মায়ামিতে বিশ্বজয়ী মেসির আরেক সতীর্থ!
বতর্মান সময়ের সেরা তারকা লিওনেল মেসিকে দলে ভিড়িয়ে বেশ আলোচনার জন্ম দেয় ইন্টার মায়ামি। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাবটিতে যোগ দেন আর্জেন্টাইন তারকার একসময়ের সতীর্থ সার্জিও বুসকেটস, জর্ডি আলবা ও লুইস সুয়ারেজ। এতে অনেকেই ডেভিড বেকহামের দলকে ডাকেন মিনি বার্সেলোনা নামে। এবার বিশ্বকাপজয়ী মেসির আরেক সতীর্থকে দলে টানতে উঠে পড়ে লেগেছে ইন্টার মায়ামির কর্তৃপক্ষ। তিনি আর্জেন্টিনার সব শিরোপা জয়ের সারথি অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। ইউরোপের সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি ও জুভেন্তাসের জার্সিতে আলো ছড়িয়েছেন ৩৬ বছর বয়সি এই তারকা। চলতি মৌসুমে খেলছেন বেনফিকায়। পর্তুগিজ ক্লাবটির জার্সিতে এখন পর্যন্ত করেছেন ১৬ গোল। জনপ্রিয় ফুটবলবিষয়ক ওয়েবসাইট গোলডটকম জানিয়েছে, আক্রমণভাগকে আরও শক্তিশালী করতে মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গী হিসেবে ডি মারিয়াকে দলে আনতে চাইছে মায়ামি। এরই মধ্যে আলাপ আলোচনা শুরু করেছে দুপক্ষ। চলতি মৌসুমে বেনফিকার সঙ্গে শেষ হবে আর্জেন্টাইন তারকার চুক্তির মেয়াদ। এ ছাড়া আসছে কোপা আমেরিকা কাপের পর বিদায় বলবেন জাতীয় দলকে। আর এই সুযোগটাই নিতে চাইছে মায়ামি। তবে গুঞ্জন রয়েছে ক্লাব ফুটবলের ক্যারিয়ার বেনফিকাকেই শেষ করতে চাইছেন এ আর্জেন্টাইন। গণমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, মায়ামি রয়েছে মেসি-সুয়ারেজের মতো তারকা ফুটবলার। তাদের পক্ষে প্রতিটি ম্যাচে খেলা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আক্রমণভাগে আরও একজন অভিজ্ঞ তারকাকে চাইছে ক্লাবটি। তাই ডি মারিয়াকেই বেশি পছন্দ দলটির কর্তাদের। শেষ পর্যন্ত ডি মারিয়া রাজি হলে তিনি হবেন মেসির চতুর্থ পুরোনো সতীর্থ। এ পর্যন্ত ৪৭৬ ম্যাচের ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারে ১০০টি গোল করেছেন এ আর্জেন্টাইন।
০৪ মে, ২০২৪

এখনো জামাত হয় ৫০০ বছরের পুরোনো ‌‘এক কাতার’ মসজিদে
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের হাজিপাড়া গ্রামে অবস্থিত ‌‘এক কাতার মসজিদ’। এ মসজিদটি ঠিক কত বছর আগে নির্মাণ হয়েছে তার সঠিক তথ্য কারও জানা না থাকলেও, নির্মাণশৈলী দেখে ধারণা করা হয় এটি মোঘল আমলে নির্মিত। ধারণা করা হয় মসজিদটির বয়স ৫০০ বছরেরও বেশি। মোঘল আমলে তৈরি এই মসজিদ ‘এক কাতার মসজিদ’ নামেই এলাকায় পরিচিত। মসজিদটির ভেতরে নামাজের জন্য একটি মাত্র কাতার হওয়ায় ১৩ থেকে ১৪ জনের বেশি কেউ এক সঙ্গে জামায়াতে নামাজ আদায় করতে পারেন না। জায়গা সংকুলানের জন্য বেশি সমস্যা হয় জুমার দিন। তবে কেন এত ছোট মসজিদ বানানো হয়েছিল সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো ধারণা দিতে পারেননি স্থানীয়রা। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান নুর আমিন জানান, ইট ও চুন-সুরকি দিয়ে প্রাচীন এই মসজিদটি বানানো হয়। এখনো দেয়ালে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে আগুনের ফুলকির মতো বের হয়। মসজিদের বাম পাশে একটি প্রাচীন কবর রয়েছে। ধারণা করা হয়, যে ব্যক্তি মসজিদটি নির্মাণ করেছেন এটি তারই কবর। যার দেয়ালের প্রতিটি অংশে দেখা যায় প্রাচীন কারুকাজ। এ ছাড়া মসজিদটির সামনে আরও দুটি কবর রয়েছে। মসজিদটি প্রাচীন স্মৃতি বহন করলেও আজও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কেউই যায়নি সেখানে। তবে মসজিদটি দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন আসেন প্রতিনিয়ত। এসব প্রাচীন মসজিদসহ লালমনিরহাট জেলায় রয়েছে মোট ২ হাজার ৪৫০টি মসজিদ। লালমনিরহাটে অবস্থিত ইসলাম প্রচারের প্রাচীনতম নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ ও পরিকল্পিতভাবে সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সুদৃষ্টি প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।
০১ মে, ২০২৪

কোপায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টাইনকে নিয়ে শঙ্কা
শেষের পথে ফুটবলের আরও একটি মৌসুম। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) বাকি আরও ৩৫ ম্যাচ। তবে মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন চেলসির তারকা মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ। গত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে কুঁচকির চোটে ভুগছিলেন আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী তারকা। অবশেষে বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচার করান তিনি। ফলে বেশ কয়েক সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এ মিডফিল্ডারকে।  এতে ইপিএলে নিজেদের শেষ ৬ ম্যাচে এনজোকে পাচ্ছে না চেলসি। শঙ্কা রয়েছে চলতি বছর জুনে যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া কোপা আমেরিকা কাপে খেলা নিয়েও। গত বছর কাতারে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি।  এরপরই জানুয়ারির মধ্যবর্তী দলবদলে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকা থেকে তাকে কিনে নেয় চেলসি। এ জন্য ইংলিশ ক্লাবটিকে খরচ করতে হয় রেকর্ড ১০ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড।  এক বিবৃতিতেই চেলসি জানায় মৌসুমের শেষ দিকে ফার্নান্দেজকে না পাওয়ার কথা।  বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কুঁচকির সমস্যা ভোগা এনজো ফার্নান্দেজের অস্ত্রোপচার সফর হয়েছে। শুরু হয়েছে তার পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া। এ কারণে ২০২৩-২৪ মৌসুমে চেলসির হয়ে আর খেলতে পারবে না সে। কবহ্যামে চেলসির মেডিকেল বিভাগে চলবে ২৩ বছর বয়সী এ মিডফিল্ডারের পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া।’ চলতি বছর ২০ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবে লাতিন আমেরিকার মহাদেশীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকা। উদ্বোধনী দিনেই বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ কানাডা। এর আগে এনজো ফার্নান্দেজ পুরোপুরি সুস্থ হবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।  তবে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের জন্য স্বস্তিদায়ক তথ্য দিয়েছেন ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্র্যাবিজিও রোমানো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এনজোকে (ফার্নান্দেজ) কয়েক সপ্তাহের জন্য বাদ পড়েছেন ঠিকই। কিন্তু কোপা আমেরিকা এবং পরবর্তী মৌসুম শুরুর আগে শতভাগ সুস্থ হবেন বলে, আশা করা যাচ্ছে।’
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে বৈঠকে বসেন দুই নেতা। তাদের বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গ্লোব হলে ফটোসেশনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম। পরে চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী ও কাতারের আমির। জানাযায়, দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে কাতারের আমির পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে দুপুরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এ দিন সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানে করে আমির কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে। এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।   সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দি‌কে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।   জানা যায়, আমিরের এ সফ‌রে দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হ‌বে। এর মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি এমওইউ রয়েছে। তার সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ফলে সৃষ্ট মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।   চুক্তিগুলো হলো: দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের স্থানান্তর এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা। এর বাইরে শ্রমশক্তি, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকায় কাতারের আমিরের নামে সড়ক ও পার্ক কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানীতে একটি সড়ক ও পার্কের নামকরণ করা হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়ালসেতু পর্যন্ত সড়কটি তার নামে নামকরণ করা হবে। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম কাতারের কোনো আমির ঢাকা সফর করছেন।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক আজ
দুদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। সফরের শেষ দিন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের পর দুদেশের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো (এমওইউ) সই হ‌বে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দি‌কে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। জানা গেছে, আমিরের সফ‌রে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে ৬টি চুক্তি ও ৫টি এমওইউ রয়েছে। তার সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ফলে সৃষ্ট মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ পরিস্থিতির বিষয়েও আলোচনা হবে। আজ বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন কাতারের আমির। সন্ধ্যায় তিনি বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা ত্যাগ করবেন। ঢাকায় কাতারের আমিরের নামে সড়ক ও পার্ক কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানীতে একটি সড়ক ও পার্কের নামকরণ করা হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়ালসেতু পর্যন্ত সড়কটি তার নামে নামকরণ করা হবে।  উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম কাতারের কোনো আমির ঢাকা সফর করছেন।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

কাতার ছাড়ছে হামাস
গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বড় ভূমিকা রেখে আসছে পারস্য উপসাগরের ছোট দেশ কাতার। তবে যুদ্ধের এক মাসের মাথায় দুপক্ষের মধ্যে সাত দিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করাতে পারলেও এরপর আর কোনো চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। নতুন যুদ্ধবিরতি ও বন্দি মুক্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না করতে পারায় দোহার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে হামাসের ওপর আরও চাপ বাড়াতে কাতার সরকারকে চাপ দিচ্ছে তেল আবিব ও ওয়াশিংটন। এমন পরিস্থিতিতে কাতার থেকে নিজেদের রাজনৈতিক কার্যালয় সরিয়ে অন্য দেশে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে হামাস। যদি হামাস এমনটা করে তাহলে ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন কোনো চুক্তি সম্পাদন আরও কঠিন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাস যদি কাতার ত্যাগ করে তাহলে গাজায় বন্দি কয়েক ডজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করার জন্য যে আলোচনা চলছে, তা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এ ছাড়া হামাসের সঙ্গে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা আদান-প্রদানের পথ আরও কঠিন হয়ে পড়বে। হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে রেখেছে ইসরায়েল ও তাদের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তাই ফিলিস্তিনি এই সংগঠনের সঙ্গে এই দুই দেশের কোনো সরাসরি যোগাযোগ নেই। তাই হামাস নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কাতার, মিসর বা তুরস্কের মতো দেশের ওপর নির্ভর করতে হয় তেল আবিব ও ওয়াশিংটনকে। এখন হামাস যদি কাতার ছেড়ে যায়, তাহলে এই যোগাযোগ প্রক্রিয়া আরও কঠিন হবে। আরব কর্মকর্তারা বলছেন, দোহা থেকে নেতাদের সরিয়ে নিতে সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দুটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে হামাস। দুটির একটি দেশ হলো ওমান। তবে অন্য দেশের নাম জানা যায়নি। তারা বলছেন, বর্তমানে যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি চুক্তি আলোচনায় যে ধীরগতি দেখা দিয়েছে, তা আরও কয়েক মাস চলতে পারে বলে মনে করে হামাস। তাই কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে হতে পারে তাদের। এ বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন একজন আরব মধ্যস্থতাকারী বলেছেন, যুদ্ধবিরতি আলোচনা এরই মধ্যে স্থগিত হয়ে গেছে। এটি শিগগির শুরু হবে এমন কোনো লক্ষণ নেই। এজন্য হামাস ও আলোচকদের মধ্যে অবিশ্বাস বাড়ছে। ২০১২ সাল থেকে কাতারের রাজধানী দোহায় বসবাস করছেন হামাসের প্রথম সারির নেতারা। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে তাদের আশ্রয় দিয়েছিল কাতার। পরে ইসরায়েলের অনুরোধে হামাসকে অর্থকড়ি দেয় দেশটি। এসবের বিনিময়ে গত এক দশকে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সহায়তা করে আসছিল কাতার। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। এর পর থেকে হামাসের সঙ্গে নতুন আরেকটি চুক্তি বাস্তবায়নে মধ্যস্থতা করে আসছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে চুক্তির শর্ত নিয়ে দুপক্ষে মতবিরোধ থাকায় এটি আর বেশি দূর অগ্রসর হয়নি। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ১২ জনে পৌঁছেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত আহত হয়েছে ৭৬ হাজার ৮৩৩ জন।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

কাতার ছাড়ার চিন্তা করছেন ফিলিস্তিনি নেতারা
গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বড় ভূমিকা রেখে আসছে পারস্য উপসাগরের ছোট দেশ কাতার। তবে যুদ্ধের এক মাসের মাথায় দুপক্ষের মাঝে সাতদিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করাতে পারলেও এরপর আর কোনো চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। নতুন যুদ্ধবিরতি ও বন্দি মুক্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না করতে পারায় দোহার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে হামাসের ওপর আরও চাপ বাড়াতে কাতার সরকারকে চাপ দিচ্ছে তেল আবিব ও ওয়াশিংটন। এমন পরিস্থিতিতে কাতার থেকে নিজেদের রাজনৈতিক কার্যালয় সরিয়ে অন্য দেশে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে হামাস। যদি হামাস এমনটা করে তাহলে ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন কোনো চুক্তি সম্পাদন আরও কঠিন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাস যদি কাতার ত্যাগ করে তাহলে গাজায় বন্দি কয়েক ডজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করার জন্য যে আলোচনা চলছে তা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এ ছাড়া হামাসের সঙ্গে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা আদান-প্রদানের পথ আরও কঠিন হয়ে পড়বে। হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে রেখেছে ইসরায়েল ও তাদের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তাই ফিলিস্তিনি এই সংগঠনের সঙ্গে এই দুই দেশের কোনো সরাসরি যোগাযোগ নেই। তাই হামাস নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কাতার, মিসর বা তুরস্কের মতো দেশের ওপর নির্ভর করতে হয় তেল আবিব ও ওয়াশিংটনকে। এখন হামাস যদি কাতার ছেড়ে যায়, তাহলে এই যোগাযোগ প্রক্রিয়া আরও কঠিন হবে। আরব কর্মকর্তারা বলছেন, দোহা থেকে নেতাদের সরিয়ে নিতে সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দুটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে হামাস। দুটির একটি দেশ হলো ওমান। তবে অন্য দেশের নাম জানা যায়নি। তারা বলছেন, বর্তমানে যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি চুক্তি আলোচনায় যে ধীরগতি দেখা দিয়েছে তা আরও কয়েক মাস চলতে পারে বলে মনে করে হামাস। তাই কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে হতে পারে তাদের। এ বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন একজন আরব মধ্যস্থতাকারী বলেছেন, যুদ্ধবিরতি আলোচনা ইতিমধ্যে স্থগিত হয়ে গেছে। এটি শিগগিরই পুনরায় শুরু হবে এমন কোনো লক্ষণ নেই। এই জন্য হামাস ও আলোচকদের মধ্যে অবিশ্বাস বাড়ছে। ২০১২ সাল থেকে কাতারের রাজধানী দোহায় বসবাস করছেন হামাসের প্রথম সারির নেতারা। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে তাদের আশ্রয় দিয়েছিল কাতার। পরে ইসরায়েলের অনুরোধে হামাসকে অর্থকড়ি দেয় দেশটি। এসবের বিনিময়ে গত এক দশকে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সহায়তা করে আসছিল কাতার। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। এরপর থেকে হামাসের সঙ্গে নতুন আরেকটি চুক্তি বাস্তবায়নে মধ্যস্থতা করে আসছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে চুক্তির শর্ত নিয়ে দুপক্ষের মাঝে মতবিরোধ থাকায় এটি আর বেশি দূর অগ্রসর হয়নি। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ১২ জনে পৌঁছেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত আহত হয়েছে ৭৬ হাজার ৮৩৩ জন।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

দুই হলুদের পরও মার্তিনেজ কেন পেলেন না লাল কার্ড?
গত বছর কাতারে ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। তৃতীয়বারের মতো বিশ্ব জয়ে আলবেসিলেস্তাদের গোলবার সামলান এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। লুসাইলে সেই মহাকাব্যিক ফাইনালে টাইব্রেকে দুর্দান্ত সেভ করেন আর্জেন্টাইন গোলকিপার। এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালেও টাইব্রেকে নেদারল্যান্ডসের দুটি শট রুখে দিয়েছিলেন তিনি। সেই টাইব্রেকেই ফরাসি ক্লাব লিলের জোড়া শট রুখে দিয়ে অ্যাস্টন ভিলাকে টেনে তুললেন ইউরোপা কনফারেন্স লিগের সেমিফাইনালে। দেশ ও ক্লাবের জার্সিতে টাইব্রেকে পাঁচ ম্যাচ জিতলেন মার্তিনেজ। তবে ভিন্ন দুটি কারণে এ ম্যাচে আলোচিত হয়েছেন আর্জেন্টাইন গোলকিপার। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের জন্য তার প্রতি অলার্জি রয়েছে ফরাসি দর্শকদের। তাই ফ্রান্সের ক্লাব লিলের মাঠে টাইব্রেকে শট রুখে, ফরাসি সমর্থকদের চুপ থাকতে ইশারা করেন তিনি। অন্য কারণটি হচ্ছে এ ম্যাচে দুবার হলুদ কার্ড দেখলেও, তাকে কিন্তু মাঠ ছেড়ে যেতে হয়নি। প্রশ্ন হচ্ছে কেন? ম্যাচের ২৮ মিনিটে ঘটনার সূত্রপাত। সময় নষ্ট করার কারণে তাকে প্রথম হলুদ কার্ড দেখান ম্যাচের রেফারি রেফারি ইভান ক্রুজলিয়াক। এরপর টাইব্রেকের মাঝে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখানো হয় আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপারকে। কিন্তু দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের পরও অ্যাস্টন ভিলার গোলবার সামলান মার্তিনেজ। সাধারণ নিয়মে হলো, দুটি হলুদ মিলে লাল কার্ড দেওয়ার। তবে ফুটবলের অন্য একটি নিয়মের কারণে বেঁচে যান মার্তিনেজ। ফুটবলের আইনপ্রণেতা ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের (আইএফএবি) ১০ নম্বর ধারায় বলা আছে, ‘ম্যাচে (অতিরিক্ত সময়সহ) সতর্কবার্তা ও কার্ড পেনাল্টিতে (টাইব্রেকে) বিবেচিত হবে না। ম্যাচে এবং টাইব্রেকে হলুদ কার্ড দেখা ফুটবলার মাঠের বাইরে যাবেন না।’ অর্থাৎ ম্যাচের নির্ধারিত সময় এবং অতিরিক্ত সময়ে দেখা হলুদ কার্ড-টাইব্রেকারে কাজে আসবে না। যদিও ম্যাচ শেষে টাইব্রেকে হলুদ কার্ড দেখানোর রেফারির ওপের ক্ষোভ প্রকাশ করেন আর্জেন্টাইন গোলকিপার। তিনি বলেন, ‘আমার এটা নিয়ে দুর্নাম আছে তাই, আমাকে কার্ড দেখানো হয়েছে। কারণ লিলের গোলকিপারও সময় নষ্ট করছিল। ৩০ মিনিটের আগে (২৮ মিনিট) হলুদ কার্ড দেখেছি। তখন আমরা ম্যাচটি হারের পথে ছিলাম। জানি না রেফারি তখন আমার কাছে কী প্রত্যাশা করছিলেন। এরপর  পেনাল্টি স্পটে (টাইব্রেকে) কোনো বল ছিল না। সে জন্য বল বয়ের কাছে বল চাইতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখতে হলো। আমি নিয়মটাই বুঝতে পারছি না।’
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ব্রাজিলের বিদায়ে খেলা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন তারকা ফুটবলার
২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে শেষ আট থেকে বিদায় নেয় আসরের অন্যতম ফেভারিট ব্রাজিল। টুর্নামেন্টে অসাধারণ ফুটবল উপহার দিলেও বিশ্বকাপ থেকে খালি হাতে ফিরতে হয় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। যা সহজে মেনে নিতে পারেননি সেলেসাও ফুটবলের ভক্তরা। এবার আসরটি শেষ হওয়ার দুই বছর পর জানা গেল সেলেসাও তারকা ফুটবলার রিচার্লিসনও ভক্তদের মতো অবস্থায় ছিলেন। এমনকি সেসময়ে ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের অবস্থা এতটাই খারাপের দিকে গিয়েছিল যে নিজের জীবন শেষ করার কথা পর্যন্ত ভেবেছিলেন তিনি। কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে সেলেসাওদের ছিটকে যাওয়ার পর নিজের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে কথা বলেন