লালমনিরহাট কালীগঞ্জে শিয়ালখোওয়া হাটে কোরবানির না আসতেই হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি বিক্রেতাদের কাছ থেকেও অবৈধভাবে টোল নেওয়া হচ্ছে। এতে হাটপ্রতি ১-২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ইজারাদাররা।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৩০০ টাকা আবার কোনো ক্ষেত্রে গরু প্রতি সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা টোল আদায়ের নির্দেশনা রয়েছে। এতে ক্রেতা ৩০০ টাকা ও বিক্রেতা ১০০ টাকা পরিশোধ করবেন।
কিন্তু ইজারাদাররা প্রতি রশিদে ৭০০ টাকা আদায় করছেন। ৬০০ টাকার মধ্যে ক্রেতার কাছ থেকে ২০০, বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০ ও হাটের চাঁদা হিসেবে ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। সরকারি বিধি অনুযায়ী ছাগলের রসিদ হচ্ছে ৬০ টাকা আর হাটের ইজারাদাররা নিচ্ছে ছাগল প্রতি ২৮০ টাকা।
শনিবার (১৮ মে) কালীগঞ্জ উপজেলার শিয়ালখোওয়া হাটে সরেজমিন গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
গরু কিনতে আসা মো. খোকন মিয়া ও বুলবুল বলেন, আমাদের মূল্যবিহীন দুটি ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সেখানে টোল আদায়ের টাকার পরিমাণ নেই। শুধু ছাড়পত্রে (রসিদ) গরুর ক্রয়মূল্য লেখা রয়েছে।
গরু ব্যবসায়ী আমিনুল বলেন, অতিরিক্ত টোল ও রাস্তায় বিভিন্ন চাঁদা দিতে হয়। এতে গরু নিয়ে বিক্রি করে কোনো লাভ হয় না। তার পরেও আমাদের ব্যবসা করতে হচ্ছে।
শিয়ালখোওয়া হাটের ইজারাদার হাজি মোহাম্মদ শাহ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকার নির্ধারিত ছাড়পত্রের ফি বাবদ ৩০০ টাকাই নেওয়া হচ্ছে। আর কেউ যদি টাকার পরিমাণ বেশি নিয়ে থাকে সেটি তাদের নিজস্ব বিষয়। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমাম কালীগঞ্জ উপজেলার শিয়ালখোওয়া হাটের একটি অভিযোগ পেয়েছি তাদের বিরুদ্ধে আইনাগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন