ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন ৫ জুন
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) শূন্য আসনে উপনির্বাচনের সময়সূচি পুনর্নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। গত ৮ মে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নতুন সময়সূচি নির্ধারণের বিষয়টি জানানো হয়। আসনটিতে আগামী ৫ জুন ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গত ৮ মে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। ফলে ওই আসনে উপনির্বাচনে বাধা কেটে যায়। এরপর একই দিন নির্বাচনের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, রিটার্নিং অফিসার/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল গত ১০ মে। পাশাপাশি রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের জন্য গত ১১ মে দিন ধার্য ছিল। পরদিন ১২ মে থেকে শুরু হয়ে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিলের তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। তারপর ১৭ মে আপিল নিষ্পত্তি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৮ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৯ মে। সবশেষ আগামী ৫ জুন ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত ১৬ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। পরে এই আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তবে গত ৬ মে আসনটির স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নজরুল ইসলামের এক আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করে আদেশ দেন বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। ওইদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। পরে তিনি সাংবাদিকদের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২১ দিনের জন্য এ নির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সবশেষ গত ৮ মে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন। এতে আসনটিতে নির্বাচনের বাধা কেটে যায়।
১৩ মে, ২০২৪

ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচন স্থগিত
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া তপশিল স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে কারচুপির অভিযোগের মধ্যে ঘোষিত ভোটের ফল বাতিল করতে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাসকে বিজয়ী ঘোষণার দাবিতে করা ইলেকশন পিটিশনের ওপর আগামী রোববার থেকে শুনানির দিন ধার্য করা হয়। আদালতে ইলেকশন পিটিশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব, ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মনির ও আইনুন নাহার। পরে আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব বলেন, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে ওই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ ও ভোট গণনায় অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে ঘোষিত ফল বাতিল করতে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাসকে বিজয়ী ঘোষণার দাবিতে করা ইলেকশন পিটিশন হাইকোর্টে বিচারাধীন। এরই মধ্যে আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে মারা যান। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। বিচারাধীন ইলেকশন পিটিশন নিষ্পত্তির আগেই উপনির্বাচন হয়ে গেলে পিটিশনটি অকার্যকর হয়ে যাবে। সেজন্য উপনির্বাচন স্থগিতের আবেদন জানানো হয়। হাইকোর্ট ২১ দিনের জন্য এ উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে আগামী রোববার পিটিশনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেন। জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচার শুরুর পর থেকে একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে থাকেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই ও তার সমর্থকরা। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের ওপর হামলা-নির্যাতন, হুমকি-ধমকি প্রদান, পোস্টার-ব্যানার ছেঁড়াসহ এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। তার সমর্থকরা যে কোনোভাবে নৌকার প্রার্থীকে জেতানোর কথাও বলতে থাকেন। ওই অবস্থায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে বারবারই প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। গত ১৩ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে চিঠি দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দুলাল বিশ্বাস। এ ছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগও দাখিল করেন তিনি। এসব অভিযোগ তদন্ত করে একজন বিচারকের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর নির্বাচন কমিশন আব্দুল হাই ও তার সমর্থকের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করে। ইসি বাদী হয়ে একের পর এক মামলা করার পরও বেপরোয়া আচরণ ছিল নৌকা প্রার্থী ও তার সমর্থকদের। এ অবস্থার মধ্যেই গত ৭ জানুয়ারি ভোট হয়। নির্বাচনের দিন হাকিমপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর কেন্দ্রে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারেন পোলিং অফিসার রাজু আহমেদ। ভোটের দিন দুপুরে ওই কেন্দ্রে গিয়ে সাংবাদিকরা এ চিত্র দেখতে পান। এ সময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রকাশ্যে সিল মারার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। একই কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায়ও প্রকাশ্যে সিল মারার চিত্র চোখে পড়ে। এর ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেন হাইয়ের অনুসারীরা। এ ছাড়া অনেক কেন্দ্রে জোর করে সিল মারার ঘটনা ঘটে। ভোটের দিন নির্বাচন বন্ধ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর আবেদন জানান স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি তাতেও কোনো ব্যবস্থা নেননি। এরপর ভোট গ্রহণ শেষে ৭ জানুয়ারি বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঝিনাইদহ-১ আসনে ৪৯ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানানো হয়। কাস্টিং ভোটের ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ ছিল। অথচ ওই আসনের চূড়ান্ত ফলে ৯ শতাংশ ভোট বেড়ে যায়। ওই আসনে ৫৮ দশমিক ২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ কারণে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৮ ভোট কাস্টিং দেখানো হয়, যা প্রথম প্রতিবেদনের চেয়ে বেশি ২৮ হাজার ৩৮৯ ভোট বেশি। এসব ভোট নৌকা প্রতীকে কাস্টিং দেখানো হয়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়। এরপর ৮ জানুয়ারি ভোটের ফলের গেজেট স্থগিত রাখতে এবং ১০ জানুয়ারি জারিকৃত গেজেট বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানানো হয়। এতে কোনো প্রতিকার না পেয়ে নির্বাচন-পূর্ব ও পরবর্তী এসব ঘটনা তুলে ধরে হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দুলাল বিশ্বাস। গত ১ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই মাসের জন্য আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণার গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। একই সঙ্গে এ নির্বাচনে কারচুপি করে ফল ঘোষণার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্বাচন কমিশন, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তা, ইউএনওসহ ১৭ বিবাদীর প্রতি নোটিশ জারি করেন। পরে হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত। এদিকে ইলেকশন পিটিশন নিষ্পত্তির আগেই আব্দুল হাই মারা যান। এরপর ওই আসনে উপনির্বাচনের ঘোষণা দেয় ইসি।
০৭ মে, ২০২৪

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার (৬ মে) এই আদেশ দিয়েছেন।  গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। কিন্তু আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে মারা যান। তার মৃত্যুতে আসনটি ওইদিনই শূন্য হয়। শূন্য হওয়া আসনে আগামী ৫ জুন ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।  কিন্তু ওই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ও ভোট গণনায় অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি পদের গেজেট স্থগিত চেয়ে ইলেকশন পিটিশন হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। এই ইলেকশন পিটিশনের নিষ্পত্তির আগেই উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্ট আগামী রোববার থেকে ইলেকশন পিটিশনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন। ইলেকশন পিটিশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। জানা গেছে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ও ভোট গণনায় অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ ওঠে। এরই মধ্যে আব্দুল হাইকে নির্বাচিত ঘোষণা করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপর ইসি তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট জারি করে। পরে ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি পদের গেজেট স্থগিত চেয়ে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল। ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণার গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করেন।  গত এক ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই মাসের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তা, ইউএনওসহ ১৭ বিবাদীর প্রতি নোটিশ জারি করেন। নোটিশে কারচুপির অভিযোগে কেন ওই আসনের ফলাফল ঘোষণা অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। পরে হাইকোর্টের  ওই আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত। এদিকে ইলেকশন পিটন নিষ্পত্তির আগেই আব্দুল হাই মারা যান। ফলে ওই আসনে উপনির্বাচনের ঘোষণা দেয় ইসি। এ আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ৫ জুন।  জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা শুরুর পর থেকে একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে থাকেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই ও তার সমর্থকরা। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের ওপর হামলা-নির্যাতন, হুমকি-ধমকি প্রদান, পোস্টার-ব্যানার ছেঁড়াসহ এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তার সমর্থকরা যে কোনোভাবে নৌকার প্রার্থীকে জেতানোর কথাও বলতে থাকেন। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে বারবারই প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। গত ১৩ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে চিঠি দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দুলাল বিশ্বাস। এ ছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগও দাখিল করেন তিনি। এসব অভিযোগের তদন্ত করে একজন বিচারকের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর নির্বাচন কমিশন আব্দুল হাই ও তার সমর্থকের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা দায়ের করে। ইসি বাদী হয়ে একের পর এক মামলা দায়েরের পরও বেপরোয়া আচরণ ছিল নৌকা প্রার্থী ও তার সমর্থকদের। এ অবস্থার মধ্যেই গত ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের দিন হাকিমপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর কেন্দ্রে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারেন পোলিং অফিসার রাজু আহমেদ। ভোটের দিন দুপুরে ওই কেন্দ্রে গিয়ে সাংবাদিকরা এ চিত্র দেখতে পান। এ সময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রকাশ্যে সিল মারার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। একই কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায়ও প্রকাশ্যে সিল মারার চিত্র চোখে পড়ে। এর ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে হাইয়ের অনুসারীরা। এ ছাড়া অনেক কেন্দ্রে জোর করে সিল মারার ঘটনা ঘটে। ভোটের দিন নির্বাচন বন্ধ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর আবেদন জানান স্বতন্ত্র প্রার্থী। কিন্তু তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। ভোটগ্রহণ শেষে ৭ জানুয়ারি বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঝিনাইদহ-১ আসনে ৪৯ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানানো হয়। কাস্টিং ভোটের ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ ছিল। কিন্তু ওই আসনের চূড়ান্ত ফলে ৯ শতাংশ ভোট বেড়ে যায়। ওই আসনে ৫৮ দশমিক ২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ কারণে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৮ ভোট কাস্টিং দেখানো হয়, যা প্রথম প্রতিবেদনের চেয়ে বেশি ২৮ হাজার ৩৮৯ ভোট। এসব ভোট নৌকা প্রতীকে কাস্টিং দেখানো হয়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়। এরপর ৮ জানুয়ারি ভোটের ফলের গেজেট স্থগিত রাখতে এবং ১০ জানুয়ারি জারিকৃত গেজেট বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে নির্বাচনপূর্ব ও পরবর্তী এসব ঘটনা তুলে ধরে হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাস।  
০৬ মে, ২০২৪

ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন ৫ জুন
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন উপজেলা পরিষদে চতুর্থ ধাপের নির্বাচন। দেশের ৫৫টি উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে এ ভোট গ্রহণ। গতকাল নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভা শেষে কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। ঝিনাইদহ-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ৭ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে এবং আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। এ আসনের এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই গত ১৬ মার্চ থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ফলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন আগামী ৫ জুন
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে উপজেলা পরিষদের ৪র্থ ধাপের ৫৫টি উপজেলার নির্বাচনও ওইদিন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভা শেষে কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের নৌকার প্রার্থী মো. আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্ট। ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিশ্বাস বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাসের করা ইলেকশন পিটিশনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের একক বেঞ্চ দুই মাসের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেন। নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকে একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে থাকেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই ও তার সমর্থকরা। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের ওপর হামলা-নির্যাতন, হুমকি-ধমকি প্রদান, পোস্টার-ব্যানার ছেঁড়াসহ এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তার সমর্থকরা যে কোনোভাবে নৌকার প্রার্থীকে জেতানোর কথাও বলতে থাকে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে বারবারই প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। গত ১৩ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে চিঠি দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দুলাল বিশ্বাস। এ ছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগও দাখিল করেন তিনি। এসব অভিযোগের তদন্ত করে একজন বিচারকের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর নির্বাচন কমিশন আব্দুল হাই ও তার সমর্থকের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করে। ইসি বাদী হয়ে একের পর এক মামলা দায়েরের পরও বেপরোয়া আচরণ ছিল নৌকা প্রার্থী ও তার সমর্থকদের। এ অবস্থার মধ্যেই গত ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের দিন হাকিমপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর কেন্দ্রে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারেন পোলিং অফিসার রাজু আহমেদ। ভোটের দিন দুপুরে ওই কেন্দ্রে গিয়ে সাংবাদিকরা এ চিত্র দেখতে পান। এ সময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রকাশ্যে সিল