রিচার্লিসন। অবস্থা কতটা খারাপ ছিল সম্প্রতি তারই ব্যাখ্যা দিয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ টটেনহ্যামের এই স্ট্রাইকার। নিজেদের সেরা ছন্দে থাকার পরেও একেবারে কাছে এসে এভাবে বিদায় নেয়াটা কোনোভাবেই মানতে পারেননি রিচা। তাই বেশ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি এবং একপর্যায় ফুটবল ছাড়া থেকে শুরু করে আত্মহত্যাও করতে চান এ ফুটবলার। ইএসপিএন ব্রাজিলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান তিনি। হতাশা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলো যে জানান, ওই সময়ে খেলাই ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। রিচার্লিসন বলেন, ‘অনুশীলনে যাওয়ার আগে আমার মনে হতো, বাড়ি ফিরে যাওয়াই ভালো। বাড়িতে ফিরে গিয়ে নিজের ঘরে বসে থাকতে ইচ্ছে হতো আমার… জানি না মাথার ভেতর কী চলছিল। এমনকি বাবার কাছে গিয়েও বলেছি, আমি (খেলা) ছেড়ে দিতে চাই।’   এ ছাড়াও গুগলে মৃত্যু নিয়ে খোঁজখবরও করছিলেন তিনি। সে সময় মৃত্যু নিয়ে বাজে ভাবনায় ডুবে যাওয়ার কথাও বলেছেন এ ব্রাজিলিয়ান। ‘বিশ্বকাপের পর যেসবের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলাম আমি… বাবার সঙ্গে এসব কথা বলা ছিল খুবই দুঃখজনক। যে ছিল আমার পথচলার সঙ্গী এবং একসঙ্গেই স্বপ্নটাকে তাড়া করেছি আমরা… তার কাছে গিয়ে বলা, বাবা, আমি (খেলা) ছেড়ে দিতে চাই… পুরো পাগলাটে ব্যাপার ছিল এটা।’ এমন পরিস্থিতিতে মনোবিদের কাছে যাওয়া সেরা সিদ্ধান্ত ছিল বলে জানান তিনি। রিচার্লিসন বলেন, ‘থেরাপিস্ট তখন আমাকে বাঁচিয়েছে… পছন্দ করুন আর না করুন, আমার জীবন বাঁচিয়েছেন তিনি। তখন আমি স্রেফ আজেবাজে কথাই ভেবেছি…।’ তিনি বলেন, ‘কারও যদি মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন মনে হয়, তাহলে যাওয়া উচিত, কারণ কারও কাছে এভাবে খোলামেলা হওয়া, মন খুলে কথা বলা, এসব খুবই জরুরি এই সময়ে।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

এতিম বিধবাদের মাঝে কাতার চ্যারিটির খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
প্রতি বছরের মতো এবারো পবিত্র রমজান উপলক্ষে বাংলাদেশে গরিব, এতিম ও বিধবা পরিবারগুলোতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছে কাতার চ্যারিটি। রমাদান প্রোগ্রামের আওতায় এ বছর মোট খাদ্য সহায়তা পেয়েছে সতেরো হাজার ছয়শত বিশ জন। ঢাকার ধামরাই, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, কুমিল্লা, নাটোর, নেত্রকোনা, বাগেরহাট, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম, নরসিংদী, পাবনাসহ মোট ১৬টি জায়গা থেকে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ৪৭ কেজি ওজনের প্রতিটি প্যাকেটে ছিল চাল, তেল, খেজুর, ছোলা, ডাল, লবণ, চিনিসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী। জানা যায়, কাতার চ্যারিটির ঢাকা অফিসের স্টাফরা প্রতিটি বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেন। ভৈরবে হাজী আসমত আলী চাইল্ড হোমে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেন কাতার চ্যারিটির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. আমিন হাফিজ ওমর। রমজানে এতিম ও বিধবাদের জন্য কাতার চ্যারিটির এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন উপকারভোগীরা।  কাতার চ্যারিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রমজানের শেষের দিকে যাকাত আল ফিতর প্রোগ্রামের আওতায় আন্তর্জাতিক এ চ্যারিটি সংস্থার তরফ থেকে এ বছর খাদ্য সামগ্রী পাবে আরো প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ভাসানচরে ৭ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিবারকে দেওয়া হবে ফুড প্যাকেট।
২৪ মার্চ, ২০২৪
X