উইঘুর সংখ্যালঘু মুসলিমদের জোরপূর্বক জন্মনিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে
চীন উইঘুর মুসলমানদের প্রতি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। পশ্চিম জিনজিয়াং অঞ্চলের উইঘুর এবং অন্যান্য প্রধানত মুসলিম সংখ্যালঘু লোকদের জনসংখ্যা সীমিত করার জন্য নারীদেরকে বন্ধ্যাকরণ কিংবা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে বাধ্য করছে চীন। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় এমনই তথ্য ওঠে এসেছে।  চীন বিশেষজ্ঞ অ্যাড্রিয়ান জেঞ্জের পরিচালিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, চীনের নীতিটি সম্ভবত মন্থরবেগে জনসংখ্যাগত ‘গণহত্যার’ শামিল। প্রতিবেদনে চীনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানানো হয়। তবে চীন এসব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ হিসেবে অভিহিত করেছে। চীন ২০১৭ সাল থেকে ১০ লাখের বেশি উইঘুর এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিমদের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে থাকতে বাধ্য করছে।  এর আগেও জাতিসংঘের প্রকাশিত রিপোর্টে চীনের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, জিনজিয়াং প্রদেশে চীন উইঘুর মুসলমানদের প্রতি “গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন” করেছে বলে মনে করছে জাতিসংঘ।  প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চীন সংখ্যালঘুদের অধিকার দমন করার জন্য একটি অস্পষ্ট জাতীয় নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করছে এবং বিধিবহির্ভূতভাবে উইঘুর সম্প্রদায়ের লোকদেরকে বন্দিশিবিরে আটকে রাখছে। আটক বন্দিদের সঙ্গে অপরাধমূলক আচরণ করা হচ্ছে এবং তাদের উপর জোরপূর্বক জন্মনিয়ন্ত্রণ নীতি প্রয়াগ করা হচ্ছে।  জাতিসংঘের রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়, চীন যেন অবিলম্বে বন্দিশিবিরে আটকে রাখা “স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত সকল ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার” পদক্ষেপ গ্রহণ করে। রিপোর্টে আরও বলা হয়, বেইজিংয়ের এসব পদক্ষেপ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসাবে গণ্য হতে পারে।  তবে চীন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। চীন বলছে, এসব ক্যাম্প আসলে পুনঃশিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থা মোকাবিলায় এর দরকার রয়েছে বলে দাবি করেছে চীন। চীনের জিনজিয়াংয়ে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ উইঘুর মুসলমান বাস করে। তারা জিনজিয়াংয়ে বৃহত্তম তুর্কি-ভাষাভাষী আদিবাসী সম্প্রদায়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কাজাখরা। এখানে কিরগিজ, তাজিক, হুইরাও বাস করে। আর জিনজিয়াংয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায় হলো হান। তারা চীনের বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী। সূত্র : এপি এবং এএফপি 
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

নির্যাতিত উইঘুর মুসলিমদের ইতিহাস
বর্তমানে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর নাম উইঘুর।  চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে থাকা এই মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো নির্যাতনের দৃশ্য প্রকাশ পায় না গণমাধ্যমেও। যদিও এক সময় ‘পূর্ব তুর্কিস্তান’ নামে স্বাধীন একটি দেশ ছিল তাদের। যা বর্তমানে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ। উইঘুররা মূলত তুর্কি বংশোদ্ভূত এবং তুর্কি ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত উইঘুর ভাষায় কথা বলে থাকেন। তাদের বর্ণমালা আরবি হরফে লিখা হয়। যদিও নিজেদের সংস্কৃতি ও ভাষার ওপর দখলদারিত্ব বজায় রাখতে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে অঞ্চলটির মুসলিমদের। ১৮৮৪ সালে চীনের মাঞ্চু রাজবংশের সঙ্গে দীর্ঘ আট বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর স্বাধীনতা হারায় পূর্ব তুর্কিস্তান। তারপরই অঞ্চলটির নামকরণ করা হয় জিনজিয়াং। চীনের কাছে স্বাধীনতা হারানোর পর উইঘুররা একে একে হারাতে থাকে নিজেদের ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। ১৯১১ সালে মাঞ্চু সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ১৯৩৩-৪৪ সালে দুবার স্বাধীনতা লাভ করে উইঘুররা। এ সময় পূর্ব তুর্কিস্তান রিপাবলিক নামে একটি স্বাধীন দেশ গঠন করা হয়। তবে ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর বামপন্থি সেনাদের অভিযানে আবারও স্বাধীনতা হারায় উইঘুররা।  বর্তমানে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলটিতে বাড়ছে চীনের হান জনগোষ্ঠীর বসবাস। মূলত মুসলিমদের সংখ্যালঘু করার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সেখানে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে চীন সরকার। ১৯৪৯ সালে পূর্ব তুর্কিস্তানে উইঘুর মুসলিমদের সংখ্যা ছিল ৯৫ শতাংশ, ১৯৮০ সালের মধ্যেই তা ৫৫ শতাংশে নেমে আসে। বর্তমানে নিজেদের ভূখণ্ডে উইঘুরদের হার প্রায় ৪৬ শতাংশ।
১৩ নভেম্বর, ২০২৩