মারার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। একই কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায়ও প্রকাশ্যে সিল মারার চিত্র চোখে পড়ে। এর ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে হাইয়ের অনুসারীরা। এ ছাড়া অনেক কেন্দ্রে জোর করে সিল মারার ঘটনা ঘটে। ভোটের দিন নির্বাচন বন্ধ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর আবেদন জানান স্বতন্ত্র প্রার্থী। কিন্তু তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। ভোট গ্রহণ শেষে ৭ জানুয়ারি বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঝিনাইদহ-১ আসনে ৪৯ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানানো হয়। কাস্টিং ভোটের ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ ছিল। কিন্তু ওই আসনের চূড়ান্ত ফলে ৯ শতাংশ ভোট বেড়ে যায়। ওই আসনে ৫৮ দশমিক ২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ কারণে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৮ ভোট কাস্টিং দেখানো হয়, যা প্রথম প্রতিবেদনের চেয়ে বেশি ২৮ হাজার ৩৮৯ ভোট। এসব ভোট নৌকা প্রতীকে কাস্টিং দেখানো হয়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়। এরপর ৮ জানুয়ারি ভোটের ফলের গেজেট স্থগিত রাখতে এবং ১০ জানুয়ারি জারিকৃত গেজেট বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী এসব ঘটনা তুলে ধরে হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দুলাল বিশ্বাস। আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট আব্দুল হাইয়ের নির্বাচনী ফলের গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করে আদেশ দেন। এদিকে গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গ্রামে গ্রামে তাণ্ডব শুরু করে হাইয়ের অনুসারীরা। স্বতন্ত্র প্রার্থী দুলাল বিশ্বাসের সমর্থকদের শত শত বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে টিভি, ফ্রিজ, হাড়ি-পাতিলসহ ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। লুট করা হয় টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, গবাদিপশু ও ধান। পিটিয়ে আহত করা হয় নারীসহ অর্ধশত মানুষকে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা উপজেলায়। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ঘরবাড়ি ছাড়ে অসংখ্য পরিবার। তাদের মধ্যে অনেকেই কৃষক—যারা পেঁয়াজ চাষ করেন। এলাকায় আসতে হলে স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের এসব নেতার কাছে চাঁদা দাবি করে হাইয়ের ক্যাডাররা। হামলা চালায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপরও। নির্বাচনের পর নতুন করে তাণ্ডব শুরু করায় শৈলকুপায় আতঙ্কের এলাকাতে পরিণত হয়।  
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

কুমিল্লায় ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলির ঘটনায় মহানগর ছাত্রদল সভাপতি আটক
মেয়র পদে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) উপনির্বাচনে একটি কেন্দ্রে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আবু সুফিয়ান অন্তুকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল তাকে আটক করে। এর আগে সকালে ভোটগ্রহণ চলাকালে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দু’পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে তাহসীন বাহার ও নিজাম উদ্দিন কায়সারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়। এ ঘটনায় কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আবু সুফিয়ান অন্তুকে (২৭) রাজাপাড়ার বাসার সামনে থেকে আটক করে পুলিশ। আটক হওয়া অন্তুর মায়ের দাবি, সংঘর্ষের ঘটনায় তার ছেলে জড়িত নয়। অন্তু সে সময় বাড়িতে অবস্থান করছিল। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, এখানে একটি সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন আহত হয়েছে। ঘটনার পরই আমরা সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছি। অন্তুকে কোনো বা কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হননি এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন, আহতরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে শনাক্তের চেষ্টা করছি। ছাত্রদল নেতা অন্তুকে আটকের প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হান্নান ভুঁইয়া কালবেলাকে জানান, আমরা কিছুক্ষণ আগে ভোট দিয়ে আসছি। ভোট দেওয়ার আগে ধাওয়া-পালটাধাওয়া হয়েছে, আমরা জানতে পারি নাই কারা করছে। অন্তুসহ আমরা নির্বাচনী কেন্দ্রের অনেক বাইরে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ পুলিশের গাড়ি এসে অন্তুকে তুলে নিয়ে গেল। তখন আমরা পুলিশকে বললাম কেন আটক করলেন। তারা সেই ব্যাখ্যা দিতে পারেন নাই। পুলিশ জানিয়েছে ,তারা তদন্ত করে কিছু পেলে অন্তুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে আর সম্পৃক্ততা না পেলে তাকে ছেড়ে দেবে।
০৯ মার্চ, ২০২৪

রাত পোহালেই পার্বতীপুর পৌরসভার উপনির্বাচন
রাত পোহালেই সারা দেশের মতো দিনাজপুরের পার্বতীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর কাউন্সিলের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচার শেষ হয়েছে প্রার্থীদের। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে বলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আজিজার রহমান বসুনীয়া নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও রেলওয়ে পুলিশ ও মডেল থানা পুলিশসহ পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবেন। উপনির্বাচনকে সামনে রেখে তিনজন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন- ডালিম প্রতীকে মো. আবুল কালাম আজাদ, টেবিল ল্যাম্পে রেজবাউল ইসলাম টুকুন ও উটপাখি প্রতীকে মতিয়ার রহমান। পার্বতীপুর বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ওয়ার্ডের ২ হাজার ৪৬৮ জন ভোটার ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ৮টি বুথে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ হাজার ১৮৪ ও নারী ভোটার ১ হাজার ২৮৪ জন রয়েছেন। উল্লেখ্য, গত বছর ৪ জুলাই ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলম মারা যান। ফলে পদটি শূন্য ঘোষণা করে উপনির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হয়।
০৮ মার্চ, ২০২৪

কুসিক উপনির্বাচন : মাঠে থাকছেন ৯ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে সংঘটিত অপরাধ আমলে নেওয়া এবং সংক্ষিপ্ত বিচারকার্জ সাধনের জন্য নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) থেকে তারা এ দায়িত্ব পালন করবেন।  নিয়োগপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা নিরাপত্তা ও সুষ্ঠুভাবে বিচারিক কাজ পরিচালনার জন্য প্রত্যেকের সঙ্গে একজন সশস্ত্র এসআই (পুলিশের উপ পরিদর্শক)-এর নেতৃত্বে চারজন কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনকে সামনে রেখে আজ থেকে কুমিল্লার ১, ২ ও  ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করবেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিক এবং ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করবেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা সুলতানা। ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করবেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসেন। ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করবেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম তানজিলা আক্তার। ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করবেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্বাস উদ্দীন।  ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করবেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান। ১৯,২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করবেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম সৈয়দা মোসাদ্দেকা। ২২,২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করবেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. আলাউদ্দিন মাহমুদ এবং ২৫,২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করবেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলম। আগামী ৯ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে মেয়র পদে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে মোট চারজন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্রে কুসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ইভিএম মেশিনে হবে।
০৮ মার্চ, ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ উপনির্বাচন চেয়ারম্যান পদে প্রতীক বরাদ্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তিন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রার্থীদের মধ্যে মো. হেলাল উদ্দিন চশমা, শফিকুল আলম আনারস ও বিল্লাল মিয়া ঘোড়া প্রতীক পেয়েছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে তপশিল ঘোষণার পর ছয়জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে শেষ দিন তিন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ হওয়ায় তাদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের অক্টোবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেন আল মামুন সরকার। তবে এক বছর পূর্ণ না হতেই ২৩ সালের ২ অক্টোবর মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়ে পড়ে। আগামী ৯ মার্চ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শিবগঞ্জ পৌর উপনির্বাচন প্রতীক পেয়েই প্রচারে প্রার্থীরা
বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভার উপনির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতীক পেয়েই প্রচারে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। গতকাল শুক্রবার সকালে পৌর নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শফিকুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বী চার প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন। এর মধ্যে সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিক পেয়েছেন নারিকেল গাছ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রিজ্জাকুল ইসলাম রাজু পেয়েছেন হ্যাঙ্গার (কাপড় রাখার), বিশিষ্ট ওষুধ ব্যবসায়ী হামদান মণ্ডল পেয়েছেন জগ এবং আব্দুল খালেক পেয়েছেন মোবাইল ফোন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শফিকুর রহমান জানান, আগামী ৯ মার্চ এই পৌরসভার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ১৯ হাজার ৪০০ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিক দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় পৌর মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এতে মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X