শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
বাংলা কনভার্টার
নানা আয়োজনে গজারিয়া গণহত্যা দিবস পালিত
১ ঘণ্টা আগে
১১ ঘণ্টা পর বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধার
১ ঘণ্টা আগে
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণী, পালালেন তারিকুল
২ ঘণ্টা আগে
চেয়ারম্যানের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা আহত
২ ঘণ্টা আগে
পঞ্চগড়ে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন
২ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১০ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
৮৫ টাকার ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে ৫০০ টাকা!
৮৫ টাকার ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে কিনতে হচ্ছে ৫০০ টাকায়! ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন অনেকেই। চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য কাউন্টারে সাগরিকা ট্রেনের টিকিট পাচ্ছেন না যাত্রীরা। এতে বাধ্য হয়ে এত বেশি দামে কালোবাজারিদের কাছ থেকে টিকিট কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে কালীবাড়ি রেলস্টেশন ও বড়স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট নিয়ে যাত্রীদের হট্টগোল দেখে কালোবাজারিদের এ কার্যক্রমের সত্যতা পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলেন, কাউন্টারে টিকিট পাইনি। কী করব! তাই কালোবাজারিদের থেকে বেশি দাম দিয়ে ৮৫ টাকার টিকিট ৫শ টাকায় নিতে হচ্ছে। আর এ কাজে জড়িত রেলের টিকিট কাউন্টারের লোকজনই। তারাই ম্যানেজ হয়ে সব টিকিট বাইরে কালোবাজারিদের কাছে দিয়ে রাখছেন। এতে যাত্রীরা ভোগান্তি পোহাচ্ছে। ভুক্তভোগী যাত্রীরা আরও বলেন, অনেক আনসার সদস্যরাও উচ্চ দামে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, কালিবাড়ী রেলস্টেশনে সাগরিকা ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বেশি দামে বিক্রি করছে মোহাম্মদ মিরাজ। তিনি নিজেই রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারের লোক। অভিযোগ প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, আমি চট্টগ্রামের ১২০টি টিকিট পাই। যাত্রী বেশি থাকায় দিতে পারেনি ঠিকমতো। কালোবাজারিদের মতো বেশি দামে বিক্রি করেনি। যদি ২০-৩০ টাকা বেশি দেয় কেউ সেই টাকাই নেই। আমরা বেতন কম পাই। কেউ খুশি মনে দিলে ওই টাকা নেই। এই কায়দায় চাঁদপুর বড়স্টেশনের কাউন্টারেও টিকিট বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। বড়স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা মো. আকাশ বলেন, চট্টগ্রামের টিকিট আমাকে দেওয়া হয়েছে ১৩০টা। কিন্তু যাত্রী বেশি থাকায় ঠিকমতো টিকিট দিতে পারছি না। ৮৫ টাকার টিকিট ৪শ-৫শ টাকায় কেউ কেউ কালোবাজারে বিক্রি করছে শুনেছি। তবে তার সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। চাঁদপুর রেলওয়ের সহকারী স্টেশন মাস্টার সোয়েবুল সিকদার বলেন, সাগরিকা ট্রেনটি বেসরকারিভাবে চলায় তারা নিজেরাই নিজেদের টিকিট বিক্রি করছে। স্থানীয় কিছু লোক এই কালোবাজারিতে জড়িত থাকতে পারে। কিন্তু এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, টিকিট কালোবাজারিদের হাতে চলে যাচ্ছে। যাত্রীদের কাছে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিক্রি করছে এ ধরনের কোনো লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি। যদি কেউ এ ধরনের অভিযোগ দেয় তাহলে সেই অনুযায়ী কালোবাজারিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪
ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি চক্রের তিন সদস্য আটক
হবিগঞ্জে ঈদেকে সামনে রেখে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় বিভিন্ন তারিখের ৪৫টি অনলাইন টিকেট ও তিনটি মোবাইল ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দাউদনগর এলাকার শেখ মকছুদ আলীর ছেলে শিপন চৌধুরী (৩১), দক্ষিণ বড়চর এলাকার আব্দুর নুরের ছেলে মো. আব্দুল কাইয়ুম (৫৫) ও মাধবপুর উপজেলার বুলাইয়া এলাকার আব্দুর নুরের ছেলে মো. জামাল মিয়া (৪২)। শুক্রবার (২৯ মার্চ) র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেল সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। র্যাব জানায়, সম্প্রতি ঈদকে সামনে রেখে হবিগঞ্জের বিভিন্ন রেলস্টেশনে একটি চক্র ট্রেনের টিকেট সংগ্রহকরে উচ্চমূল্যে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করে। বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব গত ২৮ মার্চ রাতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয় তাদেরকে আটক করে। র্যাব আরও জানায়, আটককৃতদের শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
৩০ মার্চ, ২০২৪
সেনাবাহিনীর নামে ট্রেনের অর্ধশত টিকিট নেওয়ার চেষ্টা
পঞ্চগড়ে রেলের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে বিকেলে তাকে দিনাজপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিনি সেনাবাহিনীর নামে ৪২টি টিকিট নিতে এসেছিলেন। ওই যুবক আব্দুস সুবহান (২৫) ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গড়িয়ালী গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের একটি কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারী রেজাউন সিদ্দিক বলেন, সুবহান নামের ওই যুবক সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট দেখিয়ে ৪২টি টিকিট নিতে আসেন। সেই ওয়ারেন্ট দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি স্টেশন মাস্টার মাসুদ পারভেজকে অবগত করা হয়। পরে তাকে পঞ্চগড় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে দেওয়া হয়। রেল পুলিশ সূত্র জানায়, আব্দুস সুবহান আগেও সেনাবাহিনীর ভুয়া ওয়ারেন্টে (সেনাবাহিনীর এক প্রকার রেল টিকিটের বিশেষ চাহিদাপত্র) দেখিয়ে ৪২টি টিকিট নেন। টিকিটগুলো কালোবাজারে বিক্রি করেন তিনি। জালিয়াতির বিষয়টি জানতে পেরে তাকে ধরতে চার দিন ধরে ওঁৎ পেতে ছিলেন পঞ্চগড় রেল বিভাগের লোকজন। দিনাজপুর রেলওয়ে থানা-পুলিশের এসআই জেসমিন আক্তার বলেন, খবর পেয়ে রেলওয়ের পুলিশ ফোর্সসহ আমরা পঞ্চগড় স্টেশনে আসি। এখানে সেনাবাহিনীর একটি অসম্পূর্ণ ওয়ারেন্ট ও কিছু কাগজপত্র জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মাসুদ পারভেজ বলেন, টিকিট জালিয়াতির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে আমাদের সজাগ থাকতে বলা হয়। ওই যুবক জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীর ৪২ জনের একটি দল ১৭ তারিখে পঞ্চগড়ের একটি হাসপাতাল ভিজিট করতে আসবেন। পরে বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, এমন কোনো প্রোগ্রাম পঞ্চগড়ে নেই।
০৭ মার্চ, ২০২৪
কালোবাজারে টিকিট বিক্রির অভিযোগে রেলওয়েকর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে রেলের টিকিট কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে সাথী আক্তার (৩৩) নামে রেল কাউন্টারের এক বুকিং কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। গত মঙ্গলবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রেলওয়ে পুলিশের ঢাকা জেলার একটি দল অভিযান চালিয়ে কালোবাজারির অভিযোগে ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনের বুকিং সহকারী সাথী আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাথী নিজের আইডি দিয়ে টিকিট কেটে কালোবাজারে বিক্রি করতেন উল্লেখ করে এসপি আনোয়ার আরও বলেন, গ্রেপ্তার সাথী প্রতিদিন স্টেশনে ডিউটিতে আসার নিজের বুকিং আইডি দিয়ে বিভিন্ন তারিখের নানা গন্তব্যের ট্রেনের টিকিট কাটতেন। এরপর ডিউটি শেষে কেটে রাখা টিকিটগুলো কৌশলে লুকিয়ে স্টেশন ত্যাগ করতেন। পরবর্তীকালে টিকিটগুলো তার চক্রের কালোবাজারিদের কাছে সুবিধাজনক স্থানে গিয়ে হস্তান্তর করে বিনিময়ে লভ্যাংশের টাকা বুঝে নিতেন। রেলওয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এই কাজে সাথী নিজের টাকা ইনভেস্ট করতেন। এ ছাড়া টিকিট কালোবাজারি ও দালালদের সরবরাহকৃত সাধারণ মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর এবং নিজের বুকিং আইডি ব্যবহার করতেন। লেনদেনের গোপনীয়তা রক্ষায় দালালদের সঙ্গে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে যোগাযোগ করতেন। গভীর রাতে বিমানবন্দর এলাকায় টিকিট ও অর্থের লেনদেন করতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। গ্রেপ্তার এই রেলওয়ে কর্মীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
র্যাবের জালে ধরা ট্রেনের ৬ টিকিট কালোবাজারি
পাবনার চাটমোহর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে র্যাব-১২ পাবনার সদস্যরা ট্রেনের ৬ টিকিট কালোবাজারিকে আটক করেছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলেতাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন রুটের ট্রেনের ৫৫টি টিকিট, নগদ পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা এবং আটটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। আটককৃতরা হলেন, চাটমোহরের অমৃতকুন্ডা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের তিন ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৮), জাহিদুল ইসলাম (৩৪) ও আরিফুল ইসলাম (৩২), একই এলাকার মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিল (৪৫), আনোয়ার হোসেনের ছেলে আনিছুর রহমান (২৮) ও পূর্ব টিয়ারতলা গ্রামের আবুল কালাম শেখ এর ছেলে হাবিবুর রহমান (২২)। বিকেলে র্যাব-১২ পাবনার অধিনায়ক মেজর মোঃ এহতেশামুল হক খাঁন এ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুপুরের দিকে জানতে পারি পাবনার চাটমোহর রেলওয়ে স্টেশনের আশেপাশে কিছু লোক অনলাইন ও কাউন্টার থেকে ট্রেনের অগ্রীম টিকিট কিনে পরবর্তীতে বেশি দামে বিক্রির জন্য অবৈধভাবে নিজেদের কাছে মজুদ রাখছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল নজরদারি চালিয়ে আন্তঃনগর সহ বিভিন ট্রেনের ৫৫টি আসনের অগ্রিম টিকিটসহ তাদের আটক করে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, দীঘদিন যাবত চাটমোহর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারী হয়ে আসছিল। স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে খুব একটা নজর না দেওয়ায় নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল চোরাকারবারীরা। প্রায় দ্বিগুণ দামে এ টিকিট বিক্রি করত এ চক্রটি।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
রেল ও সহজ কর্মচারীর যোগসাজশে টিকিট কালোবাজারি
রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দরকেন্দ্রিক একটি চক্র প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন রুটের অন্তত পাঁচ শতাধিক টিকিট কালোবাজারে বিক্রি করত। টিকিট বিক্রির টাকা চক্রের সদস্য ও রেলস্টেশনের কাউন্টারম্যান থেকে শুরু করে কর্মকর্তারা ভাগ করে নিতেন। এমনকি চক্রে সহজ ডটকমের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও জড়িত। অবশেষে টিকিট কালোবাজারি চক্রের ১৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তাররা হলেন সেলিম সিন্ডিকেটের মূলহোতা মো. সেলিম, তার প্রধান সহযোগী আনোয়ার হোসেন ওরফে কাশেম, শ্রী অবনী সরকার সুমন, হারুন মিয়া, মো. মান্নান, আনোয়ার হোসেন ওরফে ডাবলু, মো. ফারুক, শহীদুল ইসলাম বাবু, মো. জুয়েল ও আব্দুর রহিম; উত্তম সিন্ডিকেটের মূলহোতা উত্তম চন্দ্র দাস, তার প্রধান সহযোগী মোর্শিদ মিয়া ওরফে জাকির, আব্দুল আলী ও মো. জোবায়ের। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ২৪৪ রেল টিকিট, ১৪টি মোবাইল ফোন ও টিকিট বিক্রির ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থার আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। কমান্ডার মঈন বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশনে সেলিম সিন্ডিকেটের মূলহোতা সেলিম এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশনে সিন্ডিকেটের মূলহোতা উত্তমের নেতৃত্বে চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা নিশীথা, চট্টলা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল। তিনি বলেন, সেলিম ও উত্তমের নেতৃত্বে সহযোগীরা প্রথম কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশনে টিকিট কাউন্টারে কুলি, টোকাই, রিকশাচালক ও দিনমজুরদের টাকা দিয়ে লাইনে দাড় করিয়ে টিকিট সংগ্রহ করত। এ ছাড়া স্টেশনের কাউন্টারম্যান যাত্রীদের প্রতি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে চারটি টিকিট কাটলেও যাত্রীকে একটি দিয়ে বাকি তিনটি কালোবাজারিদের হাতে তুলে দিতেন। বিশেষ করে ঈদ, পূজা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিশেষ ছুটির দিনকে টার্গেট করে বিপুল পরিমাণ টিকিট সংগ্রহ করত কালোবাজারিরা। এ কাজে তাদের সহযোগিতা করত রেলস্টেশনের কাউন্টার ম্যান, অসাধু কর্মচারীসহ অনলাইনে টিকিট কেনার জন্য ব্যবহৃত ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের কর্মকর্তারা। সার্ভার ডাউন করে তারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করত। গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে কমান্ডার মঈন বলেন, কালোবাজারিরা টিকিট নিয়ে রেলস্টেশনের ভেতরে অবস্থান করত। বিভিন্ন ছুটির আগের প্রতিটি টিকিট ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি দামে বিক্রি করত। এসব টিকিট বিক্রির লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ নিজেরা ও বাকি ৫০ শতাংশ কাউন্টারে থাকা বুকিং কর্মচারী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহজ ডটকমের কর্মচারী-কর্মকর্তা এবং সার্ভারের দায়িত্বরত আইটি বিশেষজ্ঞদের দেওয়া হতো। র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, পত্রিকার হকার থেকে টিকিট কালোবাজারির মূলহোতা হন সেলিম। ৩৫ বছর ধরে তিনি কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে কালোবাজারির সাত মামলা রয়েছে। কাশেম ১৫ বছর ধরে চক্রের সঙ্গে জড়িত। উত্তমের কাছে সংগ্রহ করা সব টিকিট মজুত করা হতো। সবার নামেই একাধিক মামলার তথ্য রয়েছে। কমান্ডার মঈন বলেন, চক্রে রেলের নিরাপত্তায় কর্মরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সদস্য জড়িত। বাহিনীর ঊর্ধ্বতনদের তথ্যসহ জানানো হবে।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিট কালোবাজারে, আটক ১
চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত। ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই জিতে রানরেটে পিছিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে স্বাগতিকরা। ৭ ম্যাচের ৬টিতে জিতে শীর্ষস্থান দখল করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে শীর্ষ দুই দলের লড়াই দেখতে দর্শকদের আগ্রহও বেশ তুঙ্গে। আর এই সুযোগে ৫ গুণ বেশি দামে টিকিট বিক্রি করতে গিয়ে আটক হয়েছেন এক কালোবাজারি। রোববার (৫ নভেম্বর) কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে মুখোমুখি হবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এই হাইভোল্টেজ ম্যাচের টিকিট যেন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় সমর্থকদের কাছে। টিকিটের ব্যাপক চাহিদার কারণে ৫ গুণ বেশি দামে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইর বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮ জানিয়েছে, অঙ্কিত আগারওয়াল নামের এক ব্যক্তিকে টিকিট কালোবাজারি করার কারণে আটক করেছে কলকাতা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ২০টি টিকিট জব্দ করেছে পুলিশ। ২৫০০ টাকা দামের প্রতিটি টিকিট ১১০০০ হাজার টাকা করে বিক্রি করেছেন অঙ্কিত। এমনটায় জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই গ্যালারিতে দর্শক না থাকা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু সব ম্যাচ দর্শকদের অনুপস্থিতি ছিল না। ভারত-পাকিস্তান কিংবা ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচেও টিকিটের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। তাছাড়া চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের ভুয়া টিকিট বিক্রি করে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় একটি প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় ৪ জন কালোবাজারিকে আটকও করেছিল পুলিশ।
০২ নভেম্বর, ২০২৩
ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের টিকিটের দাম ৬৬ হাজার টাকা
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামে দর্শকদের উপস্থিতি অনেক কম। শুধু স্বাগতিক ভারতের ম্যাচগুলোতে গ্যালারি ভর্তি থাকে। প্রতিযোগিতায় টানা ৪ ম্যাচ জেতা রোহিত শর্মারা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে আগামী ২৯ অক্টোবর। লখনৌর একানা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় সেই ম্যাচের টিকিট নিয়ে শুরু হয়েছে হাহাকার। এরই সুযোগে একটি টিকিটের দাম কালোবাজারে উঠেছে ৬৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। ২০১৯ বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড রোমাঞ্চকর ক্রিকেট খেলে অভ্যস্ত। আর এই কারণেই ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের টিকিটের চাহিদা অনেক বেশি। কোহলি-স্টোকসদের লড়াই দেখতে ম্যাচের এক সপ্তাহ আগেই শুরু হয়েছে টিকিটের জন্য হাহাকার। এই সুযোগে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ হাজার রুপিতে যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় (৬৬ হাজার ২১৮ টাকা)। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। ভারত পুলিশের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবৈধভাবে চড়া দামে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। অপরিচিত কোনো ব্যক্তির কাছে নয়, নিজেদের পরিচিত লোকজনের কাছেই টিকিট কেনাবেচা করছেন কালোবাজারীরা। একানা স্টেডিয়ামের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের টিকিটের দাম ৪৯৯ রুপি। উত্তর দিকের করপোরেট বক্সের টিকিটের দাম ৪ হাজার রুপি। কিন্তু কালোবাজারে এ দুটি গ্যালারির টিকিটের দাম ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার রুপিতে কিনছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কালোবাজার থেকে ইংল্যান্ড-ভারত ম্যাচের টিকিট কেনা এক সমর্থক নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণার পর থেকেই আমি সব জায়গায় ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের টিকিটের খোঁজ করেছি। অফিশিয়াল টিকিট বুকিং ওয়েবসাইটে দেখায় ‘টিকিট দ্রুতই আসবে’। বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আমাকে পাবলিক গ্যালারির টিকিট সাধা হয়েছে, যার দাম ২১ হাজার রুপি। দুটি টিকিট নিয়েছি, আমার এবং আমার স্ত্রীর জন্য।’ উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ ডিরেক্টর জেনারেল প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, ‘রাজ্যের পুলিশ বিভাগের বিশেষ এজেন্সি ছাড়াও লখনো পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টের ওপর নজর রেখেছে। একানা স্টেডিয়ামের ম্যাচগুলোর টিকিট যেন কালোবাজারে বিক্রি করতে না পারে, সে জন্যই আমরা এই নজরদারি রাখছি।’
২১ অক্টোবর, ২০২৩
আরও
X