বাসের সমান ওজন পুতিনের গাড়িতে কী আছে?
গোয়েন্দা পেশা থেকে রাজনীতির ময়দানে এসে বছরের পর বছর রাজনীতিক প্রতিপক্ষ ও শত্রু দেশকে ঘোল খাওয়াচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বর্তমানে চীন সফরে গিয়ে আবার সবার নজর কেড়েছে পুতিনের প্রেসিডেন্টসিয়াল গাড়ি। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একজন পুতিন। গেল সপ্তাহে পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন এই রুশ লৌহমানব। পুতিন যে গাড়ি ব্যবহার করেন, সেটি একটি অরাস সেনাট লিমুজিন। গেল ফেব্রুয়ারি মাসে খবর বেরোয় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন, অরাস সেনাট গাড়ি ব্যবহার করছেন। পরে জানা যায়, গাড়িপ্রেমী কিমকে নাকি পুতিনই ওই অরাস সেনাট উপহার দিয়েছেন। রাশিয়ায় তৈরি অরাস সেনাটে কী এমন রয়েছে যে, কিমও এর আকর্ষণ এড়াতে পারলেন না। ২০১৮ সালে পুতিন চতুর্থ দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আনা হয় অরাস সেনাট। এর আগে মার্সিডিজ বেঞ্জ এস ৬০০ গার্ড পুলম্যান ব্যবহার করতেন পুতিন। অরাস সেনাট তৈরি করেছে রুশ প্রতিষ্ঠান অরাস মটরসের। তবে এটা ডেভেলপ করেছে নামি। মধ্যপ্রাচ্য ও চীনের বাজার টার্গেট করে উৎপাদনে গিয়েছিল অরাস মটরস। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ, তাদের সেই স্বপ্নে বাঁধ সেঁধেছে। এই লিমুজিন গাড়িটির দাম প্রায় ১২ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৪ কোটি ৫ লাখ টাকা। অরাস সেনাট লিমুজিনে রয়েছে ৪.৪ লিটার ভি৮ ইঞ্জিন। সঙ্গে রয়েছে হাইব্রিড পাওয়ারট্রেন। যদিও এই গাড়িতে কত শক্তি ও টর্ক পাওয়া যায় তা প্রকাশ্যে আসেনি। তবে গাড়িটিতে মাত্র ৩ কিলোমিটার পার লিটার মাইলেজ পাওয়া যায়। মাত্র ৫.৯ সেকেন্ডে ০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ছুটতে পারে অরাস সেনাট। আর সর্বোচ্চ গতি উঠতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত। বোমা ও বুলেটে কিছুই হয় না পুতিনের এই অরাস সেনাট গাড়ির। পুতিনের এই অরাস সেনাটের ওজন ৭ টন, যা একটি বাণিজ্যিক বাসের ওজনের সমান। পুতিনের সরকারি এই গাড়িকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবহৃত ক্যাডিলাকের সঙ্গে তুলনা করা হয়। বিলাসবহুল এই গাড়িটি এখন পর্যন্ত খুব বেশি উৎপাদন করা হয়নি। ২০২২ সাল পর্যন্ত খোদ রাশিয়ায় মাত্র ৩১টি অরাস সেনাট লিমুজিন বিক্রি হয়েছে বলে জানা যায়। একটি অরাস সেনাট গাড়ি ৬.৭ মিটার লম্বা। পানিতে পুরোপুরি ডুবে গেলেও এই গাড়ির ভেতরের যাত্রীরা সুরক্ষিত থাকেন। অরাস সেনাটের চারটি সিটই হেলান দেওয়ানো যায়। গাড়ির ভেতরে একটি শ্যাম্পেইন ফ্রিজ রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে জানালার পর্দা। তবে পুতিনের জন্য কাস্টম মেড অরাস সেনাটের ভেতরে কী কী রয়েছে, তা নিয়ে খোলামেলা তথ্য পাওয়া যায় না। কিছু কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পুতিনের গাড়িতে স্ক্রিনের দেয়াল রয়েছে, যাতে নিরাপদে ভিডিও কনফারেন্সিং করা যায়।  
১৪ ঘণ্টা আগে

বাড়িতে ওজন মাপার যন্ত্র কেন গুরুত্বপূর্ণ
