বৃষ্টির প্রার্থনায় ববিতে ইসতিসকার নামাজ আদায়
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টি কামনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা ১১টায় মুক্তমঞ্চের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ও স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। নামাজে আল্লাহর নিকট পানাহ চান তারা। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. গোলাম মোস্তফা নামাজের ইমামতি ও বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন। শিক্ষার্থীরা জানান, প্রচণ্ড গরম ও অনাবৃষ্টির কারণে ক্যাম্পাসে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ তীব্র রোদে চারপাশ গরম হয়ে থাকে। এ নামাজের অসিলায় মহান আল্লাহ যেন পাপ ক্ষমা করে বৃষ্টি বর্ষণ করে, যাতে সবার ওপর শান্তি বর্ষিত হয়। কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব মো. গোলাম মোস্তফা জানান, দুনিয়াতে যখন অন্যায় কাজ বেড়ে যায়, তখনি মানুষ আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হতে থাকে। এ সালাতের মূল উদ্দেশ্য তওবা ইস্তেগফার করা। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দেশের প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে মুক্ত থাকার জন্য পানাহ চাওয়া হয়। দেশ বা সমাজ যখন কোনো খরতাপে পড়ে যায় বা এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে পতিত হয় তখন আমরা সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করি।
০২ মে, ২০২৪

খাগড়াছড়িতে বৃষ্টি চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায়
তীব্র দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে খাগড়াছড়ির রামগড়ে রহমতের বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসতিসকার নামাজ ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রামগড় পৌরসভার কালাডেবা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির উদ্যেগে মসজিদ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন কালাডেবা কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা আকরাম হোসেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আবুল বশর জানান, টানা কয়েক দিনের প্রচণ্ড দাবদাহে জনজীবন বির্যস্তত হয়ে পড়েছে। প্রখর রোদের কারণে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বাইরে বের হতে পারছে না অনেক মানুষ। মানুষ ও জীব বৈচিত্র্য সবই রোদ গরমের তীব্রতায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা হয়। খতিব মাওলানা মুফতি আকরাম হোসেন বলেন, এটি সুন্নতি আমল। এ নামাজ ঈদের নামাজের মতো। নামাজ শেষে খুতবা পাঠ করা হয়। তীব্র দাবদাহে আল্লাহর কাছে পরিত্রাণ চেয়ে গুনাহ মাফের জন্য আমরা ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি। নামাজে রামগড় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার ফারুক, পৌরসভার কাউন্সিলর কাজী আবুল বশরসহ এলাকাবাসী ও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মুসল্লিরা অংশ নেন। এদিকে চলমান আবহাওয়ার বিষয়ে বলছে, দেশের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। শনিবার সকাল ৯টায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আজ শনিবার সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। এই সময় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব থাকতে পারে। আগামীকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। পরের দিন সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

জয়পুরহাটে বৃষ্টির কামনায় ইসতিসকার নামাজ
তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দেশ। ওষ্ঠাগত মানুষ ও পশুপাখির জীবন। হুমকির মুখে ফল ও ফসল। প্রচণ্ড গরম আর কাঠফাটা রোদে বিপর্যস্ত জনজীবন। তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে বইছে গরম বাতাস। এ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ আদায় ও দোয়া প্রার্থনা করেছেন জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মুসল্লিরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ক্ষেতলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য দোয়া প্রার্থনা করা হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান হতে আগত মুসল্লিরা অংশ গ্রহণ করেন। স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন ধরে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দেশ। এ থেকে মুক্তি লাভের আশায় শনিবার সকালে নানা বয়সী মানুষ নামাজের জন্য মাঠে হাজির হন। নামাজের ইমাম প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশে নিয়মকানুন বলেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে প্রচণ্ড গরম, তীব্র তাপপ্রবাহ ও খরা থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন তারা। নামাজে ইমামতি করেন, ক্ষেতলাল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন। নামাজ শেষে তিনি খুতবা পাঠ করেন। খুতবা শেষে আল্লাহ কাছে দুই হাত তুলে মুনাজাত করান উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম মওলানা মোহাম্মদ সরওয়ার হোসেন। জানা গেছে, ইসতিসকা শব্দের অর্থ পানি প্রার্থনা করা বা বৃষ্টির জন্য দোয়া করা। যখন অনাবৃষ্টির কারণে দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে, নদী-খাল-জলাশয় শুকিয়ে যায়। মাঠে ফসলের ক্ষতি হয়। গাছপালা, উদ্ভিদ ও তৃণলতা জীর্ণ হয়ে যায়। জীবজন্তু ও পশুপাখির কষ্টের সীমা থাকে না। এমন বিপর্যয় থেকে রেহাই পেতে তখন আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হয়। অতীত গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে আকুতিভরে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা জানানোকে ইসতিসকা বলা হয়। এই নামাজকে ইসতিসকার নামাজ বলে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা সবর ও সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য কামনা করো। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৫৩)।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