উইঘুর মুসলিম ৭৪ বছর নিজ দেশে পরাধীন
চীন স্বাধীন হওয়ার ৭৪ বছর পরও নিজ দেশে পরাধীন জীবন যাপন করছে উইঘুর মুসলমানরা। তাদের ওপর হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। উইঘুর মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বন্ধের দাবিতে করা মানববন্ধনে এসব অভিযোগ করেন বক্তারা। জেলার সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে গতকাল রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের পাগলা বাজার ওয়ালটন প্লাজার সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়। নুর মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম রাহাতের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জাগ্রত মুসলিম জনতা নারায়ণগঞ্জ জেলার পক্ষে মো. জাহাঙ্গীর আলম, পিয়াস আহমেদ সোহেল, গোলাম কিবরিয়া সাত্তার, অহিদুর রহমান, নজরুল ইসলাম, শাহাদাৎ হোসেন সেন্টু, কবির হোসেন রাজু, আজিজুল হাওলাদার, নুর মোহাম্মদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৭৪ বছরেও উইঘুর মুসলিমরা পায়নি তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। ১৯৪৯ সালের এই দিনে চীন স্বাধীন হলেও নিজ দেশে উইঘুর মুসলমানরা এখনো পরাধীন জাতির মতো জীবন যাপন করছে। তাদের ওপর হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। চীন সরকারের আগ্রাসনের মাত্রা দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বের অনেক দেশই চায়নিজ আগ্রাসনে হুমকির সম্মুখীন। তাই এখানে সমবেত হয়েছি উইঘুর মুসলমানদের ওপর সব ধরনের হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে। বিশ্ব মানবাধিকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে খর্ব করা হচ্ছে। সারা জাহানের মুসলমান ভাইদের কাছে অনুরোধ ও আহ্বান জানাই, যাতে চীন এ নির্যাতন বন্ধ করে। মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত উইঘুরদের ওপর চীন সরকারের বর্বরতা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন মনে করে, উইঘুরদের ওপর চীনের অব্যাহত নির্যাতন ও নিপীড়নের ঘটনা গুরুতর অপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন। নির্যাতনের দায়ে চীনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বক্তারা সেজন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি তাদের ওপর জুলুম ও নির্যাতন বন্ধ করে শান্তিপূর্ণভাবে জীবন যাপন করার পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। যদি সে পরিবেশ তৈরি করা না হয়, তাহলে জুলুমবাজ চীন সরকারের বিরুদ্ধে কঠিন আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। মিছিলে জাগ্রত মুসলিম জনতা নারায়ণগঞ্জ জেলার পাশাপাশি বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও তৌহিদি জনতা অংশগ্রহণ করেন।
০২ অক্টোবর, ২০২৩

উইঘুর মুসলিম শিক্ষিকার যাবজ্জীবন
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিপন্ন করার দায়ে অধ্যাপক রাহিল দাউতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে চীন। ২০১৮ সালে এক গোপন বিচারে তাকে এ সাজা দেওয়া হলেও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। খবর আলজাজিরার। চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল জিনজিয়াং প্রদেশে ১ কোটি ২০ লাখ উইঘুর নাগরিক বসবাস করে। তাদের অধিকাংশ মুসলিম। জিনজিয়াংয়ে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম জাতিসত্তার ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে। কয়েক বছরে চীনা পুনঃশিক্ষাকেন্দ্রে ১০ লাখের বেশি উইঘুর নাগরিককে আটক করা হয়েছে বলে ধারণা করছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। এ ছাড়া আরও হাজার হাজার মানুষকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। জিনজিয়াংয়ে চীনা কর্তৃপক্ষ গণহত্যা চালিয়েছে বলে দাবি করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের আরও অনেক দেশ। অ্যামনেস্টি ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠনগুলো সেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য চীনকে অভিযুক্ত করেছে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে বেইজিং। ডুই হুয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জন কাম বলেছেন, অধ্যাপক রাহিল দাউতকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া নিষ্ঠুর ট্র্যাজেডি। এটি উইঘুর জনগণ এবং যারা একাডেমিক স্বাধীনতার কথা বলেন তাদের জন্য বড় ক্ষতি। জিনজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাহিল দাউত। তিনি জাতিগত সংখ্যালঘু ফোকলোর রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৭ সালের শেষ দিকে জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুরদের ওপর সরকারি দমন-পীড়নের সময় তিনি নিখোঁজ হন। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ মিলছিল না। তবে গত মাসে জানা যায়, তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তার মামলার বিষয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিংয়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তার কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। তবে তার বিচার দেশের আইন অনুযায়ীই হবে।
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

উইঘুর মুসলিম শিক্ষিকাকে যাবজ্জীবন দিল চীন
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিপন্ন করার দায়ে বিশিষ্ট উইঘুর শিক্ষিকা অধ্যাপক রাহিল দাউতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে চীন। ২০১৮ সালে এক গোপন বিচারে তাকে এ সাজা দেওয়া হলেও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক ডুই হুয়া ফাউন্ডেশন এক বিবৃতিতে এ তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল জিনজিয়াং প্রদেশে এক কোটি ২০ লাখ উইঘুর নাগরিক বসবাস করে। এদের অধিকাংশ মুসলিম। জিনজিয়াংয়ে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম জাতিসত্ত্বার ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে। গত কয়েক বছরে চীনা পুনঃশিক্ষাকেন্দ্রে ১০ লাখের বেশি উইঘুর নাগরিককে আটক করা হয়েছে বলে ধারণা করছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। এ ছাড়া আরও হাজার হাজার মানুষকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। জিনজিয়াংয়ে চীনা কর্তৃপক্ষ গণহত্যা চালিয়েছে বলে দাবি করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের আরও অনেক দেশ। অ্যামনেস্টি ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠনগুলো সেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য চীনকে অভিযুক্ত করেছে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে বেইজিং। ডুই হুয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জন কাম বলেছেন, অধ্যাপক রাহিল দাউতকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া নিষ্ঠুর ট্র্যাজেডি। এটি উইঘুর জনগণ এবং যারা একাডেমিক স্বাধীনতার কথা বলেন তাদের জন্য বড় ক্ষতি। রাহিল দাউত জিনজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি জাতিগত সংখ্যালঘু ফোকলোর রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৭ সালের শেষ দিকে জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুরদের ওপর সরকারি দমনপীড়নের সময় তিনি নিখোঁজ হন। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ মিলছিল না। তবে গত মাসে জানা যায়, তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তার মামলার বিষয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিংয়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তার কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। তবে তার বিচার দেশের আইন অনুযায়ীই হবে।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

উইঘুর ইস্যুতে ২ চীনা কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র
চীনের উইঘুর মুসলমানদের জোরপূর্বক কাজ করানোর অভিযোগে চীনের দুটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ মঙ্গলবার (১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ব্যাটারি উৎপাদনকারী ক্যামেল গ্রুপ এবং মশলা উৎপাদনকারী চেঙ্গুয়াং বায়োটেক গ্রুপের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে না। আগামীকাল বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। মার্কিন সরবরাহ শৃঙ্খল থেকে জোরপূর্বক শ্রমের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য বাদ দিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, উইঘুর অধ্যুষিত চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর এবং অন্যান্য ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে জবাবদিহি বাড়াতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আরও পড়ুন : চীনা পরমাণু বাহিনীতে বড় রদবদল করলেন শি জিনপিং জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, জিনজিয়াংয়ে চীন সরকারের তথাকথিত উগ্রবাদ দমন সেন্টারে অন্তত ১০ লাখ উইঘুর মুসলমানকে আটক করে রাখা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এসব সেন্টারে উইঘুরদের সঙ্গে যা করা হয় তা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে চীন। এর আগেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জিনজিয়াংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন চীনা কোম্পানি ও সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। এ ছাড়া ২০২১ সালের ডিসেম্বরে উইঘুরদের থেকে জোরপূর্বক শ্রম আদায় বন্ধ করতে একটি আইন অনুমোদন করেন জো বাইডেন। এরপর থেকে এ আইনের আওতায় এখন পর্যন্ত ২৪টি চীনা কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
০১ আগস্ট, ২০২৩
X