বাড়িতে থাকা ওজন মাপার যন্ত্রটি হয়তো সাধারণ একটি সরঞ্জাম বলে মনে হতে পারে, কিন্তু স্বাস্থ্য সচেতনতার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই হয়তো ঘরে ওজন মাপার যন্ত্র রাখার প্রতি বিশেষ কোনো গুরুত্ব দেন না। তবে নিজের স্বাস্থ্যের দায়িত্ব নিতে চাইলে বাড়িতে ওজন মাপার যন্ত্র রাখাটা খুবই মূল্যবান। বাড়িতে ওজন মাপার যন্ত্র থাকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলো— ফিটনেস নিয়ন্ত্রণে রাখুন, অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করুন: নিয়মিত ওজন মাপার ফলে আপনি আপনার ফিটনেসের ব্যাপারে সচেতন থাকতে পারবেন। আপনার ফিটনেস কতটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তা ট্র্যাক করতে পারবেন। আপনি ওজন কমাতে চাইছেন, পেশি গড়তে চাইছেন, সুস্থ ওজন বজায় রাখতে চাইছেন—এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাবে আপনার ওজন মাপার যন্ত্র। যখন দেখবেন সংখ্যাগুলো আপনার লক্ষ্যের দিকে যাচ্ছে, তখন আপনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলে দৃঢ় বিশ্বাস জন্ম নেবে এবং আরও বেশি মোটিভেশন পাবেন। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার ঝামেলা এড়িয়ে চলুন: নিয়মিত ওজন পরীক্ষা করা প্রায়ই ডাক্তারের পরামর্শে থাকে। বাড়িতে ওজন মাপার যন্ত্র থাকলে আপনি অ্যাপয়েনমেন্ট ছাড়াই আরও বেশি ঘনঘন আপনার ওজন পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। এটি আপনাকে প্রতিদিনের খাদ্যের রুটিন এবং খাদ্যাভ্যাস বিষয়ে আরও সচেতন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি করবে। যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে = ওজন মাপার সময় সবসময় হালকা ধরনের পোশাক পরুন। = খালি পেটে ওজন মাপুন। = শুধু ওজনের ওপর নির্ভর না করে শরীরের মাপও নেওয়া ভালো। = ওজনের ওঠানামা নিয়ে চিন্তিত হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

যেভাবে এলো ওজন মাপার যন্ত্র
ওজন পরিমাপক যন্ত্র বা ওয়েইং স্কেল মানব ইতিহাসের প্রাচীনকাল থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবহন—প্রায় সবক্ষেত্রেই বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বস্তু, উপকরণ এমনকি মানুষের ভর বা ওজন পরিমাপে এখনো এই যন্ত্রের ব্যবহার হয়। কাজ একই, কিন্তু কালের বিবর্তনে যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাল্টেছে ওজন যন্ত্রের ধরন, কার্যপ্রক্রিয়াসহ অনেক কিছু। অতি সূক্ষ্মভাবে ওজন নির্ণয়ে আরও শক্তিশালী আধুনিক যন্ত্র উদ্ভাবনে হয়তো বিজ্ঞানীরা এখনো চেষ্টায় আছেন। গ্রন্থনা : টুসী বোস ইতিহাস বলছে, আনুমানিক ২০০০ খ্রিষ্টপূর্বে পাকিস্তান ও মিশরে ওজন যন্ত্রের ব্যবহার ছিল। বর্তমান পাকিস্তানের নিকটবর্তী সিন্ধু নদী উপত্যকায় ওজন যন্ত্রের সবচেয়ে প্রাচীন নিদর্শন পাওয়া গেছে। প্রাচীনকালে বাণিজ্য বিকাশের সঙ্গে চালু হয় পণ্য বিনিময় প্রথা। তাই শস্য, পোশাক ও স্বর্ণের মতো পণ্যের মূল্য নির্ধারণে প্রয়োজন হয় ওজন পরিমাপের। সে হিসেবেই উদ্ভাবন হলো তুলা যন্ত্র বা দাঁড়িপাল্লা। বর্তমান বিশ্বে রকমারি ওজন পরিমাপক যন্ত্র উদ্ভাবন হলেও অনেক ক্ষেত্রেই দাঁড়িপাল্লার ব্যবহার দেখা যায়। এই যন্ত্র একটি থেকে সমান দূরত্বে ঝোলানো দুটি থালা বা বাটি নিয়ে গঠিত। একটি ভারসাম্য না পৌঁছানো পর্যন্ত পরিমাপ করা বস্তুকে এর এক প্লেটে এবং ওজনের পাথর অন্য প্লেটে রেখে পরিমাপ করা হয়। প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রাথমিক উপনিবেশগুলোয় এই অভিন্ন, পালিশ করা পাথরের কিউবগুলো আবিষ্কার করেছেন। এ ছাড়া মিশরীয় সভ্যতায় দাঁড়িপাল্লা ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে। এ যন্ত্র ব্যবহার করতেন ১৮৭৮ খ্রিষ্টপূর্বের মিশরীয়রা। ওজন পরিমাপ তো বটেই—তাদের কাছে দাঁড়িপাল্লার আধ্যাত্মিক তাৎপর্যও ছিল। সেই সময়ের পাওয়া কিছু ম্যুরালে দেখা গেছে, প্রাচীন মিশরীয় পুরাকথা অনুযায়ী অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দেবতা, সমাধিক্ষেত্রের রক্ষাকর্তা এবং পাতালপুরীর পথপ্রদর্শক আনুবিস কোনো মৃত ব্যক্তির স্বর্গে প্রবেশের যোগ্যতা নির্ধারণে তার হৃদয় ওজন করতেন দাঁড়িপাল্লার মাধ্যমে। চীনে পাওয়া ওজন যন্ত্রটি ছিল কাঠের তৈরি। কোনো বস্তুর ভর নির্ণয়ে ব্যবহার করা হতো ব্রোঞ্জ। দাঁড়িপাল্লাটি মিলেছে হুনানের চাংশার কাছে জুওজিয়াগং পর্বতে খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় থেকে চতুর্থ শতকের একটি সমাধিতে। এরপর রোমানরা যখন ব্রিটেন আক্রমণ করল তখন ওজন পরিমাপে ব্যবহার হতে লাগল আরও সঠিক ধাতব ওজন। মূলত ওজন পরিমাপে প্রতারণা দূর করতেই এই ব্যবস্থা করেছিলেন বণিকরা। খ্রিষ্টাব্দের ১৭ শতক পর্যন্ত ওজন স্কেলের নকশা ও কার্যক্রমের বৈচিত্র্যকরণ শুরু হয়। ১৭ শতকের শেষ দিকে শিল্প বিপ্লবে বড় ধরনের প্রযুক্তিগত উন্নতি হতে শুরু করে। ফলে ওজন করার আরও সুনির্দিষ্ট পদ্ধতির উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়নি। ১৭৭০ সালের দিকে ব্রিটিশ ব্যালান্স-মেকার রিচার্ড সালটার উদ্ভাবন করেন স্প্রিং স্কেল। এই উদ্ভাবনের পর ওজনের ভারসাম্য আর পাল্টা ওজনের ওপর নির্ভরশীল নয়। গত শতকে ডিজিটাল ওজনের ভারসাম্য বিকাশের ফলে সঠিকভাবে ওজন পরিমাপ করার ক্ষমতায় পরিবর্তন দেখা গেছে। স্প্রিংভিত্তিক স্কেলগুলোর বিপরীতে, একটি ডিজিটাল ভারসাম্যের নির্ভুলতা স্থানীয় মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের বিভিন্নতার দ্বারা প্রভাবিত হয় না। প্রথম ডিজিটাল স্কেল ঠিক কবে উদ্ভাবন হয়েছিল, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে ১৯৮০ সালে রিচার্ড লসবো ও এডওয়ার্ড প্রায়র তাদের ডিজিটাল স্কেলের পেটেন্টের জন্য প্রথম অনুরোধ করেছিলেন।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

চেয়ারম্যানের নির্দেশে ভিজিএফের চালে ওজন কম দেওয়ার অভিযোগ
জামালপুর সদরের নরুন্দি ইউনিয়ন পরিষদে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে যাচাই করে এর সত্যতাও মিলেছে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের বিলপাড়া গ্রামের জালাল নামে এক ব্যক্তির চাল মিটারে মেপে নয় কেজি পাওয়া যায়, তেমনি আবদুল কুদ্দুস ও বানু বেগম নামে আরও দুজনের চাল মেপে আট কেজি আটশ গ্রাম ও আট কেজি পাঁচশ গ্রাম পাওয়া গেছে। সুবিধাভোগীদের অভিযোগে এসব যাচাই করা হয়। জানা গেছে, ইউনিয়নের ৪ হাজার ৯০০ জন নারী-পুরুষকে দশ কেজি করে ভিজিএফ চাল বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে এ চাল বিতরণ শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান। সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে আবার কার্যক্রম শুরু হয়। সকালে ওজনে কম চাল দেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্যাগ অফিসার উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) সাইদুর রহমান জানান, তিনি টিসিবি বিতরণে ব্যস্ত থাকায় আসতে দেরি হয়েছে।   চাল কম দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বলেন, পরিবহন খরচ কে দেবে? আর ওজনে কম দেওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বরাদ্দের চেয়ে চাহিদা বেশি। নয় কেজির কম কাউকে দেওয়া হয়নি। যাদের স্লিপ নাই তাদের পাঁচ কেজি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

জেলে গিয়ে সাড়ে ৪ কেজি ওজন কমেছে কেজরিওয়ালের
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দুই সপ্তাহ ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আরও সপ্তাহ দুয়েক তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে। তবে জেলের ভেতরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন দিল্লির ক্ষমতাসীন দল আম আদমি পার্টি (আপ)। এমনকি জেলে গিয়ে তার ওজন সাড়ে চার কেজি কমে গেছে বলেও দাবি করেছে দলটি। যদিও কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কেজরিওয়াল ঠিক আছেন। তার ওজন কমেনি। খবর এনডিটিভির। আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) আপের নেত্রী ও মন্ত্রী অতীশি এক এক্সবার্তায় বলেছেন, কেজরিওয়াল গুরুতর ডায়াবেটিক রোগী। স্বাস্থ্য সমস্যা সত্ত্বেও তিনি দেশবাসীর সেবায় দিন-রাত কাজ করেন। গ্রেপ্তারের পর কেজরিওয়ালের ওজন সাড়ে চার কেজি কমেছে। এটি খুবই উদ্বেগজনক। বিজেপি তার স্বাস্থ্যকে বিপদে ফেলছে। তার কিছু হলে, শুধু দেশবাসী নয়, ঈশ্বরও ক্ষমা করবেন না। তবে কারা সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, তিহার জেলে আনার সময় কেজরিওয়ালের ওজন ৬৫ কেজি ছিল। তার ওজন এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। তার রক্তে শর্করার মাত্রাও এখন স্বাভাবিক। আজ সকালেও তিনি যোগ ব্যায়াম করেছেন। সেলের ভেতরে হাঁটা-চলা করেছেন। গত ২১ মার্চ রাতে আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে ভারতীয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি। দেশটির ইতিহাসে তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তারের আগে তাকে ৯ বার সমন পাঠিয়েছিল সংস্থাটি। তবে কোনো সমনেই তিনি হাজিরা দেননি। এমনকি বারবার সমন পাঠিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনা করছে ইডি, এই অভিযোগ তুলে আগাম জামিন পেতে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন কেজরিওয়াল। বৃহস্পতিবার সেই আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। এরপর রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে ইডি। গত সোমবার ইডির রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে মেয়াদ শেষের আগেই এদিন সকালে তাকে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করে ইডি। এদিন ইডির তরফ থেকে কেজরিওয়ালকে নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়নি। বরং তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করে সংস্থাটি। তাই তাকে তিহার জেলে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি এই কারাগারে থাকবেন। তবে আদালতে আগাম জামিন আবেদন করেছেন কেজরিওয়াল। তার আবেদনের ওপর আজ বুধবার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

এক মুলার ওজন ১৫ কেজি!
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে হালদা নদীর চরের বিস্তীর্ণ ফসলি মাঠজুড়ে চাষ হয়েছে বড় আকৃতির জাপানি মুলার। বিশাল আকৃতির এ মুলা খেতে যেমন চমৎকার তেমনি খেতেও অন্যরকম স্বাদ। উপজেলার বারৈয়ারহাটের পশ্চিম পাশে নাছির মোহাম্মদ ঘাটে হালদা নদীর দুপাশের বিস্তীর্ণ চরে মুলার চাষাবাদ হয়েছে।  কৃষি বিজ্ঞানী ও চাষির মতে, দেশের সবচেয়ে বড় মুলা উৎপাদিত হয় ফটিকছড়িতে। ফটিকছড়ির ১০ মাঘ মাইজভান্ডার দরবার শরীফের ওরশ উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় বিক্রি হচ্ছে এসব বিশাল আকৃতির জাপানি মুলা। তবে, ইদানীং ভান্ডারী মুলা হিসেবে দেশজুড়ে খ্যাতি ছড়াচ্ছে এ জাপানি মুলা।  হালদা নদীর কূল ঘেঁষেই বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে মুলা চাষ হয়েছে। একেকটি মুলার ওজন ৪-১৫ কেজি এবং এসব মুলার মূল্য ৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। মাইজভান্ডার দরবার শরীফের ওরশে বিশাল আকৃতির যে মুলা বিক্রি হয় তার বেশিরভাগ ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভার পূর্ব সুয়াবিল নাছির মোহাম্মদ ঘাট এলাকার মুলা। এবার ওরশে অন্তত ২০ লাখ টাকার মুলা বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এ এলাকার কৃষকদের। এছাড়া এবার মেলায় সবচেয়ে বড় মুলা বিক্রি হয়েছে প্রায় ১৬ কেজি ওজনের। তাই ১০ মাঘের ওরশ শরীফের অন্যতম আকর্ষণ  ভান্ডারী মুলা। এখানকার বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদিত বড় আকারের মুলা মেলায় বিক্রি করার জন্য নিয়ে যায় কৃষকরা। এ বছর নাজিরহাট ঝংকার মোড় থেকে শুরু করে মাইজভান্ডার শরীফ মেলা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মুলা বিক্রি চোখে পড়ে। এক একটি মুলা দুই তিন হাত পর্যন্ত লম্বা ও পাঁচ থেকে ১৬ কেজি ওজনের পর্যন্ত হয়। মুলা চাষি ফজল করিম কালবেলাকে বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে মাইজভান্ডারের ১০ মাঘের ওরশ উপলক্ষে মুলা চাষ করছি। এক লাখ টাকার মতো খরচ করে মুলা চাষ করেছি। ৯০ দিনের মধ্যে ফলনও হয়েছে ভালো। এবার তার লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ টাকারও বেশি। এরইমধ্যে দেড় লাখ টাকার মুলা ক্ষেত থেকেই বিক্রি করেছেন ফজল করিম।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাছানুজ্জামান বলেন, জাপানি হাউব্রিড জাতের এ মুলা পাহাড়ি ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং ফলনও হয় ভালো। উপজেলার প্রায় এক হাজার কৃষক মোট ৯৫ হেক্টর জমিতে এবার মুলা চাষ করেছেন। গত বছর প্রতি হেক্টরে ১৭ টন মুলা উৎপাদিত হয়েছে, যা ছিল লক্ষ্যমাত্রার অধিক। এবারও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কৃষিবিদ মো. গোলাম আজম জানান, মুলার ক্যারোটিনয়েডস চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে এবং ওরাল, পাকস্থলি, বৃহদন্ত, কিডনি ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে। মুলার ফাইটোস্টেরলস হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। জন্ডিস আক্রান্ত হলে মুলা রক্তের বিলিরুবিন কমিয়ে তাকে একটি গ্রহণযোগ্য মাত্রায় নিয়ে আসে, যা কিনা জন্ডিসের চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। মুলা মানুষের ক্ষুধাকে নিবৃত্ত করে এবং কম ক্যালরিযুক্ত সবজি হওয়ায় দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

‘জেলে থেকে মির্জা ফখরুলের ওজন কমেছে ৫ কেজি’
