বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তাদের বক্তব্যে বলেছেন, অনেক কিছু তলে তলে ঘটে। তলে তলে উনারা (সরকার) দেশ ও জনগণবিরোধী কাজ-ই করে যাচ্ছেন। একের পর এক কাজ তারা করেই যাচ্ছেন।
রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সদ্য কারামুক্ত দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব মুক্তি পাওয়ার পর রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে দেখা করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন। আজ দুপুরে জামিনে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান হাবিবুর রহমান হাবিব।
হাবিবুর রহমান হাবিবের সাজা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, এ সরকারের আজ্ঞাবাহী আদালত হাবিবুর রহমান হাবিবকে নতজানু হতে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি (হাবিব) যা বলেছেন, তা সত্য ও বিশ্বাস করে বলেছেন। সেই বলাটাই ছিল, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে তার পক্ষে হাবিবুর রহমান হাবিবের দৃঢ় অবস্থান। তিনি শাস্তি ও নির্যাতন বরণ করে নিয়েছেন। তবুও তিনি যা বলেছেন, সেখান থেকে ন্যূনতম বিচ্যুত হননি। আজকে রাজনীতির যে নৈতিকতার ঘাটতি, কথার সঙ্গে কাজের যে ঘাটতি- সেখান থেকে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হাবিবুর রহমান হাবিব তৈরি করেছেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে যিনি মুক্তি পেয়েছেন, তিনি এরশাদ (হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ) বিরোধী আন্দোলনের এক কিংবদন্তিতুল্য ছাত্র নেতা। যিনি তৎকালীন যে সংগঠনে ছিলেন, সে সংগঠনে তাকে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে অনুরোধ করেছিলেন আন্দোলন থেকে বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য। সেদিন তিনি নীতি ও নৈতিকতার যে বলিষ্ঠতা দেখিয়েছেন, আর নৈতিকতার যে আদর্শ স্থাপন করেছিলেন-সেখান থেকে তিনি বিচ্যুত হননি। সেদিন যদি ন্যূনতম সেই ব্যক্তির কথায় তিনি যদি সরে যেতেন তাহলে এরশাদের পতন সম্ভব হতো না।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনসহ পাবনা জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন