কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে কি না জানাল পেন্টাগন

ইরাকে মার্কিন সেনা। ছবি : সংগৃহীত
ইরাকে মার্কিন সেনা। ছবি : সংগৃহীত

ইরাক থেকে মার্কিন সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগন। গত সপ্তাহে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক সামরিক জোট বন্ধে কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দেয় বাগদাদ। বাগদাদের ঘোষণার পরই এমন তথ্য জানাল যুক্তরাষ্ট্র। খবর রয়টার্সের।

মার্কিন বিমানবাহিনীর মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এই মুহূর্তে সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা সম্পর্কে আমি অবগত নই। আমরা আইএসআইএসকে (ইসলামিক স্টেট) পরাজিত করার দিকে মনোযোগ দেব। ইরাকি সরকারের আমন্ত্রণে মার্কিন বাহিনী দেশটিতে অবস্থান করছে বলেও জানান তিনি।

বর্তমানে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ৯০০ এবং ইরাকে ২ হাজার ৫০০ সেনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পুনরুত্থান ঠেকাতে স্থানীয় সেনাবাহিনীকে পরামর্শ ও সহায়তা করাই এই মিশনের লক্ষ্য।

তবে গত বৃহস্পতিবার বাগদাদে মার্কিন হামলায় এক মিলিশিয়া নেতা নিহত হলে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের সেনাদের দেশ থেকে বিতাড়নের তোড়জোড় শুরু করে ইরাক সরকার।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইরাকে আন্তর্জাতিক জোটের বাহিনীর উপস্থিতি স্থায়ীভাবে শেষ করবে সরকার। এ উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা গ্রহণে দ্বিপক্ষীয় কমিটি গঠনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

ইরান সমর্থিত দলগুলোর ওপর প্রধানমন্ত্রী শিয়া আল-সুদানির নিয়ন্ত্রণ বেশ সীমিত। অবশ্য গত বছর তাদের সমর্থনের ওপর ভর করেই দেশের ক্ষমতায় আসেন তিনি। বর্তমানে তার জোট সরকারের ওপর এসব গোষ্ঠীর শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদ জানায় ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো। গাজায় ইসরায়েলি হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে কিছুটা দায়ী করে তারা। কেননা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলকে একতরফা সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসন। এ জন্য ইরাকের মার্কিন সামরিক ঘাঁটি নিশানা করে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো।

২০০৩ সালে ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাত এবং গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র নির্মূলের কথা বলে ইরাকে হামলা চালায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী। তবে ইরাকের কাছে এমন কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ইরাক গড়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেখানে রক্তাক্ত গোত্রগত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

শেষ পর্যন্ত ২০১১ সালে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু বছর তিনেক পরে আইএস ইরাকের বেশকিছু অঞ্চল দখলে নিয়ে নিলে মার্কিন সেনারা আবারও ইরাকে যায়। এরপর ২০১৭ সালে আইএসকে পরাজিত করলেও ইরাকে থেকে যায় মার্কিন সেনারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হেফাজতে ইসলাম সবার জন্য পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছে :  এ্যানি

দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ

ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া

দেশের ৪০ শতাংশ নারী থাইরয়েডে আক্রান্ত!

‘এই পচা চালের ভাত কীভাবে খাব’

‘পুলিশ এখন বানরের মতো’ বললেন ওসি হাবিবুল্লাহ

ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে নামতে পারে আর্জেন্টিনা

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে একমাত্র পথ সুষ্ঠু নির্বাচন : নীরব

যশোরের ৪ মহাসড়কে মহাদুর্ভোগ

১০

সুদের টাকা না পেয়ে ঘরের টিন কাঠ খুঁটি খুলে নিলেন ইমাম

১১

সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের মৃত্যুতে ঢাবি সাদা দলের শোক

১২

কিউইদের কাছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শোচনীয় পরাজয়

১৩

বিএনপি আইনের শাসনে বিশ্বাসী : ব্যারিস্টার অসীম

১৪

প্রত্যেক উপদেষ্টা বিদেশি নাগরিক : রুমিন ফারহানা

১৫

বিশ্বকাপ দলে ডাক পেলেন ঢাবি ছাত্রদল নেতা

১৬

ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হতে যাচ্ছে : প্রেস সচিব

১৭

ছুটির দিনেও জমজমাট চাকসুর নির্বাচনী প্রচার

১৮

কুমিল্লা নামেই বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে উত্তাল রাজপথ

১৯

হৃতিক রোশনের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘স্টর্ম’

২০
X