প্রায় আড়াই মাস ধরে কারাবন্দি রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গ্রেপ্তারের পর তার ওজন পাঁচ কেজি কমেছে বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবীরা।  মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রমনা মডেল ও পল্টন থানার পৃথক ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানিতে তার আইনজীবীরা এ তথ্য জানান। গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। পরদিন সকালে উত্তরার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে ১১টি মামলায় তাকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে আজ ৯টি মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখানো হয়। এ নিয়ে ১১টি মামলাই তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এদিন সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কারা কর্তৃপক্ষ ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মির্জা ফখরুলকে আদালতে হাজির করেন। এরপর সংশ্লিষ্ট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। বেলা ১টা ১৪ মিনিটের দিকে আদালতের এজলাসে ওঠানো হয়। পরে আদালত তাকে ৯ মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখান।  গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত গ্রেপ্তার দেখানোসহ জামিন শুনানির জন্য আজকের তারিখ ধার্য করেছিলেন। জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে হত্যা ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এরপর তাকে ওইদিনই আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগারে রয়েছেন। 
০৯ জানুয়ারি, ২০২৪

মেয়েদের অতিরিক্ত ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায়
অতিরিক্ত ওজন মানেই বাড়িতে ঝামেলা, সেই সঙ্গে থাকে বিভিন্ন রোগে ভোগার শঙ্কা। গবেষণায় দেখা গেছে, শারীরিকভাবে ফিট মেয়েদের তুলনায় অতিরিক্ত ওজনের মেয়েদের অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে ৬৬ শতাংশ। অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেক মেয়ের শারীরিক, মানসিক ও হরমোনজনিত নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মেয়েদের ওজন কমানোর কয়েকটি উপায়ের মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুমানো, পরিমিত খাওয়া-দাওয়া করা, হাশিখুশি থাকা, শরীরের যত্ন নেওয়া এবং ব্যায়াম করা। অনেক মেয়ে বাইরে গিয়ে জিম করে ওজন কমাতে পারেন না। তারা চাইলে ঘরে বসেই কয়েকটি উপায়ে ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন। কীভাবে ঘরে বসে মেয়েরা ওজন কমাবেন পর্যাপ্ত পানি পান করা অনেক মেয়েই পানি পান করতে চান না। এ জন্য তারা ডিহাইড্রেশনে ভুগে থাকেন। মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে খাওয়ার আগে পানি পান করা। এ জন্য চেষ্টা করুন কাছে সব সময় একটি পানির বোতল রাখার জন্য এবং একটু পরপর পানি পান করার চেষ্টা করুন। এতে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের ক্যালরি ঝরাতে সহায়তা করে। ব্ল্যাক কফি অনেক মেয়েই চিনিযুক্ত কফি খেতে পছন্দ করেন, যা অতিরিক্ত ওজন হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। এ জন্য তারা এসব কফি পরিহার করে ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন। কারণ, এতে আছে দ্রুত ওজন কমানোর সক্রিয় উপাদান। এটি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত হজমশক্তি বাড়ায় এবং পেটের চর্বি ঝরাতে দারুণভাবে কাজ করে। রোজা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বা রোজা হলো একটি না খাওয়ার প্রক্রিয়া, যেখানে খাওয়ার একটি চক্র অনুশীলন করতে হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বিরতিহীন রোজা রাখার চেষ্টা করেছেন, তারা ওজন কমাতে সফল হয়েছেন। তাই অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইলে রোজা রাখতে পারেন। এ সময় স্বাস্থ্যকর খাবারের পরিকল্পনা করতে হবে এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। লেবু পানি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে শুধু লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। সকালে এই কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে চর্বি ঝরে গিয়ে আপনাকে স্লিম বানাতে সহায়তা করবে। আঁশযুক্ত খাবার অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইলে আঁশযুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। কারণ, এসব খাবার পানি ও তেল শোষণ করে আমাদের হজম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করে। এতে অতিরিক্ত ওজন হওয়ার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গ্রিন টি মেয়েদের অতিরিক্ত ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফির মতো গ্রিন টি যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা রাখে। গ্রিন টিতে ক্যাফিনের মাত্রা কম থাকে, কিন্তু ক্যাটেচিন নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ক্যাফেইনের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করে এবং দ্রুত শরীর থেকে চর্বি ঝরিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। কার্বোহাইড্রেট খাবার অতিরিক্ত ওজন থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে অবশ্যই কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে পাউরুটি, সফট ড্রিংকস, আলু, দুধ, বিস্কুট প্রভৃতি এবং বিভিন্ন ধরনের শস্য ও চিনি। এসব খাবার শরীরে অনেকটা মেদ বাড়িয়ে দেয়। তাই এসব খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে হবে। ফল ও শাকসবজি গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি বেশি ফলমূল ও শাকসবজি খেলে ওজন কমে। কারণ, ফলমূল ও শাকসবজিতে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। যা আমাদের হজম কমিয়ে পেটের চর্বি ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। ব্যায়াম অতিরিক্ত ওজন কমাতে ডায়েটের পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই কিছু ব্যায়াম করতে হবে। তাই প্রতিদিন সকালে উঠে হাঁটাহাঁটি করা একটা ভালো ব্যায়াম। এ ছাড়া সাঁতার কাটতে পারেন, এটি শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি ঝরাতে সহায়ক।  
২৭ অক্টোবর, ২০২৩

তিন দিনে পাঁচ কেজি ওজন কমানোর উপায়
অনেকে অল্প সময়ের মধ্যে ওজন কমাতে চান। অল্প সময়ে ওজন কমাতে চাইলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আনতে হবে বেশ কিছু পরিবর্তন। মেনে চলতে হবে কঠিন নিয়ম পদ্ধতি। তিন দিনে পাঁচ কেজি ওজন কমাতে কার্যকরী ডায়েট পরিকল্পনা করতে হবে। কেবল পরিকল্পনা করলেই হবে না, সে অনুযায়ী চলতেও হবে। সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমানো। স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমানোর উপায় তুলে ধরা হলো।  তিন দিনে ওজন কমানোর উপায় প্রথম দিন প্রথম দিনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ দিনের ওপর নির্ভর করে আপনার তিন দিনের প্ল্যান। প্রথম দিন বেশি করে ফল খান। যখন খেতে মন চাইবে, তখনই আপনি ফল খেতে পারবেন। তবে একসঙ্গে অনেক ফল খাওয়া উচিত নয়। প্রতিবার অল্প করে খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। ডায়েটের প্রথম দিন কলা খাওয়া উচিত নয়। কলা বাদে যে কোনো ফলই আপনি খেতে পারবেন প্রথম দিন। যে ফলে পানির পরিমাণ বেশি, সে ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এতে পেট অনেক সময় ভরা থাকে। এ ছাড়া সারা দিন ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি অবশ্যই পান করা উচিত।  ডায়েটের সময় পেট খালি রাখা উচিত নয়। যখনই ক্ষুধা লাগবে, তখনই ফল খাবেন। সকালের নাশতায় প্রথম দিন একটি ডিম, এক স্লাইস টোস্ট এবং অর্ধেক বাটি সবজি; দুপুরে একটি সেদ্ধ ডিম; রাতে আধা কাপ শসা বা গাজর ও অর্ধেক পরিমাণ ফল রাখতে পারেন। দ্বিতীয় দিন দ্বিতীয় দিন ফলের পাশাপাশি খাবার তালিকায় সবজি রাখুন। এদিন ফল কম খাওয়াই ভালো। কাঁচা বা রেঁধে—যে কোনোভাবেই খেতে পারেন আপনার পছন্দের সবজি। সবজি রান্না করার সময় তেলের পরিমাণ খুব কম ব্যবহার করুন। রান্নায় বেশি পরিমাণ তেল খেলে ওজন কমার চেয়ে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাই তেল ব্যবহার না করে আধা সেদ্ধ করে বা নিজের পছন্দ অনুযায়ী রান্না করে খেতে পারেন। সবজি তালিকায় রাখতে পারেন গাজর, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শসা, লেটুস, শিম ইত্যাদি। তবে ডায়েটের তিন দিন আলু না খাওয়াই ভালো। আলুতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা রয়েছে। সামান্য পরিমাণ আলু সকালের খাবার তালিকায় রাখতে পারেন। এতে সারা দিনের বিভিন্ন কাজে ক্যালরি ক্ষয় হয়ে যাবে এবং চর্বিও জমবে না। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনও ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতে হবে। দ্বিতীয় দিন সকালের নাশতায় এক স্লাইস চিজ, একটি ছোট আপেল; দুপুরের খাবারে একটি ডিম, এক স্লাইস টোস্ট; রাতের খাবারে এক কাপ টুনা বা অন্য কোনো মাছ এক টুকরা ও পরিমাণমতো সবজি রাখুন। তৃতীয় দিন ডায়েট প্ল্যানের শেষ দিনও খাবার তালিকায় সবজি ও ফল রাখুন। শেষ দিন সবজি ও ফল পেটভরে খেতে পারবেন। কলা ও আলু না খাওয়াই ভালো। প্রথম দুই দিনের মতো শেষ দিনও সমপরিমাণ পানি পান করুন। শেষ দিন সকালের নাশতায় এক স্লাইস চিজ, একটি ছোট আপেল; দুপুরের খাবারে একটি ডিম, এক স্লাইস টোস্ট; রাতের খাবারে এক কাপ টুনা বা অন্য কোনো মাছ এক টুকরা, পরিমাণমতো সবজি রাখুন। তিন দিন শেষে আপনার শরীরের ওজন অন্তত চার–পাঁচ কেজি তো কমবেই, সঙ্গে সঙ্গে শাকসবজি, ফলমূল এসব পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার জন্য চেহারায়ও উজ্জ্বলতা আসবে। তবে ডায়েট শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে এই ডায়েট মেনে চলে অনায়াসেই আপনি তিন দিনে পাঁচ কেজি ওজন কমিয়ে ঝরঝরে হতে পারবেন। ডায়েট চলাকালে কৃত্রিম ফলের রস, কোমল পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকুন। যে কোনো খাবারে চিনি না খাওয়াই ভালো।  
২৭ অক্টোবর, ২০২৩

মাত্র এক বছরে ৪৫ কেজি ওজন কমিয়ে নারীর ‘রহস্যজনক মৃত্যু’
বর্তমানে স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে ভোগেন অনেকে। অতিরিক্ত ওজন কমাতে কতকিছুই না করেন নারী-পুরুষ, সবাই। তাদেরই একজন ব্রাজিলিয়ান ফিটনেস ও স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শক আদ্রিয়ানা থিসেন। ফিটনেস ঠিক রাখতে তিনি নিয়মিত ডায়েট করেন। এর ফলও পেয়েছেন। মাত্র এক বছরে ৪৫ কেজি ওজন কমান তিনি। ডায়েট নিয়ে নিয়মিত ভিডিও বানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়তাও লাভ করেন। তবে শেষ পর্যন্ত এই ডায়েটই তার কাল হলো। রোববার ‘রহস্যজনক অসুস্থতার’ কারণে তিনি মারা গেছেন। খবর নিউইয়র্ক পোস্ট। ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরের একটি আবাসিক ভবনে বসবাস করতেন ৪৯ বছর বয়সী আদ্রিয়ানা থিসেন। তিনি দ্রিকা নামেও পরিচিত। রোববার সাও পাওলোর বাসভবনেই তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা জানায়নি পরিবার। আদ্রিয়ানার কাজিন এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বলেন, আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে ঘোষণা করছি আমাদের সবার প্রিয় দ্রিকা আর নেই। শোকের এই মুহূর্তে সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। ইনস্টাগ্রামে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন আদ্রিয়ানা। তার ইনস্টাগ্রাম পেজে ৬ লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে। সেখানে তিনি নিয়মিত ডায়েট সম্পর্কিত নানা টিপস দিয়ে ভিডিও শেয়ার করতেন। এর আগে আদ্রিয়ানা জানিয়েছিলেন, অতিরিক্ত ওজন নিয়ে কিশোরী বয়সে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন তিনি। ৩৯ বছর বয়সেও তার ১০৭ কেজি ওজন ছিল। এরপর নিয়মিত ডায়েট ও ব্যায়াম করে মাত্র এক বছরে শরীরের ওজন ৪৫ কেজি কমান তিনি।  
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X