কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অং সান সু চিকে কারাগার থেকে বাড়িতে স্থানান্তর

গৃহবন্দিত্বে নেওয়া হয়েছে অং সান সু চিকে। ছবি : সংগৃহীত
গৃহবন্দিত্বে নেওয়া হয়েছে অং সান সু চিকে। ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের সাবেক নেত্রী অং সান সু চিকে কারাগার থেকে বাড়িতে স্থানান্তর করা হয়েছে। মূলত প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে তার স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে সু চিকে গৃহবন্দিত্বে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। মিয়ানমারের এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

মিয়ানমার জান্তার পক্ষ থেকে বলা হয়, তাপপ্রবাহের প্রকোপ থেকে কারাবন্দিদের রক্ষা করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই সু চিকে কারাগার থেকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জান্তা বাহিনী সু চির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকেই কারাগারে বন্দি আছেন তিনি। রাষ্ট্রদ্রোহ, ঘুষ কেলেঙ্কারি, আইন লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৭ বছরের কারাদণ্ড হয় তার। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

জান্তা সরকারের উপতথ্যমন্ত্রী মেজর জেনারেল জাও মিন তুন গতকাল মঙ্গলবার বিদেশি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অং সান সু চি ও তাঁর সরকারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তসহ আরও কয়েকজন বয়স্ক কারাবন্দি গৃহবন্দিত্বে নেওয়া হয়েছে।

জাও মিন তুন বলেন, যেহেতু আবহাওয়া অত্যন্ত গরম, তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটি কেবল অং সান সু চির জন্য নয়...যাদের বেলায় প্রয়োজনীয় সতর্কতা গ্রহণ করা দরকার বিশেষ করে বয়স্ক বন্দিদের ক্ষেত্রে—আমরা তাদের হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষায় কাজ করছি।

অং সান সু চি তাঁর জীবনের ২৭টি বছর কারাগারেই কাটিয়েছেন। সর্বশেষ তিনি মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোর একটি কারাগারে বন্দি ছিলেন। উইন মিন্ত বন্দি ছিলেন বাগো অঞ্চলের একটি কারাগারে। মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার নেপিডোর তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সু চি ও উইন মিন্তসহ অন্য কারাবন্দিদের গৃহবন্দিত্বে নেওয়া হলেও তাঁদের ঠিক কোথায় গৃহবন্দি করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি জান্তা সরকারের উপতথ্যমন্ত্রী। এর আগে, অবশ্য কারাগারে নেওয়ার আগে সু চি জান্তা বাহিনীর একটি সেনানিবাসের ভেতরের সেফ হাউসে বন্দি ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২২ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

বৈঠকের পর মামদানির প্রশংসায় ট্রাম্প

শ্রমিকদের স্বার্থে পাঁচ দফা বাস্তবায়নের আহ্বান শেখ বাবলুর

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মীদের নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের দাবি

তারাগঞ্জের কালেক্টরেট বামনদিঘি ইকোপার্ক

ইরাকের সরকার গঠনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

লেবাননে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা

আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনকে শান্তি পরিকল্পনা মানতে হবে: ট্রাম্প

ভেড়ামারায় দুর্বৃত্তের গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি তুষার, সম্পাদক হাবীব

১০

ভূমিকম্পে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৪১ জন আহত

১১

ক্যারিয়ার শেষে কত উইকেট চান জানালেন তাইজুল

১২

 ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে রাজউকের তাৎক্ষণিক পরিদর্শন

১৩

মেসিকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যা বললেন ফ্লিক

১৪

গৌহাটি টেস্টের আগে ভারত শিবিরে দুঃসংবাদ

১৫

শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১৬

এই প্রজন্মে অন্ধ আনুগত্য, ভাই পলিটিক্স চলবে না : শিবির সভাপতি

১৭

নাটকীয় জয়ের পরও নিজের ভুলে হতবাক আকবর

১৮

স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান : প্রধান উপদেষ্টা

১৯

নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ 

২০
X