রংপুরে যোগ দিলেন এডিসি হারুন
রংপুর রেঞ্জে যোগ দিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পেটানোর ঘটনায় আলোচিত ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। গতকাল বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) তিনি রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে হাজিরা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) পংকজ চন্দ্র রায় সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাময়িক বরখাস্ত) হারুন বুধবার আমাদের অফিসে যোগদান করেছেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়। পরে হারুনকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়। এরপর ১২ সেপ্টেম্বর তাকে রংপুরে সংযুক্ত করে আদেশ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আদেশের এক সপ্তাহ রংপুরে যোগদান করলেন তিনি। এদিকে এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর)। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছিল, তদন্ত কার্যক্রম শেষ। ঘটনায় দোষ মিলেছে দুই পুলিশ কর্মকর্তা এবং অন্য এক সরকারি কর্মকর্তারও। থানায় নির্যাতনে পুলিশের অন্তত পাঁচজনের সম্পৃক্ততার কথাও বেরিয়ে আসে; কিন্তু প্রতিবেদন জমা না দিয়ে কমিটি আরও সাত দিন সময় বাড়ানোর আবেদন করে। শেষ পর্যন্ত তাদের এবার অতিরিক্ত তিন দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি দুই দফায় ৮ দিনের সময় বাড়াল। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক কালবেলাকে বলেন, তদন্ত কমিটি সাত দিনের সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিল। তাদের তিন দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।  তদন্ত কমিটির একজন সদস্য ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের এডিসি শাহেন শাহ কালবেলাকে বলেন, তারা তদন্ত পুরোপুরি শেষ করতে পারেননি। এ জন্য সময়ের আবেদন করা হয়েছে।  গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি (সাসপেন্ড) হারুন-অর-রশীদ ও আরেক সরকারি কর্মকর্তা আজিজুল হক মামুনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আরেক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আজিজুল হক মামুনের স্ত্রী সানজিদা আফরিনকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। এর জেরে কেন্দ্রীয় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগ ওঠে।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

এডিসি হারুন ও সানজিদার বক্তব্য গ্রহণ
ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় সাসপেন্ড হওয়া এডিসি হারুন-অর-রশীদ ও এডিসি সানজিদা আফরিনের বক্তব্য নিয়েছে তদন্ত কমিটি। পাশাপাশি ঘটনার শিকার ছাত্রলীগ নেতা ও বারডেম হাসপাতালের প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যও নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুনেরও বক্তব্য নেওয়া হবে। এজন্য তাকে চিঠি দেওয়া হতে পারে বলে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে গত ৯ সেপ্টেম্বর বারডেম হাসপাতালে আজিজুল হক মামুনের সঙ্গে হারুনের হাতাহাতি হয়। ওই ঘটনার জেরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতা মামুনের পক্ষ নিয়ে এডিসি হারুনকে আঘাত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনার জেরে ছাত্রলীগের নেতা নাঈম ও মুনিমকে শাহবাগ থানায় নিয়ে নির্যাতন করা হয়। এতে হারুন ও থানার পরিদর্শক অপারেশন গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ বিভাগ। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে ডিএমপি তিন সদস্যের কমিটি করে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। ডিএমপি সদর দপ্তরের এডিসি সানজিদা মামুনের স্ত্রী। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এরই মধ্যে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক, নিরাপত্তাকর্মী ও অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের বক্তব্যগুলো যাচাই-বাছাই করে এ ঘটনায় কার কী ভূমিকা ছিল, সেটা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, ঘটনার সূত্রপাতের বিষয়ে মামুনের স্ত্রী সানজিদা আফরিনের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তিনি চিকিৎসা নিতে ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বারডেম হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকের সাক্ষাৎ পেতে তিনি সহকর্মী হিসেবে এডিসি হারুন-অর-রশীদের সহায়তা নেন। এ সময় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে এসে এডিসি হারুনকে মারধর করেন তার স্বামী মামুন। এখন তদন্ত সম্পন্ন করতে মামুনের বক্তব্য দরকার। তারা সেই চেষ্টা করছেন।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সেই এডিসি হারুন ও সানজিদা এখন কোথায়?
