হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির কথা ছিলো বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতেই। কিন্তু রাতে মুক্তি পাচ্ছেন না মামুনুল হক।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানিয়েছেন, আজ (বৃহস্পতিবার) মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। তার জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে।
এর আগে, গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’
এদিকে হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরে গাজীপুরের কাশিমপুর কারা ফটকে ভিড় করেছেন তার সমর্থক ও সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল এক নারীর সঙ্গে মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।
পরে ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে একটি মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে এসব মামলায় তিনি কারাগারে আছেন।
মন্তব্য করুন