পটুয়াখালীতে ইসতিসকার নামাজ আদায়
তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে অসহনীয় রোদ আর গরমে উপকূলীয় অঞ্চল পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অতিষ্ঠ জনজীবন। তাপ থেকে পরিত্রাণ ও বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে উপজেলা ইমাম-মোয়াজ্জিন কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে খেপুপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে, কুয়াকাটার মুসল্লিয়াবাদ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার মাঠে ও আলীপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ মাঠে এ নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ ও দোয়া পরিচালনা করেন খেপুপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. সাঈদুর রহমান। এ সময় বিভিন্ন বয়সের মুসল্লিরা নামাজে অংশ নেন। ইসতিসকার নামাজে আলোচনা করেন, ইমাম সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা মো. মাসুম বিল্লাহ রুমী, সহসভাপতি মাওলানা মো. সাঈদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো. ফেরদাউসুল হক গাজী, আলহাজ মাওলানা মো. জয়নুল আবেদীন, আলহাজ মাওলানা মো. ওয়ালিউল্লাহ, মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ। নামাজ পড়তে আসা পৌর শহর সাধারণ সম্পাদক ডা. মাওলানা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, তীব্র গরমে শুধু মানুষ না পশুপাখিরাও কষ্ট পাচ্ছে। এ জন্য দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি। নামাজ পড়ানো মাওলানা মো. সাঈদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ, তার ওপর বৃষ্টি নাই। এতে জনজীবন কষ্টে রয়েছে সেই সঙ্গে ফসল নষ্ট হচ্ছে। আমরা আজ বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহর কাছে চাওয়া তিনি যেন আমাদের নামাজ ও দোয়া কবুল করেন। সেই সঙ্গে ইসলামি বিধিবিধান মেনে চলার বিষয়ে খুতবা দেন তিনি।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

বগুড়ায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
প্রখর রোদ ও তীব্র দাবদাহের হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলা ইমাম মোয়াজ্জিন সমিতির আয়োজনে দুপচাঁচিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে খুতবা পাঠ ও বিশেষ দোয়া করা হয়। নামাজ ও দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা ইমাম মোয়াজ্জিন সমিতির সভাপতি উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিব মাও. আজিজুর রহমান। নামাজ আদায় করতে আসা দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রশিদ সরকার বলেন, আমাদের গুনার কারণে বর্তমানে যে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে এর থেকে পরিত্রাণের জন্য আজকের এ নামাজে উপস্থিত হয়ে আল্লাহর দরবারে রোদ, তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে পরিত্রাণের আশায় এ নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদেরকে মাফ করে দিয়ে রহমত নাজিল করবেন এবং রহমতের বৃষ্টি দান করবেন। দুপচাঁচিয়া ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. ইউসুফ আলী বলেন, আমাদের গুনাহর কারণে আজকে আবহাওয়ার এ অবস্থা। মানুষ, পশুপাখি ও গাছপালাসহ সবার জন্য যে সুন্দর আবহাওয়া ও বৃষ্টির প্রয়োজন সে জন্য আমরা আল্লাহর দরবারে মাফ চাওয়ার জন্য এ নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ আবশ্যই সকল জীবের কথা চিন্তা করে অবশ্যই আমাদের দোয়া কবুল করবেন। উপজেলা ইমাম মোয়াজ্জিন সমিতির সভাপতি মাও. আজিজুর রহমান বলেন, দাবদাহের হাত থেকে রক্ষা পেতে ও বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসতিসকার দুই রাকাত নামাজ আদায় করলাম। উপজেলা ইমাম মোয়াজ্জিন সমিতির আহ্বানে ৫ শতাধিক মুসল্লিদের নিয়ে নামাজ শেষে আল্লাহর দরবারে নতজানু হয়ে মাগফিরাত কামনার জন্য একত্রিত হয়েছি। নামাজ আদায় শেষে মোনাজাত করে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করেছি, মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের এ নামাজ কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

গুরুদাসপুরে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ
প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির প্রার্থনায় নাটোরের গুরুদাসপুরে ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।  নামাজের ইমামতি ও বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন-দারুল উলুম সরদার আব্দুল হামিদ মাদ্রাসার খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা ইয়াছিন আলী। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে মুক্তি পেতে মহান আল্লার কাছে বিশেষ মোনাজাত করেন। নামাজে এলাকার শতশত মুসল্লি অংশ নেয়। খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা ইয়াছিন আলী বলেন, ইসতিসকা আরবি শব্দ যার বাংলা অর্থ পানির জন্য প্রার্থনা করা। কোনো আজান বা ইকামত ছাড়া নফল নামাজ আদায় করতে হয়। তিনি বলেন, হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃষ্টি প্রার্থনার সময় বলতেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি তোমার বান্দাদের এবং তোমার পশুপাখিদের পানি দান করো। আর তাদের প্রতি তোমার রহমত বর্ষণ করো এবং তোমার মৃত জমিনকে জীবিত করো। আয়োজকদের পক্ষে ইমান হাসাইন পিন্টু কালবেলাকে জানান, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে আল্লাহর রহমত কামনায় এ বিশেষ নামাজের আয়োজন করা হয়েছিল। এর আগে মাইকিং করে সর্বসাধারণকে নামাজে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

কুয়াকাটায় কাঁদতে কাঁদতে ইসতিসকার নামাজ আদায়  
বৈশাখের শুরুতেই তীব্র দাবদাহ, তীব্র রোদ আর অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ কুয়াকাটার উপকূলীয় খেটে খাওয়া মানুষ। প্রখর রোদ আর অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন ফসল। তীব্র এই গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে  আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করে মুসল্লিরা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টায় কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ ও দোয়া করেন শত শত মুসল্লিরা। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, কুয়াকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম ও খতিব  মাওলানা রফিকুল ইসলাম সরোয়ারি। নামাজ ও দোয়ায় ছাত্র, যুবকসহ শহরের আশপাশের শতশত মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতে মুসল্লিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া করা হয়। নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মানুষ। এখন চাষাবাদ করতে পারছি না। তাই আল্লাহর অশেষ রহমতের জন্য এ নামাজ আদায় করা হয়েছে।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ঝিনাইদহে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সর্বস্তরের মানুষ। একের পর এক জারি করা হচ্ছে হিট অ্যালার্ট। হিটস্ট্রোকে অনেকে মারা যাচ্ছেন। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকার) আদায় করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৮টায় হরিণাকুন্ডু উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হরিণাকুন্ডু উপজেলা শাখার আয়োজনে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করে হরিণাকুন্ডু উপজেলা ইমাম পরিষদ। নামাজে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোজাম্মেল হক।  নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। নামাজে অংশ নেওয়া উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মঈনউদ্দীন আহমদ বলেন, এই অবস্থায় বৃষ্টি হওয়াটা খুব দরকার। বৃষ্টি হলে গরম কমে যাবে। আল্লাহতাআলা সালাতের মাধ্যমে বৃষ্টি বা পানি চাইতে বলেছেন। তাই আমরা মুসল্লিরা সবাই একত্রে নামাজ আদায় করেছি।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

শাহজাদপুরে বৃষ্টি কামনায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
সারা দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষায় বৃষ্টি কামনা করে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের নুকালি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এই নামাজের আয়োজন করেন নূরানি ক্যাডেট মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মওলানা রাশেদুল হাসান রাশেদ সিদ্দিকী। এ সময় বিশেষ এই নামাজ আদায় করতে জড়ো হন বিভিন্ন এলাকার শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। নামাজের ইমামতি করেন মাওলানা রাশেদুল হাসান রাশেদ সিদ্দিকী। পরে তিনি আরবিতে খুতবা দেন। যেখানে তীব্র গরমের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির প্রার্থনা করেন। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা নামাজে অংশ নেন। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে প্রার্থনা করা হয়। নামাজ আদায় শেষে মাওলানা রাশেদুল হাসান রাশেদ সিদ্দিকী বলেন, কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সে জন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, হাফেজ সাইদুল ইসলাম, মওলানা সেলিম রেজা, প্রভাষক শফিকুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ঝালকাঠির ৪ উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
সারা দেশে অনাবৃষ্টি ও তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। বৃষ্টির আশায় আকাশপানে তাকিয়ে মানুষ। এমন অবস্থায় গরম থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি কামনায় ঝালকাঠি জেলার ৪ উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই টুপি মাথায় জায়নামাজ নিয়ে মাঠে জড়ো হন স্থানীয় মুসল্লিরা। নামাজে ইমামতি করেন শহরের গুরুধাম জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মহিউদ্দিন। নামাজে সর্বস্তরের মুসল্লিরা এ নামাজে অংশ নেন। এ দিকে ঝালকাঠির রাজাপুরে সকাল ৯টায় পাড়গোপালপুর ইসাহাকাবাদ হোসাইনাইনিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার আয়োজনে মাদ্রাসা সংলগ্ন রৌদ্রোজ্জ্বল মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। নামাজে ইমামতি করেন মাদ্রাসার সিনিয়র প্রভাষক মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা আলমগীর হোসাইন, উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাহবুবুর রহমান, প্রভাষক মাওলানা আক্তারুজ্জামান, প্রভাষক মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা নুরুজ্জামান, মাওলানা আইউব আলী, মাওলানা শহিদুল ইসলামসহ এলাকার বিভিন্ন স্তরের মুসল্লিবৃন্দ। অনাবৃষ্টি ও তীব্র গরম থেকে বাঁচতে বৃষ্টির প্রার্থনায় এ নামাজের আয়োজন করা হয়। শিশু, যুবক, মধ্য বয়সী বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলনান ইস্তসকার নামাজ আদায় শেষে মহান আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে চোখের পানি ফেলে বৃষ্টির কামনায় ফরিয়াদ করেন। এ ছাড়াও ঝালকাঠির বিনয়কাঠি, কাঁঠালিয়া উপজেলা ও নলছিটিতে পৃথকভাবে বিভিন্ন সময়ে বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ আদায় করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ঝালকাঠিতে তাপদাহ চলছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। রোদে কাজ করতে গিয়ে শ্রমজীবী মানুষ হাঁপিয়ে উঠছে। হাসপাতালে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের রোগীর চাপ বাড়ছে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪
X