এডিসি হারুন অর রশীদ ও সানজিদা আফরিনকে নিয়ে সমালোচনা এখনো থামেনি। তাদের বিয়ে হয়েছে কিনা তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। দুজনের একটি ছবিও বের হয়েছে। যদিও সানজিদার পরিবার বলছে বিষয়টি সত্য না। তবে প্রশ্ন সেখানে না। ছাত্রলীগ নেতাদের থানায় নিয়ে মারধরের ঘটনায় বরখাস্ত হওয়া হারুন অর রশীদ ও এ ঘটনায় নাম জড়িয়ে যাওয়া সানজিদা এখন কোথায় আছেন?  জানা গেছে, এডিসি হারুন এখনো ঢাকায় অবস্থান করছেন। তিনি রংপুরের কর্মস্থলে যোগ দেননি। বর্তমানে তিনি ঢাকার বাসায়ই থাকছেন। এদিকে এডিসি সানজিদা আফরিন ডিএমপি সদর দপ্তরে নিয়মিত অফিস করছেন। এডিসি হারুনের রংপুরে যোগদানের বিষয়ে রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ফিন্যান্স) এসএম রশিদুল হক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, হারুন অর রশীদ এখনো রংপুর রেঞ্জে যোগ দেননি। শুক্রবার হয়তো, তাই তিনি আসেননি। অফিস ডেতে তিনি আসবেন হয়তো। উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে ছাত্রলীগ নেতাদের শাহবাগ থানায় আটকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে ডিএমপির রমনা জোনের তৎকালীন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদকে ১০ সেপ্টেম্বর দুবার বদলি করা হয়। প্রথমে তাকে রমনা বিভাগ থেকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) উত্তর বিভাগে বদলি করা হয়। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, হারুন অর রশীদকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার করা হয়েছে। আবার এক দিন পরেই তাকে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হয়।  এ ঘটনায় রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। গত ৯ সেপ্টেম্বর বারডেম হাসপাতালে এডিসি সানজিদাকে কেন্দ্র করে এডিসি হারুনকে মারধরের অভিযোগ উঠে আজিজুল হকের বিরুদ্ধে। 
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

এবার মুখ খুললেন এডিসি হারুন
ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে মারধর এবং পরবর্তীতে নানা নাটকিয়তার পর এবার মুখ খুললেন এডিসি হারুন উর রশীদ।  মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এডিসি হারুন বলেছেন, ‘গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) আমি আমার বাবা-মাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ডাক্তার পবিত্র কুমারের কাছে দেখাতে যাই। তখন বেলা ২টার দিকে আমাদের এডিসি ক্রাইম-১ ফোন করে বলেন, তাঁর চেস্ট পেইন (বুকে ব্যথা) সে জন্য বারডেম হাসপাতালের ডাক্তার প্রফেসর রশিদ স্যারের সিরিয়াল (অ্যাপয়েন্টমেন্ট) নেওয়া যায় কি না। তখন আমি আমাদের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রমনা থানা আবুল হাসান সাহেবকে বলি একটা সিরিয়াল ম্যানেজ করে দেওয়ার জন্য। আবুল হাসান সাহেব পরবর্তীতে আমাকে জানান, সন্ধ্যা ৬টায় একটা সিরিয়াল ম্যানেজ করে দেওয়া হয়েছে। আমি সেটা এডিসি ক্রাইম-১-কে জানাই। উনি সন্ধ্যা ৬টায় ওখানে চলে যান।’ এডিসি হারুনের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘পরবর্তীতে প্রফেসর ডা. আব্দুর রশিদ স্যার বারডেমের কনফারেন্স বা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার কারণে সময় দিতে পারছিলেন না। কিন্তু পেশেন্ট (এডিসি সানজিদা) সেখানে গিয়ে অসুস্থ বোধ করছিলেন। এরপর আমাকে বলে, স্যার এখানে ডাক্তার সম্ভবত ব্যস্ত আছেন, উনি আজকে সময় দিতে পারবেন না। কিন্তু আমি সিক ফিল (অসুস্থ বোধ) করছি। তখন আমি বললাম, আমি কাছেই আছি, দেখি কথা বলি ডাক্তারের সঙ্গে। আমি সেখানে যাই। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলার পর ডাক্তার দেখেন।’ হারুন বলেন, ‘পরবর্তীতে তাকে (এডিসি সানজিদা) তিনটি টেস্ট করান। ইসিজি, ইকো এবং ইটিটি। যখন ইটিটি রুমের ভেতরে পেশেন্ট ছিলেন আমি তখন বাইরে ভিজিটরেরা যেখানে অপেক্ষা করেন সেখানে ছিলাম। তখন আজিজুল হক মামুন (এডিসি সানজিদার স্বামী) এবং তাঁর সঙ্গে আরও চার-পাঁচজন আসেন। তিনি পেশেন্টের রুমে যান, পেশেন্ট দেখেন। দেখে বাইরে এসে কোনো কথাবার্তা ছাড়াই আমার বাম চোখের ওপরে একটা ঘুষি মারেন। আমি খুব অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি। তাঁকে জিজ্ঞেস করি, ভাই আপনি আমাকে কেন মারলেন? আপনি তো আমার গায়ে হাত তুলতে পারেন না। তখন তার সঙ্গে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরাও আমার ওপরে চড়াও হন। তাঁরা আমাকে জোরপূর্বক ইটিটি রুমের ভেতরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান। সেখানে পেশেন্টের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা ওখানেও আমাকে মারধর করেন। পরবর্তীতে আমি আত্মরক্ষার্থে শাহবাগ থানা-পুলিশকে কল করি। শাহবাগ থানা-পুলিশ এসে সকলকে থানায় নিয়ে যায়।’ তিন ছাত্রলীগ নেতাকে অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন–অর–রশীদের নেতৃত্বে মারধরের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন এডিসি সানজিদা। তাঁকে কেন্দ্র করেই গত শনিবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক নেতাকে মারধরের ঘটনার পর এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এডিসি হারুনও সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের স্ত্রী।  ওই দিনের ঘটনা একই দিন মুখ খুলেছেন সানজিদা আফরিন। তিনি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকালে বলেন, ‘আমার কিছু কার্ডিয়াক সমস্যা ছিল। চার-পাঁচ মাস ধরে বুকে ব্যথা বেড়ে গিয়েছিল। আমি ল্যাবএইডে যে চিকিৎসকের অধীনে ছিলাম, তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। আমার জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হওয়ায় গত শনিবার ইব্রাহীম কার্ডিয়াকে যাই। স্যার (এডিসি হারুন) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দিয়ে একজন চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট করিয়ে দেন। আমার একজন কার্ডিয়াক চিকিৎসকের দরকার ছিল, তাই আমি অফিস থেকে বের হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেখানে যাই।’  সানজিদা বলেন, ‘কিন্তু চিকিৎসক তখন একটি কনফারেন্সে ছিলেন। এরপর স্যারকে (এডিসি হারুন) বিষয়টি জানাই। তিনি তখন হাসপাতালটির আশপাশেই ছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ পর স্যার আসেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি চিকিৎসক ম্যানেজ করেন। এরপর আমি চিকিৎসক দেখিয়ে বেশ কিছু টেস্ট করাই।’  ঘটনার সময় ইটিটি করাচ্ছিলেন জানিয়ে সানজিদা আফরিন বলেন, ‘ইটিটিতে বেশ সময় লাগে। ২০/২৫ মিনিটের মতো। ইটিটি যখন শেষ পর্যায়ে তখন আমি একটি হট্টগোল শুনতে পাই। এ সময় এডিসি স্যারকে বলতে শুনি, “ভাই, আমার গায়ে হাত তোলেন কেন? আপনি তো আমার গায়ে হাত তুলতে পারেন না”। আমি ভাবছিলাম অন্য কারও ঝামেলা। পরে আমি এসে দেখি আমার হাজব্যান্ড। ওনাকে আউট অব মাইন্ড লাগছিল। তাঁকে উত্তেজিত লাগছিল। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন। তাঁদের হাত থেকে বাঁচতে স্যার ইটিটি কক্ষের একটি কর্নারে যান। আমার হাজব্যান্ড তখন ওই ছেলেগুলোকে বলে, “তোরা এই দুজনের ভিডিও কর”। তখন আমি ইটিটির পোশাকে ছিলাম। সেই কক্ষে কোনো ছেলে প্রবেশের কথা না। আমি এই বিষয়টি নিয়ে স্বামীর সঙ্গে শাউট (উচ্চ স্বরে কথা) করি। তখন আমার স্বামী আমাকে দুটি চড় দেয়। এ সময় আমার গাড়িচালক মাঝখানে দাঁড়ায়। এ সময় আমি এরপর দেখি আরও একজন ছেলে ভিডিও করতেছিল, তখন আমি তার কাছ থেকে ক্যামেরা নেওয়ার চেষ্টা করি। তখন তার সঙ্গেও আমার হাতাহাতি হয়।’  সানজিদা বলেন, ‘আমার স্বামী আমার গায়ে হাত তোলে। তখন এডিসি স্যারকে টেনেহিঁচড়ে তারা রুম থেকে বের করার চেষ্টা করে। এডিসি স্যার তখন বলতে থাকেন, “এখান থেকে আমাকে বের করলে তো মেরে ফেলবেন”। এরপর এডিসি স্যার ফোর্সকে খবর দেন। এর মধ্যে হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরাও আসেন। ফোর্স আসা পর্যন্ত এডিসি হারুন ইটিটি কক্ষেই ছিলেন। ১০/১৫ মিনিট পর ফোর্স আসে। এরপর এডিসি হারুন চলে যান। আমার বডিগার্ডের ওপরও তারা হাত তোলে।’ 
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বরখাস্তের পর এবার রংপুরে সংযুক্ত এডিসি হারুন  
ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় আলোচিত রমনা জোনের এডিসি হারুনকে বরখাস্তের একদিন পরই রংপুরে সংযুক্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক আদেশ জারির মাধ্যমে তাকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।   স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, হারুন-অর রশীদ, পিপিএম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্তমানে সাময়িকভাবে বরখাস্ত এবং পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত)-কে রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়, রংপুরে সংযুক্ত করা হলো। এর আগে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমানের (বিপিএএ) স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এর আগে ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনের ঘটনায় রোববার তাকে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়। পরে হারুনকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়। ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনের ঘটনায় সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করেন সংগঠনিক সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। এর আগে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ ওঠে। আহত ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সবাই এডিসি হারুন হতে চায় : ব্যারিস্টার খোকন
ঢাকার নিম্ন আদালতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পদযাত্রায় পুলিশের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি যুগ্মমহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন।  এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা ছিল। নির্বিচারে তারা আইনজীবীদের পিটাল, যা জঙ্গিদেরও হার মানিয়েছে। তারা আইনজীবী বোনদের টর্চার করেছেন, গায়ে হাত দিয়েছেন। সবাই এডিসি হারুন হতে চায়।’ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) পদযাত্রা শেষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।  তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের দুই রকম বিচার। এডিসি হারুন ছাত্রদের মারল। তারপর সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের ওপর হামলা করেছে, বিচার হয়নি। অথচ দুজন ছাত্রলীগের কর্মীকে মেরে বরখাস্ত হয়েছে। সরকারি দলের দুজন আহত হওয়ায় এডিসি হারুনকে বরখাস্ত করা হয়। অথচ হাজারো মানুষের ওপর হামলা করেছেন তার কোনো বিচার নেই।’ এর আগে দুপুর ১২টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা পদযাত্রা ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে। ঢাকার আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে আদালতের সামনের প্রধান সড়কে অবস্থান নেন। তখন তাদের সড়ক ছেড়ে দিতে বলে পুলিশ। এ সময় পুলিশ ও আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা সড়কে বসে পড়েন। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে সরানোর চেষ্টা করলেও আইনজীবীরা ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে সিএমএম আদালতের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। সেখানেও পুলিশ ও আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল হয়। পরে আইনজীবী সমিতির সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে তাদের পদযাত্রা শেষ হয়।
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বরখাস্তের পরও ভাতা পাবেন এডিসি হারুন
দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে সাময়িক বরখাস্ত হলেন পুলিশের বহুল বিতর্কিত অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদ। তবে সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতাপ্রাপ্ত হবেন বলেও জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।   সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমানের (বিপিএএ) স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, যেহেতু হারুন-অর-রশীদ, পিপিএমকে জনস্বার্থে সরকারি কর্ম থেকে বিরত রাখা আবশ্যক ও সমীচীন সেহেতু, তাকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (১) ধারার বিধান মোতাবেক অদ্য ১১-৯-২০২৩ তারিখ থেকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতাপ্রাপ্ত হবেন। এর আগে ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনের ঘটনায় রোববার তাকে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়। পরে হারুনকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়। ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনের ঘটনায় সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করেন সংগঠনিক সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। ছাত্রলীগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হারুনকে বদলি করে দেওয়ায় সন্তুষ্ট নয় ছাত্রলীগ। এজন্য নেতাকর্মীদের ক্ষোভের কথা ডিএমপি কমিশনারকে জানান সাদ্দাম ও ইনান। সূত্র জানায়, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। আজই এ সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে। এর আগে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ ওঠে। আহত ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ। ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, এডিসি হারুন শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেন। এরপর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ওই দুজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবশ্য পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেন এডিসি হারুন। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘আমি এসব কিছু জানি না।’ এ ঘটনার পর আহত নাঈমকে প্রথমে ঢামেক হাসপাতাল, এরপর মালিবাগের ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেন্টাল বিভাগে ভর্তি করা হয় তাকে। এদিকে নির্যাতনের অভিযোগে এডিসি হারুনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহার করে তাকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট ( পিওএম) বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির এক কর্মকর্তা। এ ছাড়া নির্যাতনের ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ডিএমপি। এ কমিটিকে আগামী দুদিনের মধ্যে তদন্ত করে ডিএমপি কমিশনার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

এডিসি হারুন বরখাস্ত
দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে সাময়িক বরখাস্ত হলেন পুলিশের বহুল বিতর্কিত অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদ।  সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমানের (বিপিএএ) স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।  প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, যেহেতু হারুন-অর-রশীদ, পিপিএমকে জনস্বার্থে সরকারি কর্ম থেকে বিরত রাখা আবশ্যক ও সমীচীন সেহেতু, তাকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (১) ধারার বিধান মোতাবেক অদ্য ১১-৯-২০২৩ তারিখ থেকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।  সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতাপ্রাপ্ত হবেন।  এর আগে ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনের ঘটনায় রোববার তাকে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়। পরে হারুনকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়। ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনের ঘটনায় সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করেন সংগঠনিক সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। ছাত্রলীগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হারুনকে বদলি করে দেওয়ায় সন্তুষ্ট নয় ছাত্রলীগ। এজন্য নেতাকর্মীদের ক্ষোভের কথা ডিএমপি কমিশনারকে জানান সাদ্দাম ও ইনান। সূত্র জানায়, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। আজই এ সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে। এর আগে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ ওঠে। আহত ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ। ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, এডিসি হারুন শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেন। এরপর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ওই দুজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবশ্য পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেন এডিসি হারুন। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘আমি এসব কিছু জানি না।’ এ ঘটনার পর আহত নাঈমকে প্রথমে ঢামেক হাসপাতাল, এরপর মালিবাগের ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেন্টাল বিভাগে ভর্তি করা হয় তাকে। এদিকে নির্যাতনের অভিযোগে এডিসি হারুনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহার করে তাকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট ( পিওএম) বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির এক কর্মকর্তা। এ ছাড়া নির্যাতনের ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ডিএমপি। এ কমিটিকে আগামী দুদিনের মধ্যে তদন্ত করে ডিএমপি কমিশনার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বরখাস্ত হচ্ছেন এডিসি হারুন
বরখাস্ত হতে যাচ্ছেন পুলিশের বহুল বিতর্কিত অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদ। এর আগে ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনের ঘটনায় রোববার তাকে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়। পরে হারুনকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়। ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনের ঘটনায় সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করেন সংগঠনিক সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। ছাত্রলীগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হারুনকে বদলি করে দেওয়ায় সন্তুষ্ট নয় ছাত্রলীগ। এজন্য নেতাকর্মীদের ক্ষোভের কথা ডিএমপি কমিশনারকে জানান সাদ্দাম ও ইনান। সূত্র জানায়, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। আজই এ সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে।  এর আগে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ ওঠে। আহত ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ। ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, এডিসি হারুন শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেন। এরপর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ওই দুজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবশ্য পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেন এডিসি হারুন। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘আমি এসব কিছু জানি না।’ এ ঘটনার পর আহত নাঈমকে প্রথমে ঢামেক হাসপাতাল, এরপর মালিবাগের ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেন্টাল বিভাগে ভর্তি করা হয় তাকে। এদিকে নির্যাতনের অভিযোগে এডিসি হারুনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহার করে তাকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট ( পিওএম) বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির এক কর্মকর্তা। এ ছাড়া নির্যাতনের ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ডিএমপি। এ কমিটিকে আগামী দুদিনের মধ্যে তদন্ত করে ডিএমপি কমিশনার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

এক দিনে দুবার বদলি এডিসি হারুন
নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্মম নির্যাতনে অভিযুক্ত রমনা বিভাগের এডিসি হারুন-অর-রশীদকে বদলি করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে তাকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়। এর আগে দুপুরে তাকে রমনা বিভাগের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) বিভাগে বদলি করা হয়েছিল। এদিকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং বিজ্ঞান সম্পাদক ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে নির্যাতন করা হয়। ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, এডিসি হারুন পুলিশ ক্যাডারের এক নারী কর্মকর্তাকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। শনিবার রাতে বারডেম হাসপাতালে ওই কর্মকর্তার সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় বিষয়টি টের পান নারী কর্মকর্তার স্বামী। তখন তিনি ছাত্রলীগ নেতা নাঈম ও মুনিমকে নিয়ে সেখানে গিয়ে হারুনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। ওই ঘটনার জেরে মুনিমকে ঘটনাস্থল থেকে ধরে নিয়ে থানায় নির্যাতন করা হয়। পরে নাঈম থানায় গেলে তার ওপরও চলে পৈশাচিকতা। সূত্র জানায়, ওই নারী কর্মকর্তার স্বামীকেও থানায় ধরে নেন হারুন। পরে তার পরিচয় পেয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনা নিয়ে রাতেই থানার সামনে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতারা ঘটনার মীমাংসা করেন। গতকাল রোববার দৈনিক কালবেলায় ওই ঘটনা নিয়ে ‘ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে পেটালেন এডিসি হারুন’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই পুলিশের ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এটা যে করেছে, সে পুলিশের হোক বা যে-ই হোক না কেন, অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হবে। কেন করেছে, কী করেছে আমরা জিজ্ঞাসা করব। তার ভুল কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর আফতাব নগরে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগেও এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকসহ অনেককে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গতকালের ঘটনাটি প্রথম উল্লেখযোগ্যভাবে আসছে, আমরা একটু দেখে নিই। আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। সে যতখানি অন্যায় করেছে, সেই শাস্তি সে পাবে।’ ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার কালবেলাকে বলেন, ঘটনা তদন্তে ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। ক্রাইম বিভাগের ডিসিকে প্রধান করে ওই কমিটিতে নিউমার্কেট জোনের এডিসি এবং ডিবির মতিঝিল বিভাগের একজন এডিসিকে রাখা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে ঢাবির দুই ছাত্রকে নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা এডিসি হারুনের বিচার দাবি করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘এডিসি হারুনের বিচার চাই’; ‘আমার ভাই আহত কেন, জবাব চাই’; ‘হারুনের কালো হাত ভেঙে দাও’, ‘হারুনের পরকীয়ার বলি কেন হবে আমার ভাই’; ‘এই নির্মমতার শেষ কোথায়’—প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগ। এক বিবৃতিতে হল নেতারা বলেন, আমরা পুলিশের এই পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।’ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। এ ছাড়া ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক অনেক নেতা ফেসবুকে নিন্দা জানিয়েছেন। সাবেক ছাত্রনেতাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ: নাঈম ও মুনিমকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে অমানবিক এবং নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতনের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। সাবেক ছাত্রনেতাদের পক্ষে জসিম ঊদ্দিন ভূঁইয়ার পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশের মতো মহান পেশাকে যারা কলুষিত করতে চায়, অনতিবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে বদলি বা প্রত্যাহার নয়, উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তা ছাড়া তদন্ত কমিটির নামে কোনো গড়িমসি চলবে না বলেও তারা হুঁশিয়ারি দেন। ছাত্রদলের নিন্দা: বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের পক্ষ থেকেও এডিসি হারুনের বিচার দাবিতে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনসহ অতীতের সব পুলিশি নির্যাতনের দায়ে এডিসি হারুনকে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। বিবৃতিতে নেতারা বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্যাতনকারী এক অফিসারের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ না করে ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে কলঙ্ক লেপন করেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের মতো একটি পুরোনো ছাত্র সংগঠনের এ ধরনের অমর্যাদাকর অবস্থানের কারণে নিন্দা ও হতাশা প্রকাশ করেন ছাত্রদলের এই দুই নেতা।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X