ ইমাম জামী, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক নাসির উদ্দীন ইউসুফ উপস্থিত থাকবেন। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে মহাপরিচালক কামরুজ্জামান।
০৩ মে, ২০২৪

ইমাম নিয়ে দুপক্ষের দ্বন্দ্বে অনিশ্চিত ঈদের জামাত
রংপুরের পীরগাছায় ইমাম নিয়ে দ্বন্দ্বে এক ঈদগাহ মাঠের মুসল্লিরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। আসন্ন ঈদুল ফিতরের নামাজকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন পর্যন্ত গড়িয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়াতে ওই মাঠের নামাজে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ফলে ওই ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। জানা যায়, উপজেলার ইটাকুমারী, ইটাকুমারী পূর্বপাড়া, শাহপাড়া, আমতলী, জগদীশ, পঞ্চাননসহ প্রায় ১০টি গ্রামের মুসল্লিদের নামাজের জন্য ৬টি মসজিদ রয়েছে। তবে ওই গ্রামগুলোর মুসল্লিরা একত্রে দীর্ঘদিন ধরে দুই ঈদের নামাজ ইটাকুমারী পূর্বপাড়া ঈদগাহ মাঠে আদায় করে আসছেন। পাঁচ বছর আগে জগদীশ আমতলী মসজিদের ইমাম মাওলানা শহিদুল ইসলামকে ওই ঈদগাহ মাঠের ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার ইমামতিকে কেন্দ্র করে তিন বছর পূর্বে সেখানকার মুসল্লিরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একপক্ষ ওই ইমামের পরিবর্তন চান। আরেকপক্ষ ওই ইমামকে বহাল রাখতে চান।  এ নিয়ে বহুবার সালিশ বৈঠকের পর গত বছর স্থানীয় ইটাকুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার দুপক্ষের জন্য ওই মাঠেই পৃথক দুটি জামাতের ব্যবস্থা করে দেয়। তবে জামাতের সময়কে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এবার আসন্ন ঈদুল ফিতরের নামাজকে কেন্দ্র করে আবারও দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে এবার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন পর্যন্ত গড়ায়। পরে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে দুই পক্ষকে নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেও কোনো সুরাহা করতে পারেনি। তৃতীয় পক্ষ থেকে ইমাম দেওয়ার কথা বলা হলেও একটি পক্ষ মানতে নারাজ। সর্বশেষ সোমবার (৮ এপ্রিল) আবারও বৈঠক বসে সমাধান না হওয়ায় ঐকমত্যে না পৌঁছা পর্যন্ত ওই মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এ বিষয়ে ইটাকুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষকে নিয়ে সমাধানে আসার চেষ্টা করছি। পীরগাছা থানার ওসি সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা চাই, উভয়পক্ষই বসে সমঝোতা করে নামাজ আদায় করুক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক সুমন বলেন, বিবদমান দুপক্ষের মধ্যে মতানৈক্য থাকায় উভয়পক্ষকে একটা সিদ্ধান্তে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।  যদি এর মধ্যে দুপক্ষ ঐকমত্যে না পৌঁছায় তাহলে উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়াতে ওই মাঠে ঈদের জামাত বন্ধ থাকবে।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

সৌদির গ্রান্ড মসজিদে সেলফিতে ব্যস্ত মুসল্লিরা, বিরক্ত কাবার ইমাম
পবিত্র রমজানে ইসলামের দুই পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনায় ইবাদতকারীদের ভিড় বেড়েছে। তবে এ ভিড়ের মধ্যে মুসল্লিদের আচরণে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন কাবার ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস। রোববার (২৪ মার্চ)  গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শায়খ সুদাইস ইবাদতকারীদের উদ্দেশে বলেন, ইসলামের পবিত্র জায়গায় ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন না।  সৌদির দুই গ্রান্ড মসজিদবিষয়ক জেনারেল প্রেসিডেন্সির প্রেসিডেন্ট শায়খ সুদাইস। এছাড়া তিনি কাবার ইমাম। শায়খ সুদাইস বলেন, পবিত্র জায়গা ও সময়ের মূল্য দিন।  পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর সৌদি আরবে বিপুলসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটে। এ সময় পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববীতেও মুসল্লিদের বাড়তি চাপ দেখা দেয়। কেননা এ দুটি জায়গাই ইসলামের অন্যতম পবিত্র জায়গা। এছাড়া প্রতি বছরের রমজান মাসকে ওমরাহর জন্য পিক সিজন হিসেবে ধরা হয়।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু মুসল্লি  ইসলামের এ মর্যাদাপূর্ণ দুই মসজিদে গিয়ে নিজেদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তারা সেখানে গিয়ে নিজেদের মোবাইলে ছবি ও ভিডিও করতে থাকেন।  শায়খ সুদাইস দুই মসজিদে রমজানকেন্দ্রিক পরিকল্পনার ওপর এবং পবিত্র এ জায়গায় গিয়ে সচেতনতার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, দুই পবিত্র মসজিদ ওমরাহ ও ইবাদতকারীদের গ্রহণ এবং তাদের সর্বোচ্চ সেবাদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। 
২৪ মার্চ, ২০২৪

মসজিদের ইমাম ছাত্রলীগ নেতা, পড়াচ্ছেন খতমে তারাবি
স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকায় রাজনীতির মাঠে সরব তিনি। তার নির্দেশনায় চলছে ইউনিয়নটির ছাত্ররাজনীতি। সেই নেতা করছেন মসজিদের ইমামতি। রমজান মাসে পড়াচ্ছেন খতমে তারাবি। কক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্ত শহর হ্নীলার একটি মসজিদে ওই ছাত্রলীগ নেতার পেছনে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। জানা গেছে, ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম হাফেজ নূর কামাল। তিনি হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। ফুলের ডেইল এলাকার বাসিন্দা তিনি। এবার ১৮তম তারাবি নামাজের ইমামতি করছেন কামাল। হাফেজ নূর কামাল ২০০৪ সালে কোরআনে হাফেজ হন। ওই বছরই ফুলের ডেইলের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রথম তারাবি নামাজ পড়ানো শুরু করেন। পরে ২০১৪ সালে হ্নীলা শাহমজিদিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেন। এরপর ভর্তি হন কক্সবাজার হাশেমিয়া কামিল মাদ্রাসায়। সেখান থেকে ২০১৬ সালে আলিম পাস করেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে রাজাপালং মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পাস করেন। বর্তমানে উখিয়া কলেজের তিনি বাংলা বিভাগের স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র তিনি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাফেজ নূর কামাল পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্ররাজনীতিতে জড়ান। ২০১০ সালে হ্নীলা শাহমজিদিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর পরের বছর হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। এরপর থেকে তিনিই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী জানান, কামাল গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মসজিদের ইমামতি করছেন। পাশাপাশি ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয় এ নেতা। জানতে চাইলে হাফেজ নূর কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করছি। যত দিন বেঁচে থাকব ইসলাম প্রচারে কাজ করে যাব। তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতির পাশাপাশি হালাল আয় করে জীবন অতিবাহিত করতে চাই।’
২২ মার্চ, ২০২৪

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ইমাম
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহরাস্তি মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজাপুরা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভুক্তভোগীর মায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণী (২৩) বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তাদের গ্রামের এক মসজিদের ইমাম মো. ইলিয়াস (২৯)। তিনি গত বছরের কোনো এক সময় এ ধর্ষণকাণ্ড ঘটান। আরও জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী মৃত কন্যাসন্তান প্রসব করেন। এতে সমালোচনার মুখে পড়েন পরিবারটি। মেয়ের গর্ভবতী হওয়ার কারণ খুঁজতে উঠে পড়ে লাগেন মা। একপর্যায়ে মেয়ের কাছ থেকে ইমাম ইলিয়াসের নাম জানেন। এরপর ইমামকে আসামি করে মামলা করেন। শাহরাস্তি মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন কালবেলাকে জানান, অভিযুক্তকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ ব্যাপারে পুলিশ কাজ করছে।
১৯ মার্চ, ২০২৪

কাবায় রমজানের প্রথম তারাবি পড়ালেন যে তিন ইমাম
সৌদি আরবে রমজানের চাঁদ দেখা গেছে। চাঁদ দেখার ভিত্তিতে দেশটিতে স্থানীয় সময় রোববার প্রথম তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া সোমবার (১১ মার্চ) এ বছরের প্রথম রোজা পালন করছেন দেশটির মুসলমানরা। এ দিন রমজানের প্রথম তারাবিতে পবিত্র কাবায় ইমামতি করেছেন তিন ইমাম। রোববার (১০ মার্চ) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  পবিত্র কাবার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ‘ইনসাইড দ্য হারামাইনে’ জানানো হয়েছে, রমজানের প্রথম তারাবিতে তিনজন ইমাম নামাজ পড়িয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রথমে নামাজ পড়ান শায়খ বদর আল তুর্ক। এরপর ইমামতি করেন শায়খ ওয়ালিদ সামসান। আর সবশেষ ছিলেন শায়খ সুদাইস। তারাবির পর বিতরের নামাজেও ইমামতি করেন তিনি। এ ছাড়া এদিন ইশার নামাজেও ইমামতি করেন এ শায়েখ। অন্যদিকে মসজিদে নববীতে রমজানের প্রথম তারাবির নামাজে ইমামতি করেছেন শায়খ বারহাজি ও শায়খ কাসেম।  রোববার স্থানীয় সময়ে সৌদি আরব ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র তারাবির নামাজ আদায় করেছে। এছাড়া সোমবার থেকে রোজাও রাখছেন এ সব দেশের মুসলমানেরা।অন্যদিকে জাপান, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন ও ওমানে রোববার চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে এসব দেশে মঙ্গলবার থেকে রোজা শুরু হবে।  এর আগে আরব আমিরাতভিত্তিক আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানায়, ১০ মার্চ মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের কোথাও খালি চোখে বা টেলিস্কোপ দিয়ে চাঁদ দেখা সম্ভব নয়। তবে পরের দিন ১১ মার্চ আকাশ পরিষ্কার থাকলে খালি চোখেই সৌদিসহ অন্যান্য আরব দেশে স্পষ্টভাবে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা যেতে পারে।
১১ মার্চ, ২০২৪
X