বুশরা বিবিকে ইমরানের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে বানিগালা উপজেল থেকে আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। আদিয়ালা কারাগারে বর্তমানে বন্দি অবস্থায় আছেন ইমরান। খবর জিও নিউজের। বুধবার (৮ মে) আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করতে বুশরার দাখিল করা আবেদনের ওপর সংরক্ষিত রায় ঘোষণার সময় এ নির্দেশ দিয়েছেন আইএইচসির বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ২ মে এই রায় সংরক্ষণ করে রাখেন হাইকোর্ট। তখন জেলের সুপারিনটেনডেন্ট জানিয়েছিলেন, বুশরা বিবিকে তাদের কারাগারে জায়গা দিতে পারবেন না। কেননা কারাগারটিতে ইতোমধ্যেই অনেক বেশি কয়েদি অবস্থান করছেন। তার ওপর নিরাপত্তাজনিত ইস্যুর কথাও বলেন তিনি। বানিগালা হলো বুশরা বিবির বাসভবন। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর গত ৩১ জানুয়ারি বুশরার এই বাসভবনকে উপজেল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় দিন পার করছেন। তবে আজকের রায়ে বুশরা বিবির বাসভবনকে উপজেল হিসেবে ঘোষণার প্রজ্ঞাপনকে অবৈধ বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আদালত। এর আগে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান ও বুশরাকে ১৪ বছর করে সাজা দিয়েছিলেন পাকিস্তানের জবাবদিহি আদালতের বিচারক মুহাম্মদ বশির। এই সাজার পাশাপাশি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর ওপর ১০ বছরের জন্য সরকারি দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এ ছাড়া এই দম্পতিকে দেড়শ কোটি পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করেন বিচারক।
১৫ ঘণ্টা আগে

বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন কারামুক্ত
দীর্ঘ ছয় মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন। বুধবার (৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেন। এসময় কারাফটকে খোকনকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরে এলাহী, জেলা বিএনপির সদস্য রফিকুল আমিন ভূঁইয়া রুহেলসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর দিবাগত রাতে রাজধানীর একটি বাসা থেকে খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের গত ২৬ জানুয়ারি নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী মাইন উদ্দিন ভূঁইয়াকে সিনিয়র সহসভাপতি পদ দেওয়া হয়। এতে তার অনুসারী নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আগুন দেন এবং পরে ভাঙচুর করেন। এরপর কমিটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন পদবঞ্চিতরা। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ মে বিকেলে ছাত্রদলের বহিষ্কৃত নেতারা ছাত্রদলের নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে শতাধিক মোটরসাইকেল বহন নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি জেলা বিএনপির চিনিশপুরের অস্থায়ী কার্যালয়ের সড়কে ঢোকার পর দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বহিষ্কৃত নেতা ছাদিকুর রহমান ও তার অনুসারী আশরাফুল হক (২২)। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। পরে ওই ঘটনায় নিহত ছাদিকুরের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, তার স্ত্রী শিরিন সুলতানাসহ জেলা বিএনপির ৩০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৩৫ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় খোকন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নেয় তিনি। গত বছরের ২৭ জুলাই তার জামিনের মেয়াদ শেষে হয়ে যাওয়ার পর খোকন আদালত থেকে আর স্থায়ী জামিন নেয়নি। এই প্রেক্ষিতে ২৫ অক্টোবর দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে ঢাকায় তার ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। পর দিন তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালতের বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। সেই থেকে কারাগারেই ছিলেন খায়রুল কবির খোকন।
১৭ ঘণ্টা আগে

কারাগার থেকে বেরিয়ে মামুনুল হকের জ্বালাময়ী বক্তব্য
কারাগার থেকে মুক্ত হয়েই জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। শনিবার (৪ মে) মোহাম্মদপুরে জামিয়া রাহমানিয়া আজিজিয়া মাদ্রাসায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দীর্ঘ সময় বক্তব্য দেন তিনি।   বক্তব্যের শুরুতে মামুনুল হক বলেন, আমি যা করছি তা দুটি পক্ষ প্রত্যক্ষ করছে। একটি পক্ষ হচ্ছে আসমানের আরেকটি পক্ষ জমিনের। আমি দোয়া চাই জমিনের এই কর্তৃপক্ষের প্রভাব থেকে আমার ওপর আসমানের কর্তৃপক্ষের প্রভাব যেন বেশি থাকে। আমি আপনাদের কাছে সেই দোয়াই চাই। আপনারা একান্তে আমার জন্য এই দোয়াটা করবেন। তিনি বলেন, আমার সহকর্মীরা অনেক কথা বলেছেন। এখানে একটা কথা এসেছে, প্রতি ফোঁটা জুলুমের প্রতিশোধ গ্রহণ করার কথা। এই কথাটা আমি একদিকে প্রত্যাখ্যানও করি আর আরেক দিক দিয়ে সমর্থনও করি। প্রত্যাখ্যাত করি এই কারণে যে, যার আদর্শ অনুসরণে আমাদের এই কারাভোগ, আমাদের এই কারাবরণ, আমরা এই শব্দগুলো বেশি বলি। কারা নির্যাতনের কথা বলব যত কম বলা যায়। এটা কারা নির্যাতন না, মূলত এটা আসলে কারাবরণ। আমরা তো জেনে বুঝেই এই পথে পা বাড়িয়েছি। কেউ যদি মনে করে থাকে তারা জানে না, তাহলে এটা তাদের জন্য ভুল তথ্য।  হেফাজতের এই নেতা বলেন, আমরা জানি, এই পথটা কুসুমাস্তীর্ণ নয়। এই পথে কখনো কখনো প্রতীকী অর্থে লালগালিচা থাকে। তবে সেই লালগালিচার লালিমাটা যতটা না গালিচার রং দিয়ে লাল হয়, তার চেয়ে বেশি লাল হয় ভাইয়ের শাহাদাতের রক্তের মাধ্যমে। শাহাদাতের রক্ত দিয়েই আমরা সেই পথে পৌঁছাব। যেই পথে শাপলা চত্বরের ভাইয়েরা রক্ত দিয়েছে। যে পথে আমার হাটহাজারির সন্তানেরা রক্ত দিয়েছেন, যে পথে বি.বাড়িয়ার ভাইয়েরা রক্ত দিয়েছেন। আমরা তাদের রক্তকে ভুলব না। আমরা কোনো সময় সেই শাহাদাত অস্বীকার করার প্রবণতাকে এক মুহূর্তের জন্যও বরদাস্ত করব না। আমার ভাই শহীদ হয়েছে, আপনারা অন্তত সরি বলেন। সেটা অন্তত অস্বীকার করার চেষ্টা করবেন না। শহীদের রক্তের সাথে গাদ্দারি করার মতো সেই বেইমান কওমি মাদ্রাসায় জন্ম হয় নাই। তিনি বলেন, আমরা কোনো প্রতিশোধ গ্রহণ করি নাই, করতে চাই না, করার প্রবণতা যদি আমাদের মন থেকে কখনো উদ্যত হয় সেটা হলো শয়তানের প্ররোচণা। ব্যক্তিগত আক্রোশের কথা বলে থাকতে পারি কিন্তু আমরা প্রতিশোধ পরায়ণ নই। এটাই হলো মূল কথা। এই হিসেবে প্রতিশোধ শব্দটি প্রত্যাখ্যান করলাম। অন্য আরেক অর্থে আমি প্রতিশোধ শব্দটা সমর্থন করছি। শুধু সমর্থন নয়, আমি পুনর্ব্যক্ত করছি, আমরা প্রতিশোধ নেব। আমরা সেই প্রতিশোধ নেব, যেই প্রতিশোধ হিযরতের আগ পর্যন্ত ১২ বছরের জুলুম অত্যাচারে প্রতিশোধ মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে আল্লাহ নবী গ্রহণ করেছিলেন। আল্লাহর নবী মক্কা বিজয়ের পরে সেই সকল অপরাধীকে ক্ষমা করার মধ্য দিয়ে আল্লাহর জমিনে দ্বীনের ঝাণ্ডা সমুন্নত করার মাধ্যমে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছিলেন।  তিনি হুঁঙ্কার দিয়ে বলেন, আমি আবার বলছি, আমি এই দেশে ভাড়াটিয়া থাকব না। এই জমিনের মালিকানাসূত্রে বসবাস করি, এই জমিনকে আল্লাহর জন্য মুক্ত করেই ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর দিনের বিজয় সেটাই হবে আমাদের মধুর প্রতিশোধ। যারা আমাদের শত্রু ভেবে আমাদের নিঃশেষ করার চেষ্টা করেছে, অপমান করার চেষ্টা করেছে, আমরা তাদের সম্মানিত করে প্রতিশোধ নেব। আমরা আমাদের আদর্শের শুনানির পথে তাদেরকে বরণ করে নেওয়ার মাধ্যমে প্রতিশোধ নেব। আল্লাহ আমাদের সেই তাওফিক দান করুন। তিনি বলেন, এখানে ভবন নিয়ে অনেকে কথা বলেছেন। এসব ভবন থাকলে সেটা রক্ষা করার জন্য অনেকের কাছেই তেল মারতে হয়। ভবনও নাই তেল মারার দরকারও নাই। আজ এখানে মাদ্রাসা, কাল কেরানীগঞ্জের কোনো চরে মাদ্রাসা হবে। প্রয়োজন নাই কোনো ভবনের, প্রয়োজন নাই মাদ্রাসার কোনো স্থাবর সম্পত্তির। ওই পুরাতন যুগে ফিরে যেতে হবে আমাদের। স্থায়ীভাবে আমি এই কথা বলছি। এই বিশাল বিশাল আলিশান ইমারত সাজিয়ে তার মধ্যে বিলাসী রুম সাজিয়ে বিলাসী জ্ঞানচর্চা! আজ আমাদের বিলাসী ইলম চর্চা পেয়ে বসেছে। বিলাসী ইলম চর্চা বাদ দিয়ে সেই খেজুর গাছের তলায়, বটগাছের নিচে, ছালার চটের ওপর বসে আমাদের জ্ঞানচর্চা করতে হবে। তাহলেই আমরা কলেমার তত্ত্ব সমুন্নত করতে পারব।  প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।  খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকেই মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে মোট ৪১টি মামলা রয়েছে। সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর কারামুক্ত হলেন তিনি। সর্বশেষ গত ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা একটি মামলায় মামুনুল হক জামিন পান। 
০৫ মে, ২০২৪

রাতে মুক্তি পাচ্ছেন না মামুনুল হক
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির কথা ছিলো বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতেই। কিন্তু রাতে মুক্তি পাচ্ছেন না মামুনুল হক। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানিয়েছেন, আজ (বৃহস্পতিবার) মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। তার জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে। এর আগে, গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’ এদিকে হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরে গাজীপুরের কাশিমপুর কারা ফটকে ভিড় করেছেন তার সমর্থক ও সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল এক নারীর সঙ্গে মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। পরে ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে একটি মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে এসব মামলায় তিনি কারাগারে আছেন।
০৩ মে, ২০২৪

বাংলাদেশেও উন্মুক্ত কারাগার হচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
উন্নত দেশেরমতো বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, কক্সবাজারের উখিয়ায় উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে।  বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হ্যালিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।  তিনি জানান, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। পূর্বে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের ৭ পয়েন্ট ৬২/৯ এমএম পিস্তল, ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাসগান বা লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি এরইমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। এদিকে, সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ রুহীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০২৩ সালে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়েরপূর্বক ১ লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ সময়ে ৩১ হাজায়ে ৩১ হাজার ৬২২ বোতল ফেনসিডিল, ৭২.৮২৮ কেজি হেরোইন, ১৮৬.৬৩২ কেজি আইস এবং ২ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭১ পিস টাপেন্টাডল ট্যাবেলট জব্দ করা হয়েছে।
০২ মে, ২০২৪

আ.লীগ সরকার তলে তলে দেশবিরোধী কাজ করছে : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তাদের বক্তব্যে বলেছেন, অনেক কিছু তলে তলে ঘটে। তলে তলে উনারা (সরকার) দেশ ও জনগণবিরোধী কাজ-ই করে যাচ্ছেন। একের পর এক কাজ তারা করেই যাচ্ছেন। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সদ্য কারামুক্ত দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব মুক্তি পাওয়ার পর রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে দেখা করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন। আজ দুপুরে জামিনে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান হাবিবুর রহমান হাবিব। হাবিবুর রহমান হাবিবের সাজা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, এ সরকারের আজ্ঞাবাহী আদালত হাবিবুর রহমান হাবিবকে নতজানু হতে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি (হাবিব) যা বলেছেন, তা সত্য ও বিশ্বাস করে বলেছেন। সেই বলাটাই ছিল, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে তার পক্ষে হাবিবুর রহমান হাবিবের দৃঢ় অবস্থান। তিনি শাস্তি ও নির্যাতন বরণ করে নিয়েছেন। তবুও তিনি যা বলেছেন, সেখান থেকে ন্যূনতম বিচ্যুত হননি। আজকে রাজনীতির যে নৈতিকতার ঘাটতি, কথার সঙ্গে কাজের যে ঘাটতি- সেখান থেকে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হাবিবুর রহমান হাবিব তৈরি করেছেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে যিনি মুক্তি পেয়েছেন, তিনি এরশাদ (হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ) বিরোধী আন্দোলনের এক কিংবদন্তিতুল্য ছাত্র নেতা। যিনি তৎকালীন যে সংগঠনে ছিলেন, সে সংগঠনে তাকে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে অনুরোধ করেছিলেন আন্দোলন থেকে বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য। সেদিন তিনি নীতি ও নৈতিকতার যে বলিষ্ঠতা দেখিয়েছেন, আর নৈতিকতার যে আদর্শ স্থাপন করেছিলেন-সেখান থেকে তিনি বিচ্যুত হননি। সেদিন যদি ন্যূনতম সেই ব্যক্তির কথায় তিনি যদি সরে যেতেন তাহলে এরশাদের পতন সম্ভব হতো না। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনসহ পাবনা জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীর স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী
বিরোধীদের ‘কারান্তরীণ’ করে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ রক্ষা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের জন্য দিনের আলো যেন নিষিদ্ধ, তাদের মুক্ত বাতাস গ্রহণ যেন নিষিদ্ধ। তাদের প্রায়ই কারাগারে থাকতে হচ্ছে। বিনা কারণে বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারে যেতে হচ্ছে; তাদের যেন স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে কারাগার। গতকাল শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, সরকার যতই বিরোধীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন করুক না কেন, একদিন এর বিচার হবেই, যেসব অন্যায় করা হচ্ছে তার রেকর্ড আছে। এই সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিচার হবেই, তাদের শেষ রক্ষা হবে না। জিয়া প্রজন্মের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পারভীন কাওসার মুন্নীর সভাপতিত্বে ও সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ফখরুল ইসলাম রবিন, ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, ছাত্রদলের নাছির উদ্দীন নাছির প্রমুখ বক্তব্য দেন।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

অং সান সু চিকে কারাগার থেকে বাড়িতে স্থানান্তর
মিয়ানমারের সাবেক নেত্রী অং সান সু চিকে কারাগার থেকে বাড়িতে স্থানান্তর করা হয়েছে। মূলত প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে তার স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে সু চিকে গৃহবন্দিত্বে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। মিয়ানমারের এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।  মিয়ানমার জান্তার পক্ষ থেকে বলা হয়, তাপপ্রবাহের প্রকোপ থেকে কারাবন্দিদের রক্ষা করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই সু চিকে কারাগার থেকে স্থানান্তর করা হয়েছে।  ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জান্তা বাহিনী সু চির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকেই কারাগারে বন্দি আছেন তিনি। রাষ্ট্রদ্রোহ, ঘুষ কেলেঙ্কারি, আইন লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৭ বছরের কারাদণ্ড হয় তার। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। জান্তা সরকারের উপতথ্যমন্ত্রী মেজর জেনারেল জাও মিন তুন গতকাল মঙ্গলবার বিদেশি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অং সান সু চি ও তাঁর সরকারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তসহ আরও কয়েকজন বয়স্ক কারাবন্দি গৃহবন্দিত্বে নেওয়া হয়েছে। জাও মিন তুন বলেন, যেহেতু আবহাওয়া অত্যন্ত গরম, তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটি কেবল অং সান সু চির জন্য নয়...যাদের বেলায় প্রয়োজনীয় সতর্কতা গ্রহণ করা দরকার বিশেষ করে বয়স্ক বন্দিদের ক্ষেত্রে—আমরা তাদের হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষায় কাজ করছি। অং সান সু চি তাঁর জীবনের ২৭টি বছর কারাগারেই কাটিয়েছেন। সর্বশেষ তিনি মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোর একটি কারাগারে বন্দি ছিলেন। উইন মিন্ত বন্দি ছিলেন বাগো অঞ্চলের একটি কারাগারে। মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার নেপিডোর তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সু চি ও উইন মিন্তসহ অন্য কারাবন্দিদের গৃহবন্দিত্বে নেওয়া হলেও তাঁদের ঠিক কোথায় গৃহবন্দি করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি জান্তা সরকারের উপতথ্যমন্ত্রী। এর আগে, অবশ্য কারাগারে নেওয়ার আগে সু চি জান্তা বাহিনীর একটি সেনানিবাসের ভেতরের সেফ হাউসে বন্দি ছিলেন।  
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

কারাগার থেকে বেরিয়ে ভালো আছেন আলভেজ
তিনি ছিলেন সর্বজয়ী বার্সেলোনা টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। একসময় বিশ্ব ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ট্রফির মালিকও ছিলেন তিনি। বলা হচ্ছে ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার দানি আলভেজের কথা। তবে এখন এসব অতীত। বার্সা, জুভেন্টাস ও পিএসজির সাবেক এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার বর্তমানে হয়ে গেছেন ফুটবলের অন্যতম নিন্দিত এক চরিত্র। ধর্ষণের মামলায় কারাগারে থাকা এই ফুটবলার সম্প্রতি প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন আর মুক্তি পেয়েই জন্ম দিয়েছেন নতুন আলোচনার।   বার্সেলোনার নাইটক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের মামলায় সাড়ে ৪ বছরের দণ্ডে কারাগারে ছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি ১ মিলিয়ন ইউরো জামিন দিয়ে গত ২৫ মার্চ বার্সেলোনার আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন তিনি। মুক্তি পাওয়ার পরই পার্টিতে অংশ নিয়ে উসকে দিয়েছিলেন বিতর্ক, এবার কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো মিডিয়ায় কথা বলেছেন এই ফুটবলার।  ১৪ মাসের বেশি কারাগারে থাকার পর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্ত হয়ে স্পেনের সংবাদপত্র এল পিরিওডিকো দে এসপানায় ছোট্ট একটি সাক্ষাৎকারে দানি আলভেজ কারাগারে থাকার স্মৃতি রোমন্থন করে বলেছেন, ‘আমি শান্ত ও ভালো আছি।’ একসময় পৃথিবীর অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা দানি আলভেজ মি. পর্টার রেস্টুরেন্টে সাংবাদিক ফেরান ইমেদিও কাছে সাক্ষাৎকার দেন। ফেরানের ভাষ্যমতে আগের চেয়ে অনেক বিমর্ষ ও শুকিয়ে যাওয়া আলভেজ এ সময় বলেন, ‘আমি যেখানেই যাই টিকে থাকি। আমি সবকিছুর সঙ্গেই নিজেকে মানিয়ে নেই। কারণ আমার কাছে মনে হয়, একজন মানুষই তার আশপাশের পরিবেশ কেমন হবে তা তৈরি করে, পরিবেশ মানুষকে নয়।   জামিনের শর্তানুযায়ী বার্সেলোনার আদালতে প্রতি শুক্রবার নিয়মিতভাবে হাজিরা দিতে হয় আলভেজকে। এ সম্পর্কে বলেন, ‘আমাকে এটিই করতে হবে। প্রতি শুক্রবার আদালতে এসে হাজিরা দেওয়া। এছাড়া আমার আর তেমন কিছু করার নেইও।’ আলভেজের সকল মনোযোগ এখন এই মামলায় বিচার পাওয়া নিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমার যা করার এখন আদালতেই করতে হবে।’  
০৬ এপ্রিল, ২০২৪
X