জামালপুর সদরের নরুন্দি ইউনিয়ন পরিষদে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে যাচাই করে এর সত্যতাও মিলেছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের বিলপাড়া গ্রামের জালাল নামে এক ব্যক্তির চাল মিটারে মেপে নয় কেজি পাওয়া যায়, তেমনি আবদুল কুদ্দুস ও বানু বেগম নামে আরও দুজনের চাল মেপে আট কেজি আটশ গ্রাম ও আট কেজি পাঁচশ গ্রাম পাওয়া গেছে। সুবিধাভোগীদের অভিযোগে এসব যাচাই করা হয়।
জানা গেছে, ইউনিয়নের ৪ হাজার ৯০০ জন নারী-পুরুষকে দশ কেজি করে ভিজিএফ চাল বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে এ চাল বিতরণ শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান। সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে আবার কার্যক্রম শুরু হয়।
সকালে ওজনে কম চাল দেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্যাগ অফিসার উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) সাইদুর রহমান জানান, তিনি টিসিবি বিতরণে ব্যস্ত থাকায় আসতে দেরি হয়েছে।
চাল কম দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বলেন, পরিবহন খরচ কে দেবে? আর ওজনে কম দেওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বরাদ্দের চেয়ে চাহিদা বেশি। নয় কেজির কম কাউকে দেওয়া হয়নি। যাদের স্লিপ নাই তাদের পাঁচ কেজি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন