বিপদে ফিলিস্তিনিদের পাশে ইরাক
ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে গাজা উপত্যকায় এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরাক। রোববার দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি এই ঘোষণা দিয়েছেন। এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।  তিনি বলেন, গাজার বাসিন্দাদের জন্য ইরাক এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠাবে। গাজার আহত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ এবং তাদের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরাক। আন্তর্জাতি গণমাধ্যম জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জ্বালানির অভাবে সেখানকার হাসপাতাল, পানি ব্যবস্থাপনা, বেকারি ও ত্রাণ কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় ইরাকের এই ঘোষণায় খুশি ফিলিস্তিনিরা।  এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ছয় মাস ধরে চলা যুদ্ধে বিরতির লক্ষ্যে মিসরে আলোচনা শুরুর আগে দক্ষিণ গাজা থেকে আরও সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইসরায়েল। রোববার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, তারা দক্ষিণ গাজা থেকে আরও সৈন্য প্রত্যাহার করেছে। সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘিরে নতুন করে আলোচনা শুরু করতে মিসরে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে ইসরায়েল এবং গাজার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস। এর মাঝেই দক্ষিণ গাজা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা এসেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রিজার্ভ সৈন্যদের পরিত্রাণ দিতে চলতি বছরের শুরুর দিক থেকে গাজায় সৈন্য কমাতে শুরু করেছে ইসরায়েল। এছাড়া মানবিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য মিত্র ওয়াশিংটনের ক্রমবর্ধমান চাপের মাঝে রয়েছে ইসরায়েল; বিশেষ করে গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় সাত দাতব্য কর্মীর প্রাণহানির পর ইসরায়েলের ওপর ওয়াশিংটনের চাপ বাড়ছে। আপস তবে সৈন্য প্রত্যাহারের কারণ বা কতসংখ্যক সৈন্যকে গাজা থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানাননি সামরিক ওই মুখপাত্র। গাজার নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামি আন্দোলন হামাস ও ইসরায়েল উভয়ই মিসরে প্রতিনিধিদল পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করেছে। এই অবস্থায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল বিদেশি চাপের কাছে নত হবে না। আর হামাসের নেতা বাসেম নাইম বলেছেন, ‘‘ব্যর্থতা থেকে নিজেকে রক্ষায় এবং যুদ্ধ শেষে দায় এড়াতে এখনও অচলাবস্থা জারি রাখতে চান নেতানিয়াহু। মার্কিন চাপ পূর্ণাঙ্গ ও ব্যাপক যুদ্ধবিরতির জন্য তাকে বাধ্য করতে যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেন এই হামাস  নেতা।  হামাস সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পূর্ণাঙ্গ ও ব্যাপক যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য গত ৭ অক্টোবরের পর দখলকৃত এলাকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং গাজা উপত্যকাজুড়ে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের অবাধ চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

স্থানীয় ৮ ব্যাংককে ডলার লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দিল ইরাক
প্রতারণা, অর্থ পাচার এবং মার্কিন ডলারের অন্যান্য অবৈধ ব্যবহার কমাতে স্থানীয় আট বাণিজ্যিক ব্যাংকের ওপর ডলার লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইরাক সরকার। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ নিষেধাজ্ঞা কর্মকর্তা ব্রিয়ান নেলসন বাগদাদে এসে দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর পরই এমন সিদ্ধান্ত এলো ইরাক সরকারের কাছ থেকে। এ কারণে ব্যাংকগুলো ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৈনিক ডলার নিলামে অংশ নিতে পারছে না বলে জানিয়েছে রয়টার্স। আমদানিনির্ভর দেশ ইরাকের নগদে ডলার পাওয়ার এটাই প্রধান উৎস। নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ব্যাংকগুলো হলো আহশুর ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর ইনভেস্টমেন্ট, ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক অব ইরাক, ইউনিয়ন ব্যাংক অব ইরাক, কুর্দিস্তান ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ব্যাংক ফর ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, আল হুদা ব্যাংক, আল জানুব ইসলামিক ব্যাংক ফর ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ফিন্যান্স, অ্যারাবিয়া ইসলামিক ব্যাংক ও হামুরাবি কমার্শিয়াল ব্যাংক। গত জুলাইয়ে ইরাক স্থানীয় ১৪ ব্যাংকের ওপর ডলার লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ইরানে ডলার পাচার রোধেই ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ব্যাংকগুলো তাদের অন্যান্য কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে। এমনকি তাদের অন্যান্য দেশের মুদ্রার লেনদেনের অনুমতিও আছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

৮ ব্যাংকে ডলারে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দিল ইরাক
ডলারে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইরাক। দেশটির স্থানীয় আট বাণিজ্যিক ব্যাংকে এ লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতারণা, অর্থপাচার ও অবৈধ ব্যবহার ঠেকানোর লক্ষ্যে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের এক কর্মকর্তা দেশটিতে সফরে আসার পরপরই এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।   নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিদিনের ডলার নিলামে অংশ নিতে পারবে না। আমদানিনির্ভর এ দেশটির অর্থের অন্যতম উৎসকেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিলাম। ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ ইরানে ডলার পাচারের অভিযোগ রয়েছে। দেশটির ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ যুক্তরাষ্ট্রে আটকা রয়েছে। তেল রাজস্ব ও অর্থ লেনদেন নির্বিঘ্ন করতে দেশটি ওয়াশিংটনের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ব্যাংকগুলো হলো আশুর ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর ইনভেস্টমেন্ট, ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক অব ইরাক, ইউনিয়ন ব্যাংক অব ইরাক, কুর্দিস্তান ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ব্যাংক ফর ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট, আল হুদা ব্যাংক, আল জানুব ইসলামিক ব্যাংক ফর ইনভেস্টমন্টে অ্যান্ড ফাইন্যান্স, আরাবিয়া ইসলামিক ব্যাংক এবং হাম্মুরাবি কমার্শিয়াল ব্যাংক।  রয়টার্স জানিয়েছে, ইরাকের বেসরকারি ব্যাংকের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনের কর্মকর্তাদের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলেও তাতে তারা সাড়া দেননি। তবে মার্কিন অর্থ বিভাগের এক মুখপাত্র জানান, আর্থিক ব্যবস্থায় অপব্যবহার রোধে ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন পদক্ষেপের আমরা প্রশংসা করি।  এর আগে ২০২৩ সালে ১৪টি ব্যাংকে ডলারে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইরাক। ওই সময়েও ইরানে ডলার পাচারে কড়াকড়ি রোধের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ডলারে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও এসব ব্যাংক অন্য মুদ্রায় লেনদেন অব্যাহত রাখতে পারবে।   
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে কি না জানাল পেন্টাগন
ইরাক থেকে মার্কিন সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগন। গত সপ্তাহে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক সামরিক জোট বন্ধে কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দেয় বাগদাদ। বাগদাদের ঘোষণার পরই এমন তথ্য জানাল যুক্তরাষ্ট্র। খবর রয়টার্সের। মার্কিন বিমানবাহিনীর মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এই মুহূর্তে সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা সম্পর্কে আমি অবগত নই। আমরা আইএসআইএসকে (ইসলামিক স্টেট) পরাজিত করার দিকে মনোযোগ দেব। ইরাকি সরকারের আমন্ত্রণে মার্কিন বাহিনী দেশটিতে অবস্থান করছে বলেও জানান তিনি। বর্তমানে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ৯০০ এবং ইরাকে ২ হাজার ৫০০ সেনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পুনরুত্থান ঠেকাতে স্থানীয় সেনাবাহিনীকে পরামর্শ ও সহায়তা করাই এই মিশনের লক্ষ্য। তবে গত বৃহস্পতিবার বাগদাদে মার্কিন হামলায় এক মিলিশিয়া নেতা নিহত হলে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের সেনাদের দেশ থেকে বিতাড়নের তোড়জোড় শুরু করে ইরাক সরকার। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইরাকে আন্তর্জাতিক জোটের বাহিনীর উপস্থিতি স্থায়ীভাবে শেষ করবে সরকার। এ উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা গ্রহণে দ্বিপক্ষীয় কমিটি গঠনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। ইরান সমর্থিত দলগুলোর ওপর প্রধানমন্ত্রী শিয়া আল-সুদানির নিয়ন্ত্রণ বেশ সীমিত। অবশ্য গত বছর তাদের সমর্থনের ওপর ভর করেই দেশের ক্ষমতায় আসেন তিনি। বর্তমানে তার জোট সরকারের ওপর এসব গোষ্ঠীর শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদ জানায় ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো। গাজায় ইসরায়েলি হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে কিছুটা দায়ী করে তারা। কেননা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলকে একতরফা সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসন। এ জন্য ইরাকের মার্কিন সামরিক ঘাঁটি নিশানা করে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো। ২০০৩ সালে ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাত এবং গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র নির্মূলের কথা বলে ইরাকে হামলা চালায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী। তবে ইরাকের কাছে এমন কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ইরাক গড়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেখানে রক্তাক্ত গোত্রগত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ২০১১ সালে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু বছর তিনেক পরে আইএস ইরাকের বেশকিছু অঞ্চল দখলে নিয়ে নিলে মার্কিন সেনারা আবারও ইরাকে যায়। এরপর ২০১৭ সালে আইএসকে পরাজিত করলেও ইরাকে থেকে যায় মার্কিন সেনারা।
০৯ জানুয়ারি, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল ইরাক
যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে ইরাক। হামাস ইসরায়েলের মধ্যেকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মার্কিনদের এই সতর্কবার্তা দিয়েছে দেশটি। শনিবার (২ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানি যুক্তরাষ্ট্রকে এ সতর্কবার্তা দেন। মূলত ফিলিস্তিনে ইসরায়েলিদের হামলা শুরুর পর ইরাকে মার্কিন হামলার বিষয়ে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সুদানি আলাপকালে এ যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেন।  সুদানি বলেন, ইরাকে থাকা আন্তর্জাতিক জোটের উপদেষ্টাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।  এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের গোপন পরিকল্পনা জেনে যাওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। দেশটি বলছে, হামাসের হামলার এ পরিকল্পনা তারা এক বছর আগেই জেনে গিয়েছিল। হামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি, ই-মেইল ও সাক্ষাৎকার পর্যালোচনা করে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা হামাসের অভিযানের পরিকল্পনা জানত। এক বছরের বেশি সময় আগে তারা এসব জেনে গিয়েছিল। তবে বিষয়টিকে তারা পাত্তা দেয়নি। হামাসের দ্বারা এসব কাজ করা সম্ভব হবে না বলে মূল্যায়ন করেছিল তারা। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা হামাসের এ হামলার নথিকে জেরিখো ওয়াল নামে নামকরণ করেছে। এ নথিটি ৪০ পৃষ্ঠার। যেখানে পয়েন্ট আকারে ইসরায়েলে হামলার বিষয় এমনকি নিহতের সংখ্যা পর্যন্তও উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেড় মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বাত্মক হামলার পর গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে ইসরায়েল ও হামাস। এরপর দুই দফা এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে একমত হয় দুপক্ষ। তবে শুক্রবার সকাল ৭টায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলেও চুক্তি বাড়ানো নিয়ে ঘোষণা দেয়নি কোনো পক্ষই। যুদ্ধবিরতির শেষ হওয়ার পর প্রথম দিনে গাজার ৪০০ স্থাপনায় হামলার দাবি করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, দীর্ঘ যুদ্ধবিরতির পর গাজায় পুনরায় হামলা শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার ৪০০ স্থাপনায় হামলা করা হয়েছে। আইডিএফ জানিয়েছে, ইসরায়েলের এসব লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে অন্য হলো হামাসের অস্ত্রাগার ও অবকাঠামো। খান ইয়ানিস ও দেইর আল বালাদের হামাসের এসব লক্ষ্যে হামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি মসজিদকে গাজার আরেক দল ইসলামিক জিহাদ নিজেদের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। এ ছাড়া এ সময়ে আইডিএফ একটি সেলে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৮৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অন্তত ৫৮৯ জন আহত হয়েছেন এবং ২০টির বেশি বাড়িতে বোমা হামলা হয়েছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, শুক্রবার যুদ্ধবিরতি শেষ হতেই দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু হয়। বোমা হামলার মধ্যেই একটু নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বাসিন্দারা গাড়িতে জিনিসপত্র নিয়ে সড়কে নেমে যান। এ ছাড়া গাজা থেকে ইসরায়েলি শহরে রকেট ছোড়া হলে দক্ষিণ ইসরায়েলে সাইরেন বাজানো হয়। যদিও হামাসের এসব হামলায় ইসরায়েলে কোনো হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৩

ইসরায়েলকে ইরাক থেকে শিক্ষা নিতে বলল যুক্তরাষ্ট্র 
গাজায় পুরোদমে স্থল অভিযানের পরিকল্পনা করলেও তা এখনো শুরু করেনি ইসরায়েল। এ স্থল অভিযানের আগে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিকে ইরাকে অভিযান থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।  বিভিন্ন সূত্রের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা ইসরায়েলকে গাজায় স্থল অভিযান শুরু করার থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান থেকে এ শিক্ষা নেওয়ার কথা বলছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, ইসরায়েল গাজায় স্থল অভিযান শুরু করলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও ঘরে ঘরে লড়াইয়ে আটকে যাবে তারা।  হামাসকে মোকাবিলায় ইসরায়লের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ব্যাপক সহযোগিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তারা ইসরায়েলকে  স্থল অভিযানের জন্য ২০০৪ সালে ইরাক যুদ্ধ থেকে বিশেষ করে ফালুজা অভিযান থেকে শিক্ষা নেওয়ার করা জানিয়েছে।  যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গাজায় স্থল অভিযানের ফলে ইসরায়েলের জিম্মি ও বেসরামরিক লোকদের বিপদে ফেলতে পারে। এ ছাড়া এ অভিযানের ফলে আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়বে। এজন্য তারা বিমান হামলা ও বিশেষ লক্ষ্যে স্পেশাল অপারেশন চালানোর তাগিদ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আরও বলছে, ইসরায়েল গাজায় স্থল অভিযান করলে ইরাকের মসুল শহরের মতো হামাসও বেসামরিক লোকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এতে করে পরিকল্পনার চেয়ে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।  বাইডেন প্রশাসন তাদের এ ম্যাসেজকে ইসরায়েলের কাছে পৌঁছে দিতে থ্রি স্টারধারী একজন নৌ জেনারেল জেমস গ্লানকে পাঠাচ্ছে। এ জেনারেল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) গাজায় স্থল অভিযানে কৌশলগত সহযোগিতা করবেন। তিনি মেরিন ফোর্সের স্পেশাল অপারেশনের সাবেক কমান্ডার ছিলেন এবং ইরাক যুদ্ধে বিশেষ করে ফালুজা অভিযানে ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ যুদ্ধে তিনি কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেছিলেন। 
২৫ অক্টোবর, ২০২৩

ইসরায়েলকে সমর্থন করায় মার্কিন সেনাদের ইরাক ছাড়ার আলটিমেটাম
ইরাকে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে ইরান-সমর্থিত বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। অন্যথায় মধ্যপ্রাচ্যে থাকা অন্যান্য মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার হুমকি দিয়েছে এসব গোষ্ঠী। শনিবার (২১ অক্টোবর) মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপির) বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা। সম্প্রতি ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে রকেট ও ড্রোন হামলা হয়েছে। এরই মধ্যে অধিকাংশ হামলার দায় স্বীকার করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স। এসব গোষ্ঠী ইরান থেকে সহায়তা পেয়ে থাকে বলে দাবি করে আসছেন বিশ্লেষকরা। এপির খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলকে সহায়তা ও সমর্থনের জন্যই এসব হামলা এবং মার্কিন বাহিনীকে ইরাক ত্যাগের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে হস্তক্ষেপ না করতে সতর্ক করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বলেছে, এগুলো শুধু সতর্কবার্তা। গুরুত্বপূর্ণ কাজ এখনো শুরু হয়নি। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের স্থল হামলার বিষয়েও সতর্ক করেছে তারা।
২১ অক্টোবর, ২০২৩
X